১৭ জানুয়ারি জ্যোতি বসুর মৃত্যদিবস।
এই উপলক্ষে বিধানসভায় তাঁর সর্বশেষ ভাষণ এখানে প্রকাশ করা হল। ২০০১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এই ভাষণ দেন।

মাননীয় স্পিকার মহাশয়, আমি ঠিক প্রস্তুত ছিলাম না। আমাকে মুখ্যমন্ত্রী খবর দেন যে, এখানে বিজনেস কমিটিতে ঠিক হয়েছে যে আমি আজ এতদিন আছি বলে একটা সংবর্ধনা হবে। আজকে শেষ দিন। আমি বারণ করেছিলাম যে, এইসব আমার কাছে খুব একটা মূল্য নেই। যাই হোক আজকে প্রধানত আমাদের মাননীয় স্পিকার মহাশয়কে ধন্যবাদ জানাবার জন্য আমরা এখানে মিলিত হয়েছি এবং সবাই ধন্যবাদ জানিয়েছেন, আমিও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

আমার খালি মনে পড়ছে, আমি অনেক স্পিকারকে দেখেছি ১৯৪৬ সাল থেকে, মুসলিম লিগের আমল থেকে। হাউস আসলে বিরোধী পক্ষের।বিরোধী পক্ষের কথা বেশি করে শুনতে হয়। তাঁদের মর্যাদা দিতে হয়।আমার মনে হয় সংসদীয় গণতন্ত্রে এটা সঠিক। সেই নীতি নিয়ে আপনি চলেছেন এটা সবাই জানেন।আমাদের দেশের মধ্যে, ভারতবর্ষের মধ্যে যে স্পিকারদের সম্মেলন হয়েছে, তার থেকে আমি শুনেছি, অন্যদের কাছেও শুনেছি, প্রত্যেকেই আপনার প্রশংসা করেছেন। এই জন্য আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, ডেপুটি স্পিকার তাঁকেও আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ কিছু সময়ের জন্য আপনাকে চেয়ার থেকে চলে যেতে হয়, তখন তিনি সঠিকভাবেই সভার কাজ পরিচালনা করেছেন। তাছাড়া এখানকার কর্মীবৃন্দ যাঁরা আছেন তাঁদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই অধিবেশন চলাকালে তাঁরা অনেক পরিশ্রম করেছেন।

নিজের কথা আমাকে একটু বলতে হবে কারণ আমি এত কথা শুনলাম। কিছু জায়গা থেকে আমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে, আমি মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর। তার মধ্যে চেম্বার অব কমার্স আছে, সাধারণ মানুষ আছে, নানারকম সংস্থা আছে, যারা এসব করছে। আপনি যেরকম শাল দিলেন, যদিও শীত চলে যাচ্ছে, তাঁরাও শাল দিয়েছেন বেঁচে থাকলে ব্যবহার করব। আমি সব জায়গায় বলি, এখানেও বলি, আমি শুনেছি, আমি যে শাস্ত্র পড়িনি, শাস্ত্রে এইরকম আছে প্রশংসা নিন্দাবৎ, প্রশংসা করাটা একদিক থেকে নিন্দা, প্রশংসা না করে নিন্দা করলে সেটা ভালো। এটা নাকি শান্দ্রে আছে, প্রশংসা বিষবৎ, নিন্দা অমৃত সমান।

এটা আমি সব সময়ে মনে করে চলি আমি মার্কসবাদী, আমি কমিউনিস্ট, আমার হিসেবে আমি যেদিন থেকে রাজনীতিতে ঢুকেছি তা প্রায় ৬০বছর, বিলেত থেকে ফেরার পর রাজনীতিতে আছি ৬০ বছর ধরে, কমিউনিস্টদের কথা বিশ্বব্যাপী, সংসদীয় গণতন্ত্রে যেভাবে মানুষের জন্য কাজ করা যায় সেই ব্যবস্থা আমাদের। আমরা বলি সংসদের ভিতরে ও আইনসভার ভিতরে এবং বাইরে কাজ করতে হবে। পার্লামেন্টারি এবং একস্ট্রা পার্লামেন্টারি কাজ আমাদের করতে হবে। মানুষের মধ্যে আমাদের কাজ করতে হবে, শ্রমিক, কৃষক, দেশের মেহনতি মানুষ, দেশের শিল্পের অগ্রগতির জন্য আমাদের কাজ করতে হবে এবং আইনসভার ভেতরে তাঁদের যে চাহিদা, সেগুলোকে আমাদের পেশ করতে হবে। এই হচ্ছে আমাদের নীতি। সেই নীতি নিয়ে আমরা, আমাদের বন্ধুরাও চলছেন এবং একটা ইতিহাস এখানে সৃষ্টি হয়েছে, জনগণ ২৪ বছর ধরে আমাদের নির্বাচিত করেছেন ধারাবাহিকভাবে। শুধু তাই নয়, লোকসভায় বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা, এইভাবে মানুষ আমাদের সমর্থন করেছেন। আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন। সেই মানুষদের আজকে এখানে দাঁড়িয়ে, শেষ দিনে আমি তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। যে ইতিহাস এখানে সৃষ্টি হয়েছে মানুষ সেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

