রামমন্দিরে ছিল ছাপ্পান্ন ভোগ। কুড়ি ধরণের মিঠাই, কুড়ি কিসিমের শুকনো ফল ও ষোলটি ব্যঞ্জনে ছাপ্পান্ন ভোগ। ভোগের মাধুর্যে ছাতি ছাপ্পান্ন ইঞ্চি হয়ে যাবে। যেমন ছাপ্পান্ন দিন লোকমুখে ঘুরল শাহজাহান-মমতাজের ভেড়িমহলের অলৌকিক কিস্যা। হুমায়ুন আজাদের উপন্যাস ‘ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে’ নায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদের স্ত্রীর নাম মমতাজ। পাঁচ আর ছয় যোগ করলে এগারো। দুটি এক। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি প্রশ্ন করেছিলেন, a + b হোলেস্কোয়ার ইকুয়াল্টু a স্কোয়ার + b স্কোয়ার + 2ab; 2ab একস্ট্রা আঁয়াঁ কাঁহাঁসেঁ? বানিয়ার কাছে ফাউ শব্দটা ফায়দার মত মধুর। দুটি abর সূত্রের সঙ্কেত ভারতেই আছে। একটি ছাপ্পান্ন ইঞ্চির, অপরটি ছাপ্পান দিনের। ab কথার অর্থ কি আদানি-আম্বানি ভাই? সেটাই বাংলার উপকথায় লোকমুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? দুটি বহমান নদীর সঙ্গমকে বলা হয় – সেটিং। এই সেটিং সঙ্গমে অবগাহনে আপনি পূণ্যমুক্ত হতে পারেন। ছাপ্পান্ন দিন যখন হেলিকপ্টারে অন্তরীক্ষে, ছাপ্পান্ন ইঞ্চি তখন দ্বারকার সুমদ্রের রসাতলে। জলে স্হলে অন্তরীক্ষে দুই শক্তি ভারত ব্যালেন্স রাখছেন।

 একস্ট্রা 2ab সমস্যার সমাধান ইসরোর বৈজ্ঞানিকরাও হাজির করতে পারেননি। কাজী নজরুল ইসলামের মহাভারতে ইঙ্গিত নেই। লায়লা-মজনু, ইউসুফ-জুলেখা, শিঁর-ফরিয়াদের বিয়োগান্তক কাহিনী যেমন সুফী কবিদের আন্দোলিত করেছে, তেমনই ছুঁয়ে গেছে রাধা-কৃষ্ণের লীলা। লালন ফকির, আকবর, লাল মামুদ, সৈয়দ মুর্তুজা, নসির মামুদ, আলী রাজা, চম্পা গাজী, মুহম্মদ কাসিম, কমর আলি থেকে ওয়াহব- কত নাম বলব? হিন্দু গিরীশ চন্দ্র সেন প্রথম কোরআন শরীফ বাংলায় অনুবাদ করেন। কিন্তু বিদ্রোহী কবির মহাভারত খুঁজে পেলাম না। প্রথাগত শিক্ষায় আমার জীবনে একস্ট্রা 2ab খুঁজে পাইনি। এখানেই ছাপ্পান্নপন্হীরা ভিন্ন। গোপাল যখন ইস্কুলে যায়, তখন ওনারা স্টেশানে চা বিক্রী করেন, পুকুরে কুমীর পালন করেন, গোঁফের রেখা গজাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কিংবা হিমালয়ে সাধনায় মগ্ন। ভগ্ন টালির বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছেন ছাপ্পান্ন দিন। জরুরী অবস্হার দুর্বৃত্তদের আস্কারায় গোপনে লালিত হচ্ছেন। ছাব্বিশ দিনের অনশনের গল্প ছাপিয়ে ছাপ্পান্ন দিনের শাহজাহান-মমতাজের ভেল্কির মহাভোজ।

বাংলায় যা উন্নয়ন, গুজরাতিতে তাই বিকাশ। বিকাশ কোম্পানির ক্যারিওকর্তারা বাংলাতেও করে খাচ্ছেন। ছাপ্পান্ন ইঞ্চির প্রধানমন্ত্রী আবাঁশ যোজনা বা ছাপ্পান্ন দিনের বাংলার আবাঁশের টাকায় শাহজাহানদের রাতের পিঠে হয়, এটা নাকি ছাপ্পান্ন ইঞ্চি জানেন না, ছাপ্পান্ন দিনও জানতেন না। সেনাপতি সপাটে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করলেন, কী করেছে শাহজাহান? একস্ট্রা 2abর মত ভারতবর্ষের বুদ্ধিজীবীরা ভ্যাবলা বনে গেছেন। কথায় বলে, একটা স্ফুলিঙ্গ থেকে লঙ্কাকান্ড হয়ে যেতে পারে। ইডি মাত্র বিশ হাজার কোটির রেশন কেলেঙ্কারির সুলুক সন্ধানে শাহজাহানের আতিথ্য গ্রহণ করতে গিয়েছিল ৫ই জানুয়ারী। খুব বেশী হলে শাহজাহান গ্রেপ্তার হয়ে যেতেন। ঢোল-পার্থের সাথে দিন কয়েক কয়েদে গুজরান। প্রতি আক্রমণে গিয়ে আদিবাসীর জমি দখল, ভেড়ির ব্যবসা, লোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়া থেকে রাতে পার্টির অফিসে ছবি দেখে নির্বাচিত পছন্দের মহিলাদের নিয়ে স্ফূর্তি সারা পৃথিবী জানতে পারত না। নারায়ণ গোস্বামী, সুজিত বসু থেকে খোল পার্থর কেত্তন প্রয়োজন হত না। মমতার ভালবাসা ঢোল পার্থ থেকে খোল পার্থে নিয়ে গেল।

