জ্ঞানপীঠ ভারতভূমি পূণ্য তীর্থ। পৃথিবীতে বহু জনপ্রিয় ধর্মের সূচনার পূর্বে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। ভারতের বিজ্ঞানীরা মাত্র ৩৬৫ কোটি টাকায় চাঁদে চন্দ্রযান-৩ পাঠাতে পারেন। সীমান্তে প্রহরার প্রহর কাটান বীর যোদ্ধারা। নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধূর্ততা, ব্যর্থতার মাপকাঠিতে দেশের জনগনকে বিচার করবেন না। ওঁরা কাজ করেন। কথায় কথায় ভয় পেলে “ভারত মাতা কি জয়” বা “জয় বাংলা” বলে চিৎকার করে ওঠেন না। ওঁদের পরিবার আছে। সমাজ আছে, জাতি আছে। সর্বোপরি ওনারা জানেন, দেশকে দিতে হবে। ওনারা কখনও ভাবেন না, কত জিএসটি আদায় করতে হবে, বা কেন্দ্রীয় সরকারের সামনে কত বড় ভিক্ষাপাত্র নিয়ে বসব। ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক বিশ্ববন্দিত। ইলেক্টোরাল বন্ডের লেনদেন দ্রুত পেশ করতে সক্ষম। সিবিআই, ইডি, এসএফআইও, এনআইএর মত তদন্তকারী সংস্হাগুলি দ্রুত তদন্তে পারদর্শী। সীমান্তে জওয়ানরা অকুতোভয়। বৈজ্ঞানিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীরা আধুনিক, মননশীল ও মেধাবী। আর্যভট্ট থেকে আজকের নবপ্রজন্মে মেধা ও উৎকর্ষতায় সম্ভাবনাময়।

পুলিশ একজন দুষ্কৃতিকে ছাপ্পান্ন দিন খুঁজে পায় না? যারা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সাথে তুলনা করতেন তারা কি বেকুব ছিলেন? নিগৃহীতা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ উপদেশ দেয়, নির্যাতনকারীর আলাঘরে পিঠে বানাতে! মধ্য যুগ বা ব্রিটিশ যুগে এমন নির্মমতার ইতিহাস নেই। ভারতে বহু উপাসনালয় ভেঙেছে, কিন্তু রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজিয়ে বিরোধীদের পার্টি অফিস ভাঙার নজির কোথাও নেই। ধর্ষককে গাঁদা ফুল দিয়ে বরণ করা হত না পরাধীন ভারতে। বছরের পর বছর জনগন ভোটাধিকার প্রয়োগ না করতে পারলেও নির্বাচন কমিশন অন্ধ-বধির হয়ে বসে থাকে। সমস্যা জনতায় নয়, সংস্হা ও সংগঠনগুলিতেও নয়। সমস্যা পরিচালকের। নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা থাকলে যে কাজ স্টেট ব্যাঙ্ক, সিবিআই, ইডি, এসএফআইও, এনআইএ, পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী, নির্বাচন কমিশন থেকে বৈজ্ঞানিক, প্রকৌশলীরা করতে পারছে না, সেটাই সহজ হত। আমরা অহেতুক পুলিশ বা পৌরসভার কর্মীরা ঘুষ খায় বলি, কিন্তু তাদের যে ঘুষ দিয়ে পোষ্টিং বজায় রাখতে হয় বলি না। সমস্যাটা পরিচালনায়।

সন্দেশখালির বামপন্হী পার্টি অফিসগুলো শাহজাহানরা ভেঙেছে এক যুগ আগে। রাহুল গান্ধীর সরকার দেখতে পায়নি কারণ শাহজাহানের মালকিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। রাহুল স্বার্থ না থাকলে দেখবেন না। এখনও উনি সন্দেশখালি দেখতে পাচ্ছেন না। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর পূর্ণ বহুমত ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা ছিল। অর্থাৎ পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করলেও রামরাজ্য আশা করা যায় না। বিজেপির অন্যতম বড় ইস্যু বাংলাদেশ থেকে অহিন্দুদের অনুপ্রবেশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের সাথে সুসম্পর্ক ও লালনের অভিযোগ এনেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ দশ বছরে জানতেন না? তাহলে কি ভারতীয় গোয়েন্দা বিভাগ দুর্বল ও অকর্মণ্য? সীমান্ত দিয়ে যে গরু, কয়লা, বালি পাচার হয়েছে তাও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী প্রতিরোধ করতে পারত না? হয় সবাইকে অপদার্থ বলতে হবে, নয়ত অমিত শাহকে ভ্রষ্টাচারী বলতে হবে। যুক্তিসম্মত সিদ্ধান্ত নিন। আসনে সৎ ও কর্মঠ ভদ্রলোক বসিয়ে দেখবেন, নাকি সমস্ত বাহিনী বদলে ফেলতে চাইবেন?

