“কবে থেকে আসছেন ব্রিগেডে কাজ করতে? “মাঝবয়সী বিদ‍্যুৎ ও শব্দ প্রক্ষেপণের দায়িত্বে থাকা ইলেট্রিশিয়ান এক মূহূর্ত সময় না নিয়ে বললেন “দশ বারোটা কম করে”।
চাপ তৈরি করেনি এবার?
“করেছে তো! ২০১১ র পর থেকেই করছে। এবার আরও বেশি। “
কথাবার্তায় বুঝলাম সরঞ্জাম নিয়ে ম‍্যাটাডোর ভ‍্যান নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বার বার কিন্তু সেসব অগ্রাহ‍্য করে এবার আগের থেকে অনেক বেশি লোকজন নিয়ে এসেছেন। কেন?
কারণ ডিওয়াই এফ আইয়ের নেতৃত্বের হাতে ব্রিগেডের অনুমতির কাগজ এসেছে ৫ ই জানুয়ারি। সেদিন রাতেই মঞ্চের মাপ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। অর্থাৎ দু দিনের মধ‍্যে ইনসাফের ব্রিগেডের প্রস্তুতি সারতে হচ্ছে মঞ্চ ও ইলেকট্রিকের কর্মীদের। কার্যত যুদ্ধকালীন ত
ৎপরতায় ব্রিগেডের প্রস্তুতি চলছে। অভিজ্ঞ বাম নেতা কর্মীরা অনেকেই মনে করতে পারছেন না ডিওয়াই এফ আই শেষ কবে এমন পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব নিয়ে ব্রিগেড সমাবেশ করেছে।

তবে পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত পরিবর্তনের পরে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যুব ফেডারেশন চ‍্যালেঞ্জ নিয়ে চ‍্যাম্পিয়ন হয়েছে তার অনেক উদাহরণ রয়েছে। ধর্মতলার ইনসাফ সমাবেশের স্মৃতি একপাশে সরিয়ে রেখে মনে করুন, শহীদ মইদুল ইসলাম মিদ‍্যার মৃত্যুর খবর পেয়ে বিস্মিত যে বিধায়ক বলেছিলেন ও সিপিএম করে জানতাম না তো? তাঁর বিস্ময় আরও বেড়ে গিয়েছিল যখন ডিওয়াইএফআই এর রাজ‍্য নেতৃত্ব শহীদ মইদুলের ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার খরচের পুরো দায়িত্ব নিয়েছিল। বছর পাঁচেক আগে কোন এক একুশে জুলাই কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের বহুল প্রচারিত সমাবেশকে হার মানিয়েছিল দিনহাটায় যুব ফেডারেশনের জমায়েত।

কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ ২৯১০ কিলোমিটার ইনসাফ পদযাত্রার পরে আগামীকালের ইনসাফের ব্রিগেড ও তেমনই এক চ‍্যালেঞ্জের ব্রিগেড বুঝেছেন ডেকরেটর্স এবং মাইকের ব‍্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকা খেটেখাওয়া মানুষও।এটাই বড়ো পাওনা।