‘গত বছর শুধুমাত্র একটা সরকারের পতন ঘটেনি, সাথে একটা জাতির ভবিষ্যতেরও সমাধি ঘটেছে ‘। বলছেন আধপেটা খাওয়া একজন সাধারন আফগান তরুন, বিবিসিকে দেওয়া এক গোপন সাক্ষাৎকারে ।

ওপরের এই একটা বাক্যই বর্তমান তালিবান জমানার আফগানিস্তানের দুর্দশা বুঝিয়ে দিচ্ছে। আফগান ভূমে তালিবান শাসনের একবছর পূর্ণ হল গত ১৫ ই আগস্ট । দিনটা তালিবানরা ছুটি ঘোষণা করেছিল উদযাপনের জন্য , কিন্তু সাধারন মানুষের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই কোন উচ্ছ্বাস ছিল না। আসলে আফগানদের দুঃস্বপ্ন গত এক বছরে আরও গভীর হয়েছে । বর্তমানে তারা দুটি ভয়াল বাস্তবকে সঙ্গে নিয়ে কোনরকমে বেঁচে আছে – একদিকে ভয়ঙ্কর দারিদ্র্য ও ক্ষুধা আরেকদিকে তালিবানিদের অত্যাচার । মার্কিন সেনাদের হাত থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় তালিবানদের নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেছিলেন – এরা ‘নতুন’ তালিবান , এরা আগের মতো ‘অতটা’ খারাপ নয় । কিন্তু গত এক বছরের বাস্তব চিত্র বলছে এরা সময়ের সাথে সাথে নিজেদের কোন পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি ।

‘বাকস্বাধীনতা’ বা ‘মানবাধিকার’ অনেক দূরের ব্যাপার, গত এক বছরে আফগানিস্তানে প্রায় দেড় শতাধিক সংবাদমাধ্যম সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে , দক্ষ সাংবাদিকরা এখন বেকার, সরকারের সবরকম সমালোচকদের পুরে দেওয়া হয়েছে জেলের ভেতরে , চলেছে অকথ্য শারীরিক অত্যাচার । প্রাথমিক ধাপের পরে নারী শিক্ষা প্রায় বন্ধই বলা চলে , বিমানবন্দর সহ সামান্য দু একটি জায়গা বাদে দেশের কোন কর্মক্ষেত্রেই কোন নারীর আর জায়গা নেই । সরকারী ক্ষেত্রে চাকরি করা মহিলাদের পাকাপাকিভাবে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । দেশজুড়ে পুরো দমে চালু হয়েছে শরিয়তি আইন ও পর্দা প্রথা । খুব জরুরী প্রয়োজনেই কোন নারী বাড়ির বাইরে বেরতে পারবেন, তাও বাড়ির কোন পুরুষের সাথেই । ক্ষুব্ধ আফগান নারীরা তাঁদের অধিকারের দাবিতে গত ১৩ ই আগস্ট রাজধানী কাবুলে একটি খুবই ছোট বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাঁরা তালিবানের ক্ষমতা দখলের দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে অভিহিত করে স্লোগান দেন। রুটি, চাকরি ও স্বাধীনতার দাবি সম্বলিত পোস্টার নিয়ে তারা রাস্তায় নামেন। অন্যদিকে এক মুহূর্তও সময় নষ্ট না করে রাজপথে মোতায়েন তালিবান সশস্ত্র সেনারা বিক্ষোভকারী নারীদের প্রথমে মারধর করেন। তারপর ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। ঠিক এভাবেই আফগান নারীদের সমস্ত রকম স্বাধীনতা কেড়ে নিতে তালিবান বছরজুড়ে নতুন নতুন ফতোয়া জারি করেছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রতিবেদনে বলছে, গত এক বছরের শাসনকালে দেশটির মেয়েরা আরও বেশি সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ক্ষুধার পাশাপাশি হতাশায় তারা জর্জরিত। বিশেষ করে নারীশিক্ষা ও অধিকারের ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের যে কিছুটা অগ্রগতি অর্জিত হয়েছিল, তা এই এক বছরে স্রেফ ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।