ছাপ্পান্ন সংখ্যাটা গুরুত্বপূর্ণ। পাঁচ আর ছয়। পঞ্চম ডিজির পর ষষ্ঠ ডিজি শিংওয়ালা যম-মুকুট পরে সবে মঞ্চে উঠেছেন। নপরাজিত মুখোপাধ্যায়, জি.এম.পি রেড্ডি, সুরজিত কর পুরকায়স্হ, বীরেন্দ্রর পর মদন মোহন মালব্যের কোন ভাল কাজ জানেন? পুলিশ তৃণকালে পাইক হয়ে গেছে। জমিদারের রক্ষণাবেক্ষণ প্রাথমিক ও প্রধান কর্তব্য। জমিদার শেখ শাহজাহান, পাইক শেখের বান্দা। পাইক কখনও প্রজাদের দুঃখ শুনে জমিদারকে প্রশ্ন করে? জমিদারের ভোগের পর ভোগের বর্জ্র, তথ্য-তলাশ পাইকারি হারে লোপাট করে পাইকের প্রধান হওয়া যায়। যিনি পাইকের জন্য ধর্নায় বসেন, পাইক বিনিময়ে ধর্নাবাজের সেবা করেন। সন্দেশখালি বা ন্যাজাট থানা কী করবে? পাইকের মূল কর্তব্য জমিদারের কাছারি বাড়িতে পেন্নাম ঠুকে তাঁবুতে যাওয়া। ব্রিটিশ যুগের পুলিশের চরিত্র বহু চলচ্চিত্র বা উপন্যাসে চিত্রায়িত হয়েছে। রামভক্ত ছাপ্পান্ন ইঞ্চি সমুদ্রের অতলে দ্বারকার বিষ্ণু মন্দির খুঁজে পাচ্ছেন আর পিঠেবাড়ি খুঁজে পাননি, এটা মানা যায় না। আদিবাসীদের ভোটের জন্য সেই সম্প্রদায় থেকে রাষ্ট্রপতি দিয়েছেন, তবু আদিবাসী চেনেন না?

যে আবাঁশের টাকা জনগন পাননি, সেই আবাঁশের বকেয়ার হিসাব নিয়ে ছাপ্পান্ন ইঞ্চি আর ছাপ্পান্ন দিন ছাপ্পান্ন সপ্তাহ ধরে লড়ছেন। স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান! প্রধানমন্ত্রী নরক যোজনার কোন সড়কই নেই কেবল সাইনবোর্ড আছে। সেই নরকের হিস্যা নিয়ে টাগ-অব-ওয়ার। সেনাপতির রাজঘাট থেকে ফুস মন্তরে যন্তর মন্তর খেলছেন। রেলের কামরায় জানলা খোলা-বন্ধ নিয়ে দুই যাত্রীর বচসা থেকে মারামারি। একজন বলছে, জানলা খুললে ঠান্ডা লেগে সর্দি হবে। আরেক জনের বক্তব্য, তিনি হেঁপো রুগী। বাতাস ছাড়া বাঁচবেন না। রক্তারক্তির পর দেখা গেল জানলার কাঁচটাই নেই। একশ দিনের কাজের খতিয়ানে শেখবাবুর ভেড়ির আল হয়েছে শুধু, সে টাকাও গরীবরা পাননি। তাহলে সমস্যা কোথায়? ছাপ্পান্ন ইঞ্চি পরিষ্কার করে বলছেন না, কিংবা ছাপ্পান্ন দিন সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে দাবী জানাচ্ছেন না। অথচ ছাপ্পান্ন দিনের মনু সিব্বাল, কপিল সিঙ্ঘভিরা শীর্ষ আদালতের বাইরে আইনী সুরক্ষার বাটি হাতে তাঁবু খাটিয়ে বসে থাকেন। জনগনের জন্য কোন উৎসাহ নেই। একস্ট্রা 2ab নিয়ে উন্নয়ন আর বিকাশের বচসা বন্ধ হোক।