নরেন্দ্র মোদী সরকার ১০০ দিনের কাজের বকেয়া রাজ্যকে দিচ্ছে না, আবাস যোজনার অর্থ মঞ্জুর করছে না। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি সুপ্রিম কোর্টে আপীল করতে স্হায়ী মনু-কপিল উকিল পোষেন, তিনি আদালতে যাচ্ছেন না কেন? বিগ্রেড করবেন, সুপ্রিম কোর্টে নয়। ঠিক যেমন অমিত শাহ শেখ শাহজাহানের রোহিঙ্গা ভাইদের দেখতে পান না। ভারত ভূখন্ডের ভিতর দুর্বৃত্ত দল এক যুগ প্রত্যহ নারীদের বলাৎকার করত, দশ বছরে যে অধার্মিক দেশনেতারা করুণ শীৎতার শুনতে পান না, তাঁর মত অপদার্থ অপরাধীর দেশ শাসনের কোন অধিকার নেই। নিরাপদ সর্দার বিধানসভায় এই প্রসঙ্গ তুললে কোন পাষন্ড মাইক বন্ধ করে দিতেন? সবার আগে তদন্ত ও উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিৎ। শহীদ মিনারের নিচে উন্মুক্ত বিচার হোক যাতে ভবিষ্যতে কোন নরাধম নারীর সম্ভ্রম নিয়ে খেলতে না পারে। সবাই বিলকিস বানোর ধর্ষক যেন না হয়ে যায়। আড়কাঠি মহিলাদের আরো কঠিনতর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। সব ঘটনা সাজানো নয়, তুচ্ছ নয়, খদ্দেরের সাথে দড়াদড়ি নয় কিংবা ডিম্ভাতের বিনিময়ে ইজ্জত বিক্রী নয়।

রবীন্দ্রনাথের জুতো আবিষ্কারে বলেছেন, পৃথিবীর সব ধূলিকণা না সরিয়ে আপনার চরণ ঢাকুন। সব পরিবর্তন না করে কুর্সিতে বসে থাকা এই দুর্বৃত্তদের বদলে দিয়ে দেখুন সমাজ বদল হয়ে গেছে। যে পুলিশ অফিসার মহিলাদের আলাঘরে রাত কাটাতে পাঠাত, সেই দুষ্কৃতির পেছনে লাঠি নিয়ে ছুটবে। আপনি যদি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শেখ শাহজাহানকে সার্টিফিকেট দেন, তালপাতার সেপাই যদি প্রশ্ন করেন, কে শাহজাহান? তাহলে পুলিশও অপদার্থের মত আচরণ করবে। শীর্ষ অফিসার তথ্য লোপাট করে পিঠ বাঁচাবেন। নরেন্দ্র মোদী হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে টেলিপ্রিন্টার দেখে আধো বাংলা বলতে শুরু করে  দেবেন। জনগন পাপীদের হুঙ্কার শুনে ধর্মীয় শ্লোগান তুলে হনুমানের মুখোশ কিনে বাড়ি ফিরবে। মোদী যাবেন জামনগরে মামার বাড়ির বিবাহ ভোজে। ইলেক্টোরাল বন্ডে মামাদের নাম যাতে জনগন না দেখতে পায়, ব্যাঙ্কের হাত বেঁধে দেবেন। আমরা সাদা মোদীকে দেখে ভোট দেব। ভোটের পর কালা মোদী দেখলে তো আর বদলাতে পারব না। কালা মোদীর কালা মামা পাঁচ বছর দেশকে পকেটে পুরে বিদেশ ঘুরবেন।

