মোদির আচ্ছে দিন,সব কা সাথ — সব কা বিকাশ,মেক -ইন -ইন্ডিয়া,বেটি বাঁচাও – বেটি পড়াও,আয়ুষ্মান ভারত,মন -কি -বাত,স্বচ্ছ ভারত——-এই ধরনের নানান অনুষ্ঠানে ও প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাধারণ মানুষের করের টাকায় নিজের ঢাক নিজে পিটিয়ে বলছেন, “আমি অবতার,আমি বিশ্বগুরু”।যে দেশের মানুষ দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পায় না, মূল্যবৃদ্ধির  দাপটে মানুষ দিশেহারা, মানুষের আয় কমছে, কর্মসংস্থানের পরিবর্তে কর্মসংকোচন বেড়েই চলেছে ,তখন তাঁর অনুগত শিল্পগোষ্ঠী মুকেশ আম্বানির মালিকানায় ১৭ টি ও আদানির মালিকানায় ১১ টি নিউজ চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে মোদীজি আত্মপ্রচার করে চলেছেন।যেমন,”বেটি বাঁচাও” –অভিযানের ৫৬ শতাংশ টাকা খরচ হয়েছে বিজ্ঞাপনে। “আয়ুষ্মান ভারত”– কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী যে চিঠি লিখেছিলেন, তাতে খরচ হয়েছে ৪৩৫ কোটি টাকা।কি চোখ কপালে উঠছে!! আরো আছে —এক বছরে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন বাবদ সরকারের খরচ হয়েছে ৩২১৪.৭ কোটি টাকা।যদিও এই হিসাব ২০১৯ এর মার্চ মাসের।এখন এই খরচের বহর আরো বেড়েছে।এই গরীব দেশে সরকারের বিজ্ঞাপনের জন্য এত খরচ কেন? এই বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের রোজগার বেড়েছে কি !! তথ্য ও সত্য যা,তা হল রোজগার বাড়েনি বরং রোজগার কমেছে।তবে বৃহৎপুঁজিপতিদের ও বি জে পির মন্ত্রী,এম পি,এম এল এ’দের রোজগার বেড়েছে। তাহলে কেনএত বিলাসিতা ? প্রশ্ন করবেন না? প্রতিবাদ করবেন না? হাজার হাজার কোটি টাকা বিজ্ঞাপনে খরচ করে আম–আদমীর পকেট ফাঁকা। পকেট ভর্তি হয়েছে বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীর। মোদির, ” আচ্ছে দিনে”বিজ্ঞাপনে যখন আ-মাপা খরচ হচ্ছে,তখন আম-আদমি  কেমন আছে দেখুন,– –গৃহস্থের রোজগার যেমন কমেছে, তেমনই সঞ্চয় করার ক্ষমতাও ভীষণ ভাবে নেমে গেছে।

রিজার্ভ ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী,গত আর্থিক বছরে গৃহস্থের নিট সঞ্চয় নেমে এসেছে জিডিপির ৫.১ শতাংশ।গত পাঁচ দশকে যা সর্বনিম্ন। 

রিজার্ভ ব্যাংকের রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, ২০২২ – ২৩ সালে গৃহস্থের নিট সঞ্চয় জিডিপির ৫.১ শতাংশে নেমে এসেছে।  আগের বছরে ছিল ৭.২ শতাংশ।গৃহস্থের দেনার বোঝা  জিডিপির ৩৭.৬ শতাংশে পৌঁছেছে।  এক বছরে দেনার বোঝা  ৫.৮ শতাংশ বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে ,সাধারণ গৃহস্থ পরিবারের সঞ্চয় করার সামর্থ্য নেই। সংসার চালাতে গিয়ে ধার করছে বেশি। ধারের টাকাতেই খরচ করছে সাধারণ মানুষ ।অর্থাৎ মোদি জমানায় অর্থনীতির মারাত্মক দুরবস্থা চলছে।আর এই সুযোগে মাইক্রোফিন্যান্স কোস্পানিগূলি চড়া সুদে টাকা ধার দিচ্ছে।শোধ করতে না পারলে জুলুমবাজি করে টাকা আদায় করছে। রান্নাঘরে আগুন।এখনই ডালের দাম ১৩ শতাংশ, গমের দাম ২০ শতাংশ, চালের দাম ১৫ শতাংশ,গুড়ের দাম ২০ শতাংশ বেড়েছে।এর পর আছে আরও সামগ্রী। রিজার্ভ ব্যাংক বলছে ,মানুষের হাতে টাকা বাড়ন্ত। গয়না, জমি ,বন্ধক রেখে ধার করছে, আবার ব্যক্তির কাছে ধার করার প্রবণতা বেড়েছে।এক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে সাম্প্রতিককালে বেকারত্বের হার প্রাক – করোনাকালের  সময়ের চেয়েও উদ্বেগজনক।ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। যে সরকারের ধ্যানজ্ঞান হিন্দু রাষ্ট্র গঠন করার, মন্দির বানানো,ধর্ম নিয়ে মেতে থাকা, সেই সরকার গরিবের ভালো করতে পারে না।তাদের মূল উদ্দেশ্য মন্দির – মসজিদ নিয়ে গরীবকে ভাগ করো, বিজ্ঞাপনে খরচ করো, আর ললিপপের মতন কিছু প্রকল্প ঘোষণা করে মানুষকে ভুলিয়ে দাও।

