তৃণমূলের ইভেন্ট ম্যানেজারের প্রেসক্রিপশন ছিল ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনটি স্তরে ১৫%-২০% জনমত লুঠ। তিনটি স্তরে মোট ৪৫%-৬০% ভোট হেরাফেরি ছাড়া সরকারের বিসর্জনের ঢাক বাজবে। ভারত সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ সে খবর রাখেনি, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। নরেন্দ্র মোদীর সরকার যদি বুঝত তৃণমূলের পতনে তাঁর বঙ্গজয়ের দ্বারোন্মোচন করবে, অবশ্যই সক্রিয় ভূমিকা থাকত। সাগরদিঘি ভীতি কেন্দ্রীয় সরকারকে ২০২৪র লোকসভা নির্বাচন অবধি তৃণমূলের সমর্থনের আশায় ‘লাঠি ভেঙে সাপ বাঁচিয়ে রাখা’র নীতি নিতে বাধ্য করেছে। কাপুরুষ মোদীর সাথে আম-দইয়ের সখ্যতা স্হাপনের পর সেনাপতি তাঁবু মহোৎসবের অশ্বমেধ যজ্ঞে নেমে পড়লেন। জনসভায় মোদী বাবাজীবনের শ্রাদ্ধ হল, আম-দইয়ের আড়ালে পদিপিসির বর্মী বাক্সের কৌশলে ধর্মপ্রাণের শ্রদ্ধা কমল না। শিবাজী ফলের ঝুড়ি পাঠাবার কৌশলে একদিন ঝুড়ির ভিতর ছেলেকে নিয়ে ঔরঙ্গজীবের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। সেই ঝুড়িতেও উপরে ফলাদি ছিল। সম্ভাব্য বিরোধী ঐক্যের সভার মীরজাফরকে মোদী রক্ষা করলেন।

২০১৮র পঞ্চায়েতে উলঙ্গ নৃত্যের বদলে এমন আবরণ দিতে হবে যাতে নগ্নতা দৃশ্যমান না হয়। ইভেন্ট ম্যানেজারদের ত্রিস্তরীয় নীল-নক্সা সরকারী অনুমোদন পেল এবং আম-দইয়ের আচ্ছাদনে আমোদীতও হল। নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহ মুখে কুলুপ আঁটলেন। তিনটি স্তর হল– (১) মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়া, (২) ভোটের দিন বুথ দখল করে ছাপ্পা এবং (৩) গণনাকেন্দ্রে ব্যাপক কারচুপি। এই তিনটি সার্থক স্তরের সার্থক রূপায়ণের পর যে ফলাফল প্রদর্শিত হত, মিডিয়ার ভোট-সমীক্ষা তাই বলেছিল। মিডিয়া বাস্তবকে বিগত অতীত থেকে বুঝেছে বা নীল-নক্সা জানত। যদি এই ফল জনমত হয়, তাহলে তারা যে ভোটের রক্তাক্ত প্রহসন দেখাচ্ছে তা মিথ্যা। বিভিন্ন মেইন স্ট্রিম মিডিয়া ও সোস্যাল মিডিয়ায় যত ছবি ভাইরাল হয়েছে, একত্রিত করলে ভয়াবহ ঐতিহাসিক তথ্য প্রকট হয়। তৃণমূল জানে, এই সব ছবি হিমশৈলের চূড়ামাত্র। ৭০ হাজারের বেশী বুথের কটা যায়গায় মিডিয়ার কটা ক্যামেরা পৌঁছাবে ? রাতে গ্রামের ভিতর বাইক বাহিনীর দাপট বা কড়া নেড়ে ধর্ষণ ও মারণ হুমকি কানেই থেকে যাবে।

