ক্রিকেটের বিশ্বকাপ শুরুর আগেই আমাদের রাজ্যে ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্বে ঝড়ো ব্যাটিং করলেন প্রভু ভক্ত মেরুদণ্ডহীন একাংশ আমলারা। শেষ আট ঘন্টায় তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনয়নপত্র দাখিল হল ৭৪ হাজারেরও বেশি। যথাযথ তদন্ত হলে এই রহস্যময় খেলার ম্যাজিকের হাত সাফাইয়ের কৌশল ধরা পড়ে যাবে। গণতন্ত্রের নিধনযজ্ঞে এটাও একটা মাত্রাতিরক্ত প্রভু ভক্তের নিদর্শন। মনোনয়নপত্র দাখিল পর্ব থেকে ১৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে রাজনৈতিক সংঘর্ষে। এখনো তিনদিন বাকি, তারপর ফল ঘোষণা, ফল ঘোষণার পর রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সংঘর্ষ আরো বাড়বে বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ১৬ জনের মৃত্যুকে মুখ্যমন্ত্রীর সুরে পুলিশের বড় কর্তারাও বলছেন, “এ সব ছোট ঘটনা। “দুবাই থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল হয়ে গেল এবং মিনাক্ষার পি আর ও ‘র বদান্যতায় ও প্রভুভক্তের কারনে সেই মনোনয়নপত্র গ্রহণযোগ্য হল। হাইকোর্টে মামলা হলে তা বাতিল হয়ে যায়। প্রার্থী পদ বাতিল’তো হল। কিন্তু যে, পি আর ও, প্রভুকে তুষ্ট করার জন্য এই অন্যায় তিনি করলেন তাঁর কি শাস্তি হবে ? কমিশনারতো বোবা, কালা হয়ে মৌনব্রত পালন করে চলেছেন। এই নির্বাচনের আগে ও পরে কি হবে তা নিয়ে রাজ্যবাসী চিন্তিত। এমনকি এই বিষয়ে উচ্চ আদালতও শঙ্কিত। এখন যা দাঁড়িয়েছে, উচ্চ আদালতই যেন নির্বাচন পরিচালনা করছে বলে মনে হচ্ছে। আগামীকাল ৬।৭।২৩ তারিখে বিকালে প্রচার শেষ। 

প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি, বামপন্থীদের কোথাও কোথাও বাধা দিচ্ছে, লাল ঝান্ডা পুড়িয়ে দিচ্ছে, সংঘর্ষ হচ্ছে। এতদসত্ত্বেও বামপন্থীদের আটকে রাখা যাচ্ছে না। হুগলি জেলার কনিষ্ঠতম সি পি আই (এম) প্রার্থী একুশ বছরের বনশ্রী বাগ প্রকাশ্যে এখনো প্রচার করতে পারেনি। কিন্তু ভোটারদের কাছে তাকে জেতানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বার্তা পৌঁছে যাচ্ছে । বনশ্রী বাড়িতে এখনও ফেরেনি। বনশ্রী আশাবাদী, বুথ দখল না হলে সে জিতবে। খানাকুল এক নম্বর ব্লকের অরুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩ বছরের সঙ্গীতা দোলুইও আশাবাদী, সে জিতবে। সঙ্গীতা দলুই উদয়নারায়নপুর মাধবীলতা মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। অরুন্ডা জি পির ১০ নং সিটের ধাড়াশিমুল গ্রামের সি পি আই (এম) এর প্রার্থী সঙ্গীতা দোলুই। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে লক্ষ্য করে শিক্ষাকে যেভাবে বেসরকারীকরণ করে দেওয়া হচ্ছে, চাকরি বিক্রির বিরুদ্ধে, প্রতিবাদ করার জন্য এবং মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে সে প্রার্থী হয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি আগামী দিনে সে সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করতে চায়। সঙ্গীতা এখন খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছে।

