বর্ষশেষে ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত কিছু সংবাদ (‘গণশক্তি’ নয়)। ‘ইনসাফ যাত্রা’ সেখানে নজর কেড়েছে বটে; শেষপর্বের ছবিসহ খবর ছাপানো তারই প্রমাণ। অন্যদিকে এইধরনের মিডিয়ার স্বীকৃতি পাওয়া যে ‘ইনসাফ’এর শেষ কথা নয় সেটা প্রমাণ করার দায় কিন্তু থেকেই যাচ্ছে আমাদের যুবশক্তির ওপর। দায় থেকে যাচ্ছে তাদের শক্তি-আহরণের চেষ্টার ভিতরেও নকল অহমিকায় হতাশার বিষ মিশিয়ে কারা অলক্ষ্যে চারিয়ে দেবার চেষ্টা করে যায় তার হদিশ রাখার। কেননা, সোশ্যাল মিডিয়া-সহ বাজারি মিডিয়ার প্রচারের বেশির ভাগটা জুড়ে রয়েছে অন্য জিনিস। তিন রাজ্যে জিতে ভারতের ‘হিন্দি হৃদয়ভূমি’তে মোদির প্রতিষ্ঠালাভের পর থেকে এরা যে পুরো বিরোধীপক্ষকেই প্রকাশ্য অবজ্ঞার সঙ্গে দেখা শুরু করেছে তাও সেখানে স্পষ্ট।

১৪৬ জন সাংসদ সংসদ থেকে বহিষ্কৃত এবং সেই সুযোগে সেখানে তিনদিনের মধ্যে বিনাবাধায় আমাদের আইনি ব্যবস্থা এবং নির্বাচনী ব্যবস্থা পালটে দেওয়া হয়েছে এই প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবাংলার কিছু সংবাদপত্রের মূল বক্তব্য ‘ইন্ডিয়া জোটে’র প্রতিবাদসভায় মৌসম নূর ব্যতীত অন্য তৃণমূল সাংসদদের অনুপস্থিতি, জোটসম্বন্ধে তাদের তাচ্ছিল্য; পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস (পরোক্ষে বামেরাও) এঁটোকাঁটা যাই পাক তাই নিয়ে তৃণমূলকেই ভুবনের ভার নিতে দিক, এখানে জোটের কোনো গুরুত্ব নেই এবার্তাই তারা পাঠকসমাজে চারিয়ে দিচ্ছে। বামপন্থীদের কোণঠাসা করার ও তৃণমূল-বিজেপির ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পশ্চিমবঙ্গে খেলা চালাতে দেবার প্রকল্পের একদিক এটা তাতে সন্দেহ নেই; কারণ বামেদের কাছে জোট এককালীন নির্বাচনী প্রকল্প নয়। ফ্যাসিস্টদের পরাজিত করতে বিরোধী শক্তির প্রসার বাড়ানোর জন্যই জরুরি তা। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক জোটের ডাক তো বামপন্থীদেরই দিতে হবে।

পাতা উল্টেপাল্টে আরো কিছু খবর দেখা যাক। আপাতদৃষ্টিতে যা এলোমেলো মনে হবে; কিন্তু লাইন টানলে তার জ্যামিতিক তাৎপর্য ধরা পড়বে। র‍্যাট-মাইনারদের সংক্ষিপ্ত বিদায় জানিয়ে নিরাপত্তাসংক্রন্ত রিপোর্ট আসার আগেই সিলওয়ারা টানেলের কাজ আবার শুরু হতে চলেছে। ওদিকে ইজরায়েল থেকে নেতানিয়াহু মোদিকে ফোন করে মৃত, বিতাড়িত ও বন্দি আরব শ্রমিকদের জায়গায় আমাদের দক্ষ ও বশংবদ নির্মাণশ্রমিকদের ভাড়া করে নিয়ে যেতে চাইছে তার দেশে। বিপুল নির্মাণ দিয়ে দখলের শীলমোহর লাগাতে হবে গাজার ধ্বংসস্তূপে। জম্মুকাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল অনুমোদন পেল সর্বোচ্চ আদালতের, যে আদালতের সম্মতিতে বৈধতা পেয়েছে বাবরি মসজিদের ধ্বংসভূমিতে রামমন্দির প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও; সেই রামমন্দির উদবোধনের তারিখ ক্রমে এগোচ্ছে, পুরনো অযোধ্যাকে গুঁড়িয়ে দুদিন বাদেই সেখানে খুলে যাবে ‘মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম’ বিমানবন্দর। এই উৎকট নির্মাণের মহোৎসব যেন তুচ্ছ করেই দেবে সাক্ষী মালিক-বিনেশ ফোগট-বজরং পুনিয়াদের ক্ষোভকে!   

