কামাল তুর্কী ও দামাল বামাল তৃণমূল

গৌতম কর

আপাদদৃষ্টিতে মনে হলেও যুদ্ধ দ্বিপাক্ষিক হয় না। নিয়োগ দূর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই তৃণমূল তষ্করকুলের সাথে ভারতীয় আইনের? এই দ্বন্দ্ব বহুমাত্রিক। আমরা সম্মুখ সারির কিছু অশ্বারোহী আর পদাতিকদের দেখতে পাচ্ছি। হাতির হাওদায় আড়ালে আছেন সেনাপতি। তদন্ত-সৈন্যরা যাঁর আদেশ মানছেন, সেই ঐরাবতে আসীন দিল্লীশ্বরের সাথে সেনাপতির আঁতাত দৃষ্টিগ্রাহ্য নয়। আমরা দেখতে পাচ্ছি না, যোগ্য মেধাবী আন্দোলনকারীদের কয়েকজন কীভাবে রাতের আঁধারে মীরজাফর হয়। বরঞ্চ রাজ্য ক্যাবিনেট যৌথ দায়িত্বে প্রকাশ্যে দুষ্কৃতিদের পাশে তরবারি হাতে। সেখানে যুক্ত আছে কয়লা, গরু, বালি পাচারের লুন্ঠিত সম্পদ। টেবিলের তলে মিডিয়া নিলামে কেনাবেচা চলছে। চাকরিতে বরখাস্ত যুদ্ধে আহত দস্যুরা চকিতে মরণ কামড় দেবে বাঁচতে। শাসক দলের উকিলদের বেনজির আদালত আক্রমণ। যে সাদাসিধা ভোটার সব দেখেও অপা-সাকুদের ভোট দিয়ে বামপন্হীদের রুখতে চায় এবং যে গম্ভীর বিদেশী বণিক নেকড়ের মত বাংলার সম্পদ লুঠ প্রত্যাশায় ব্যাঙ্কক, লন্ডনে অপেক্ষারত- সবাই চিত্রনাট্যের কুশীলব।

গ্রীস বিশ্বের সভ্যতা, সংস্কৃতির আঁতুড়ঘর। সক্রেতিস, প্লেটো, অ্যারিস্টটল সহ বহু মনিষীর জন্মভূমি। গ্রীস মানে এথেন্স, স্পার্টা, আলেকজান্দারের ম্যাসিডোনিয়া। সেই গ্রীস পাঁচশত বৎসর তাঁদের রাজধানী কনস্তান্তিনোপল হারিয়েছিল। শহরের নাম বদলে হল অটোমান সুলতানী খলিফার শাসনকেন্দ্র ইস্তাম্বুল। খ্রীষ্ট ধর্মালম্বীদের উপর ঐস্লামিক নিপীড়ন সহ্যাতীত হলে সমগ্র ইউরোপে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আগুন জ্বলে উঠল। ১৮২৭এ বহু সহস্র নিরীহ গ্রীককে অটোমানরা নিকেষ করে বসফরাস প্রণালীর জল লাল করে বিদ্রোহ দমন করে। রাশিয়ার নতুন জার নিকোলাস ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সাথে অটোমান সাম্রাজ্য আক্রমণ করে গ্রীসকে মুক্তি দিলেন। রাশিয়ার শক্তি বৃদ্ধিতে ভীত চতুর ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স যুদ্ধের ময়দান ত্যাগ করলেও রাশিয়ার সহায়তায় ১৮২৯এ গ্রীস স্বাধীনতা পেল। লড়াইটা আপাদদৃষ্টিতে তুর্কীদের বিরুদ্ধে গ্রীকদের হলেও, বহুমাত্রিক ও বহু রকমারি যৌথ স্বার্থের রসায়ন। মুদ্রার অপর পিঠ দেখতে হাঁটতে হবে প্রায় আরো একশত বৎসর পরের ইতিহাসে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ, পর্যদুস্ত অটোমান শাসন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাক্রমী অটোমান সুলতান পঞ্চম মেহেম্মেদ ইউরোপে সাম্রাজ্য বহাল রাখতে জার্মানীর পক্ষে বাজী ধরে সর্বশান্ত হয়ে যান। মিত্রশক্তির দেশগুলো তুরষ্কের মাংসল সম্পদ ভাগ বাটোয়ারায় মত্ত। ইংল্যান্ড থাবা বসিয়েছে ইস্তাম্বুলে। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড লয়েড জর্জ গ্রীসকে তুরষ্ক আক্রমণের উস্কানি দিলেন। ইস্তাম্বুল ছিল প্রাচীণ গ্রীক রাজধানী কনস্তান্তিনোপল। গ্রীকরা প্রথমে ইজমির দখল করে কারণ ইজমিরের ৩০% অধিবাসী ছিল গ্রীক। তুর্কীদের উপর নেমে এল গ্রীক সাম্রাজ্যবাদী নিপীড়ন। আঙ্কারায় শুরু হল মোস্তাফা কামাল পাশার নেতৃত্বে তুর্কী জাতীয়তাবাদী আন্দোলন। কিন্তু তুর্কী জনগন দ্বিধাভক্ত। কেউ কামাল পাশার নয়া দিগন্ত চায়, কেউ চায় অটোমান ঐস্লামিক রাজতন্ত্রে পুনঃপ্রতিষ্ঠা। ডিভাইড অ্যান্ড রুলে লাভ গ্রীকদের। মানিসা, বালিকেসির, আইদিন, কুতাহিয়া, বুসরা, এস্কিসেহির দখল করল গ্রীকরা। বিভিন্ন অজুহাতে গ্রীকদের পেছন থেকে সমর্থন তুলে নেয় ধূর্ত ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। অনেক গ্রীক যোদ্ধা গণহত্যায় নারাজ। গ্রীক সেনাবাহিনীতে বলশেভিক ভাবনার অনুপ্রবেশ ঘটেছিল?