খানাকুল এক অরুন্ডা জি পি তে ২৩ বৎ কলেজে পাঠরতা সি পি আই এম প্রার্থী

আনন্দবাজারের মতন পত্রিকা তারাও আজ শঙ্কিত। তৃণমূল কংগ্রেসের আগ্রাসী কার্যকলাপ আনন্দবাজার পত্রিকাও চেপে রাখতে পারল না। ১৪ ই জুন ২০২৩ আনন্দবাজার তার সম্পাদকীয় কলমে, “আতঙ্কের কাল” হেডিং এ লিখিয়াছে,” বঙ্গজননী এই প্রশ্ন শুনে বোধ করি নীমচাঁদের ভাষায় গেয়ে উঠবেন: কি বোল বলিলে বাবা বলো আর বার, মৃতদেহে হল মম জীবনসঞ্চার। দীনবন্ধু মিত্র বিরচিত সধবার একাদশী-র সেই সমাপ্তি সংগীতে যে তীব্র এবং করুণ ব্যঙ্গ ও তিরস্কার নিহিত, পশ্চিমবঙ্গের সমাজ – রাজনীতির পক্ষে তা-ও যথেষ্ট নয়। গণতান্ত্রিক রাজনীতির ফলিত রূপটি এই রাজ্যে প্রতিনিয়ত এক ভয়াবহ আকারে মূর্ত হয়ে চলেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যবাসীর মনে আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে — বিভীষিকার মাত্রা কি আরো কয়েক পর্দা চড়বে ? এবং, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার অধ্যায় শুরু হওয়ার সঙ্গে আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এ রাজ্যে নির্বাচনে, বিশেষত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তক্ষয়ী এবং প্রাণান্তকারী হিংস্র সংঘর্ষের যে ধারা তৈরি হয়েছে, এ বারেও তা ইতিমধ্যেই প্রকট। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের রক্তাক্ত স্মৃতি এখনও অতিমাত্রায় প্রবল। সেই হিংস্র তাণ্ডবের কারণে পশ্চিমবঙ্গের নাম দেশে ও দুনিয়ায় খ্যাত হয়েছিল। ২০২৩ কি সেই কুখ্যাতির ভান্ডারে নতুন শিরোপা এনে দেবে? “এই সংঘাতের দায়ভাগ নিয়ে অনন্ত তরজা চলছে,চলবে। কিন্তু একটি মৌলিক এবং প্রাথমিক সত্য স্পষ্ট ভাষায় উচ্চারণ করা দরকার। রাজ্যের শাসনভার যাঁদের হাতে, কলঙ্ক মোচনের দায়িত্ব তাঁদেরই। তাঁদের রাজ্য শাসনের এক যুগ অতিক্রান্ত হয়েছে। নির্বাচনী রাজনীতির হিংস্রতায় সারা দেশে পশ্চিমবঙ্গ কেবল প্রথম নয়, অ-তুলনীয় — এই সত্য শাসক দল ও তার নেতৃত্বের পক্ষে চরম লজ্জার কারণ। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক–তৃতীয়াংশ — অধুনা তিহাড়- নিবাসী দলীয় নেতার জেলায় প্রায় ৯০ শতাংশ — আসনে তাঁদের প্রার্থীরাই “বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়” নির্বাচিত হয়েছিলেন। সুশাসনের হাল কোথায় পৌঁছলে গণতন্ত্রের এমন সলিলসমাধি সম্ভব হতে পারে। অথচ শাসকদের আচরণে তা নিয়ে কোন লজ্জাবোধ দেখা যায়নি। “আনন্দবাজার আরও লিখেছে, ২১ জুন ২০২৩ তারিখে তাদের সম্পাদকীয় কলমে,”  বোমা গুলির দাপটে পিলে চমকিয়ে আসন্ন নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব শেষ হল, থেকে গেল শুধু সেই প্রশ্ন : “মহারাজ ,পাখিটাকে দেখিয়াছেন কি? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “তোতাকাহিনী” গল্পে  শিক্ষাদানের ধুন্ধুমারে ছাত্রটি  চোখের আড়ালে রয়ে গিয়েছিল। আর পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না খোদ পঞ্চায়েতকে। ” আনন্দবাজার আবারো লিখেছে ১৯ শে জুন ২০২৩ সম্পাদকীয় -“ক্ষমতার উৎস” কলমে। নির্বাচনপর্বটি যাতে শান্তিপূর্ণ হতে পারে, তা নিশ্চিত করার দায় ছিল রাজ্যের শাসকদলেরও — বিশেষত ২০১৮ সালের কলঙ্কিত অধ্যায়ের পর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে যেমন সংযমের বা দলকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার চিহ্নমাত্র নেই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রার