কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে হাঁটুর চাপে হত্যা করল মার্কিণ পুলিশ ডেরেক। দিনটা ২৫শে মে, ২০২০। অথচ ১৮৬১সালে আব্রাহাম লিঙ্কন মার্কিণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার শতবর্ষ পরে ব্রিটেনের চাপে সৌদি আরব ও ইয়েমেন (১৯৬২) এবং ওমান (১৯৭০) দাসপ্রথা আইনতঃ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। দাস দূরের কথা, ১৮২৯ অবধি হিন্দুরা পরিবারের বিধবাকে মৃত স্বামীর চিতায় বিনা অনুমতিতে জীবন্ত দাহ করত। প্রাচীণ ও মধ্য যুগে বলশালী কৌম পরাজিত কৌমের জনগনকে বন্দী করে দাসত্ব করতে বাধ্য করত। ঈশ্বর সৃষ্টির পূর্বে নির্যাতন ছিল, পরেও ঐশ্বরিক মুক্তি আসেনি। দাসত্বের চিহ্ন ছিল দেহে। সেই দাসরাই বংশানুক্রমিক দাসত্বের চিহ্ন আত্মায় বহন করছে। আজও হিন্দু ধর্মে শূদ্র বংশীয়দের “অমূক দাসস্য…” ইত্যাদি বলা হয়। মাধ্যমিক অনুত্তীর্ণ উপবীতধারী বৈজ্ঞানিকের পারলৌকিক ক্রিয়ায় ‘দাস’ বলে সম্বোঝন করছে। তিনি পুঁথি পড়ে শিক্ষিত, তবু যুগান্তের দাসত্বের শৃঙ্খলমুক্তি পাননি। স্বর্গ নামক কল্পিত স্হানে টিকিটের জন্য ধর্মে নির্ভরশীল হতে হচ্ছে। উপবীতধারীর শাস্ত্রে আগুন দিতে পারেননি।

আপনি চ্যালেঞ্জ করলে, অনাদি সনাতনী গূঢ় ব্যুৎপত্তির রহস্যময় প্রহেলিকার গোলকধাঁধা করে দেবে। দর্শন থেকে ধর্ষণ সব কিছুর শাস্ত্রসম্মত ব্যাখ্যা পাবেন। সেই মৃত ব্যক্তির দাসত্বের সপক্ষে অকাট্য যুক্তি পাবেন না। কোন পূর্বপুরুষ কোন যুদ্ধে কোন আর্যপুত্রের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন, সে কলঙ্ক তিলক তিনি কেন বহন করবেন? দেবতাগণ প্রকাশ্যে বিভেদের বিরুদ্ধে। দেবতাদের জয়ধ্বনীতে যারা ধর্মযুদ্ধে মাতে, তারা মনুবাদী বর্ণভেদের পক্ষে। কেবল উচ্চবর্ণ নয়, নিম্নতর বর্ণের নেতাও আশু মুনাফার তাগিদে  মনুবাদী হতে পারে। তাকে আশৈশব দাসত্বের ধর্মীয় কারাগারে লালন করা হয়, আধুনিক মুক্ত চিন্তার সুযোগ নেই। মান্ধাতার নির্মাণ মেরামতির অযোগ্য। মর্জিনা বা আবদাল্লা নিজেদের অমূকের দাস বলতে গর্ব বোধ করত। আজও ধর্মান্ধরা দেবতার গোলাম, শুধু অনুসরকারী নয়। মালিককে প্রশ্নাতীত ইবাদতটাই ফরজ, সেই আদলে দেবতার প্রশ্নহীন ইবাদতও ফরজ। নদী যেমন খাত পরিবর্তন করে প্রবাহিত হয়, তেমনই অন্ধকার যুগের আসুরিক ক্রিয়াকর্ম অন্য ধারায়, অন্য রূপে আজও প্রবাহমান।

