সামান্য সন্দেশখালি দেখেই জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করলেন। সংক্ষিপ্ত সফরে ২টি ধর্ষণ সহ ১৮টা অভিযোগ এল। সেদিন তৃণ-দলের গাড়ি চড়ে সন্দেশখালির কিছু শেয়ালপন্হী পাট্টার দাবীতে বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর সাথে দেখা করতে গেলেন। বললেন, আমরা তৃণমূল। জমির পাট্টা পাচ্ছিলাম না। পাট্টা হাতে এলে আর কোন আন্দোলনের দরকার নেই। ধর্ষণ তাদের সমস্যা নয়, কারণ তারা তৃণমূল। অর্থের বিনিময়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের আহ্বান পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দীপিকা পোদ্দারের। খালিবিলে তৃণমূল ছাড়া কোন দল নাই। মহিলারা বলছেন, বহু কাল তাঁরা ভোট দেন না। নেতা বলে দেন, ভোটের শ্রাদ্ধ শান্তি হয়ে গেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা তৃণমূল, ডিজি রাজীব কুমার তৃণমূল, রাজ্য মহিলা কমিশনের লীনা গাঙ্গুলী তৃণমূল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে তৃণমূল। সমস্যা কেবল শেখ শাহজাহান, শিবপ্রসাদ হাজরা বা উত্তম সর্দারে নয়, অত্যাচার ধামা চাপা ছিল তৃণমূল মানসিকতার। যারা নারী নির্যাতনের রেট ঠিক করে দেয়।

মনে রাখবেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালির মত গ্রাম বাংলার ৯.৫% আসনে বিরোধীরা মনোনয়ন দাখিল করতে পারেনি। নির্বাচন কমিশনে চটি খুইয়ে কোন লাভ হয়নি। তবু বিক্ষিপ্ত লগ্নে আদালতের হস্তক্ষেপে কোথাও কোথাও অন্ততঃ মনোনয়ন দাখিল করতে পেরেছিলেন। ২০১৮তে শাহজাহানরা ৩৪.২% আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লুঠ করেছিল। সিংহভাগ ছিল বীরভূমের বাঘ, অধুনা তিহাড়বাসী অনুব্রত মন্ডলের খাস তালুকে। এবার হাইকোর্ট সমান্য নড়াচড়া করতেই তৃণমূলের ২১% ভোট কমে গেল। বিজেপি, বাম, কংগ্রেস ও আই.এস.এফের ভোট বাড়ল যথাক্রমে ১০%, ৮%, ২% এবং ২%। তাহলে ভেবে দেখুন জনগন সঠিক নড়াচড়া করলে তৃণমূলের হালত কী হতে পারত! রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হাইকোর্টের রায়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার, লুম্পেন বাহিনী দিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেড় বছর পর আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে বাঙালির কোন সুরাহা হয়নি। ২০১৩তে মাংশাসী তৃণমূল ১০.৬৬% আসনে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি।

বাংলায় এখন দু ধরনের মানুষ আছেন। যাঁরা ধর্ষণকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ মনে করেন ও মমতাময়ীর অনুপ্রেরণায় সর্দি জ্বরের মত স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া বলে মেনে নিতে পারে। আপনার সন্তান যদি রেস্টুরেন্টে বিরায়ানি খেয়ে আসে, আপনি বিল মিটিয়ে দেবেন। সেই মানসিকতায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বয়স ভিত্তিক ধর্ষণের রেট বেঁধে দিয়েছেন। উনি তো আর মারতে পারবেন না। ফলে উপভোক্তারা সেই বয়সের মধ্যে বাছাই করা মহিলা চিহ্নিত করেছে। যেমন একই প্রিন্টের বিভিন্ন রঙের জামা থাকলে, আপনি আপনার পছন্দের রঙ বেছে নেবেন। বালুর সখী সংখ্যা বাদশাহের হারেমের মত। রিঙ্কু দত্ত, জয়ব্রতর স্ত্রী বিধাননগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার নন্দিনী বন্দ্যোপাধ্যায়, সুইটি আগরওয়াল সহ অনেকে। মদন বলেন, বান্ধবী রাখা ভাল। বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া হলে বান্ধবীরা যায়গাটা মেকআপ করে দেয়। সেটাই তো শেখ শাহজাহান, শিবপ্রসাদ হাজরা বা উত্তম সর্দারদের পাসপোর্ট। বালু গ্রেপ্তার হবার পর জনগন এসব জানছেন, কিন্তু সাগরেদরা ক্ষমতা ভোগের হারেমের অনুপ্রেরণার রস-রঙ-গন্ধ বহু পূর্বে জেনে বসে আছে।