এখানে আবার সংবাদে কিছুটা গুরুত্ব পাচ্ছে রামমন্দির উদবোধনের আমন্ত্রণ কারা গ্রহণ করবে আর করবে না তার হিসাব। সি পি আই(এম) থেকে এ আমন্ত্রণের যে জবাব হতে পারত তা প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু মনে হচ্ছে রাম-মন্দিরগমনে কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধির সম্মতি এখনো না আসাটা একটু বিপদে ফেলেছে আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে। পোষ্য মিডিয়ার মারফৎ জানানো হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষভাবে বিবেচনা করছেন তাঁর যাওয়া-না-যাওয়া কীধরনের রাজনৈতিক বার্তা দেবে। এবিষয়ে তাঁর দেওয়া রাজনৈতিক বার্তা যে জাতীয় ক্ষেত্রে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ! বিশেষত নড্ডা-শাহ্‌ যেখানে এরাজ্যে তাঁদের বার্তা দিয়ে গেছেন।

আসলে রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশে ‘নরম হিন্দু’ কংগ্রেস নেতৃত্ব বিরোধী জোটের যে ক্ষতি করল তার আঁচ পোয়াতে পোয়াতে মমতা নানা জ্ঞানগর্ভ কথা বলছিলেন। কিন্তু খার্গে তাঁর এবং কেজরিওয়ালের প্রস্তাব-অনুযায়ী হবু প্রধানমন্ত্রী বনবার প্রস্তাব অতিদ্রুত খারিজ করে দেওয়াতে তিনি একটু দমে যান। ধনখড়ের জাট-রাজনীতির জবাবে সংসদীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলে তাঁর প্রতি খার্গের কড়া উত্তরও কংগ্রেসের মর্যাদাকে কিছুটা সামনে এনে জোটের মধ্যে মমতার প্রাধান্যবিস্তারের চেষ্টায় খানিক ঠাণ্ডা জল ঢেলেছে। খার্গে যে বামপন্থীদের জোটের দৃষ্টিভঙ্গিরই অনুকূল কথা বলেছেন এটা বুঝিয়ে দিয়ে যে জোটের আসল উদ্দেশ্য ফ্যাসিস্ট শক্তির মোকাবিলা, ক্ষমতা নিয়ে খাওয়াখাওয়ি নয়! এইসব ধাঁধা-লাগানো জাতীয়-আন্তর্জাতিক খবরগুলিকে একত্র করলেই তাদের প্রেক্ষিতে হতে পারে আমাদের ‘ইনসাফ যাত্রা’ বা সাধারণভাবে বামপন্থী আন্দোলনের স্ব-মূল্যায়ন। আমাদের নিজেদের বৃত্তের মধ্যে থেকে গিয়ে যা কখনো হবে না।

আমাদের প্রতিপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু খুব পরিষ্কার। প্রায় একশো বছর ধরে পরীক্ষিত তাদের কর্মপন্থা। তারা জানে, যে আগুন নিয়ে তারা খেলা করে তা লুকোনো আছে আমাদের থাকবন্দি সমাজবাস্তবের মধ্যেই। ধর্ম জাতপাত ও গোষ্ঠীগত সংস্কার, আদিবাসী-অ-আদিবাসীর বিভাজনের সংস্কার মানুষের অস্থিমজ্জায় জড়িয়ে থাকে। তারা জানে, তলায় তলায় নিঃশব্দে কাজ করে কোথায় কোন্‌টাকে উশকে দিয়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে সেটা শুধু বুঝে নেবার ওয়াস্তা। বর্তমানে এটা চালানোর মতো অর্থবল ও লোকবল তাদের আছে। একটা জায়গায় এসেই শুধু তাদের খন্তা-শাবল-বুলডোজার আটকে পড়ে। মোহন ভাগবতের ভাষায় সেটাই ‘সাংস্কৃতিক মার্কসবাদ’।

মার্কসবাদী শব্দভাণ্ডারে কথাটি নেই; বরং তা দক্ষিণপন্থী দর্শনেরই অবদান। কিন্তু শত্রুর চোখ দিয়ে নিজেকে দেখলে তবে তো আমরা বুঝি কেন মার্কসবাদীরা তাদের  কাছে বিপদ! তাদের এই পরিভাষা ইঙ্গিত দেয় যে বৈষম্য ও বিভাজনের সংস্কার যেমন বিজেপি-আর এস এস-এর আমদানি করা জিনিষ নয়, তার শিকড় রয়েছে যারা নিজেদের উদারপন্থী বলে, এমনকী যারা নিজেদের মার্কসবাদী বলে তাদের মধ্যেও, ঠিক তেমনই মার্কসবাদের দার্শনিক অন্তঃসার, সমতা ও সহযোগিতার ‘সংস্কার’ও এদেশে ঐতিহাসিক কারণেই শুধু মার্কসবাদী পার্টির লোকেদের মধ্যে সীমিত নয়, তা উদারপন্থী রাজনীতিরও অঙ্গীভূত। যেকারণে আমাদের সংবিধানে ‘সমাজতান্ত্রিক’ ও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ কথাদুটিকে স্থান দিতে হয়েছে।