খলিফা অটোমান সুলতানদের সমর্থকরা কামাল পাশার আদর্শে অনুপ্রাণিত মুক্তিকামীদের বলশেভিক নাস্তিক বলে চিহ্নিত করছে। ১৯২১এ সাকারিয়ার যুদ্ধ গ্রীক অগ্রগতি স্তব্ধ করে পিছু হাঁটতে বাধ্য করে। তখন মুক্তিকামীদের পাশে কম্যুনিষ্ট রাশিয়া। ক্রমশঃ ইংরেজ ও ফরাসী অধিকৃত অঞ্চল মুক্ত করে সৃষ্টি হয় গ্র্যান্ড ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি তুর্কী প্রজাতান্ত্র। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সেভ্রেস চুক্তি বাতিল করে লুসার্ন চুক্তি হল। কেবল অটোমান সুলতানিয়ত নয়, সমাপ্ত হযরত আবু বকরের সময় থেকে চলে আসা খিলাফৎ। অর্থাৎ রাশিয়ার জারতন্ত্র শতবর্ষ পূর্বে ধর্মের নামে গ্রীকদের তুর্কীদের থেকে মুক্ত করেছিল, সেই রাশিয়া শোষণের প্রতিবাদে তুর্কীদের গ্রীক অত্যাচার থেকে স্বাধীন করল। ভারতের ইতিহাস তেমন বৈচিত্রময়। স্বদেশী বীররা যখন লড়ছে, তখন একদল আবেদন নিবেদনে ব্যস্ত, কেউ ফিরিয়ে আনতে চায় মোগল বাদশাহকে, আরেক দলের ভরসা বৈদিক ভারতের সমাজ ব্যবস্হা। বলশেভিক ভাবনার জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আগে তড়িঘড়ি দেশ ভাগের মধ্য দিয়ে মধ্য রাতে স্বাধীনতা হস্তান্তর। বহুমাত্রিক যুদ্ধের পটভূমি।

কামাল পাশাকে কেবল সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়তে হয়নি, রুখতে হয়েছে ধর্মীয় উন্মাদনা। গ্রীস হোক বা ইস্তাম্বুলের রাজতন্ত্র, বলশেভিক ভীতি ছিল অনতিক্রম্য। নিয়োগ দূর্নীতিতে শাসক দলের সবচেয়ে মাথা ব্যথার কারণ বামপন্হীদের ভূমিকা। দিনের পর দিন মিছিল করেছে, মিটিং করেছে, রসদ সরবরাহ করেছে এমনকি বামপন্হী আইনজীবিরা লড়াই করেছেন আদালতে। মাননীয় বিচারপতিরা আক্রান্ত হয়েও দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন। সৈন্যদল জান কবুল থাকলেও সিবিআই বা ইডির গরিমসিতে গোলা-বারুদ পৌঁছায়নি। দূর্নীতিকামীদের প্রধান ভরসাস্হল দিল্লীর মসনদ। বিচারপতিদের লাগাতার ভর্ৎসনায় কর্ণপাত করেনি। সেই সুযোগে পার্থ চ্যাটার্জীর মত হায়না কিছু আন্দোলনকারীকে কিনেছে। দূর্নীতি ঢাকতে আবার দূর্নীতি। রাজ্যের শাসকদলের দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবার নমুনা দিল্লীশ্বর চিটফান্ড ও নারদ কান্ড দেখিয়ে ভরসা রোজগার করেছেন। মিডিয়া তখন টিআরপি সন্ধানী। সুশীলকুল বেহদিশ। ফলতঃ দূর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইতে মুখ আর মুখোশে শত্রুর ছড়াছড়ি। এক বহুমাত্রিক যুদ্ধের কুরুক্ষেত্র।

