ডায়নোসোরাস যুগ সবে শেষ হয়েছে, মোবাইল ধনীদের হাতে আসেনি। ইতিউতি ফ্ল্যাট বাড়ি গজাচ্ছে। এক ব্যবসায়ী সপরিবারে মথুরা বৃন্দাবন তীর্থে যাবার সময়ে উল্টো দিকের ফ্ল্যাটের সজ্জনের কাছে চাবি জমা রেখে গেছেন। দু দিন বাদে এক আলমারি কোম্পানির লোক এসে বললেন, আলমারি ডেলিভারির কথা আছে। সজ্জন ভদ্রলোক চাবি খুলে দাঁড়িয়ে রইলেন। কোম্পানি দরজার সমানেই আলমারি রেখে যাবার সময়ে বলে গেলেন, ওনারা ফিরলে সঠিক যায়গায় সেট করে দেবেন। পরদিন কোম্পানির বেশ কয়েকজন লোক এসে মাথা চাপড়ে বললেন, খুব ভুল হয়ে গেছে। হরেনের মাল নরেনের ঘরে ঢুকে গেছে। সজ্জন ভদ্রলোক আবার চাবি দিতে, ওনারা সজ্জনের সামনেই আলমারি নিয়ে চলে গেলেন। দিন দশেক পর ব্যবসায়ী ফিরে দেখেন সোনা, হীরা, ক্যাশ টাকা সব গায়েব। প্রতারণা একটা শিল্প, প্রতি দিন নয়া দিগন্ত আবিষ্কৃত হচ্ছে। ইলেক্টোরাল বন্ড সনাতন ধর্মগ্রন্হে উল্লিখিত নেই। নেহরুর পরিকল্পনাতেও অকল্পনীয় ছিল। বিকাশ থেমে থাকতে পারে না। চাওয়ালা থেকে আবিষ্কারকে উত্তীরণটাই সব কা বিকাশ।

ইলেক্টোরাল বন্ড অসাংবিধানিক ও অবৈধ- শীর্ষ আদালতের রায়। বিরোধী আন্দোলন নেই। বামপন্হীরা ছাড়া সবাই পাঁপড় ভেজেছে। পোড়া মুখে স্টেট ব্যাঙ্ককে দিয়ে অবাস্তব বক্তব্য রাখতে বাধ্য করা হয়েছিল। গত লোকসভা নির্বাচনে ২৩ কোটি ভারতবাসী মোদীকে বিশ্বাস করেছেন। ভোট প্রতি মোদীর জুমলা ৩০৫ টাকা। চোরের উপরেও বাটপার থাকে, মোদীবাবুর উপরে মমতা দিদিমণি। সারা ভারতে ভোট মাত্র আড়াই কোটি। প্রতি ভোটে তোলা উঠেছে ৫৬০ টাকা। বাকিরা সব বোঁড়ে। অবৈধ দুর্নীতি খোলসা করে চোর তৃণমূল বা চৌকিদার বিজেপি কোন আনুষ্ঠানিক দলীয় বিবৃতি দেয়নি। গেরুয়া পতাকাধারীরা অবৈধ ৬,৯৮৬.৫ কোটি টাকা কবে ফেরৎ দেবে, বা সিস্টার কনসার্ন তৃণমূলকে ১,৩৯৭ কোটি ফিরিয়ে দিতে উৎসাহিত করবে, বলেনি। ফলতঃ শীর্ষ আদালত চিহ্নিত অর্থনৈতিক তছরূপের দায় স্বীকৃত। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের স্বামী অর্থনীতিবিদ পরকলা প্রভাকরের মতে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক দুর্নীতি। ভারতীয় সংসদীয় গণতন্ত্রে পদ্ম বিজেপি ও আঞ্চলিক ঘেসো তৃণমূল যে দূর্নীতিপরায়ণ তা প্রমাণিত সত্য।

অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা দুর্নীতির যথেচ্ছ খাজনা না দিতে পারায় কারাগারে বন্দী। পদিপিসিরা বর্মীবাক্স ৭, কল্যাণ মার্গে পাঠিয়ে আইন কিনে নিচ্ছেন অনায়াসে। জার্মান, আমেরিকা সহ রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরেও বিষয়টি এসেছে। বিশ্ববাসী সবার সমান গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা স্মরণ করতে বলছেন। বলাই বাহুল্য আসলে, সমান শাস্তির কথাও বলছেন। বাংলায় ‘সেটিং’ কোন নতুন শব্দ নয়। বিগত দশ বছর ধরে অপরাধীদের সেটিং নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিজেপির মিডিয়া তথা ইউটিউবারদের প্রতি দিন সাফাই গাইতে হয়, সেটিং নেই। আগামীকাল ঘুম থেকে উঠে দেখবেন সফেদ দাড়িওয়ালা মানুষটা সত্যি মানুষ হয়ে গেছেন। সেই মানুষটা রামমন্দিরে উপুর হয়ে বা দ্বারকার সমুদ্রের রসাতলে হামাগুড়ি দিয়েও মানুষ হলেন না। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ স্বীকার করলেন, সুদীপবাবু মোদীবাবুর সাথে সেটিং করে নিরুপদ্রপে আছেন। এমনকি তাপস রায়ের বাড়িতে সিবিআই পাঠিয়ে দেন, যাতে তাপস রায় বিজেপির প্রার্থী হয়ে যেতে পারেন। মাফিয়াদের পথগুলি গোলকধাঁধা মনে হচ্ছে? তবে গোলকধাঁধায় আছেন কেন? 

