পুরোনো দিনের কথা বলার অনুরোধে বালিয়ামামা এভাবে শুরু করলেন –

•      ব্রিটিশ আমলের কথা আর দেশভাগের পর ১৩ / ১৪ বছরের কথা আর বলছি না।  

•      গত শতকের পাঁচের দশকের একদম শেষে অঞ্চল পঞ্চায়েত, আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদ গঠিত হলো। কিন্তু কাজ কর্ম আগের মতোই বড়লোকদের জন্য। প্রধানের নিচে গ্রাম সভা ভিত্তিক নির্বাচন ক্ষেত্র থেকে অধ্যক্ষ নামে কয়েকজন নির্বাচিত হতেন। রাজ্যের বা জেলার বেশির ভাগ তিনস্তরের মায় মাতব্বর ছিল গ্রামীণ ধনী লোকেরাই। অঞ্চলের বিশেষ কোন কাজ করার অধিকার ছিল না। কালে ভদ্রে যা কাজকর্মের বরাত আসতো, সে সবের সুফল গ্রামের গরিব মানুষের কাছে পৌঁছাতো না। এসব নিয়ে অনেক কাহিনী গ্রামের প্রবীণ লোকদের কাছে জানা যাবে।

•      তখন গ্রামের জমি গুলো কয়েকজনের হাতে বন্দি। একটা মাত্র ফসল হতো। পুকুরও তাই। মাছ চাষের কোন ভালো বন্দোবস্ত ছিল না। গ্রামের মানুষ সবাই দুবেলা দুমুঠো ভাত পেতো না। তাল, কাঠাল, কচু-ওল, কুচো মাছ, কাঁকড়া, চিংড়ি, লতা-পাতা এসব দিয়ে গরিব মানুষ আধপেটা বা অনাহারে কাটাতেন দিনের পর দিন।  আসলে চৈত্র মাস থেকেই গ্রামের মানুষের ছিল হাঁই হাঁই অভাব অন্নকষ্ট। সামাজিক বঞ্চনা ছিল তীব্র। আধিয়ার ছোট চাষী ও তথাকথিত ছোট জাতের মানুষের কোন অধিকার ছিল না। মুসলমানেরা ছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। তাদের মধ্যে যারা বড়লোক, তারাও। তাদের একটা পা থাকতো এপার বাংলায়। আরেকটা ওপারে। 

•      ১৯৬০–’৬১ সালের গঠিত হওয়া ঐ প্রধান অধ্যক্ষ আঞ্চলিক পরিষদের মেম্বার, জেলা পরিষদের মেম্বারদের কোন অদল বদল ছিল না। কারণ, ইলেকশনই হতো না। বাস্তুবাড়ির ঘুঘুগুলো যেমন মাটির ঘরের কোঠার ভেতর দিনের পর দিন, মাসের পরে মাস, বছরের পর বছর বাস করতো, তেমনই এরাও ছিল বাস্তুঘুঘু। চেয়ারে বসে থাকতে থাকতে চেয়ারের নিচ দিয়ে এদের শিকড় বেরিয়ে মাটির গভীরে চলে গিয়েছিল। 

•      পালা বদল হলো ১৯৭৭ সালে রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার কায়েম হলে। মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু রাইটার্স বিল্ডিংস’এর সামনে শপথ নেবার দিন বিশাল মিটিংয়ে ঘোষণা করলেন – সরকারের সব কাজ রাইটার্স বিল্ডিংস থেকে পরিচালিত হবে না। গ্রামে গ্রামে মানুষের সরকার কায়েম হবে। পঞ্চায়েত। তারা পাবে সরকারী খরচের মোট ৫০% টাকা।

•      ১৯৭৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন। হাঁক দেওয়া হলো, ‘গ্রামে গ্রামে বাস্তুঘুঘুর বাসা ভেঙে দাও’। পার্টিগুলির মার্কা নিয়ে ভোট হলো। শিকড় গেড়ে বসেছিল গ্রামের যে সব মায়মাতব্বর, দেউনিয়া, নাঠুয়া, জোতদার, সূদখোররা তাদের হটিয়ে দিয়ে গরিব মানুষ বা গরিব মানুষের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে এলেন। বেশির ভাগ কাস্তে হাতুড়ি তারা মার্কায়। 

•      পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদেও গরিব মানুষের প্রতিনিধি।

•      বিরাট কর্মযজ্ঞ শুরু হলো।

•      ১৯৬৭-’৬৯ সালের যুক্তফ্রন্ট সরকারকে হাতিয়ার করে জোতদার জমিচোরদের কব্জা থেকে বেশিরভাগ জমি উদ্ধার করে গরিব মানুষদের মধ্যে দেওয়া হয়েছিল। সেই কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো। গরিব মানুষ লড়াই করেই করেছিলেন জমি উদ্ধার।