বিরোধী দলগুলি হুমকি দিয়েছিল, ২০১৮ নয় ২০২৩ সাল। প্রতিরোধ হবে। রাজ্যের গোয়েন্দা দপ্তর প্রতিরোধের ভর ও গতির পরিমাপ কষে দিয়েছিল মমতা সরকারকে। প্রতিরোধের মাত্রা গোয়েন্দা রিপোর্টের চেয়ে বেশী ছিল কিন্তু বিরোধীদের হুমকির চেয়ে কম। এই যায়গাটা পেশাদার অভিজ্ঞ ইভেন্ট ম্যানেজাররা ভুল তথ্যের জন্য আন্দাজ করতে পারেনি। দ্বিতীয় সমস্যা, আদালতের হস্তক্ষেপ। যদিও ন্যুনতম সময়ে বিরোধীদের কোন রকম প্রস্তুতি নেবার সুযোগ না দিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা হয়েছিল, তাই আদালতকে বোকা বানাবার সরকারের চাতুর্য অনেকাংশে কার্যকারী হলেও পুরোটা হয়নি। আদালত বাস্তব চাপের চেয়ে মানসিক চাপ খানিকটা দিতে পেরেছে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রত্যাশা ছিল। রাজ্য জুড়ে লুঠ তরাজের মূল্য ক্ষয়ক্ষতি ও জীবনহানীতে দিতেই হয়। প্রশাসনের মদতে হত্যার সংখ্যা প্রতি স্তরে দশের অধিক হবে না অনুমান ছিল। এক শ্রেণীর দুষ্কৃতি নির্বাচনের সুযোগে দলীয় অপর গোষ্ঠীর সাফাই শুরু করলে সংখ্যা প্রতি স্তরে দ্বিগুণ হল। প্রয়োজনীয় হত্যা গণহত্যায় রূপান্তরিত হয়।

কেন্দ্রে বিজেপির সরকার আছে। রাজ্যে বিরোধী দলনেতা, রাজ্য সভাপতি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ আছেন। তাঁদের ওপর ভালো ফলের আশা থাকলে রাজ্যপাল সি.ভি আনন্দ বোস রাজীবা সিনহার মত দলদাসকে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে মনোনীত করতেন না। প্রতিটি আইএএস অফিসারের ট্র্যাক রেকর্ড কেন্দ্রীয় সরকারের নখদর্পণে থাকে। যদিও বঙ্গীয় বিজেপি ব্রিগেড এই মনোনয়নের বিরোধিতা করেছিল। অপর বিরোধীদলগুলি যেমন বামপন্থী, কংগ্রেস, আইএসএফের মাঠে নেমে লড়াই করা ছাড়া কোন গত্যন্তর ছিল না। নির্বাচন নির্ঘন্ট প্রচারের শুরুতেই মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখের হত্যা দিয়ে তৃণমূল হালখাতা করল। মনোনয়ন জমা দেবার প্রবল বাধা অতিক্রম করেও ১২% বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক দলের জয় দেখালেও মূলতঃ ৩% আসনে একমাত্র বিরোধী বিক্ষুব্ধ চোর। ইভেন্ট ম্যানেজাররা প্রথম পর্বে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়। বিরোধীদের মনোনয়ন অবৈধ ভাবে বাতিল, মক্কা থেকে মনোনয়ন দাখিল এমনকি আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ অগ্রাহ্য করে পুলিশ প্রহরায় মনোনয়ন জমা না দিতে পারাও ছিল।

ভোট প্রচারটা কোন গুরুত্বপূর্ণ স্তর নয়। প্রশাসন, পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার এবং দুর্বৃত্তদের এলাকা দাপিয়ে বেড়ানোটাই গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কারণ দূর্নীতির যে নগ্ন রূপ প্রকাশ্যে এসেছে তারপর ভাতার পোকল্পের তালিকার বাঁধ খড়কুটোর মত উড়ে যাবে। পঞ্চায়েত প্রধানের সাতমহলা বাড়িটাকে তো আর ঢেকে রাখা যাচ্ছে না। ফলে বিরোধীদের দেওয়াল লিখতে না দেওয়া, মিছিল-জনসভায় দুষ্কৃতি বাহিনীর হামলা, মিথ্যা মামলা, প্রয়োজনে খুন, প্রার্থীদের বাড়িতে সাদা থান পৌঁছে দেওয়ার মত কর্মসূচী জেলা শাসক, এসপি, দলীয় জেলা সভাপতিদের যৌথ উদ্যোগে সার্থক ভাবে রূপায়িত হয়েছে। শাসক দলের পোড়ামুখে মুখাগ্নি করার দরকার ছিল না বিরোধীদের। পাপেট কমিশনার তখন আদালতের সাথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে লুকোচুরি খেলছেন। সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চ, সুপ্রিম কোর্ট ফেরতা আদালতের রায় এল বটে, ততক্ষণে চতুর শেয়ালরা খেলাটাকে একস্ট্রা টাইমে নিয়ে গেছে। আদালত অভিপ্রায় বুঝলেও হাত পা বাঁধা ছিল। ভোটের আগের দিনও স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রস্তুত হয়নি।