আরএসএস পরিচালিত বিজেপি সরকার যা চায় এবং যা  করছে ও করে চলেছে তা হল:– ***বিজেপি হিন্দু রাষ্ট্র চায়।  ** বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে বোঝাপড়ায় দেশের আর্থিক সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করে দিচ্ছে, ।**মোটর গাড়ি থেকে রসুন পর্যন্ত ১৩০৮টি পণ্যের আমদানি অবাধ করা হয়েছে। ** লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত  শিল্প , ব্যাংক, এল আই সি ,খনি, বন্দর ,তৈলকূপ ,বিদ্যুৎ ,সার সবই বহুজাতিক কোম্পানিকে জলের দরে বিক্রি করে দিচ্ছে। ** রিজার্ভ ব্যাংক নাবার্ডের শেয়ার জলের দরে বিক্রি করে দিচ্ছে । এতে সমবায়ের সস্তা ঋণ দেওয়া কার্যত বন্ধ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই গ্রামের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ বিভিন্ন মাইক্রোফিনান্স কোম্পানির কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে সর্বশ্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। তাদের চাষবাস কিংবা ছোটখাটো ব্যবসা- সবই খোয়াতে শুরু করেছে। অন্যদিকে বৃহৎ কর্পোরেট সংস্থাকে হাজার হাজার কোটি টাকা সুদ সহ ঋণ ছাড় করে দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে অচল করে দিচ্ছে ,কিংবা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার সুযোগ করে দিচ্ছে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী। অথচ কৃষক, ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের ঋণে কোন ছাড় নেই । ঘাড় ধরে সমস্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে।** বিদেশে তৈরি জীবনদায়ী ঔষধ ভিন্ন পদ্ধতিতে তৈরি করার অধিকার আমাদের এ দেশীয় সংস্থার হাতে আর নেই , ফলস্বরূপ, ঔষধ শিল্পে নেমে এসেছে ঘন কালো নিকষ অন্ধকার। বিপন্ন হচ্ছে দেশীয় কমদামী জীবনদায়ী  ঔষধ উৎপাদন। আর তাতে মজা লুটছে বিদেশি কর্পোরেট বা বহুজাতিক সংস্থা।ওষুধের দাম ইতিমধ্যেই ভয়ানকভাবে বেড়েছে ।  যেমন, ইনফ্লুয়েঞ্জার ভ্যাকসিন গত বছরে দাম ছিল ১৫০০ টাকা। এ বছর ঐ ভ্যাকসিনের দাম ২২০০ টাকা। এক বছরে ৭০০ টাকা বৃদ্ধি।ভাবা যায় !! **অসম প্রতিযোগিতায় দেশের শিল্প মার খাবে, লগ্নির  অভাবে ক্ষুদ্র শিল্প ও কৃষি বিপন্ন হবে, আর ফায়দা লুটবে মোদির ,”ঈশ্বরের হাত” মাথায় থাকা কতিপয় লুটেরা — দেশি-বিদেশি কর্পোরেট সংস্থা। *ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করে ,রাম মন্দির উদ্বোধনের নামে  গরিবের অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে তারা আসলে আম্বানি আদানির মত গুটিকয়েক কর্পোরেটদের পেট ভরানোর মাধ্যমে নিজেদের এবং তাঁদের ভাবী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে চায়। রামমন্দির  উদ্বোধন হয়ে গেলেই আমাদের দেশের বেকাররা চাকরিও পাবে না, চাষিরাও ফসলের দাম পাবে না, গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়াও শিখতে পারবে না, বিনামূল্যে নাগরিকরা চিকিৎসাও পাবে না। শুধুমাত্র পাওয়া যাবে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, বিদ্বেষ ,পরস্পর অবিশ্বাস ও সন্দেহের বাতাবরণ, মেরুকরণ এবং বিভাজনের আরও উগ্র– প্রকট উপস্থাপনা। নেপোয় মারবে দই। সাধারণ মানুষ ধর্মীয় ভাবাভেগে  মেতে  তথা, আচ্ছন্ন হয়ে থাকবে ,আসল সমস্যা  যথাপূর্বং সেই তিমিরেই থেকে যাবে । মাঝখান থেকে সাম্প্রদায়িক হানাহানি, জাতি দাঙ্গায়, সাধারণ মানুষ মারামারি করে মরবে।ধর্মযুদ্ধে ,জাতিদাঙ্গায়, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনে আজ পর্যন্ত যাঁরা নিহত হয়েছে বা হচ্ছে  তাতে দেখা যায়, উভয় সম্প্রদায়ের বৃহৎপুঁজিপতি ও জমিদার বাড়ীর কোন সন্তান নিহত হয়নি।তারা লাগিয়ে দিয়ে সুকৌশলে কেটে পড়ে।আর ফায়দা লুটবে হাঙর ও লুঠেরারা।আর এঁদের অবতার হচ্ছেন আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তাই শ্রমজীবী মানুষের কাছে আহ্বান, বি জে পি যে নীতি নিয়ে চলছে, সেই নীতিতে দেশের মানবসম্পদের কোন উন্নয়ন হবে না।যা কিছু উন্নয়ন হবে মুষ্টিমেয় কর্পোরেটদের। আর সেটা হবে প্রসাধনী উন্নয়নের মাধ্যমে। তাদের পুঁজি শতকের গুনিতকে বাড়বে, তার সঙ্গে বিজেপির সিকি, আধুলি থেকে  ষোলআনা নেতাদের আর্থিক সমৃদ্ধি ঘটবে সমানুপাতে ।তাই দেশের শত্রু বিজেপি কে হটাতে না পারলে আগামী দিনে আপনার আমার ঘোর বিপদ।**শিক্ষা, স্বাস্থ্য,খাদ্য ,ভোজ্য তেল ,জ্বালানি তেল ,মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এর সবই সরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরী ছিল ,কিন্তু মোদি সরকার বৃহৎ পুঁজির মালিকদের হাতে অত্যন্ত পরিকল্পনামাফিক  তুলে দিয়েছে এবং দিচ্ছে।আর স্লোগান তুলছে ,” অমৃতকালে” ভারতে “আচ্ছে দিন “এসে গেছে।আর স্বচ্ছতার বিকাশ এগিয়ে চলেছে স্টেশন ও রাস্তা – ঘাট ঝাঁট দিয়ে।তার জন্য মোবাইল ফোনে  স্বেচ্ছাশ্রমে স্বচ্ছতার কর্মসূচি নেবার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। ধূর্ত ও চালাকির সাথে দেশের প্রধানমন্ত্রী মোবাইল ফোনকে ব্যবহার করে আমাকে, আপনাকে স্বছতার কথা বলে বিরক্ত ও বিভ্রান্ত করছে।  সারাদিনে আপনি যদি দশ বার ফোন করেন, দশবার ওই কথা শুনতে হচ্ছে। এই ধরনের বিরক্ত করার অধিকার প্রধানমন্ত্রীর নেই। কিন্তু করছেন।তাই আপনার অভিজ্ঞতা দিয়ে বুঝবেন, আপনার জীবনে ও সংসারে, পাড়াপড়শির মধ্যে “আচ্ছে দিন” এসেছে কিনা!! সব -কা -সাথ,সব -কা – বিকাশ হচ্ছে কিনা,স্বচ্ছতা এসেছে কিনা। আসলে এ সবই ভাঁওতা।এ সব ঢপ দিয়ে মানুষকে ভুলিয়ে রাখা।তার জন্যই এত ছলনা।সরকারের এই চালাকি মানুষ বুঝতে পেরেছে বলেই শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলনের যেমন তীব্রতা বেড়েছে তেমনি সরকারের দমন – পীড়ন লাগাতার ভাবে বেড়ে চলেছে। যেমন, সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই তাকে দেশবিরোধী তকমা দিয়ে জেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। অনেকেই রাষ্ট্রীয় রক্ত চক্ষুর শিকার হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই অনেক রাজনীতিবিদ, কলাকুশলী, ইতিহাসবিদ, বিজ্ঞানী,জেলের ভিতর আছেন। সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে ভর্ৎসনা করেছেন। সম্প্রতি সাংবাদিকদের উপরও দমন পিড়ন শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘ রিপোর্টারস উইদাউট বর্ডারস ‘এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, সংবাদমাধ্যমের  স্বাধীনতা সূচক অনুসারে ২০২৩ সালে ১৮০ টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১৬১ তম।