কদিন হল মুখ্যমন্ত্রীর কোন বাণী শোনা যাচ্ছে না তো। হল টা কি! সাংবাদিকদের সামনেও ওনাকে দেখা যাচ্ছে না। উনি কি মৌনব্রত পালন করছেন! কি জানি বাবা ।সেই যে ৫ ই আগস্ট ‘২২ কদিন সফরে দিল্লি গেলেন, তারপর থেকেই মৌনব্রত নিয়ে আছেন। কি হল দিল্লিতে? রাজ্যের পাওনা নিয়ে এখানে মঞ্চ দাপিয়ে গলার শির ফুলিয়ে যা চিৎকার চেঁচামেচি করেন, তাতে রাজ্যবাসী মনে করতে পারেন এই হচ্ছে লড়াকু নেত্রী। আসলে গোটাটাই ঢপ। উনি এখন গোপন সমঝোতা করে দুর্নীতির পাঁকে নিমজ্জিত নেতা নেত্রীদের বাঁচাতে ব্যস্ত। আর ওনার ডান হাত, যার প্রায় অক্সিজেন উবে যায়, সে যাতে জেলে না ঢোকে তার তদারকি করতে গিয়েছিলেন আর কি…… নীতি আয়োগ গঠন হবার পর অনেক সভা হয়েছে । কোনদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যাননি । এই প্রথম গেলেন। আবার যদিও বা গেলেন ,বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু রাজ্যের পাওনা নিয়ে কোন কথা বললেন না। খুব মৃদু স্বরে ঘনিষ্ট মহলে বলেছেন, “আমাকে বলতে দেওয়া হয়নি।” সারদা নারদা কান্ড -চিটফান্ড কেলেঙ্কারির পিছনে ছিল রাজনৈতিক আশীর্বাদপুষ্ট তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান এবং সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেপথ্যে টাকার জোগানদার ছিল সারদা নারদা কেলেঙ্কারি। কত মানুষের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের টাকা সব মেরে দিল। সারদা কেলেঙ্কারির জেরে গঠিত হয়েছিল ‘”শ্যামল সেন কমিশন।” ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীদের মধ্যে কতজন টাকা ফেরত পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বলতে পারবেন? মোদিজি ও শাহজিকে ম্যানেজ করে সি বি আই কে থামিয়ে রাখতে পারেন কিন্তু মানুষকে থামিয়ে রাখতে পারবেন তো? পারবেন না…….
যতই গর্জন করুন কড়াই গন্ডাই হিসাব নিকাশ হবে । জেল খাটা আসামীরা সংসদে ও বিধানসভা তে সততা ও নৈতিকতার কথা বলে কোন অধিকারে? নীচু থেকে উপর পর্যন্ত শুধু টাকা আর টাকা ।ক্ষমতায় আসার আগে শ্লোগান ছিল, “দলতন্ত্র নয় গণতন্ত্র “।সিংহাসনে বসেই আপনি জারি করলেন, “গণতন্ত্র নয় দলতন্ত্র “। তার জন্যই বিরোধীদের প্রতিবাদের কন্ঠস্বরকে থামিয়ে দিয়ে মুখে “লিউকোপ্লাস্ট “লাগানোর হুমকি দিলেন ।কে কোন সংবাদপত্র পড়বে তারও ফতোয়া জারি করলেন। আপনার স্বৈরাচারী মতাদর্শ মানুষ দেরীতে হলেও বোঝার চেষ্টা করছে ।স্বৈরাচারী শাসকের কি পরিণতি তা পৃথিবীর ইতিহাসে লেখা আছে ।আপনার স্বৈরাচারী মতাদর্শ কেমন তা পরবর্তী লেখার মধ্যে তথ্য ও সত্য দিয়ে মানুষের কাছে তুলে ধরব। আর পশ্চিমবঙ্গে সর্বগ্রাসী দুর্নীতির মধ্যমণি হয়ে নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বললেন, কম কম করে খাও। রাজ্যবাসীর কাছে নতুন কর্মসংস্থানের জন্য, “ঘোষণা করলেন,কিছু কাজ পেতে হলে তৃণমূলে এসো। আর তৃণমূলে কেউ যাবে না । তৃণমূলের মধ্যে গরীব, খেতমজুর, মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েরা বামপন্থীদের পাশে আসতে শুরু করেছে ।এত সম্পদ হয় কি করে? আপনাদের পরিবারের কালীঘাটে এত সম্পদ কি করে হল? ঐ জন্যই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ই ডি কে পাটি করে সম্পত্তির উৎস কি তা খতিয়ে দেখতে বলেছে , আপনাদের দলের নেতা মন্ত্রীদের।
আইন আদালত থেকে ঘেরা শুরু হয়েছে । এরপর জনগণ ঘিরবে।চিটফান্ড মিডিয়ারাজের পিছনে ছিল বাম সরকার হঠানোর ছদ্মবেশী কান্ডকারখানা।তৎকালীন সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি উপদেশ দিয়েছিলেন, “যা গেছে তা গেছে, শান্ত থাকুন, আমি আপনাদের পাহারাদার ।” ঠিকই উনি এমন পাহারা দিলেন যা গেছে তা আর উদ্ধার করলেন না, উপরন্তু পাহারা এত শক্ত পোক্ত করে, দিলেন তাতে পার্থ সহ অন্যান্য নেতা নেত্রীদের আমাপা ডাকাতি করতে ও সঙ্গীনি নিয়ে ঘুরে বেড়াতে সাহায্য করল আর বেকার যুবক যুবতীদের জীবনের স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিল ।পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি কোন দিকে যাচ্ছে তা ভবিষ্যত বলবে।যেভাবে ধারের অঙ্ক বাড়ছে কিভাবে শোধ হবে সে সম্পর্কে সরকারের কোন পরিকল্পনা নেই ।আচ্ছা কেউ বলতে পারবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পূর্ণ সময়ের অর্থমন্ত্রী কে ? সম্প্রতি এতগুলো মন্ত্রী হলেন আর মুখ্যমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী করলেন না কেন? ??ভাবুন, ভাবতে থাকুন আর সুযোগ পেলে মুখ্যমন্ত্রী কে জিজ্ঞেস করুন আপনার অর্থমন্ত্রী কোথায় ???