ফলতঃ নেকড়েদের পরিকল্পনা মাফিক আদালতকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই ভোট হল। বুথে একজন পুলিশ থাকা মানে শাসকদলের একজন দুষ্কৃতি বৃদ্ধি। ভোটকর্মীরা নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে গিয়ে শূণ্য হাতে ফিরে বোম বন্দুককে মোকাবিলা করতে হয়েছে। সিভিক গুন্ডারা উর্দি বদলে ভোট লুঠে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। কোন ১৫%-২০% বুথে দেদার ছাপ্পা হবে তা নির্ধারিত ছিল এবং জেলা শাসক ও এসপি সেই সব বুথ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দূরে রেখেছেন। অনেক বুথে সকাল সাতটার আগেই ভোট পর্ব সম্পন্ন হয়ে ব্যালট বাক্স সিল হয়ে গেছে। সামান্য কিছু ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ করে ব্যালট বাক্স পুকুরে বা নর্দমায় বিসর্জন দিয়েছে। বিক্ষিপ্ত ক্ষেত্রে এক মাত্র পুলিশ এই ধর্ষণে রাজী না হয়ে ভোটের ডিউটি থেকে নিষ্কৃতিও চেয়েছেন। তাছাড়াও বাকি বুথে অন্ততঃ ৫% ভুয়ো ভোটার ভোট দিয়ে গেছে শাসক দলের পক্ষে। একজন পুলিশের পক্ষে এসব নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়, তা বুঝতে গেলে আইএএস হতে হয় না। দ্বিতীয় স্তরেও মৃত্যের সংখ্যা পরিকল্পনার দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

তৃতীয় স্তরে এসে বিডিওরা খেলার রাশ হাতে নিয়েছেন। শাসক দলের নেতা, বিধায়ক, মন্ত্রীরা গোপনে স্ট্রং রুমে দেদার বাক্স বদল করেছেন। গণনার দিন বিরোধী এজেন্টদের পুলিশ ও দুর্বৃত্তদের পিটিয়ে বার করে দেওয়া পরিকল্পিত ছিল। বিরোধী প্রার্থীদের হারাতে কোথায় কত ব্যালট গণনার পূর্বে বাক্সে ফেলা হবে সে হিসাবে ব্যস্ত ছিলেন বিডিও। কোথাও হিসাব বজায় রাখতে বিরোধীদের প্রাপ্ত ব্যালট ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার সামান্য কিছু অংশ বিভিন্ন নর্দমা, মাঠ, পুকুর, নদী, এমনকি গণনার পর গণনা কেন্দ্র থেকে বিরোধীরা উদ্ধার করেছেন। বালি জগাছার বিডিও পারমিতা ঘোষ ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা স্বীকার করেছেন। পুলিশে নালিশের কথাও বলেছেন। কিন্তু তারপরেও কীকরে ফলাফল ঘোষণা করলেন, তা বলতে পারলেন না। শাসক দলের পরাজিত প্রার্থী প্রয়োজনে ব্যালট পেপার চিবিয়ে খেয়ে ফেলল। ঘোষিত বিজয়ী প্রার্থীর সার্টিফিকেট ছিনিয়ে নিয়ে পুনর্গণনার নামে শাসক দলের প্রার্থীকে সংশাপত্র দিতেও কার্পণ্য করল না প্রশাসন। গণনা কেন্দ্রে মিডিয়ার ভিতরে না থাকা বিরাট সুবিধা।