বাংলার বাঘ ছিলেন স্যার আশুতোষ মুখুজ্জে। সে কাহিনী অতীত, এখন পুরোটাই শান্তিনিকেতন মল। বীরভূমের বাঘ তিহাড়ে, সন্দেশখালির বাঘ পুলিশের জিম্মায়। বাঘ পুলিশকে নিরাপত্তা দিয়েছে। এখন পুলিশ বাঘকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। প্রধান বিচারপতি সিবিআই জুজুর ভয় দেখাতেই আহত মমতাজ বাঘ রিস্ক নিতে চাননি। দশ বছরে বাংলার জনগনের স্বার্থে ছাপ্পান্ন ইঞ্চি কোন তদন্ত শেষ করেছেন? ইডি বা সিবিআই কলুর বলদের মত ঘুরে যাচ্ছে। ছাপ্পান্ন দিন যেমন বকেয়া নিয়ে লেজে খেলাচ্ছেন, ছাপ্পান্ন ইঞ্চি তেমন তদন্ত নিয়ে বেড়াল-ইঁদুর খেলছেন। উভয় দলের পিঠেমশাইরা সংবাদ মাধ্যমে সান্ধ্য মজলিশে বসে গলার শিরা ফুলিয়ে চিৎকার করছেন। শাহজাহানের পিঠেমশাই আর Bridgeভূষণের পিঠেমশাই মোরগ লড়াই খেলছেন। নীরব-ললিত মোদী, মেহুল চোক্সির পিঠেমশাই আর বিনয় মিশ্রের পিঠেমশাই এক সূত্রে গাঁথা। সেই সুতোর নাম আর.এস.এস। লকেটে ছাপ্পান্ন। শোলের কয়েনের মত। হেড পড়লেও ছাপ্পান্ন, টেল পড়লেও সেন্ট্রাল ভিস্তায় ছাপ্পান্ন। আপনি দিনে দিনে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে সর্বনাশ বুঝে নেবেন।

ভোট আসলে ছাপ্পান্ন ইঞ্চি আসবেন। নির্ভয়া কান্ডে সরকারী উকিল রাজীব মোহন সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করেছিলেন। সেই রাজীব মোহন Bridgeভূষণের পক্ষে লড়বেন! প্রতিদিন যে গ্রামের মহিলাদের মাংস শাহজাহান বাঘ খেতেন, তাঁর নিরাপত্তা দেবেন রাজীব কুমার? আপাত শান্ত নিরীহ গ্রাম্য মহিলারা পায়ে পিষে মারতে চাইছেন শেখবাবুকে। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি বা ছাপ্পান্ন দিনের রাজত্বকালের পক্ষে ভাল বিজ্ঞাপন নয়। রাজীব কুমারের শাসানি ইজ্জত, বাস্তু, জমি হারানো মহিলাদের স্তব্ধ করতে পারছে না। পাইক চাবুকে গরীবদের শাসন করবে, সেটাই রীতি। ছাপ্পান্ন দিনের আন্দোলন লগ্নে জন্ম। ছাপ্পান্নটি ভাষা জানেন। একশ তেতাল্লিশটি বই লিখেছেন। আসুক না, কোন ভাষায় কথা বলবে! সন্দেশখালিতে পা রাখতে ভয় পাচ্ছেন। কামদুনিতে মহিলাদের রূপ তিনি দেখেছেন। তিনি হাতা খুন্তি দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নেড়ে দিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। সন্দেশখালির আদিবাসী মহিলা লাঠি, ঝাঁটা হাতে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে বসে আছেন। প্রবল প্রতাপশালী অজিত মাইতিকে থরথর করে কাঁপতে দেখেছেন। গরীব চাষার সামনে হারিয়ে যাবে ভাষা।

সন্দেশখালি শাহজাহান-মমতাজরা বিরোধী শূন্য করেছিলেন। আজ দুষ্কৃতি শূন্য হয়ে গেছে। সিরাজুদ্দিন থেকে অজিত, শঙ্কর, শিবু, উত্তমরা নেই। সিরাজুদ্দিনের পাইকরা বলছে, আমাদের কাছে অভিযোগ জমা দিন। বিগত ১৩ বছর সেই পাইকের কাছে গেলে শাহজাহানের বিছানায় পাঠিয়েছে। বিধানসভায় বিধায়ক নিরাপদ সর্দার অত্যাচারের বর্ণনা দিতে গেলে মাইক বন্ধ করে দিয়েছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সোনালী গুহ। আজ সেই নরাধমদের কথা বলার মুখ আছে? মানুষ কেবল হতভাগ্য দরিদ্র নিঃস্ব মহিলাদের আর্তনাদ শুনেছে। কোন বিচার হয়নি, কেউ দোষী সাব্যস্ত হয়নি। ফুটফুটে সুন্দর বাচ্চাদের চিহ্নিত করে ফেলেছে জনতা। কেবল বাংলা নয়, সমগ্র ভারত নয়, বিশ্ববাসী জেনে গেছে ছাপ্পান্ন দিন আর ছাপ্পান্ন ইঞ্চির গোপন ষড়যন্ত্র। মানুষ স্বাধীনতার যুদ্ধে নামবে। গ্রামের মহিলারা বলছেন, এই ঘৃণিত বীজকে বাংলা থেকে নির্মূল করতে না পারলে সৎ মানুষের বাঁচার অধিকার নেই। একস্ট্রা 2ab চাই না। মানুষ যত দিন চাঁদনী রাতে ভেড়িমহলের মাছ দেখবে, শাহজাহানকে মনে রাখবে। থাকবেন মমতাজ।

ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ক্যারিওকর্তা দেবদাস, প্রদীপ, সুকান্ত মন্ডলদের শাহজাহান-মমতাজরা ২০১৯সালের ৮ই জুন খুন করেন। অধার্মিক, কৃতঘ্ন ছাপ্পান্ন ইঞ্চির কোন প্রতিক্রিয়া ছিল? তিনি মালদ্বীপের সৈকতে বিশ্রামরত। ছাপ্পান্ন ইঞ্চির কোতোয়াল অমিত শাহ অনুপ্রবেশ নিয়ে এত কথা বলেন, অথচ ছাপ্পান্ন দিনের পাইক শাহজাহানের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবার অভিযোগ আনল। নাদির শাহ কথা বলতে পারবেন? ছাপ্পান্ন দিন থাপ্পর মেরে দাঁত ফেলে দেবেন। লিপ ইয়ারের পূণ্য তিথিতে শাহজাহান মাতুল গৃহে যাত্রা স্মরণীয় করে রাখতে ছাপ্পান্ন দিন যাঁর কোমরে দড়ি পরাবেন বলেছিলেন হাতে খড়ির ভবনে সেই ছাপ্পান্ন ইঞ্চির সাথে দেখা করলেন। বুদ্ধবাবু কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণের কথা বলেছিলেন, সুশীলরা শাহজাহানের ভেড়ির জমি দখলের পক্ষে। বুদ্ধবাবু কর্মসংস্হানের কথা বলেছিলেন, রুদালীরা শেখের পিঠে খাবার পক্ষে। বুদ্ধবাবুরা ভূমি সংস্কার করেছিলেন বর্গার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে। পরিবর্তনের হোর্ডিংএ কাটা মুন্ডুরা গরীবের বর্গা জমি কেড়ে শাহজাহানের আলাঘরে নারীর ইজ্জত লুন্ঠনের পক্ষে।

“ছাপ্পান্ন প্লাস ছাপ্পান্ন- একশো বারো। মোদী-মমতা বাংলা ছাড়ো।” আদালত যদি সুরাহা না করে, তাহলে সিবিআই, ইডি শাহজাহানের নাগাল পাবে না। নির্বাচনের প্রাক্কালে ছাপ্পান্ন ইঞ্চির সাথে ছাপ্পান্ন দিনের মউ সাক্ষরিত হয়ে গেছে। আপনি কোন ফুলে বোতাম টিপলেন, গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেন্ট্রাল ভিস্তায় গিয়ে এক সাথে প্রবাহিত হবে। কুণাল ঘোষ বলছেন, রোজভ্যালির তদন্ত সুদীপ ছাপ্পান্ন ইঞ্চির সাথে সেটিং করে স্তব্ধ করেছেন। ভারতের ব্যাঙ্ক, বীমা, রেল, পোস্টঅফিস, শিক্ষা বাঁচাতে হবে। যে লোকটা কোন দিন ইস্কুলে যাননি, তাঁর পক্ষে শিক্ষার গুরুত্ব বোঝা সম্ভব নয়। উনি সর্বত্র একস্ট্রা 2ab খুঁজে বেড়াবেন। ছাপ্পান্ন দিন খুঁজবেন ডহরবাবুকে। নীরব সুশীলরা খুঁজছে মোমবাতি। দুটি ভয়ঙ্কর শক্তির বিস্ফোরণ থেকে ফিনিক্স পাখির মত জেগে উঠবে মহাভারতের আত্মা। সেদিন মানুষ পূর্ণিমা রাতে দেখতে যাবে ভেড়ির অপূর্ব শাহজাহান-মমতাজের আলাঘর। একদা প্রাগৈতিহাস জীবরা থাকত এই জল-জঙ্গলের বাংলায়। এখানে মাংশাসী নারীভূকরা থাকত। হাজার টাকায় মিছিলের ভান্ডারী বিক্রী হত ডিম্ভাত, পিঠেপুলির বিনিময়ে।