শেষ দিনে বিরোধী দলের বন্ধুরা আজকে এখানে নেই, বিরোধী দল ছাড়া মাল্টি পার্টি সিস্টেমে, পার্লামেন্টারি ডেমোক্র্যাটিক সিস্টেমে বিরোধী দল ছাড়া তো হতে পারে না। আমি তো বহুদিন ধরে বিরোধী দলে ছিলাম। ২৭ বছর আমি বিরোধী দলে ছিলাম। তখন বিরোধী দলের নেতা হয়েছি ৪বার, কখনও উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে সরকারে এসেছি, ২৪ বছর মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছি। কিন্তু বিরোধী দল সন্বন্ধে- ওঁরা থাকলে বলতাম, চেঁচামেচি হতো জানি_ ওঁরা একটা ইতিহাস রচনা করেছেন, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই, সেটা ভারতবর্ষের কোথাও হয়নি, ভারতবর্ষের সংসদীয় গণতন্ত্রে আমরা দেখছি নানারকম ঘটেছে। আমরা দেখেছি কোনো একটা রাজ্যে ৭০জন আইনসভার সদস্য বিধানসভার সদস্য তাঁরা নিজের পার্টি ছেড়ে চলে গেলেন মন্ত্রী হবার জন্য যাঁরা সরকার করেছেন তাঁদের ভিতর এবং সেই সদস্যরা মন্ত্রী হয়ে গেলেন, তাঁদের বসবার ঘর নেই, চেয়ার নেই, ডিপার্টমেন্ট নেই। এই ইতিহাস অনেক জায়গায় হয়েছে। আমার মতে মানুষের রাজনৈতিক চিন্তার যদি পরিবর্তন করতে চান- পরিবর্তন করার দরকার আছে, কিন্তু যে পার্টি আপনাকে নির্বাচিত করলেন আপনি সেই পার্টি ছাড়লেন আর অন্য পার্টিতে চলে গেলেন এটা কোন্‌ নৈতিকতা? কী শেখাচ্ছি আমাদের নতুন প্রজন্মকে? দুর্নীতি শেখাচ্ছি। এখানে তাই হয়েছে, নতুন ইতিহাস এঁরা তৈরি করেছেন যা ভারতবর্ষেরও কোথাও নেই। ফ্লোর ক্রসিং হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এটা হয়নি। আমাদের বিরোধী যাঁরা তাঁদের বেশির ভাগকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় আপনাদের দলটি কি_ এখানে ৩, ৪জনকে বাদ দিয়ে_ তাঁরা বলেন আমরা কংগ্রেস। যাঁরা তৃণমূল, বিজেপি নির্বাচিত হয়ে এসেছেন, তাঁরা এখানে বলেন আমরা কংগ্রেস, আর বাইরে গিয়ে বলেন আমরা তৃণমূল। এই ইতিহাস পৃথিবীতে কোথাও নেই।

