কেউ স্বেচ্ছায় ভিটেমাটি ত্যাগ করে না। তবু প্রতিদিন কেউ না কেউ শিকড় হারাচ্ছে। রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কারণ তাদের বাধ্য করত , করছে।

শিকড় হারাচ্ছি। তবু শিকড়ে যাচ্ছি না। সামনের লোকটাকে যে আদ‌তে আমার বন্ধু , তা‌কে শত্রু ভাবছি। যারা কাঠপুতুলের মত আমাদের নাচাচ্ছে তারা তো সেটাই চায়।

তারা জানে ভালবাসা অতি বিষম বস্তু। তাই ফুল ফুটতে দেওয়া যাবে না। পুঁজির কোনো দেশ থাকবে না। কিন্তু মানুষকে আটকে রাখা হবে অজস্র কাঁটাতারের বারান্দায়।।

হ্যাঁ, আমি উদ্বাস্তু। তাই আপনার মত উদ্বাহু নই।আসলে ঠোকর খেতে খেতে আমি শিখেছি- মানুষকে কোনো একটা পরিচিতি দিয়ে বেঁধে রাখা যায় না। সে প্রতিদিন এক পা করে এগোয়। দূরে সরে যায় তার পুরনো বাড়িটার থেকে, এগোতে থাকে নতুন পৃথিবীর দিকে।

আয়নার সামনে দাঁড়ান। যদি চোখদুটো খোলা থাকে দেখতে পাবেন – আপনিও উদ্বাস্তু। নিজের অজান্তেই কবে বাপ – ঠাকুরদার উত্তরাধিকারের আর ইতিহাসের ভিটে থেকে সরে এসেছেন।

যে বাংলা আপনারা তৈরি করতে চাইছেন – সে বাংলার থেকে প্রীতিলতা – মাতঙ্গিনী কয়েকশো যোজন দূরে বসবাস করেন।