•      শুরু হলো বর্গাদারদের নাম নথিভূক্ত করা। বর্গা অপারেশন। 

•      যে গ্রামে মাটির রাস্তা ছিল না, সেখানে মানুষকে টাকা আর গম দিয়ে কাজ করিয়ে রাস্তা তৈরি হলো। গরিব চাষিদের চাষের কাজে অর্থ দিয়ে, আদিবাসী চাষিকে পাম্পিং মেশিন দিয়ে সাহায্য করা শুরু হলো। মিনিকিট দেওয়া শুরু হলো গরিব চাষিদের। যে জমিতে একটা ফসল – আমন ধান কষ্ট করে আবাদ হতো, সে জমিতে বছরে তিনটা করে ফসল হতে থাকলো। গ্রামের খাদ্যাভাবের চরম কষ্ট দূর হলো। যে রাজ্যের তিন কোটি মানুষকে পেটপুরে খাবার দিতে পারতো না আগের সরকার, ভূমি সংস্কার, পঞ্চায়েতের নানা রকম সাহায্যে সেই রাজ্যে তিন কোটির জায়গায় যখন ১০ কোটি মানুষ যখন বাড়লো, তখনও সব মানুষ পেটপুরে খেতে পারলো। দেশের মধ্যে মাথা পিছু বেশি খাবার পেলো এ রাজ্যের অধিবাসী।

•      কৃষিতে বৈচিত্র আনা হলো। একটা খেত যাতে বেশি ফলন দিতে পারে, তা ঘটানো হলো। অর্থাৎ উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বেড়ে গেল। রাজ্যে ধান, সবজি চাষে প্রথম হলো। ব্যবহারের কিছু কিছু জিনিসপত্র কিনতে পারলেন গরিব মানুষ। তার প্রভাব পড়লো হাটে বাজারে। ঐ ব্যবহার্য জিনিসগুলো বাইরের রাজ্য থেকে আসতো, এখন বাংলাতেই তৈরি হতে শুরু হলো বিভিন্ন কলকারখানায়। মজুরদের কাজের মান ভালো হলো, মজুরি ভালো হলো। নতুন নতুন মানুষও কাজ পেলো। 

•      বিশেষ করে আমন ধানের ন্যায্য দাম যাতে চাষিরা পেতে পারে তার ব্যবস্থা ১৯৭৮ সালের পঞ্চায়েত থেকেই শুরু করা হয়েছিল। রেশনের দোকানে নানারকম জিনিস দেওয়াও শুরু করেছিল, এই নতুন ধারার পঞ্চায়েত। 

•      গ্রামীণ শিল্পীদের সাহায্য করা শুরু হলো। নতুন পঞ্চায়েত এসেই প্রথম থেকেই দেওয়া হতো বিভিন্ন রকম ভাতা। তার সংখ্যা ও টাকার পরিমান বাড়ানো হলো।

•      গ্রামে গ্রামে লক্ষ লক্ষ স্বসহায়ক গ্রুপ তৈরি হলো। গরিব মায়েরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে শুরু করলেন। 

•      গ্রামের প্রাইমারি স্কুলগুলোকে নতুন পঞ্চায়েত এসেই ভালো করেছিল। পরে প্রাইমারি স্কুলের সংখ্যা অনেক বাড়ানো হলো। মিড ডে মিল চালু হলো। প্রথমে পাঁউরুটি তারপর ভাত-তরকারি।

•      প্রাইমারি স্কুল যখন অনেক হলো, তখন নতুন নতুন হাইস্কুল করা শুরু হলো। গ্রামে গ্রামে শিশুশিক্ষা কেন্দ্র খোলা হলো। গ্রামে গ্রামে লাইব্রেরি খোলা হলো। এসমস্ত জায়গায় শিক্ষিত বেকাররা কাজ পেতে শুরু করলো। স্কুলে সাইকেল দেওয়া বামপন্থী সরকারই শুরু করেছিল। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছাত্রীদের হাতে সাইকেল তুলে দিয়েছিলেন। 

•      শুরু হলো বন সৃজনের বিরাট কাজ। খাঁড়ির মাটি কাটো –গাছ লাগাও। আরও অনেক জায়গায়। সেজন্য নার্সারি গড়ে তোলা হলো গ্রামে গ্রামে। বণসৃজনে রাজ্য প্রথম হয়ে গেল।