এটা আমি মাননীয় স্পিকারকে বলেছি আপনি যদি মনে করেন তাহলে ভালো করে টিভি-কে বলুন আমাদের সমস্ত ব্যবহার,আমাদের চরিত্র কভার করতে, মানুষরা বুঝবেন। তা নাহলে এটা যখন হচ্ছে না তখন এখানের গ্যালারিগুলি খালি রাখবেন। অন্তত স্কুলের ছেলেমেয়েদের এখানে আসতে দেবেন না। এখানে লম্ফ-ঝম্ফ হয় একজনের কথা আরেক জন শুনছে না, এতে কী শিখছে তারা? আমরা এখানে শুধু মাইনে পাবার জন্য, বক্তৃতা দেওয়ার জন্য আসি? আমাদের একটা দৃষ্টান্ত দেওয়ার কথা আমরা যাঁরা প্রতিনিধি, কিন্তু আলাদা দৃষ্টান্ত হয়ে গেছে। মানুষের চেতনা যদি বাড়ে তাহলে এটা হয় না। যাঁদের মানুষ পাঠাচ্ছেন তাঁদের ব্যবহার ইত্যাদি এই যে কথা- একই মানুষ এখানে একটা দলে আর বাইরে আরেকটা দলের। তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা কি শিখছে? আমাদের ছেলেমেয়েদের ঘরে বলছি, সদা সত্য কথা বলবে। কিন্তু রাজনীতিতে সদা মিথ্যা কথা বলবে, এটা দেখছি আমার জীবনে। কিন্তু আক্ষেপ করলে কোনো লাভ নেই, সেইজন্যই আমরা আছি মানুষের চেতনা বাড়াতে, সংঘবদ্ধ করতে, অবিচার-অন্যায়ের বিরুদ্ধে, শোষণের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে।

সেইজন্য সংসদীয় গণতন্ত্রে আমরা আছি। ভিতরেও আমরা আছি, বাইরেও আমরা আছি। বিরাট বিরাট গণসংগঠন আমাদের গড়ে তুলতে হবে। আজকে ভয়ঙ্কর অবস্থা ভারতবর্ষের ৫৩বছর স্বাধীনতার পরেও। আমরা কোনো দিন যা ভাবিনি সেই জিনিস আজকে হচ্ছে দিল্লি থেকে। নীতিনৈতিকতা, মরালিটি অব পলিটিকস্‌ এসব কোনো জিনিস নেই এবং দেশটাকে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। সরকার ঘোষণা করেছে কর্মী কমাতে হবে। মাঝারি, ক্ষুদ্র শিল্প এমনকি কিছু বড়ো শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে এবং আমরা আরও বেশি বেশি করে বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছি, দেশের মানুষের ওপর আমরা ভরসা হারিয়েছি। অথচ, আমাদের দেশে কত ভালো বৈজ্ঞানিক, ইঞ্জিনিয়ার, কারিগরী শিক্ষাপ্রাপ্ত ছেলে-মেয়ে, শ্রমিক, দক্ষ শ্রমিক, কত আছে আমাদের। আমরা এখানে অনেকবার বলেছি যে, অল্টারনেটিভ অর্থনীতি গড়ে তুলতে চাই, বিকল্প অর্থনীতি। নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে, আমরা বিশ্বায়ন থেকে আলাদা হয়ে যাব, বিশ্ব থেকে আলাদা হয়ে যাব। আমরা বলেছি, আমরা যা জানি না শিখব বাইরে থেকে, আমার যা নেই বাইরে থেকে কিনে আনব। কিন্তু শেষ অবধি কীসের জন্য- জওহরলাল নেহেরুরা বলেছিলেন নিজের পায়ে দাঁড়াবার জন্য, আত্মনির্ভর হতে পারি তার জন্য। কোথায় সেসব কথা? ভূমিসংস্কার কোথায়? সমস্ত রাজ্যে রাজ্যে ভূমিসংস্কার হচ্ছে। কিন্তু কোথাও সার্থক হয়নি তিনটে রাজ্য ছাড়া। পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, ত্রিপুরায় এই জিনিস হয়েছে। আর এখানে তো আমি ২২/২৩ বছর ধরে যাচ্ছি মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে যেটা ডাকেন প্রধানমন্ত্রী, তারপর আমাদের প্ল্যানিং কমিশন, তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়। আমি এবং আমার অর্থমন্ত্রী সেখানে যাই, এখন আর সেসব কথা শোনা যায় না, ভূমিসংস্কারের কোনো কথা নেই। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কোনো কথা নেই। বিদেশিদের ওপর এখন নির্ভরশীলতা। নতুন নতুন আইন করছে। তারপরে বিশ্ব সংস্থা হয়েছে।

শুধু আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার নয়, শুধু ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক নয়, এখন ডব্লিউটিও, গ্যাট এইসব করে আমাদের সর্বনাশ হচ্ছে। আমাদের কৃষকদের সর্বনাশ হবে। অথচ, এসব যারা করছে, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইত্যাদি দেশ তারা তাদের কৃষকদের হাজার হাজার কোটি টাকা, ডলার ভরতুকি দেয়। আর, আমাদের উপদেশ দিয়ে বলছে ভরতুকি সব বন্ধ করুন।