গত বছরের চেয়েও এগারো ধাপ পিছনে।  নয়াদিল্লি  ভিত্তিক সংস্থা “রাইটস অ্যান্ড রিস্কস  আ্যনালিসিস গ্রুপ” প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে ভারতে সাত মহিলা সহ মোট ১৯৪ জন সাংবাদিক নানা দমন পীড়নের শিকার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০৩ জন পুলিশ কিংবা সরাসরি এজেন্সির রোষের  শিকার। বাকি ৯১ জন অসরকারি,যেমন রাজনৈতিক হিংসা কিংবা সমাজবিরোধীদের লেলিয়ে দিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। যে ১০৩ জন সাংবাদিক সরকারি রোষের শিকার, তাঁদের মধ্যে ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৪  জনের বিরুদ্ধে  দেশদ্রোহীতার অভিযোগে এফ আই আর দায়ের হয়।যে সব সাংবাদিক মোদির প্রতি আনুগত্য পোষন করবেন তাঁরাই টিকে থাকতে পারবেন। প্রশ্ন করলেই মহাবিপদ। কাশ্মীরে ৪৮ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার। আরএসএস-এর রাজনৈতিক দর্শন হিন্দুত্ববাদ,তার জন্যই হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করা।আর এস এসের অনেক শাখা সংগঠন আছে। তার মধ্যে আর এস এসে র রাজনৈতিক দল হল বি জে পি।  বিজেপিকে দিয়ে হিন্দু রাষ্ট্র গঠন করতে চায় আর এস এস। আমরা কি এই ফাঁদে পড়ে ভারত — পাকিস্তান ,হিন্দু – মুসলিম –  খ্রিস্টান – বৌদ্ধ ,মন্দির -মসজিদ -গির্জা নিয়ে মেতে থাকবো !  বিক্রি হয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশ ,আমি –  আপনি  টেরও পাইনি  যে , দেশের সাথে সাথে বিক্রি হয়ে গিয়েছেন বা যাচ্ছেন আমি – আপনিও।  ভয়ংকর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে আমাদের ও আগামী প্রজন্মের জন্য।দেশের ও দশের মূল আর্থ – সামাজিক সমস্যা চেপে দিয়ে বিভাজনের জিগির তুলে ভোটের বাক্সে ফায়দা তুলে দেশকে শাসন ও শোষণ করতে চায় বিজেপি।আর না। আসুন আমরা জোটবদ্ধ হয়ে এই ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের পদধ্বনির  বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। বিজেপিকে কেন্দ্রের সরকার থেকে হঠানোর সংকল্প গ্রহণ করি। এই আচ্ছে দিন আমরা চাই না। আমাদের লড়াই হোক  ক্ষুধার বিরুদ্ধে , লড়াই হোক অশিক্ষার বিরুদ্ধে ,সুস্বাস্থ্যের জন্য হোক লড়াই, লড়াই হোক অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ভরপেট খাবার, বাসস্থান ও বেকারের কাজের দাবিতে হোক লড়াই। বিজ্ঞান বিরোধী ভাবধারার বিরুদ্ধে যুক্তিবাদী ও বিজ্ঞান মনস্কতার বৌদ্ধিক বিকাশের লড়াই জারি থাকুক। লড়াই হোক বিজেপির সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধেও।গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেবার বিরুদ্ধে – হোক তীব্র প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ।পথে পথে ব্যারিকেড করে বিজেপি বিরুদ্ধে হোক সর্বাত্মক লড়াই।  ” পথে এবার নামো সাথী, পথেই হবে এ  পথ চেনা “।কালো আঁধার কাটিয়ে ছড়িয়ে পড়ুক আলোর দ্যুতি। 

[তথ্য সংগৃহীত] ২।১০।২৩