দিনগুলিও  তেমন বুঝিয়ে দিয়েছে যে, গণতন্ত্রে শাসক দলের রুচি নেই। বিবিধ হুমকি এবং অনতিপ্রচ্ছন্ন জবরদস্তি দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে সুরটি বেঁধে দিয়েছেন, শাসকদলের যন্ত্র অবিকল সেই সুরেই বাজছে। বিরোধীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন, এই অভিযোগটিও তিনি যে ভঙ্গিতে উড়িয়ে দিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট যে, আগে বলা শান্তির বাণীগুলি নেহাতিই  কথার কথা। এ রাজ্যে এখন সবার ওপরে হিংসা সত্য। গণতন্ত্রের এই অবমাননাই এখন পশ্চিমবঙ্গের অভিজ্ঞান।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিরোধী দলের নেত্রী ছিলেন তিনি স্লোগান দিয়েছিলেন “দলতন্ত্র নয় গণতন্ত্র” সেই মমতা ব্যানার্জি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পর গণতন্ত্রকে উল্টে দিয়ে কিভাবে দলতন্ত্রকে কায়েম করেছেন এ বিষয়ে  ১৮।০৪।২০১২ তারিখে “দ্য টেলিগ্রাফ” পত্রিকায় রুদ্রাংশ মুখার্জিও তার সম্পাদকীয় নিবন্ধে লিখেছিলেন,” সারা বিশ্বের জনগণের মতন পশ্চিমবঙ্গের জনগণেরও অধিকার আছে বিরুদ্ধ মত প্রকাশের, সমালোচনা করার, হাসবার, কৌতুক করবার এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রের ও ক্ষমতাসীন দলের হুমকি ভয় থেকে মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে মুখ খোলবার ও লেখার। “বর্তমান সরকারের আমলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে এইসব অধিকারের প্রতি অশ্রদ্ধা। এই সরকার চায় একটা ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে রাজ্য শাসন করতে আর এই জন্যই বর্তমান সরকারের বিরোধিতা করতে হবে।” প্রসঙ্গক্রমে, রুদ্রাংশ বাবু তাঁর এই আলোচনার শেষ অনুচ্ছেদে একটি সর্বসাধারণের না জানা ঘটনার কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, “অভ্যন্তরীণ জরুরি অবস্থা কালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যখন একদিন এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর দিকে পিছন ফিরে বসেছিলেন কিছু গ্রামের মানুষ। সেই ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে মমতা ব্যানার্জির ব্যানার্জীর’ও। পশ্চিমবঙ্গের জনগণও এমন ঘটনা ঘটাতে পারে। এবং, যা তিনি কল্পনাও করতে পারছেন না। তার আগেই তাঁরা তা ঘটাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণ প্রথম থেকেই স্বৈরাচারীর মতন, তা অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিয়মান। পাঠক কোন সংবাদপত্র, সাময়িক পত্র, বা কোন বই পড়বেন, তা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তখন “দেশ “পত্রিকায়  ২/৪/২০১২ তারিখে “শেষ কথা”-কলমে “মুখ্যমন্ত্রীর আচরণে স্পষ্টতই স্বৈরাচারের ইঙ্গিত” শিরোনামায় তার আলোচনার উপসংহার টেনেছিলেন সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এই বলে যে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আপনি জানেন না যে স্বৈরাচারের লোভনীয় স্বাদ পেলে তা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে।” সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা আজকে অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক ও বক্তৃতার ভাষা থেকে। এবং ক্রমশই তিনি স্বৈরতন্ত্রের ভূমিকা পালন করছেন মানুষ তা দেখছেন ও বুঝছেন। তার যোগ্য জবাব দেবার জন্য রাজ্যের মানুষ তৈরি হচ্ছেন। 