তৃণমূল একটা আঞ্চলিক দল। ১০৯৬ কোটি টাকা কোন কালীঘাটের কাকু দিয়েছে? বাংলার কয়লা, বালি, চাকরি, নারী-শিশু বিক্রীর টাকা বেআইনী শেল কোম্পানি খুলে তৃণমূলের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছে। যে কোম্পানির ১ টাকা লাভ নেই, সেই কোম্পানি দান করে ১ কোটি। কোম্পানির ডিরেক্টার হয়ত কোন বস্তী ঘরে থাকে। জানেও না সে তোলা কোম্পানির ডিরেক্টার। আগেও এই ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু ধূর্ত নরেন্দ্র মোদীর কল্যাণে তার তদন্ত হয়নি। কারণ নরেন্দ্র মোদীর দল পেয়েছে ৬৫৬৪ কোটি টাকা। মোদীর মামা ও সেনাপতির কাকাকে আড়াল করতে অনেক ফন্দি ফিকির নরেন মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করবেন। জনগন হতাশ হয়ে এক দিন ভুলে যাবে। কেউ গ্যাসে ১০০ টাকা কমিয়ে ভোট কিনবেন, কেউ ভান্ডারী মহিলাকে ৫০০ টাকা বেশী দিয়ে। রাহুল গান্ধীর দল নিয়েছে ১১৩৫ কোটি। হতে পারে রাহুলের মামারা এখন ভাগ্নের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না, কানা হলেও মামা তো! মামা আর কাকুদের স্বার্থে নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গান্ধী আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সারিতে। এতে আশ্চর্যের কী?

১০ই মার্চ, জনবর্জন সভায় মমতা কেবল প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেন না, রাহুল গান্ধী, জুলফিকার আলি জয়রামদেরও বর্জন করলেন। আলিমুদ্দিন কিন্তু এই ত্রিকোণে নেই। সিপিআই(এম) একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা নীতিগত ভাবে নির্বাচনী বন্ডের নামে জনগনকে প্রতারণার বিরোধিতা করেছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এই বন্ডকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। তিন ভন্ড এখন এক বিন্দুতে। নরেন্দ্র মোদী চাইলে নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে, তদন্তকারী সংস্হাগুলি সৎ ও দ্রুত তদন্ত করতে পারে, নীরবে কোন ভাই ললিত কলা দেখিয়ে মেহুলমামার সাথে ভারতছাড়ো আন্দোলন করতে পারবে না। লুঠেরা বিনয় মিশ্রেরও ভানাটু-যাপন অসম্ভব। দশ বছর নিরঙ্কুশ ক্ষমতায় থেকে নরেন মোদী পারেননি, জীবদ্দশায় পারবেন না। সমস্যা কোথাও নেই, সমস্যা ধূর্তের শিক্ষায়। মাথায় সর্পাঘাতে বাঁধন দেবেন কোথায়? নরেন্দ্র মোদী নাছোড় হলেও জনগনকে নাছোড় হতে হবে। ঘোমটা খুলে মামার সাথে শুভদৃষ্টি করাতে হবে। কুণাল নির্যাতিতা নারীকেও বেআব্রু করে দেখতে চেয়েছে প্রকাশ্য অনুষ্ঠানে।

নরেন মোদী, রাহুল গান্ধী বা মমতার মামাতে অসুবিধা কোথায়? আসলে মামাই বন্ড কিনে মূলতঃ সরকারটাই কিনে নিয়ে সরকার চালান। আমরা সরকারের আসল মালিককে দেখতে চাই। মোদীর কাছে দাবী বা প্রস্তাব নিয়ে কী লাভ? গণতন্ত্রই যদি না থাকে তাহলে জনগন সরাসরি মামার সাথে যোগাযোগ করবে। মাঝখানে মোদীকে কমিশন খাইয়ে এবং খরচা দিয়ে পুষে লাভ নেই। মামার কত ফায়দা দরকার, সেটা মামাই সরাসরি পাবলিককে বলবেন। পাবলিক মুখে রক্ত তুলে ঘাম ঝরিয়ে খাজনায় মামার খাজানা ভরে দেবে। শাহজাহান যদি পুলিশ ও প্রশাসনকে নিখুঁত পরিচালনা করতে পারে তাহলে সাদা শাড়ি আর হাওয়াই চপ্পলে ব্যয় করে কী লাভ? কেন হেলিকল্পাটারের তেলের খরচ জনগন বহন করবে? কেন ভাইপোর দুবাই যাপনের খরচ দেবে নিঃস্ব জনতা? সমস্যা যেখানে, সেই অংশটাকে বাদ দিয়ে দিন। হয় মামারা দেশ চালাক নয়ত জনগন গণতান্ত্রিক উপায়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নেতা নির্বাচিত করুক। মাঝের দালালদের থেকে মুক্ত করুন ভারতবর্ষ। মিডলম্যানরা ভারতের সম্পদ লুঠে নিয়ে রক্তশূন্য করছে।