অধিবেশনের এই শেষের দিনে আমি দুঃখিত যে, এসব কথা আমাকে বলতে হচ্ছে। কিন্তু কোনো উপায় নেই এটা মানুষের কাছে আমাদের নিয়ে যেতে হবে। মানুষের উপরই শেষ অবধি সবকিছু নির্ভর করে। আমরা বিশ্বাস করি মানুষই ইতিহাস রচনা করেন। কিন্তু মানুষ তো আবার ভুল পথেও যেতে পারেন। বিপথে পরিচালিত হতে পারেন। তার দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। আমাদের গণতন্ত্র খতম করবার সমস্তরকম ব্যবস্থা হচ্ছে আমাদের সংবিধানে যেটা আছে, যেটা আমরা বলি ধর্মনিরপেক্ষ, সেকুলার, তারজন্য আমরা গর্বিত। সেটাকে বদলাবার চেষ্টা হচ্ছে।কমিশন হয়েছে। আমাদের সরকারের কাছে আমি শুনলাম চিঠি এসেছিল সেই কমিশন থেকে, সংবিধান বদলাবার সে কমিশন। আপনাদের এইসব বিষয়ের ওপর কি বক্তব্য আছে আমাদের বলুন। আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শুনেছি, ওঁরা জবাব দিয়েছেন যে, আপনাদের কাছে আমরা কেন বলতে যাব? সংবিধানে আছে যে, যদি সংশোধন করতে হয়, নিশ্চয় করা দরকার কতগুলো কমিশন করে দিয়ে, তাদের কাছে আমরা কেন বলব? সঠিক সিদ্ধান্ত আমাদের বামফ্রন্ট সরকার নিয়েছে। যাই হোক, আমি আর কথা বাড়াতে চাই না। আমি সবাইকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন জানাচ্ছি, সবার কো-অপারেশন পেয়েছি, সহযোগিতা পেয়েছি। আর যাদের সহযোগিতা পাইনি, যারা সমালোচনা করেছেন তাঁদেরও কিছুটা ধন্যবাদ আমাকে জানাতে হয়। কারণ, আমি সংবাদপত্র সম্বন্ধেও সেই কথা বলি, সংবাদপত্র যদি সমালোচনা আমাদের না করে তাহলে আমরা বিপথে পরিচালিত হব। কিন্তু খালি একথা বলি যে, সমালোচনাটা সত্যের ওপর হওয়া দরকার। তার ভিত্তিটা হবে সত্য। দুর্ভাগ্যবশত সেটা অনেক সময় হয় না। তথাপি আমরা আছি এবং আমি শেষ অবধি এটা বলতে পারি যে আমরা থাকব এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

আর আমি আর একটা কথা বলে শেষ করছি নিজের সম্বন্ধে। যে, আমি আর নির্বাচনে দাঁড়াব না। আর আপনারা কে দাঁড়াবেন, আমি এখনও সব লিস্ট পাইনি, দেখিনি, জেলা থেকে সব লিস্ট আসছে, সমস্ত পার্টির। কিন্ত একজন দাঁড়াবে না সেটা ঠিক হয়ে গেছে। সে হচ্ছে আমি। আমি এই নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছি না। কিন্তু আমি বলেছি, আমি রাজনীতি ছেড়ে চলে যাচ্ছি না, পার্টি ছেড়ে যাচ্ছি না। আমি পলিট ব্যুরো থেকে আরম্ভ করে সব জায়গায়, যেখানে আমার জায়গা, সেখানে আমি আছি, সেখানে আমি নির্বাচিত হই এবং আমরা কমিউনিস্টরা বলি যে, আমরা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করা অবধি যাতে মানুষের জন্য কাজ করতে পারি, মানুষের মুক্তির জন্য যেন আমরা কাজ করতে পারি।

এই কথাই আমরা কমিউনিস্টরা বলি। সেই বিশ্বাস, সেই ভরসা আমার আছে এবং তাই নিয়ে আমার শরীরে যতটুকু কুলোয় আমি সেই মানুষের জন্য তার মুক্তির জন্য কাজ করে যাবো।ধন্যবাদ।

সুত্র- গণশক্তি