সেই আসুরিক শক্তি প্রদর্শনকারী নেতা-মন্ত্রীরা দেবী দুর্গার পুজারী, পরাজিতকে অসুর আখ্যায়িত করে। ঐতিহাসিক ভাবে সুবিধাভোগীরা সংখ্যালঘু। দাস হোক বা আজকের ভোটার অশিক্ষিত, বিচ্ছিন্ন, ভীত বলে ব্যতিক্রমী দুর্ঘটনা ছাড়া সামাজিক চলনে বদল ঘটাতে পারেনি। দাসপ্রথার মূল ভিত্তি আর্থিক, সামাজিক ও দৈহিক আধিপত্য। পুঁজিবাদী যুগে ভরকেন্দ্র তরবারি থেকে পুঁজির দিকে সরলেও বিভিন্ন ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে পুরহিত, পাদ্রী, মৌলবীরা শোষণ অব্যাহত রাখতে সদা তৎপর। জ্ঞানী ও শিল্পপতিদের ধর্মের উপর নির্ভরশীল না হলেও চলে, বরঞ্চ দু-চার খানা তেমন দেবতা হেলায় সৃষ্টি করতে পারেন। স্হিতিশীলতা বজায় রেখে গাছের ও তলার খেতে তারা বেশী উৎসাহী। সমাজের নিচের তলায় কোন শোষিত দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল হপিং করছে বা ওয়াজ মহেফিলে জিগির তুলছে, তাতে বাজার বাড়ে। শোষিত দাসকে উঠে দাঁড়াতে হবে, নতুবা ধর্ম এগিয়ে এসে সংস্কার করবে না। নীতি ও আইন পুঁথিতে লেখা থাকে, পুঁথিগুলো বিজয়ীর দ্বারা লিখিত অবৈধ ও বর্তমানে অপ্রাসঙ্গিক কথামালা।

নৈতিকতা মানে নীতি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কর্তব্য ও অপরাধ অর্থে আইন দ্বারা অস্বীকৃত কার্য। এই ধর্মগুলি যখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে তখন নৈতিকতা ও অপরাধের সংজ্ঞা ভিন্ন ছিল। বর্তমান যুগে সেগুলো নির্ণায়ক হতে পারে না। এমনকি প্রভূত্ব বজায় রাখতে দ্য স্লেভ বাইবেল নতুন করে লেখা হয়েছিল। এর নির্দেশে ক্রীতদাসদের খ্রীস্টধর্মে দীক্ষা দেওয়া হত, কিন্তু বাইবেলের যেসব কাহিনী তাদের মুক্তির স্বপ্ন দেখাতে পারে, সেসব কাহিনী বাইবেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এক্সোডাস অংশটিতে কেবল মাত্র মিশরে ইসরায়েলাইটদের অবরুদ্ধ দশা এবং শেষ পর্যন্ত প্রতিশ্রুত ভূমিতে তাদের মুক্তির কথা বলা হয়। ধর্মগ্রন্হ লেখা হয়েছে দাস মালিকদের দ্বারা। বাইবেল দাস প্রথাকে দোষী সাব্যস্ত বা আইনের প্রশ্রয় থেকে মুক্ত করেনি, বরঞ্চ দাসদের উপভোগের ব্যাপারে ধার্মিকদের নিয়মাবলী নির্দেশিত হয়েছে। ওল্ড টেস্টামেন্টে মিদিয়ানদের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য যিহোবা দ্বারা নির্দেশিত হয়ে মোসেস পুরুষ শিশুদের এবং অকুমারী মেয়েদের হত্যা করতে কিন্তু অল্পবয়সী কুমারীকে নিজেদের জন্য নিতে বলেন।

যদি একজন পুরুষ ইস্রায়েলীয় ক্রীতদাসকে মালিক দ্বারা একটি স্ত্রী দেওয়া হয়, চুক্তির কোড অনুসারে, সেই স্ত্রী এবং মিলনের ফলে যে কোনও সন্তান তার মালিকের সম্পত্তি থাকবে। দাসত্ব প্রবাহিত হবে রক্তের ধারায়। ঠিক সেরকম আজও সনাতনী নিম্নবর্ণের হিন্দুরা দাস পরিচয়ে লজ্জা পায় না। ঋগ্বেদে অগ্নিদেব একশত গর্দভ, একশত মেষের সাথে একশত দাসী দাবী করছেন। ইন্দ্রের অভিষেক কালে ব্রাক্ষ্মণ আত্রেয়কে দশ সহস্র হাতি ও দশ সহস্র দাসী দক্ষিণা দিতে সম্মত হচ্ছেন। এমনকি মহাভারতে ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির সালঙ্করা, গীতবাদ্য নিপুণা এক লক্ষ তরুণী দাসী দ্যুত ক্রীড়ায় বাজি রেখেছেন। পরে যুধিষ্ঠির রাজা হলে দাসরা কার্পশিকদেশবাসিনী শত সহস্র তন্বী শ্যামা দীর্ঘ কেশী দাসী দিয়েছে। সেই সংবাদে দুর্যোধন ঈর্ষান্বিত। কয়েক হাজার উদাহরণ উপস্হাপন করা যায়। আমরা যাকে সনাতন ধর্ম বলি, সেখানে পাঁচ সহস্র বছর পূর্বে বিজয়ীদের যাপনের গুণকীর্তনে প্রকৃত ভোগের চিত্র উদ্ভাসিত। তার দর্শন, অন্তর্ভেদী গভীরতা, অপব্যাখ্যার কৌশলে ধর্ম ব্যবসায়ীরা শোষিত মানুষকে বোকা বানিয়ে রাখে।