ভেড়ির মাঝে জলমহলে যখন জমিদাররা ভোগের উৎসবে মত্ত তখন নয়ন চ্যাটার্জী বা সঞ্জয় মন্ডলের মত পুলিশ কী করবে? বলাই বাহুল্য কেবল লাল নেশাজল আর কাবাবে সন্তুষ্ট ছিল না। তৃণমূল রাজ্যে অনিয়মটাই যদি নিয়ম হয়, তখন উর্দিধারীরা প্রক্রিয়ার অংশ হয়ে ভোগ দখলে যুক্ত হতে বাধ্য। পুলিশ ঘুণাক্ষরে ভাবেনি, গ্রামের মহিলারা হিংস্র জামানায় কদাপি মুখ খুলতে পারবেন। পুলিশরা ডিউটি শেষে বাড়িতে ফিরে ছেলেকে কী নীতি শিক্ষা দেবে? ওদের বাড়িতে ভেড়ির নোনা জলে ডিম ফেটে ছানা বের হচ্ছে, যারা ভবিষ্যতে শিবু হাজরা হবে। পুলিশের ডিজি বা জেলার এসপি সাহেব জানেন না? ওনারাও বিভিন্ন কেসে অভিযুক্ত হয়ে ভক্তির বিনিময়ে ভিত শক্ত করেছেন। ২০১৪-১৯ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গান্ধী পশু নিয়ে যত ব্যস্ত ছিলেন নারী ও শিশু নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল না। বিগত ৫ বছর স্মৃতি যুবিন ইরাণী কী করছিলেন? এই রাজ্যের দেবশ্রী চৌধুরী প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ৩ বছর। আপদরা পদ আঁকড়ে বসে নরেন্দ্র মোদী আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোপন সেটিং বজায় রাখতে ঠোঁটে সেলোটেপ লাগিয়ে বসে ছিলেন।

সেই কথাটা আজকে রেখা শর্মাকে বলতে হচ্ছে। ধর্ষকের পক্ষে সওয়াল করতে তৃণমূলী সমর্থকরা ও পুলিশ-প্রশাসন নরকের শেষ সিঁড়ি অবধি নামতে প্রস্তুত। সুজেট থেকে রেখা পাত্র- কোথাও অন্যথা হয়নি। প্রথমে বিধিসম্মত সতর্কীকরণ উচ্চারণ করতে হবে, যে কোন ধর্ষণই নিন্দাজনক। বলেই ওদের দাবী কোন মহিলা ধর্ষণের দাবী করেননি। অর্থাৎ গ্রামের মহিলারা সবিস্তারে ধর্ষণের প্রক্রিয়া শোনালে যৌনতৃপ্তি বেশী হত। যখন ১৬৪(ডি) ধারায় গোপন জবানবন্দীর প্রসঙ্গ যখন এল, তখন প্রমাণ স্বরূপ ভিডিও দাবী করছে। এরাও এক প্রকার যৌনরুগী। পর্ণগ্রাফির সিলেবাস শেষে নতুন ছবি দেখতে চায়। সুতরাং তৃণমূলের নেতা ধর্ষণ করেছে, এর চেয়ে ভয়ঙ্করতম বিপদ চ্যানেলে বসা তৃণমূলী মানসিকতা। নেতা ধর্ষণ করে দিনের শেষে। সারা দিন জমি, বসত, ভেড়ি লুঠ করে রাতে আয়েশ করেছে। যেমন অনেক পরিবার পূজোর শপিংএ গিয়ে ফেরার পথে রেস্টুরেন্টে ডিনার সেরে ফেরেন। ডিনারটা উপলক্ষ্য নয়, উদ্দেশ্য পূজোর বাজার। তারপর ২০% একস্ট্রা। সেই একস্ট্রাটাই মিডিয়ার উপজীব্য হয়ে গেছে।