পিসির শেষ পাতে ভোট পরবর্তী বলি ছাড়া যজ্ঞ সম্পন্ন হবার কথা নয়। তৃণমূল সাধারণতঃ রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজিয়ে হত্যা, লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ করে। এবার সেই বাহুল্যতা বিবর্জিত হিংসা দেখল বাংলা। এই পর্বেও পরিকল্পনার দ্বিগুণ মানুষ খুন হলেন। সংক্যাটা ৫৬ হয়ে গেছে। বিক্ষিপ্ত শান্তিপূর্ণ ভোটকে বিক্ষিপ্ত অশান্তি বলতে উঠে পড়ে লেগে গেছে শাসক দল। তাহলে মিডিয়ায় যা দেখিয়েছে সবটাই মিথ্যা? হ্যাঁ, শুভপ্রসন্নরা বললেন, আপনি কিছু দেখেননি মাস্টার মশাই। ইভেন্ট ম্যানেজারের সাফল্যের পর শাসক দল নাকি ৫১% ভোট পেয়েছে, যার ৪৫%-৬০%ই বুজরুকি। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে কেন শাসক দলকে ঐতিহাসিক ভোট সন্ত্রাস করতে হয়েছে। কেন কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব ঝুঁকি নিতে ভয় পেল। উত্তরটা ফলাফলেই লুকিয়ে আছে। বিজেপির ভোট সন্ত্রাসের পর ১৫% কমে গেছে যেখানে আগুনের মাঝে দাঁড়িয়ে জোট প্রার্থীরা ১১% ভোট বাড়িয়ে নিয়েছে। সঠিক ভোট হলে পরিণাম কী হত সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী গোয়েন্দা রিপোর্টে আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন।

২০১৮র সন্ত্রাসের পর ২০১৯এ তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে ধ্বস নেমেছিল। হতে পারে বিজেপি তৃণমূলকে সন্ত্রাস করতে দিয়ে মুখোশ খুলে ২০২৪এর ফাঁদ পাতবে। তার জন্য দুর্নীতির তদন্তে দ্রুততা আনতে হবে। সেই সাহস নরেন্দ্র মোদী দেখাতে পারবেন না। দ্বিতীয়তঃ নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের পালিয়ে যাওয়া নিচের তলার বিজেপি কর্মীরা ভাল ভাবে নেয়নি। এমনকি শুভেন্দু বেঙ্গল লাইনের ঘোষণা করেছেন। বিনা পতাকায় কালীঘাটের ইঁট খুলে নেবার ডাকও দিয়েছেন। ২০২৪এ ২০২১এর মত মোদী বা শাহবাবুরা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করতে আসলে ভোটের গ্রাফ নেমে রসাতলে যাবে। নিরস্ত্র, নিরন্ন মানুষ অনেক ক্ষেত্রে সফল প্রতিরোধে দুর্বৃত্ত শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পরোয়ানা পেয়ে গেছে এই লুন্ঠনে। এই ভোট তৃণমূলের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক কারণ এটাই ওদের শেষ হাসির শেষ ভোট। মানুষ যেমন নেকড়েদের ভুলবে না, আদালতও নয়। ২০২৪এ নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহ আত্মগোপন করতে পারবেন না। মুখ দেখালেই দুখ বাড়বে। ২০২৪এ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দিকে এক কদম এগিয়ে জনগন।

বিজেপির ভোট ১৫% এর আশেপাশে ছিল। সেটা ধর্ম ভোট। ২০১৯এ ৩৬%, ২০২১এ ৩৮% হবার মূল কারণ অনেকে ভেবেছিলেন তৃণমূলের দুর্নীতির তদন্ত করবেন মোদী। সেটা কর্ম ভোট। পঞ্চায়েতে কর্ম ভোটের দুই-তৃতীয়াংশ হারিয়েছেন অকর্মা মোদী। জোটে ভোট বেড়েছে ১১%। জনগন আর মোদীর জুমলার উপর ভরসা করতে নারাজ, নিজের উপর ভরসায় ফিরছে। তদুপরি লাগামছাড়া সংখ্যালঘুদের উপর তৃণমূলের সন্ত্রাস ও নির্মম হত্যালীলা বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে দিচ্ছে। মমতা-মোদীর কুস্তির নাটকে মানুষ আর বিশ্বাস করছে না। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন হবে মোদীর বিজেপি বনাম কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোটের। সেখানে তৃণমূল তৃতীয় পক্ষ। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে মমতা রাহুলের পদতলে মুখোশ পরে আশ্রয় চাইবেন। তাঁর বিশ্বাস সনিয়া-রাহুল বিগত ৩২ বছরের মত আবার ভুল করবেন এবং সুযোগ বুঝে তিনি স্বমূর্তি ধারণ করে বাংলায় কংগ্রেস নিধনে মত্ত হবেন। তৃণমূলের চোররা পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিশ্বের সমস্ত রকম অগণতান্ত্রিক ঘৃণ্য পদ্ধতির অ্যালবাম সৃষ্টি করল নীরবে।