•      শুরু হলো বড় বড় জলা, বিল, পুকুর খনন করা। সেসব জলাভূমিতে ও ব্যক্তিগত পুকুরে মাছ চাষের জন্য মাছের মিনিকিট ও অন্যান্য সরঞ্জাম সাহায্য হিসাবে দেওয়া শুরু হলো। মাছের উৎপাদনে আমাদের রাজ্য প্রথম হয়ে গেল।

•      যে গাছ ফল দেয়, সে সব গাছ রাস্তার ধারে বসানো হলো। নারিকেল, কলা, আম ইত্যাদি ফলজ বৃক্ষের চারা বিলি করা শুরু হলো। ফল চাষেও আমদের রাজ্য এগিয়ে গেল অনেক।

•      ইতোমধ্যে যে কেন্দ্রীয় সরকারকে বামপন্থীরা সমর্থন করেছিলো, তাদের থেকে ১০০ দিনের কাজের স্কীম আমরা আদায় করা হলো। গ্রামে গ্রামে আরও কাজ শুরু হলো।

•      গ্রামের কাঁচা সড়কে মাঝে মাঝে বছরের অনেকটা সময় হাঁটু বা কোমড় পরিমান জল আটকে থাকতো। সেখানে কিছুটা মাটি দিয়ে পুরিয়ে আর ব্রীজ কালভার্ট তৈরি করে মানুষের কষ্ট নিবারণ করা হলো। পরে পাকা সড়ক সড়ক হলো সেসব।

•      গ্রামের মানুষের রোগ ব্যারাম নিরাময়ের জন্য জনস্বাস্থ্য পরিকল্পনা নেওয়া হলো। বাল্য বিবাহ, সন্তান প্রসব করতে মায়ের মৃত্যু ও জন্মের কিছুদিনের মধ্যেই শিশুমৃত্য যাতে না হয়, তার জন্য প্রতিরোধক ব্যবস্থা এমন নেওয়া হলো, তাতে মাতৃমৃত্যু শিশুমৃত্যুর হার আমাদের রাজ্যে অনেক কমে গেল। কমে গেলো বাল্য বিবাহ। গ্রামে গ্রামে হেলথসেন্টার তৈরি হলো।

•      গ্রামে গ্রামে সাক্ষরতা কেন্দ্র খুলে বয়স্কদেরও প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া শুরু হলো।

•      কুসংস্কার, ডাইনি প্রথা, সুস্থ সংস্কৃতির প্রসার, যুব উৎসব, গ্রামে গ্রামে বিচিত্রানুষ্ঠান পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় শুরু হলো। আদিবাসী শিল্পী ও লোক শিল্পীদের মর্যাদা ছিলো না। তাঁদের মর্যাদা দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করানো শুরু হলো। ভাতারও ব্যবস্থা করা হলো। 

•      সাম্প্রদায়িকতাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেওয়া হলো।

•      আমরা দেখলাম, গ্রাম পঞ্চায়েতকে আরও নিচে যেতে গেলে আমাদের গ্রামসংসদ তৈরি করতে হবে। তা করে সমস্ত পরিকল্পনা গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে করা শুরু হলো। পরে   গ্রাম উন্নয়ন সমিতিও গঠন করা হয়েছিল। 

•      বাম আমলে প্রতি পাঁচ বছর পর পর নিয়মিত শান্তিপুর্ণ পরিবেশে উৎসবের মেজাজে পঞ্চায়েতের ইলেকশনগুলো হতো। 

•      মানুষ বাড়ছে। তাই উন্নত কৃষির এই ভীতে বড় শিল্প, মোটর গাড়ি তৈরির কারখানা তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে আনা হলো সিঙ্গুরে। কিন্তু মমতা সর্বনাশ করে বাংলার যুবকদের প্রতারিত করলো।

•      তারপর এই ১২ বছরের অনাচার দুঃশাসন তো দেখতেই পারছো। তোমরা সবাই জানো।

ভায়ারা একটা গল্প বলি শোন বলে, বালিয়ামামা শুরু করলেন – গল্পের নাম -বাঁশি দিয়ে যায় চেনা।

   এক গ্রামে সুন্দরী এক যুবতী মেয়ের  প্রতি  খুব লোভ ছিল এক যুবকের। কিন্তু মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেল। ছেলেটা অবসাদে ভুগতে থাকল। একদিন গলায় ফাঁসি লাগিয়ে মরে গেল। এ ভাবে অপঘাতে মরাদের  আত্মার কোন সৎগতি হয় না। সে ভুত হয়। ভূতের সুবিধা হল, সে যা ইচ্ছা সেই রূপ ধারণ করতে পারে। সে একদিন মেয়েটা কেমন আছে দেখতে গেল তার শ্বশুর  বাড়িতে।

বৈশাখ মাস। মাঠে পাট নিড়াণির কাল। পাড়ার সবাই জমিতে গিয়েছে। মেয়েটার স্বামী-শ্বশুর সবাই। এই সুযোগে ভূতটা মেয়েটার স্বামীর রূপসুরত ধরে বাড়িতে ঢোকার চৌকাঠ ডিঙলো। বৌটা হঠাৎ শব্দ শুনে ঐ দিকে তাকিয়ে দেখে, তার ‘স্বামী’ আবার ঘুরে আসছে। সে তো আর জানে না, ভূত স্বামী এই কাণ্ড করছে!