এবছর জুলাই মাসে মধ্যপ্রদেশে এক বিধায়ক কেদারনাথ শুক্লার প্রতিনিধি জনৈক নেতা দলিতের মুখে প্রস্রাব করেছে। পরাজিত অসুর, দানবরা আজও অধিকার পাননি বা যেভাবে অধিকার আদায় করতে হয়, সে শিক্ষাই অধরা। রামমন্দিরে সেই কলঙ্কের মেরামত হয় না। খ্রীঃপূঃ ৫৯৪সালে এথেন্সের রোমান দার্শনিক সোলোন ঋণদাস প্রথা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছিলেন। তার সহস্র বছর পরেও ইসলামে সেই দাসপ্রথার বৈধতা। রসুল মহম্মদকে দুগ্ধ পান করিয়েছিলেন আবু লাহাবের দাসী সোওয়ায়বা। অর্থাৎ তাঁর জন্মকালে আরবে দাসপ্রথা বলবৎ ছিল। সূরা নাহ্‌লেতে বিবৃত হয়েছে, আল্লাহ্‌ তা’আলা বিশেষ তাৎপর্য বশতঃ মানুষের উপকারার্থে জীবিকার ক্ষেত্রে সব মানুষকে সমান করেননি। বরং একজনকে অপরজনের চাইতে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়ে বিভিন্ন স্তর সৃষ্টি করেছেন। সেই স্তর তরবারি নির্মিত স্তর। আবু দায়ুদে বর্ণিত, ইসলাম গ্রহণে অসম্মত বন্দী নারীদের মুশরিক স্বামীরা বর্তমান থাকলে সাহাবীদের দ্বারা যৌন সম্পর্ক স্হাপন গুণাহ। অর্থাৎ যুদ্ধবন্দী দাসী যখন তাঁদের ইদ্দতকাল সমাপ্ত করবে তখন তা বৈধ।

তফসীরে ইবন কাছীরে উল্লিখিত, স্বীয় স্ত্রী ও দাসী ব্যতীত যাহারা অন্য উপায় অবলম্বন করিয়া যৌন ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাহারা সীমা অতিক্রমকারী। অর্থাৎ দাসীও প্রশ্নাতীত ভাবে ভোগ্যা। অটোমান খলিফা থেকে মোগল হারেমে অগুন্তি দাসী থাকলেও বাদশাহদের মহান ও ধার্মিক হতে ধর্মীয় অসুবিধা হয়নি। বণিকরা অর্থের বিনিময়ে দাসদাসী ক্রয় করতে পারত, আজও বিদ্যমান। এমনকি আইন, আদালত, আইনরক্ষাকারী পুলিশ প্রশাসনকেও কিনে নিতে পারে। গরীবদের বোঝায়, ষড় রিপুর প্রতীক মহিষাসুরকে বধ মানে আন্তরিক জান্তব খিদেকে নিকেষ করা। জান্তব খিদে প্রদর্শিত হয়েছে জয়ী কৌম দ্বারা। তাহলে পরাজিত মহিষাসুর কেন জান্তব খিদের প্রতীক হবে? ঠিক সেখানেই সহস্র স্ববিরোধী দর্শনের প্রলেপ। আমরা খুন খারাপি চাই না। দুর্গাপুজো ছিল বড়লোকদের বিলাস, জমিদারের বৈভবের প্রতীক, বাঈজী নাচিয়ে ব্রিটিশ প্রভূর লালসা তৃপ্তির উপায়। বনেদী বাড়ির পুজো আজও স্মৃতি বহন করে। নেতার লালসায় সত্তর হাজারী মন্ডপে গরীব গুর্বোকে আনন্দের নামে উস্কে দেবার প্রয়োজন নেই।

সহস্র বছরের ইতিহাস প্রমাণ করে ধর্মগ্রন্হগুলি দাসদের স্বাধীন মানবতার করার কথা বলেনি। সাম্য ও অধিকারের খোলসে শোষণের দিনলিপি। পুঁজিবাদী দুনিয়ায় ক্ষমতা নির্ধারিত হয় পুঁজিতে। শিল্পপতির চোখে শ্রমিক দাস। শ্রম বিক্রী করা ছাড়া কোন ধর্ম তাঁর জীবিকার উপায় রাখেনি। রুটির হাহাকার যত বাড়বে, শ্রমের মূল্য ততই কমবে। পরিযায়ী শ্রমিক হতে হবে, নয়ত মাসিক ৫০০টাকায় অধিকার বিক্রী করতে হবে শাসকের সশস্ত্র থাবায়। বড় বড় দেশগুলি অস্ত্র বিক্রী করতে যুদ্ধ বাধিয়ে রাখবে আর ক্রীতদাসরা লড়াই করবে যথারীতি, মরবে। ধর্মের নামে কোন যুদ্ধ হয় না, যুদ্ধ হয় ভোগের জন্য কিংবা পরিত্রাণে। মেনশেভিক সুবিধাভোগীদের হাত থেকে বলশেভিক প্রলেতারিয়েতদের মুক্তিই বিশ্বে এক মাত্র যুদ্ধ। ব্যক্তিগত পরিধিতে সমগ্র দাস সম্প্রদায় প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে। যুদ্ধকে এক ছাতার তলায় আনার জন্য চাই শিক্ষা, শিক্ষা চেতনা আনবে। ভ্রান্ত পুঁথির আবর্জনা অন্তর থেকে বিসর্জন দিতে হবে। সেটাই হল ধর্মাসুর। যুদ্ধের জন্য ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই, ঈশ্বর নিজেকে বাঁচাতে বিপক্ষেই থাকবেন।