আমেরিকার কাছ থেকে ক্ষমতা বুঝে নিয়ে তালিবান দেশজুড়ে ঐক্যের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু আসলে তা ছিল লোকদেখানো । ঐক্যের বদলে বেড়েছে বিভেদ। এমনকি খোদ তালিবানের মধ্যেও বিভক্তি ছড়িয়ে পড়েছে। ক্ষমতার ভরকেন্দ্র এখন কাবুলের চেয়ে কান্দাহারে বেশি। তালিবান অংশগ্রহণমূলক সরকার গঠনের কথা বলেছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও তাদের প্রতি বারবার একই আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু গত এক বছরে তালিবান সরকারে কোনো নারী প্রতিনিধি আনেনি। এমনকি গত সেপ্টেম্বরে তাদের তৈরি মন্ত্রীসভাও এখনও পর্যন্ত ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ই রয়ে গেছে, স্থায়ী আকার পাওয়া যায় নি , তৈরি হয়নি নতুন কোন আইন বা সংবিধানও । ফলে তালিবান নেতাদের অন্ধ ধর্মীয় ফতোয়াগুলোই এখন আইন। যে কোন বিষয়ে বাদী ও বিচারক তারা নিজেরাই। যুদ্ধবিধ্বস্ত অবস্থা কাটিয়ে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যেরও কোনোরকম সাময়িক ফয়সালাও করতে পারেনি তালিবান। সংকট আছে বৈদেশিক স্বীকৃতি নিয়েও। এছাড়াও আত্মঘাতী হামলার শঙ্কায় থাকতে হয় খোদ রাজধানী কাবুলেও। গত এক বছরে দেশজুড়ে মোট ৩৯৩ টি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা মোট ৪১০০ জন । তালিবানের চ্যালেঞ্জার হিসেবে আই এস এর অবশিষ্ট একটি ‘খোরাসান শাখা’ তাদের উপস্থিতি জানান দিতে লাগাতার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে। এছাড়াও পঞ্জশির ও বাগলানে চলছে তালিবানদের সাথে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের  প্রতিরোধের যুদ্ধ। সেখানে প্রায়ই বহু মানুষ নিহত ও আহত হচ্ছেন । এমনিতে সংবাদমাধ্যমের তেমন উপস্থিতি না থাকায় দূরবর্তী ও দুর্গম অঞ্চলগুলোর সেই অর্থে কোন খোঁজখবর পাওয়া যায় না । সামাজিক জীবনধারায় আফগানরা কিভাবে কি অবস্থায় আছে , তারও কোন বিস্তারিত বিবরন পাওয়া যায় না । দুঃখজনকভাবে গোটা বিশ্বই এখন আফগানিস্তানের ব্যাপারে মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছে । আন্তর্জাতিক খাদ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী দেশটিতে রোজ ১ কোটি মানুষের জন্য খাদ্যসহায়তা দরকার , অথচ পাওয়া যাচ্ছে এর অর্ধেকেরও কম । দেশের মধ্যে বাদাখশান , আরুজাগান , জাইকুন্দি , ঘোর ইত্যাদি প্রদেশে খাদ্য পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ । রাষ্ট্রসঙ্ঘের মতে , বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংকট চলছে আফগানিস্তানে । বাবা মায়েরা তাদের কিডনি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন সংসার চালাতে , এমনকি সন্তানকেও বিক্রি করে দিচ্ছেন । আসলে নাগরিকদের ওপর ধর্মীয় ফতোয়া জারি করে দমন পীড়ন করা অনেক সহজ, তাদের খাদ্যসুরক্ষার ব্যবস্থা করার চেয়ে । এটাই তালিবান করে চলেছে । এরই মধ্যে কয়েকদিন আগে কাবুলে আল কায়দা চিফ আয়মান আল জাওয়াহারিকে দ্রোণ আঘাতে খতম করেছে আমেরিকা । খোদ রাজধানীর অভ্যন্তরে এরকম আচমকা মার্কিন হামলায় সকলেই হতচকিত হয়ে যান । আসলে জাওয়াহারিকে দীর্ঘদিন পাক-আফগান সীমান্তে আই এস আই এর সহায়তায় লুকিয়ে রেখেছিল তালিবানই , তারপর তাকে এনে রাখা হয় কাবুলের এক