সে জিজ্ঞাসা করছে – আরে এই তুমি একটু আগে নাহিড়ি খেয়ে পাট নিড়াতে গেলে, আর এখুনি ফিরে এলে? ভূত উত্তর দিচ্ছে – আরে বৌ পাট নিড়াতে নিড়াতে তোর কথা মনে পড়ে গেল যে কেন! আর থাকতে পারলাম না। ভূত স্বামী বারান্দায় বসলো। 

ভূতটা কেবলমাত্র গল্প জমিয়েছে, এই সময় বৌটার আসল স্বামী বাড়িতে ঢুকে বলছে – দেখ কী কাণ্ড, মাঠে যাবার সময় পাসনটাই নিতে ভুলে গিয়েছি! সামনে এগোতেই দেখে, তার বৌয়ের পাশে বসে আছে অবিকল সে। বৌটারও চরম ভ্যাবাচাকা খাওয়া দশা। যে পাশে বসে আছে, সেও তার স্বামী আর যে বাড়িতে এসে ঢুকল, সেও তার স্বামী।

দুই স্বামীতে তখন কলহ শুরু হয়ে গেল – ভূত বলছে আমি আসল স্বামী, আসল স্বামী বলছে- আমিই আসল। বৌটা দিশা দূয়ার না পেয়ে হাউহাউ করে কাঁদতে থাকল।    পাড়ার বৌ-বেটিরা ভীড় করে  সেই অবাক কাণ্ড দেখে। কিন্তু কেউ কোন নিদান দিতে পারে না।  

মাঠের কাজে যেতে পারেন নি গ্রামবৃদ্ধ। তিনি এসে সব দেখেশুনে বউটাকে অভয় দেন। একটা বাচ্চা ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলেন – যাতো ভাই, তোর বাপ যে বাঁশিটা বাজায় সেই বাঁশিটা নিয়ে আয় তো।

বৃদ্ধ মানুষটা বাঁশিটা দু’হাতে ধরে বলেন – এই ডবল স্বামী, তোমরা দাঁড়াও। এখন প্রমাণ হবে। এই যে বাঁশিটা, যে এর একটা ফুটো দিয়ে ঢুকে আর একটা ফুটো দিয়ে বেরোতে পারবে, সেই হল আসল স্বামী। আসল স্বামী থতমত খায়। কাঁদতে থাকে। ভূত স্বামী আনন্দে নেচে ওঠে। সে তাড়াতাড়ি করে, শরীরটাকে চিকন করে নিয়ে বাঁশির এক ফুটো দিয়ে ঢুকে আরেক ফুট দিয়ে বেরিয়ে – বুক টান টান করে দাঁড়িয়ে বলে – এই তো প্রমাণ করে দিলাম।     

বৃদ্ধ হাসতে হাসতে বলেন – আরে মানুষ কখনও বাঁশির এক ফুটো দিয়ে ঢুকে আরেক ফুটো দিয়ে বেরতে পারে! ভূতটাকে বললেন – তুই শালা ভূত। যা ভাগ শালা। ভূতটা পালাতে দিসা পায় না।  স্বামী-স্ত্রী উভয়ে উভয়কে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে আনন্দের কান্না কাঁদে। প্রতিবেশি বৌ-মেয়েরা দিতে থাকে হুলুধ্বনি আর বাচ্চাগুলো দিতে তাকে হাত তালি।

বালিয়া মামা গল্প শেষ করে বলেন – অতএব ভাই বন্ধু সাথি সকল, বাঁশিটা সব সময় হাতে রাখতে হবে। তা দিয়ে প্রমাণ নিতে হবে মানুষের আসল বন্ধু কে। না হলে ভূতের সঙ্গে ঘর করতে হবে। যেমন এখন করছো জনশত্রুদের সঙ্গে।

এ দুঃশাসন তো বদলাতেই হবে নাকি! সমস্বরে উত্তর – হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই।

বালিয়ামামা আদেশের মতো বললেন – তাইলে বাঁশিটা ঠিক রাখো।