শুধু মার্কসবাদী পার্টি নয়, সমাজদেহ থেকে সেই ‘সাংস্কৃতিক মার্কসবাদ’কেই নির্মূল করতে না পারলে ভাগবতদের চোখে ঘুম নেই। সমাজের মধ্যেকার এই ‘মার্কসবাদী পর্যাবরণ’ বা ‘ইকো-সিস্টেম’, যা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় থেকে সারাদেশের বঞ্চিত মানুষের অনেক লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে, তাদের দখলদারি প্রকল্পের সামনে মূল বাধা। একে বিদেশি মতাদর্শ বলে এককথায় ওড়ানো যায় না, তারা জানে। এই অভিধার অন্তর্ভুক্ত বলেই পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দিতে হয়েছে পানসারে, দাভোলকর, গৌরী লংকেশদের, কারারুদ্ধ করতে হয়েছে তথাকথিত ‘আর্বান নকশাল’দের, যদিও তাঁদের অনেকেই অন্তত নির্দিষ্ট রাজনৈতিক অর্থে নিজেদের মার্কসবাদী বলবেন না।

পশ্চিমবঙ্গে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি, দাঙ্গার রাজনীতির ইতিহাস আছে। জাতপাতের বিভাজন নেই একথা বললে অসত্য বলা হবে। বিশেষত চৈতন্যদেবের পরে জাতপাতবিরোধী আন্দোলন ভারতের অন্য অংশের তুলনায় বাংলায় কমই হয়েছে। অন্যদিকে আবার গোড়া থেকেই ইনসাফকামী শ্রমিক-কৃষকের লড়াইয়ের এক প্রধান পীঠস্থান এই রাজ্য। বিশেষ করে সেই লড়াইয়ের কারণেই ধর্ম ও জাতপাতের বিভাজন এখানে অনেক বছর ধরে তেমন ছড়াতে পারেনি।

যারা মতাদর্শগত প্রভাব তৈরি করে সেই শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপরেও আমাদের প্রতিপক্ষের কথিত ‘সাংস্কৃতিক মার্কসবাদ’ তার প্রবল প্রভাব দীর্ঘদিন ধরে রেখে গিয়েছিল। গত কুড়িপঁচিশ বছরে নয়া উদারবাদের আঁওতায় সেই শ্রেণির পরিবর্তন আমাদের সাংস্কৃতিক পর্যাবরণে ভূমিকম্প ঘটিয়েছে। আর আমরা যারা নিজেদের ‘মার্কসবাদী’ বলি তাদের একটি বড়ো অংশ যেহেতু এই শ্রেণি থেকেই আসে সেকারণে আমরা যা বলছি বা করছি তা নিয়ে গভীর আত্মসমীক্ষণের প্রয়োজন থেকে যাচ্ছে। নাহলে আমাদের অভ্যন্তরীণ ফাঁকগুলিই ‘সাংস্কৃতিক মার্কসবাদে’র নিধনে বিপক্ষের খন্তা-শাবলগুলির পথ করে দেবে।

এই যে ‘মার্ক্সীয় পর্যাবরণে’র কথা আমাদের প্রতিপক্ষ বলছে, যাকে তারা বিপদ বলে মনে করছে, সেসম্বন্ধে আমাদের নিজেদের বোধ কতটা তীব্র সেই হিসাবটি বিশেষভাবে জরুরি হয়ে পড়ে যখন মনে করি যে এর নির্মাণে বরাবরই মার্কসবাদীদের একটি জরুরি সক্রিয় ভূমিকা ছিল। আজ সেই ভূমিকার প্রয়োজন আরো বেড়ে গেছে যেহেতু বর্তমান বাস্তব পরিস্থিতি সেই পর্যাবরণে অনবরতই ক্ষয় ঘটাচ্ছে। এই বিশেষ সাংস্কৃতিক পর্যাবরণ শুধু লেখা, বক্তৃতা, মিছিল বা জমায়েতের অংকের হিসাবে তৈরি হয় না, যদিও এইসবই তার প্রত্যক্ষ অংশবিশেষ। এসবে প্রভাব তৈরি হয় একথায় সংশয় নেই; কিন্তু কীধরনের প্রভাব, তা কতোটা স্থায়ী তার খতিয়ানও সেইসঙ্গে করা দরকার হয়।