আমরা জীবনদায়ী ওষুধ কিনলে জিএসটি দিই, মামা ভাগ্নে-ভাগ্নী পুষতে কত কর দিয়েছেন, আমরা জানতে চাই। সরব মোদী নীরব হয়ে যাবেন। কেবল আঙুল চলবে। ব্যাঙ্ক নাচবে, সিবিআই-ইডি নাচবে, নির্বাচন কমিশন নাচবে, বিএসএফ নাচবে। গরু পার হয়ে যাবে, পাচারকারী একাই ভোট লুঠে নেবে, সেই তদন্ত শেষ হবে না, সেই হিসাবও জনগন দেখতে পাবে না। নরেন মোদী তখন উপুর হয়ে রামমন্দিরে শুয়ে। অসহায় পাবলিক দেখবে। এসব খেলা অনেক হয়ে গেছে। এবার খেলা হবে। ভাইপোর কাকুর গলা যেমন বেরিয়েছে, তেমনই নরেন দাদুর গলা ফেঁসে যাবে। সিংহাসন থেকে দুর্বৃত্তদের দূর করতে পারলেই ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে। তার জন্য কোন শ্লোগান দিতে হবে না। কাজ করতে হবে। ফটোশ্যুট না করে কাজ চাই। হোর্ডিং থেকে জোড়হস্ত কাটা মুন্ডুগুলোকে সরিয়ে শস্য-শ্যামলা দেশের ছবি দিতে হবে, তুষার ধবল হিমাদ্রীর। সাভারকারের মত ব্যর্থতার অটল মুচলেকা দিতে হবে। দেশ কোন পরিবারের নয়। কারো একার বৃহৎ পরিবারও নয়। সব পরিবার হাতে হাত ধরে ভারতবর্ষ গড়ে নেবে।  

 ১১ই মার্চ, অবৈধ নির্বাচনী বন্ডের শুনানীতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় সহ বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বি.আর গাভাই, জে.বি পরদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ ঐতিহ্যশালী ব্যাঙ্কের মানমর্যাদা ধূলিস্যাৎ করার মোদীর প্রয়াস ধরে ফেলেছেন। ব্যাঙ্ক Accounting কিংবা Reporting সমস্যার কথা বলছে না; Standard Operating Procedure বদল সংক্রান্ত প্রশ্ন তুলেছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ শিরোধার্য হওয়া উচিৎ। পাঁচজন মাননীয় বিচারপতির বেঞ্চ পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, ২৬ দিন হাত গুটিয়ে চুপচাপ বসেছিলেন কেন? SOP সংক্রান্ত সমস্যায় প্রথমেই আদালতের নজরে আনতে পারতেন। রাজনৈতিক নেতা ও তাঁদের মাতৃকুল এত সহজে ঘোমটা উন্মোচন করতে চাইবে না। প্রয়োজনে মোদী অ্যান্ড কোম্পানি সংসদে অধ্যাদেশ এনে নির্বাচনের প্রাক্কালে পিঠ বাঁচাবার অন্তিম প্রয়াস করবে। ভারতের জনগন জানতে চায়, তাঁরা কোন মামাদের শোষণের রাজত্বে বাস করে। লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ড্সের সম্পত্তি PMLA আইনে অধিগৃহীত হলেও গ্রেপ্তার হয় না কেন? মোদী ও মামারা বন্ডবন্দী খেলায় বন্দী