বিষয়টা দুর্নীতি এবং লুঠের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করছেন, কী করেছে শাহজাহান? ভোটের আগে জোয়ার যাত্রা করে তিনি স্বহস্তে টিকিট বাটোয়ারা করেছেন। যাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও দুর্নীতি না থাকে। তাহলে শেখ শাহজাহান, শিবপ্রসাদ হাজরা বা উত্তম সর্দাররা টিকিট পেল কী করে? প্রশ্ন করার সাহস নেই। তাহলে জার্মান, রুশ ও ফিলিপিন্সের বান্ধবীদের প্রসঙ্গ তুলবে। নতুন তথ্য দিতে পারে, যা জনগন এখনও জানে না। ফলতঃ ইচ্ছা অনিচ্ছায় শেখ শাহজাহানের পাশেই থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে বুঝতে হবে, বারাসতে এসে নির্বাচনী সভা করলে বাংলার যৌন সমস্যা মিটবে না। ২০% গ্রামীণ বাংলায় শেখ শাহজাহানরাই সত্যি। যেমন বগটুইতে ভাদু শেখ সত্যি ছিল। আনারুলের পুলিশ কন্ট্রোল করার কথা ছিল। অনুব্রতর মামলা সাজাবার দায়িত্ব ছিল। এবং মুখ্যমন্ত্রীর কর্তব্য ছিল চেক ধরিয়ে শোকাহতদের পোষ মানিয়ে দেবার। অতঃপর দেশের স্বরাষ্ট্র দপ্তর কোন কর্তব্য পালন করেছে? মাছ ধরতে গিয়ে যেন হাত থেকে জাল ফস্কে না যায়, ভয়ে গোপনে সেটিংএর খেলা খেলেছেন। তার মূল্য দিচ্ছেন মহিলারা।

তৃণমূলের স্বভাব চরিত্র কেমন সেই বর্ণনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেউ শুনতে চায় না। যোগী আর ভোগীর মধ্যে কোন ফারাক নেই। ভোগীর কথা তুললেই যোগীর দিকে লুম্পেনরা আঙুল তুলবে। মানুষ দুর্নীতির তদন্ত চেয়েছিল। চিটফান্ড থেকে নারদে প্রধানমন্ত্রী কাটমানি খেয়ে ব্যর্থ বলে নিয়োগ, পাচার, খুন থেকে যৌন নিগ্রহ ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী যতটা ভোগসুখে ছিলেন, তার একাংশও কাজ করেননি। তিনি ৩৭০ থেকে তালিথালি, আদানি সেবা থেকে রামমন্দিরে সময় কাটিয়েছেন। রাজধর্ম পালন করেননি। তিনি মন কি বাত বলেছেন, গাঁয়ের বধূর দুখ কি বাত শুনতে চাননি। অপ্রতিদ্বন্দ্বী ভেবেছেন বিরোধীদের দুর্বলতায়। ঠিক যেমন শাহজাহানরা রাজ করেছেন নিজের কানুনে। শাহজাহান নির্বাচনের আগে সমঝিয়ে দিল, আপনি ও কেন্দ্রীয় সরকার অপদার্থ ও ব্যর্থ। সত্যিই রেখা শর্মার মত অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি শাসন হওয়া উচিৎ। বামপন্হীরা সমর্থন করে না, কারণ ভবিষ্যতে অপদার্থরা অসুখ নিরাময় না করে ৩৫৬ধারা জারি করবে। রাজ্যপাল হাতে খড়িতে ব্যস্ত ছিলেন, হাতে দড়ি দরকার ছিল।

গুজরাত দাঙ্গার সময়ে অটল বিহারী বাজপেয়ী আপনাকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই কথার কতটা মূল্য ছিল জানি না, তবে বানিয়ারা ধর্মকথা শোনেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঠিক তাই করবেন। একমাত্র বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার চ্যানেলরা মানুষকে আশ্বস্ত করেছে, এবার নরেন্দ্র মোদী তদন্ত দ্রুত করবেন। না, সেদিন বাংলা দেখেনি। এখন তিনি ঘোলা জলে মাছ ধরতে আসবেন। কেবল সন্দেশখালি নয়, অন্ততঃ এক-পঞ্চমাংশ বাংলার চেহারা এটা। নীরবে নির্যাতিতা হচ্ছে হতশ্রী মহিলারা। শিশুরা শিক্ষায় আগ্রহ হারাচ্ছে। কর্ম সংস্হান নেই। ভিনরাজ্যে পরজীবী হয়ে বাঁচছে বাঙালি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দাবী করে কোন লাভ নেই, কারণ পিছিয়ে গেলে উনি পড়ে যাবেন। আর উঠবেন না। কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বাংলাকে মুক্ত করা নয়, ধর্ষকামী মানসিকতা থেকে বাংলা ও বাঙালিকে মুক্তি দিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা নন, সাথে নরেন মোদীও আছেন। একে অপরের পরিপূরক। সুশীল নামক জীবদের গালি দিয়েও গায়ের ঝাল মিটতে পারে, কিন্তু ওদের কোন মূল্য নেই।

শেখ শাহজাহানদের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য বারাসতে ভাষণ নয়, বাংলা যেন ভারতবর্ষের সংবিধান অনুযায়ী ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। কোন খোয়াবের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে না, এইটুকু গ্যারান্টি দিলে বাকিটা জনগন বুঝে নেবে। ভোটারদের মতামত মেনে নেবার মত সৎ স্পর্ধা আপনাকে প্রদর্শন করতে হবে। নারদ তদন্তের মত এথিক্স লুকিয়ে ফেলে শেখ শাহজাহানদের মদত দিলে হবে না। ভেড়ি লুন্ঠন বন্ধ করতে পারলে জলমহল থাকবে না, জলকেলিও বন্ধ হবে। বাংলাদেশের সাথে দুর্বৃত্তদের সেফ করিডরের সুবিধা বন্ধ করতে হবে। ফালতু বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াওয়ের মত ভাঁওতার দরকার নেই। বেটি বাঁচছে না বলেই, সেই সুযোগে বারাসতে আসছেন। আনিস খান, মইদুল ইসলাম মিদ্যার মত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে চোখ রেখে রুখে দাঁড়াবার হিম্মৎ দেখাতে হবে। নয়ত দিল্লীর বিমানের বিজনেস ক্লাসে বারবার কমিশন আসে, পাঁচতারা হোটেলে স্ফূর্তি করে ফিরে যায়। সেই খরচটা গ্রামের মহিলাদের পরিবার বহন করে। মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন, মানুষ ধর্ষণ বন্ধ করে দেবে।

অসুখ হলে চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ শক্তির বৃদ্ধি শ্রেয়। সন্দেশখালিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। কোন ৯.৫% গ্রামাঞ্চলে এই ভাবে তৃণমূল জয় হাসিল করেছে মানচিত্র বার করুন। সেখানে শাহজাহান আছে। সেখানেও ইজ্জত লুন্ঠিত হচ্ছে। কোথায় বিরোধীরা ভোট করতে পারেনি। সেখানে উত্তম সর্দারের লাঠি আছে। বিরোধীরা ভোটে জিতেও উন্নয়নের ভেড়িতে ডুব দিতে হয়েছে। সেখানে শিবপ্রসাদ হাজরা আছে। হাজার হাজার হাজরা পেয়ে যাবেন। বারবার মহিলা কমিশন পাঠাতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী সোজা হয়ে দাঁড়াতে শিখলে গাঁয়ের গরীবগুর্বো মানুষগুলোও মাথা তুলে দাঁড়াবে। দ্রুত তদন্ত হোক, সেটিং নয়। অসুখ পুষে রেখে তালিথালি বাজিয়ে বা দিয়া-টর্চ জ্বালিয়ে টোটকায় সারবে না। নোটবন্দীতে সব কালো টাকা সাদা করতে পেরেছেন, আর সাদা মুখোশ পরে থাকা কালা মানুষদের খুঁজে বার করতে পারবেন না? হনুমানের নাম করে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। রাজনাথ সিংকে দূরে রাখুন। আপনার মন্ত্রীসভায় খোঁজ করলে দু-একজন সৎ ও কর্মঠ মন্ত্রী পেলেও পেতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ার ভক্তদের আশা পূরণ করুন।