সব ধর্মই শান্তির ধর্ম। ধর্মের দোহাই দিয়ে কোতল ধর্মমতে জায়েজ। ইতিহাসে কখন ক্রুসেড, কখনও ইজরায়েল প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ। ধর্মের জিগির তুলে কিছু মানুষ খিড়কির পুকুরের পাশে বঁটিতে শান দিচ্ছে। কোন শতাব্দীতে ধর্ম শান্তি দিয়েছে? স্বর্গ-হেভেন-জান্নাতের কাল্পনিক স্বপ্নে ধরাধামকে নরক-হেল-জাহান্নাম করে দিয়েছে ধর্ম ব্যবসায়ীরা। পশুর ধর্ম থাকে না বলে, জৈবিক কারণ ভিন্ন আক্রমণ করে না। মানুষ রিপু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। যুদ্ধ বিজয় ও ক্ষমতা রক্তক্ষয়ী রিপু স্বার্থ চরিতার্থ করেছে। সেই শোষণ যন্ত্রের সামাজিক উঠোনে অবিচ্ছিন্ন অংশ ধর্ম। যে মানুষ তথাকথিত অধার্মিক, সে মানবতার ততই নিকটতর ও আত্মবিশ্বাসী। বিজ্ঞানের সম্প্রসারণে ধর্মের আঁধার কাটছে, গতি খুব শ্লথ। যে ধর্ম ব্যবসায়ীরা ঈশ্বর-গড-আল্লাহে বিশ্বাসী, অসুখে সে মন্দির-গীর্জা-মসজিদে না গিয়ে হাসপাতালে যায়। তথাকথিত কল্পিত সৃষ্টিকর্তা বুজরুকি হারিয়ে ক্রমশঃ সঙ্কুচিত হচ্ছেন। বিজ্ঞান পারে তাঁকে নিরাকার ও মহাশূন্য করে দিতে। পুঁজির শ্রমভিত্তিক বৈধ বাটোয়ারার সাথে শোষণের সাঙাৎ ধর্মের বিরুদ্ধে জেহাদ।

বর্ণভেদের কারণ যদি কর্মভেদ হয়ে থাকে, তাহলে মেধা বিকাশের সমান সুযোগ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ করতে হবে। আতঙ্কে মনু নরক থেকে উঠে আসবেন। কেন বংশ ভিত্তিক হবে? কেন রাণীর বংশজই সেনাপতি বা যুবরাজ হবেন? কেন পিতার বয়সী দাসদের উঠে দাঁড়িয়ে বা পায়ে হাত দিয়ে আশীর্বাদ নিতে হবে? সেই ক্রীতদাসদেরও মুক্তি চাই। বিশ্বে ১% মানুষের হাতে সকল সম্পদ পুঞ্জীভূত হলে, সেই পুঁজিবাদও রাজতন্ত্র। রাষ্ট্র ও সমাজের হাতে সমবন্টন নীতিতে সকল মানুষের জন্য খাদ্য, স্বাস্হ্য, শিক্ষা, নিরাপত্তা দেবার মত শক্তি থাকতে হবে। বেসরকারীকরণের নামে দাসপ্রথা আক্ষরিক অর্থে পুনরায় চালু করার ঘৃণিত প্রয়াস দূর হোক। পূর্বে শাসনকর্তা ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করত, এখন শিল্পপতিরা নিয়ন্ত্রণ করে শাসনকর্তাকে। ধর্ম ব্যবসায়ীদের চিরাচরিত আচরণ অপরিবর্তনীয় আছে। ঈশ্বর থাকলে তিনিও নিরাপদে থাকুন। দাসরা ঈশ্বরের আশীর্বাদ পাননি, আজও প্রত্যাশী নন। ঈশ্বরকে সমভোগ মেনে নিতে হবে। তারপর ঈশ্বর সিদ্ধান্ত নেবেন, তিনি আদৌ থাকবেন না পদত্যাগ করবেন।