গোপন ডেরায় । ফলে জাওয়াহারির খবর ঐ দুই শক্তি ছাড়া আমেরিকার কাছে যাওয়া সম্ভব ছিল না । তালিবানরা তাদের দেশের অভ্যন্তরে এরকম মার্কিন হামলার নিন্দা করে লোকদেখানো বিবৃতি দিলেও মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বিদেন তার বিবৃতিতে একবারও তালিবানের নাম নেন নি । আসলে মার্কিনীরা কখনই যেমন তালিবানের সাফল্য চাইবে না, তেমনি ব্যর্থতাও চাইবে না । আমেরিকা শুধু চাইবে তাদের বশবর্তী হয়েই তালিবান সরকার চলুক ।

ফিরে দেখা ইতিহাস বলছে এক প্রজন্ম আগে আফগানিস্তানে যে বামপন্থী ‘বিপ্লব’ হয়েছিল , সেটা দায়িত্ব নিয়ে ধ্বংস করেছে আমেরিকা , ব্রিটেন আর তাদের সঙ্গীরা । ১৯৭৮ সালে আফগানিস্তানের পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি সফলভাবেই একনায়ক মহম্মদ দাউদের রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল । আমেরিকার জন্য সেই সময়কার পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সরকার ‘সমস্যাজনক’ ছিল কারন এই সরকারকে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত সরকার সম্পূর্ণ সমর্থন করেছিল । ১৯৭৯ সালে আমেরিকার জনগন ও মার্কিন কংগ্রেসের সম্পূর্ণ অজ্ঞাতসারে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জিমি কার্টার ৫০০ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেন মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সি আই এ র জন্য । যে ‘গোপন’ কাজটির জন্য এই বিপুল পরিমান অর্থ বরাদ্দ করা হয় সেটা হল আফগানিস্তানের প্রথম ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল সরকারের উৎখাত । সি আই এ’র এই প্রজেক্টের নাম দেওয়া হয় ‘ অপারেশন সাইক্লোন’ । তৈরি করা হয় ওসামা বিন লাদেন সহ বহু মুজাহিদিনকে । সি আই এ’র এইসব কাজকর্মের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল আফগানিস্তানের প্রগতিশীল ধর্মনিরপেক্ষ সরকারকে ফেলা , আর বৃহৎ উদ্দেশ্য ছিল গোটা মধ্যপ্রাচ্যে জুড়ে উগ্র ধর্মান্ধ প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটিয়ে সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েতের প্রভাব শেষ করে দেওয়া । মার্কিন ও ব্রিটেন সেনার প্রশিক্ষকরা এই মুজাহিদিন বাহিনীদের গোপন ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করে পাকিস্তানের বিভিন্ন ক্যাম্পে । পরবর্তীকালে নব্বই এর দশকে এই মুজাহিদিনদের মধ্যে সবচেয়ে রক্ষণশীল ও আরও উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর লোকজনরাই পরিচিত হয় তালিবান নামে । এরা প্রধানত কালো পোশাক পরতে থাকে । কেউ কোন অপরাধ করলে মধ্যযুগীয় শাস্তির নিদান দেওয়া শুরু হয় অর্থাৎ প্রকাশ্যে মাথা কেটে নেওয়া , হাত পা কেটে নেওয়া ,রাস্তার মোড়ে ঝুলিয়ে ফাঁসি ইত্যাদি । দেশের ব্যপক অংশের নারীদের মোটামুটি সূর্যের মুখ দেখাই বন্ধ হয়ে যায় । ১৯৯১ সালে সোভিয়েতের সম্পূর্ণ পতনের পরে মার্কিন-ব্রিটিশ চাপের কাছে আর পেরে ওঠেনি পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সরকার । স্বাধীন আফগান সরকারের শেষ বামপন্থী প্রধানমন্ত্রী ডক্টর নাজিবুল্লা রাষ্ট্রসঙ্ঘের কার্যালয়ে সাহায্যের জন্য শরনাপন্ন হলেও তাঁকে মেরে তাঁর লাশ ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে দেয় ‘মুজাহিদিন’ থেকে ভোল পাল্টে নৃশংসতায় আরও আধুনিক হয়ে ওঠা তালিবানিরা । ১৯৯৬ সাল। আফগানিস্তান জুড়ে শুরু হয় তালিবানি রাজ । আবার ততদিনে মুজাহিদিনদের আরেক শাখা তৈরি হয়ে গেছে ওসামা বিন লাদেনের নেতৃত্বে – আল কায়েদা । এই বিন লাদেনের পাতা জোড়া ছবি ছাপিয়ে একসময় ব্রিটিশ মিডিয়া তাকে তুলে ধরেছিল সোভিয়েত আগ্রাসন বিরোধী ‘শান্তি সৈনিক’ হিসেবে । এই ‘শান্তি সৈনিক’ই ২০০১ এ ধ্বংস করে ফেলে মার্কিন টুইন টাওয়ারকে । তখন সেই ব্রিটিশ মিডিয়াই আবার তাঁকে দেখাতে শুরু করে ফ্রাঙ্কেনস্তাইন হিসেবে । ফের আরেকবার আমেরিকা, ব্রিটেন সুযোগ পায় ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’র নামে মধ্যপ্রাচ্যে প্রবেশের । ২০০১ সাল । মার্কিন, ব্রিটিশ মানবাধিকারের ডকট্রিন তখন চুলোয় , এফ ১৬ বিমান নিয়ে আল কায়দা ও তালিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে আমেরিকা । যত্রতত্র আফগান জনপদের ওপরে নির্বিচারে বোমা ফেলা হয় । আমেরিকা , ব্রিটেন ও ন্যাটোর এই ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ গত কুড়ি বছরে শুধু আফগানিস্তানেই অসামরিক নিহত মানুষের সংখ্যা লক্ষ ছুঁয়েছে । উদ্বাস্তুর সংখ্যার নিরিখে আজ বিশ্বে দ্বিতীয় আফগানিস্তান। আসলে ২০০১ এ শুরু হওয়া সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছিল একটা ধাপ্পাবাজি। টুইন টাওয়ার ধ্বংসে ওসামা বিন লাদেনের আল কায়েদার নাম উঠে এলে তালিবানরা তার থেকে নিজেদের দুরত্ব তৈরি করে । এমনিতে এই ঘটনার আগেই তালিবানদের সাথে গোপন চুক্তি করে বিল ক্লিনটন প্রশাসন তাদের সাহায্যে তিনশ কোটি ডলারের প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন পাতার কাজটা সম্পন্ন করে ফেলেছিল । এজন্য গোপনে তালিবান নেতাদের আমেরিকাতে নিয়ে এসে টেক্সাসে ইউনোকাল কোম্পানির সি ই ওর বিলাসবহুল বাংলোতে আদর আপ্যায়নের ব্যবস্থা করে সি আই এ । তালিবান নেতাদের এই আদর আপ্যায়ন ও তাদের সাথে ঐ চুক্তির প্রধান প্রস্তুতকারী ছিলেন ডিক চেনি , পরবর্তীকালে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময়কার মার্কিন উপরাষ্ট্রপতি ! আসলে এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছিল এই গুরুত্বপূর্ণ স্ট্র্যাটেজিক অঞ্চল সহ তার প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর সম্পূর্ণ দখলদারি ও পরিবহন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ।  

ঠিক এইভাবেই একটা দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করার কাজটা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , ব্রিটেন ও তার সহযোগীরা । কুড়ি বছর আগ্রাসনের শেষে ফের আরেকবার গতবছর তাদেরই তৈরি ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সাথে আলাপ-আলোচনা ও চুক্তি করে তাদেরকে বৈধতা দান করে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়েছে সি আই এ। আপাতত নিজেদের মিলিটারি সংক্রান্ত ব্যয় কমাতে এই সিদ্ধান্ত , কিন্তু তালিবানকে ক্ষমতায় বসিয়ে রাখা মানে পরবর্তীতে আবারও নিজেদের প্রয়োজনমতো আগ্রাসনের রাস্তা খোলা রাখা – এটাই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নীতি ।