তাই আনিস খানের খুনের মূল সাক্ষী আনিসের খুড়তুতো ভাই সলমন খানের ওপর প্রাণঘাতী হামলা এনেছে…

সমস্ত নাটক চলছে, এই নাটকগুলো কি শুধু ইলেকশনের আগেই শুরু হয় ?প্রশ্ন সেটা নয় প্রশ্ন হলো কেনো শাসকদলগুলো কেনো এতো আক্রমণাত্মক! কিসের ভয় ! উনি কি ভাবছেন ভয় দেখিয়ে সন্ত্রাস করে সত্যকে চাপা দেবেন? পারবেন না , কারণ সবাই ভিক্ষা নেয় না , সবাই শিরদাঁড়াহীন নয়।

অদ্ভুত বিষয় হলো বারে বারে প্রমাণিত বিজেপি তৃণমূল এক। তার প্রমাণ ED, CBI কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক অনেকদিন আগেই নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে। পরিবারের সদস্যরদের বক্তব্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে কলকাতা থেকে ফেরেন সলমন খান। খাওয়া দাওয়া করে বাথরুমের দিকে যায় সে। হঠাৎ টাঙি দিয়ে তার ওপরে হামলা চলে। মাথার পিছন দিক থেকে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারা হয়, রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। চিৎকার শুনেই স্ত্রী বাথরুমে থেকে বেরিয়ে আসেন। সেই সময় পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।

আমতা থানার অন্তর্গত ছাত্র নেতা অনীশ খানের রহস্যমৃত্যুর রহস্য এখনও সমাধান হয়নি ,তারই মধ্যে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হলেন খুড়তুতো ভাই সলমন খান। দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সলমনের ওপর হামলা চালায়। তাকে বেশ কয়েকবার মারধর করা হয়।

আনিস হত্যার প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে খুড়তুতো ভাই সলমন খান অন্যতম একজন। আনিসের মামলা নিয়ে সলমন সবসময়ই সক্রিয় ছিলেন। সলমনকে হত্যার উদ্দেশ্য নিয়েই শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ হামলা করা হয়েছে বলে আনিস খানের দাদা সাবির খান জানিয়েছেন। আনিস খানের পরিবার ক্রমাগত সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। আনিস হত্যা মামলায় আনিসের মৃত্যুর পর লোক দেখাতে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়। পুলিশের ভূমিকা যে ঠিক ছিল না আদালতে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল রাজ্য সরকার। আনিসের বাবা দাবি করেন, প্রমাণ নষ্ট করতে তার ওপর হামলা করা হয়েছে। আনিসের দাদা জানান, নিরাপত্তার অভাব নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আমতা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তারপরও পরিবারের ওপর ধারাবাহিক হামলা অব্যাহত রয়েছে। অথচ বাড়িতে পুলিশ নিরাপত্তা বহাল। সলমনের পরিবারের মতে, আনিস হত্যার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ায় সলমন অতীতে হুমকির সম্মুখীন হয়েছিলেন। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বাড়িতে পুলিশ নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও এই ঘটনা ঘটলো কিভাবে? অভিযোগের তীর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে বাগনান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে উলুবেরিয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। সালমানের ওপর হামলার পর আনিসের পরিবার ফের সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী ডিওয়াইএফআই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি ২০ সেপ্টেম্বর ধর্মতলায় ইনসাফ সভার ডাক দিয়েছে, আনিসের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করতে রাজ্য জুড়ে চলছে সই সংগ্রহ। লক্ষমাত্রা ১ কোটি। ওরা ভয় পেয়েছে তাই আনিস খানের খুনের মূল সাক্ষী ওপর প্রাণঘাতী হামলা। হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানালেন ডিওয়াইএফআই সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি। তীব্র নিন্দা জানিয়ে শিলিগুড়ি থেকে সিপিআই(এম)-র রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন সিটের নামে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে।” আজ পর্যন্ত আনিস খান বিচার পেল না। পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘটনার দায় নিতেই হবে।

ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১১ সেপ্টেম্বর, রবিবার বিকাল ৪ টে নাগাদ আমতা থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে এসএফআই ডিওয়াইএফআই রাজ্য নেতৃত্ব। সমস্ত গণতন্ত্র প্রিয় মানুষকে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ডিওয়াইএফআই সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি।

তাছাড়া আজ রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে ছাত্র যুবদের পক্ষ থেকে। কারণ বারে বারে প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। আর তার দায় পুলিশ মন্ত্রীকেই নিতে হবে…