ভরা বর্ষা আর আকাশের ভ্রকূটি উপেক্ষা করে আমতা থানা সরগরম হল ছাত্র-যুবদের উপস্থিতিতে। হুমকি,ভয়,ভীতিকে হাজারো মাইল পিছনে ফেলে আমতার আকাশ-বাতাসের দখল নিল,’আমার প্রতিবাদের ভাষা।’শুক্রবার রাতে আনিস খানের ভাই খুড়তুতো ভাই সলমনের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আরএসএস-এর ‘মা দূর্গা’র হায়না বাহিনী। ‘সততার হাওয়াই চটি’র আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয় সলমনের শরীর।এরই প্রতিবাদে আজ রবিবার আমতা থানা ঘেরাও-এর ডাক দেয় এসএফআই, ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য কমিটি। এমন অবস্থায়র আনিস, সলমনের বাড়িতে পৌঁছে যান কলতান দাশগুপ্ত, ধ্রবজ্যোতি সাহা,মিনাক্ষী মুখার্জিরা। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ‘ইনসাফ সভা’র জন্য সই সংগ্রহ করেন তাঁরা।বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ আনিসের হত্যাকারী আর আর সলমনের আক্রমণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল করে বাম ছাত্র-যুবরা। প্রকৃতির মেঘলা মুখকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আমতার আকাশ মুখরিত হয়, প্রতিবাদের অক্ষরের পারমুটেশন- কম্বিনেশনে।এদিন প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেত্রী মিনাক্ষী মুখার্জি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ১৪ দিনের মধ্যে খুনীরা গ্রেপ্তার হবে। কিন্তু এখনও তারা অধরা।সলমনের চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগও করেন মিনাক্ষী। তিনি বলেন,’গতকালও যে রোগী আইসিসিইউতে ছিলেন, আজ তাঁর ছুটি হয় কি করে?’ হাসপাতাল তো ঘেরাও করা যায় না তবে প্রয়োজনে সুপার আর চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলা যেতেই পারে। এদিন সভায় সৃজন ভট্টাচার্য, কলতান দাশগুপ্তরাও বক্তব্য রাখেন।এদিকে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার জন্যই এমন মরিয়াভাব শাসক দলের। ফুটবলে যেমন প্রতিপক্ষের আক্রমণে দিশাহারা হয়ে পেনাল্টিবক্সে বিপক্ষের ফুটবলারদের ফাউল করে, তৃণমূলীরা আজ তাইই করছে।লালাতঙ্ক শাসকদলের জন্য লাল কার্ড হাতে অপেক্ষা করছেন রাজ্যের মানুষ।মা-মাটি-মানুষের দলের পায়ের নিচের মাটি সরতে শুরু করেছে। দুর্নীতির অন্তাক্ষরির ঠেলায় মুখ ফেরাচ্ছে মানুষ। আর মা দূর্গার বিসর্জন এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।Attachments area