আর ‘সংস্কৃতি’ কথাটি একদিক থেকে বোঝায় ‘একত্রে করা কাজ’কে, শুধু মানসিকতা বা মতাদর্শকে নয়। সবার সক্রিয় অংশগ্রহণে সংস্কৃতির লাগাতার আনুভূমিক নির্মাণ হয়, তা ‘সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ’ই হোক আর ‘সাংস্কৃতিক মার্কসবাদ’ই হোক। নব্বইয়ের দশকে সংঘ-পরিবারের ‘রামশিলা’ কর্মকাণ্ডে মানুষকে অংশগ্রহণ করিয়েই নিশ্চিত করা হয়েছিল বাবরি মসজিদ ধ্বংসে তাদের দায়বদ্ধতা। দুদিন আগে কলকাতায় ময়দানে সম্মিলিত গীতাপাঠও এমনই এক সক্রিয় অংশগ্রহণ করানোর কার্যক্রম, যদিও পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি নেতৃবৃন্দ তার তেমন সদব্যবহার করতে পারেনি। তৃণমূল বিবেকানন্দকে নিয়ে ফুটবল খেলে তার ‘বার্তা’ রেখেছে। তৃণমূল-বিজেপির এইসব অংশগ্রহণ করানোর খেলা আসলে মানুষের বাধ্যতা সুনিশ্চিত করার জন্যই। কিন্তু মানুষের নিজস্ব উদ্যোগ তৈরি করার জন্য মানুষের সঙ্গে একত্র ‘কৃতি’র পথে এগোনো মার্ক্সীয় চর্যারই আবশ্যিক অঙ্গ। ধর্ম নিয়ে কথা বলে কোণঠাসা হবার ভয়ে মার্কসবাদীরা কি এইসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিবৃতিতেই সীমিত থাকবে?

আপাতত ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত, হয়তো তার পরেও অযোধ্যার রামমন্দিরের উদবোধন নিয়ে বিপুল প্রচার জনাবর্তে চলতে থাকবে। মার্কসবাদী ছাড়া অন্য বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা কেউ উদবোধনে হাজির থাকবেন না এমনটা হলফ করে বলা যায় না, যদি না সাধারণ মানুষের মধ্যে এর বিপরীতে কিছু স্পষ্ট ব্যাপক প্রতিক্রিয়া থাকে। বহু সংস্কৃতিকর্মী তো দেশে বা রাজ্যে রয়েছেন যারা অসাংবিধানিক শুধু নয় সাংস্কৃতিক দিক থেকে বীভৎস এই রামমন্দির উদবোধনের ভবিষ্যৎ ভয়ংকর প্রভাবের কথা ভেবে উদবিগ্ন। পত্রপত্রিকায় সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিবাদী বিবৃতিও দেখা যাচ্ছে না তা নয়। আমরা কি পারি না তাঁদের সবাইকে নিয়ে জোট বেঁধে যেখানে যেমনভাবে সম্ভব পাড়ায় মহল্লায় বস্তিতে গ্রামের উঠোনে খেলার মাঠের ধারে স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে করে পোস্টার বানিয়ে গান বেঁধে গান্ধিজির প্রিয় ভজন, কবিরের ভজন, লালনের গান, সন্তদের বাণী, আম্বেদকরের উক্তি  ব্যবহার করে জাঁকজমকের রামমন্দিরের বিপরীতে সৌহার্দ্য ও সমন্বয়ের বার্তা মানুষের সামনে রাখতে? এব্যাপারে স্থানীয় মানুষের উদ্যোগ তৈরি করতে?

যেকথা দিয়ে শুরু করেছিলাম সেখানে ফিরে গিয়ে বলি, আমাদের যুবশক্তির ইনসাফ যাত্রা যাদের জন্য, ইনসাফের দাবি রয়েছে তাঁদের নিজেদেরই ভিতরে। তাঁদের মনের কথাকে  মুখের ভাষায় নিয়ে আসাটা জরুরি। আমাদের কাজ সেটাই। সংবাদমাধ্যমের সবটা দখল করে আজ যারা অকথ্য আস্ফালন করছে তাদের উপস্থিতিকে ডুবিয়ে  ইতিহাসে নিজেদের জায়গা তৈরি করতে পারে শুধু মেহনতি জনসাধারণ। আমাদের সব জোটের তো তারাই লক্ষ্য। ‘সাংস্কৃতিক মার্কসবাদে’র জুজু যারা দেখে তারা আসলে জনসাধারণের সংস্কৃতির মধ্যেকার সৌহার্দ্য ও সমন্বয়কেই ভয় পায়। আমাদের চলার পথ তাকে আবিষ্কার করতে করতেই শুধু এগোতে পারে। এ পথে একা পড়বার কোনো প্রশ্ন নেই।