এসএফআই’র লাগাতার আন্দোলনের চাপে অবশেষে রাজ্যে খুলছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ৩ জানুয়ারি থেকে খুলে যাচ্ছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক ও আইটিআইগুলিও। তবে স্কুলের ক্ষেত্রে খুলছে না সমস্ত ক্লাস। আপাতত অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ পঠনপাঠন শুরু হবে। সোমবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিভাগ এখনই খোলা হচ্ছে না। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির পঠনপাঠন হবে পাড়ায় পাড়ায়।

২০২০’র মার্চ থেকে প্রায় দুবছরের কাছাকাছি সময় প্রযন্ত রাজ্যে বন্ধ স্কুল কলেজ। অতিমারীর বাহানায় দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইনের পঠন পাঠনের ফরমান চাপিয়ে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের ঘাড়ে। এর জেরে রাজ্যে নিঃসন্দেহে বেড়েছে স্কুল ছুটের সংখ্যা। এই সুযোগে বহু মেয়েকে কুমারী অবস্থাতেই বিয়ে দিয়েছে তার পরিজনেরা। প্রতীচী ট্রাস্ট সহ একাধিক সংস্থার সমীক্ষাতেও উঠে এসেছে সেই ছবি। জনমতের চাপে ২০২১ সালের শেষভাগে ক্যাম্পাস খুললেও, ওমিক্রন জুজু দেখিয়ে ফের ক্যাম্পাসের সদর দরজায় তালা ঝুলিয়েছে তৃণমূল সরকার। অথচ একই সময়কালে অন্যান্য ক্ষেত্রে অবাধ জনসমাগমের কোনও বাধা থাকছে না। এই ভ্রান্ত নীতির ফলে অপূরণীয় ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা। সেই নজিরবিহীন অচলাবস্থা ভাঙতেই এদিন পথে নামে এসএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি।

এদিন কলেজ স্ট্রিটে বিক্ষোভে শামিল এসএফআই নেতা-কর্মীরা। সেই সঙ্গে রাজ্যের সমস্ত জেলায় হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী ক্যাম্পাস খোলার দাবিতে পথে নামেন। প্রশাসনিক বাধা উপেক্ষা করেই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া যান ছাত্র ছাত্রীরা। এসএফআই ও ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলনের চাপে অবশেষে রাজ্যে খুলে দেওয়া হচ্ছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

Source- Ganashakti