আজকে যেভাবে ভক্তি, অতিভক্তি, বীর পূজা ভারতের রাজনীতিতে প্রকাশিত হয়েছে  সে প্রসঙ্গে, ডঃ বি আর আম্বেদকর যে কথা বলেছিলেন তা আজও প্রাসঙ্গিক। আমাদের দেশ সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। একে একমাত্র প্রতিহত করতে পারে সাধারণ মানুষ। ডঃ আম্বেদকর বলেছিলেন, “Bhakti or what may be called the path of devotion or hero–worship,plays a part in its (India’s)Politics unequalled in magnitude by the part it plays in the politics of any other country in the world….. In politics,Bhakti is a sure road  to degradation and to eventual dictatorship,”

                                         Dr.B.R.Ambedkar

Constituent Assembly Debates (Vol.|| P–979)

“ভক্তি, অথবা যাকে বলা যায় আরাধনার পথ বা বীর পূজা, ভারতের রাজনীতিতে এমন এক মাত্রাতিরিক্ত ভূমিকা পালন করে যার তুলনা মেলে না বিশ্বের অন্য কোন দেশের রাজনীতিতে…… রাজনীতিতে ভক্তি  হল অধঃপতন ও তার পরিণামস্বরূপ একনায়কত্বে পৌঁছানোর অবধারিত পথ”।ভারতীয় রাজনীতির গতিপ্রকৃতির কী অসাধারণ পর্যবেক্ষণ। যা আজও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের চলন বলন ও নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে খুবই প্রাসঙ্গিক। ৭৫ ঊর্ধ্ব আদিবাসী মহিলার কথা ও তাঁর অভিব্যক্তি তুলে ধরে  আমার লেখা শেষ করব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে, এক বাস্তব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলাম। টোটো মাইক নিয়ে আদিবাসী পাড়ায় ঢুকে সিপিআই(এম) প্রার্থীদের সমর্থনে ভোট দেওয়ার জন্য বলার পর, পাড়ার সমস্ত মহিলারা এগিয়ে আসে। তার মধ্যে ওই বয়স্ক মহিলা টোটো গাড়ি থেকে লাল পতাকা খুলে নেয় এবং তাদের পাড়ায় সে নিজে বেঁধে দেয়। কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকে, এটার জন্যই আমরা এখনো খেতে পড়তে পারছি। একে আবার ফিরিয়ে আনবই। না হলে গরিবের বাঁচার পথ নাই।

এই বৃদ্ধা এই কুঁড়ে ঘরে থাকে। আবাস যোজনার টাকা মেলেনি ১২ বছরেও। 

বামফ্রন্ট আমলে ২৫০০০টাকা পাওয়ার ঘর।তখন বরাদ্দ ২৫০০০ টাকাই ছিল।

তার জন্যই এবারের নির্বাচনে ভোটাররা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, নিজের ভোট নিজে দিন। বাধা দিলে, পাড়ার লোক বাধা দেবে,বাধবে  লড়াই। তার মধ্যেই আমাদের রাজ্যে আবার নতুন যুগের সূচনা হবে। যা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা এবং গ্রামকে নিজেদের মতন করে গড়ে তোলাসহ দুর্নীতিযুক্ত পঞ্চায়েতকে হটিয়ে স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়ে তোলার শপথ নিচ্ছে গরীব মানুষ। আওয়াজ উঠেছে, নিজের ভোট নিজে দিন– ভোট লুট রুখে দিন। আমাদের ভয় ভেঙেছে , গ্রাম জেগেছে,নিজের অধিকার বুঝে নিন, গণতন্ত্রের প্রস্থান রুখে দিন। বামপন্থীদের জয় নিশ্চিত। এই আত্মপ্রত্যয় নিয়ে এই দুদিন গ্রাম,পাড়ার মানুষজন অতন্দ্র প্রহরীর মতন সতর্ক থাকুন, এলাকায় এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

[ তথ্য সংগৃহীত]০৬।০৭।২৩