বাম আমলে প্রতি বছর নিয়োগের পরীক্ষা হত এবং সরকারী শূণ্যপদ পূরণ হত। সেই নিয়োগ পরীক্ষার আয়ূধ ছিল মেধা ও পরিশ্রম। কষ্টসাধ্য কিন্তু গৃহীত পদ্ধতি। বিপুল অংশের জনতা এই বৃত্তে পা রাখতে অপারগ ছিল। ব্রাত্য বসুরা যখন ব্যতিক্রমী দরজা খুলে দিলেন, তখন সেই জনতা সৎ রঞ্জনদের দুয়ারে লাইন লাগালো। কেবল পার্থ, মাণিক, সুবীরেশ, কল্যাণময়, শান্তিপ্রসাদের চাকরির দোকানকে দায়ী করলে চলবে না, ক্রেতারাও দায়ী। দোকানদারির মূল মালিক সওদাগর রিং-মাস্টার নিখুঁত পরিকল্পিত, পরিচালিত ও সুসংহত নীলনক্সার বাস্তবায়ন করেছেন। এত বড় লুন্ঠনে কিছু আর্তনাদ শোনা যাবেই। মিডিয়া, প্রশাসন, পুলিশ ও দুষ্কৃতিদের দিয়ে নৃশংস ভাবে দমন করা হিটলারী মানসিকতায় বেমানান নয়। মিডিয়া সুকৌশলে তৃণমূল এবং বিজেপির বাইনারির গাজর ঝুলিয়ে মূল প্রতিবাদীদের আড়াল করেছে। ব্যতিক্রমী নিয়োগপ্রাপ্তরা জানত, সময়ের পলি জমতে দিলে, প্রতিবাদ ঢেকে যাবে একদিন। রিং-মাস্টার ও চোর-শিক্ষকদের ভরসা স্হল ছিল মেহতা-আদানির আদর্শে উদ্বুদ্ধ ভারতপতি নরেন্দ্র।

এমনকি শাসকদলের দুর্বৃত্তরা খোলা চ্যালেঞ্জ জানাতে শুরু করল তদন্ত সংস্হাগুলির বিরুদ্ধে। চিটফান্ড, নারদ থেকে নির্বাচনোত্তর আক্রমণে দিল্লীশ্বরের দলীয় কর্মীর মৃত্যুতে ওরা কিছু করতে পেরেছে? এই ব্যর্থতা নিয়োগ থেকে পাচার দূর্নীতির দৌড়াবার জন্য ময়দান উন্মুক্ত করে দিল। এমনকি ব্যর্থতার কোন অজুহাতও বাক্যবাগীশ নরেন্দ্র পেশ করতে পারলেন না। বঙ্গীয় গেরুয়া ব্রিগেডের লম্ফঝম্প যে নিষ্ফলা, দুষ্কৃতি থেকে জনতা বুঝে গেল। বিকল্প রাজনীতি বলতে হনুমান। ঠিক যেমন মুক্তিকামী তুর্কীদের সামনে অটোমান সুলতানরা জাতির শোষণের ঐতিহ্য ও ধর্মকে ব্যবহার করে দ্বিখন্ডিত করে সাম্রাজ্যবাদকে সহায়তা করেছে। গ্রীক ও অটোমানদের মূল শত্রু ছিল বলশেভিক ভাবনার উন্মেষ। স্বাধীনতার প্রাক্কালে ব্রিটিশ, আবেদন-নিবেদনকারী, জনসঙ্ঘ, মুসলিম লীগের সেই শত্রু। আজকেও নবান্ন ও সাউথ ব্লককে এক সূত্রে বেঁধেছে সেই ঐতিহাসিক ভীতি। দূর্নীতির রঙ নীল-সাদা হলেও আপত্তি নেই, গেরুয়া ব্যর্থতার প্রতীক হলেও আদরণীয়, যদি সেই রঙটা লাল না হয়। মিডিয়াও চায়।

শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে জীবাণু অসুস্হ করে। সুশীল নামক ওষুধে মেরুদন্ড ভেঙে ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে ওরা। আসলে তুর্কী স্বাধীনতা মানে কেবল কামাল পাশা নয়, তুর্কী জাতির স্বাধীনতা স্পৃহা। মমতা বাঙালীকে কার্নিভালমুখী করে তুলেছেন, আবগারি যেখানে প্রধান রাজস্ব আয়, ভিক্ষা যখন প্রধান ব্যয়। জাতির কোমর ভেঙে গেলে সে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করতে পারবে না। সেই সুযোগটা মিডিয়া, পুলিশ, প্রশাসন ব্যবহার করবেই। ব্রিটিশ যুগেও চিত্রটা তাই ছিল। দরকার হলে আনিসদের বাড়িতে ঢুকে অকাতরে হত্যা করবে, দেবু-ঊষা দাসদের পুড়িয়ে মারবে, চাকরিপ্রার্থী মইদুলকে প্রকাশ্য দিবালোকে রাজপথে পিটিয়ে খুন করবে। তুরষ্কে সাম্রাজ্যবাদী-অটোমান ধর্মীয় পন্হীদের বলশেভিক ভীতি ওদের পতন ঘটিয়েছিল, ঠিক তেমনই নবান্ন-সাউথ ব্লকের লাল-ভীতির আঁতাত ইতিহাস থেকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। দূর্নীতি হয়েছে কিনা প্রশ্ন নেই, কারণ পর্ষদ স্বীকার করে নিয়েছে। কে, কত দূর্নীতি করেছে সময় অপচয় করে সেটাও বিবেচ্য নয়। আমরা স্রেফ দূর্নীতি মুক্ত সমাজ চাই।    

মিডিয়া প্রতিদিন সহস্র আরব্য রজনীর গল্প বলে তৃতীয় শ্রেণীর ধারাবাহিকের মত জনতাকে বুঁদ করে টিআরপি বাড়াতে চাইবে। প্রাত্যহিক সন্ধ্যায় আপনার বৈঠকখানায় চোর-ডাকাতের মজলিশ বসিয়ে নেশাগ্রস্ত করে তুলবে। আপনারা অনুব্রতর ওজন, পার্থর অকাল যৌনতা, কালীঘাটের কাকুর কুকুর নিয়ে কথা বলবেন। কত বরখাস্ত হল গুণে ছয়লাপ হয়ে যাবে। ক্যাবিনেট যখন ব্যতিক্রমীদের বহাল রাখার কথা স্বীকার করেছে, তারমানে দূর্নীতি হয়েছে এবং সরকার স্বীকার করে চোরদের দায় নিচ্ছে। পার্থর ফাঁসী হওয়ার চেয়ে শিক্ষাটাকে বাঁচানো জরুরী, সেটাই জাতির শিরদাঁড়া। মেরামতিটা করতে পারলে মোদী-মমতার আনন্দ-লহরী ভেঙে যাবে। আমরা পুজো না করে, মূর্তি নিয়ে মাতামাতি করছি। কে কতটা হিন্দু, কতটা মুসলিম ভাবছি। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন। মাননীয় বিচারপতিরা শেষ রায় দেননি, কিন্তু ঐতিহাসিক রায়ে মোহর পড়ে গেছে। মাথাটাকে খুঁজতে গেলে কয়েক দশক পেরিয়ে যাবে। দূর্নীতির মাথাগুলো বাদ দিয়ে নতুন সমাজের স্বপ্ন দেখি। মুস্তাফা কামাল পাশার স্বাধীনতার মত।

অপরাধী নীতিহীন হওয়া দস্তুর। বিচারপতি বলছেন, তৃণমূলের বিচারপ্রার্থীরাও নজিরবিহীন নীতিহীন। লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছেন। সাগরদীঘি শিলালিপি পড়ে ফেলেছে। ঠিক যেমন সাকারিয়ার যুদ্ধের পর বলশেভিক ভীতিতে গ্রীস পালিয়েছিল। একটা স্ফূলিঙ্গ দাবানলের আদি বিন্দু। মাইক্রোস্কোপিক তৃণফল ত্রিপুরায় নোটার অর্ধেক সাইজের। তিপ্র মথার ব্যর্থ দিবাস্বপ্ন না থাকলে বিজেপি পুঁটুলী গুছিয়ে দিল্লী যেত। দুয়ারে সরকারের খেলা দেখাতে গিয়ে দুয়ারে দিদির ভুতরা হাজির। নন্দীগ্রামে সিবিআই তদন্তের রিপোর্টের জন্য কেউ অপেক্ষা করেনি। জনতা রায় স্পষ্ট করছে। আকাশচুম্বী দূর্নীতির জনতার রায় প্রকাশ্যে। সুশীল বা মিডিয়ার মজলিশ বাঁচাতে পারবে না। দিল্লীর আদানিবন্ধু সরকার সুরাহা করতে পারবে না। তৃণমূল, বিজেপির বামাতঙ্কে পতন ঘটবে। আসন শূণ্য মানে আদর্শ-শূণ্য নয়। সাকারিয়ার কুরুক্ষেত্রে কামাল পাশা হুঙ্কার ছেড়েছিলেন- আক্রমণ! হয় মরব, নয়ত দেশ বাঁচাব। বাংলা মুখরিত হোক সেই সেটিং-বিরোধী মন্ত্রে- হয় মরব, নয়ত “এই বিশ্বকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব।”