২০১৯এর লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেছে খাতায় কলমে বাঙালির ৮৪% দ্বিচোর তত্ত্বে ভরসা রেখেছে। ১৩.২% বাম-কংগ্রেস জোটকে ভোট দিয়েছিলেন। প্রতি দশ জনে আনুমানিক এক জন ভোট দিতেও পারেননি। কেবল দ্বিচোর তত্ত্ব নয়, দ্বৈতলুঠের কারবারও বহাল ছিল। আধা সেনা বাংলায় কানা। তৃণ-দলনেত্রী ‘সততার প্রতীক’ নামক স্বঘোষিত উপাধি প্রত্যাহার করেছেন বহু পূর্বে। ভাল হত, যদি উপাধিটা বজায় রেখে সততা দেখাতে পারতেন। নরেন্দ্র মোদী ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ আর বলেন না। ফলতঃ ভাল হয়ে যাওয়াটা ভাল হলেও সহজ নয়। বিশ্বের দরবারে বাঙালির মাথা হেঁট হয়ে গেছে। যাঁরা বিগত লোকসভা ভোটে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাম-কংগ্রেস জোটকে ভোট দিয়েছেন এবং দেবেন ভেবেছিলেন, সেই সংখ্যাটাকে দ্বিগুণ করলেই দ্বিচোর তত্ত্বের বাইনারি ভেঙে যাবে। নরেন্দ্র মোদী বা নির্বাচন কমিশন যতই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বাণী শোনান, জনতার ভয়ে শান্তির সন্তানদের সেদিন খুঁজে পাবেন না। ঠিক যে ভাবে সন্দেশখালির নির্যাতিতারা রুখে দাঁড়িয়েছেন, তেমনই গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে হবে আপনাকেই।

ফুলদলের প্রার্থী তালিকায় দেখবেন, কেউ পদ্মে ছিলেন, শ্বাসরোধ হয়ে ঘেসো হয়েছে। অথবা ঘেসো পদ্মের মুখোশে। ২০১৯এ ফুলদল ৪০টা আসন তুলেছিল। ফল, প্রকাশ্য দুর্নীতির কোন তদন্ত শেষ হয়নি। বিনিময়ে জনবিরোধী সব কালাকানুনে রাজ্যসভায় ঘেসোরা পদ্মকে হয় ভোট দিয়ে নয়ত পালিয়ে সহায়তা করেছে। বন্ড দুর্নীতিতে মোদী-দিদি প্রথম সারির লুঠেরা। জীবনদায়ী ওষুধ কোম্পানিগুলি যেমন লুঠতরাজ করেছে, ঠিক তেমন ডিয়ার লটারি থেকে বিদ্যুতের মাশুলে জনগনকে মোদী-দিদির লুঠের খাজানা ভরতে হয়েছে। দ্বিচোর তত্বের বিরোধী জনগন ব্যালট বাক্সে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারলে সেটিং ভেঙে পড়বে। কোথাও লেবুবাবুরা ‘নো ভোট্টু বিজেপি’ বলে তৃণমূলের পাশে দাঁড়াবে, আবার কোথাও আইএসএফ ভোট কেটে মিমের মত বিজেপিকে সহায়তা করবে। যে ভোজপুরী প্রশান্ত কিশোর লক্ষ্মীর ভান্ডারের পরামর্শ দিয়েছিলেন, তিনি বিহারে রাজনৈতিক দল গড়ে বলছেন, মাত্র পাঁচশ টাকায় আপনার ইজ্জত, ভবিষ্যৎ ও ভোট বিক্রী করবেন না। ভীত হয়ে ভোটের মূল্য তৃণমূল হাজার আর বিজেপি তিন হাজার করেছে।

সন্দেশখালির ভয়ানক পরিস্হিতির কথা ভেবে দেখুন। পুলিশ-প্রশাসনের চিহ্ন মাত্র নেই। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করে সর্বনাশ করেছিলেন, তিনিই মাগনা জমি গ্রহণ করে চিংড়ির ভেড়ি বানিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন। শেখ শাহজাহানের দেশপ্রেমিক তৃণকর্মীরা ইডির আধিকারিকদের না রক্তাক্ত করলে জানাই যেত না। তখন বালুর রেশন দুর্নীতির খেলা চলছিল বাকিবুরদের সাথে। শেখ শাহজাহানরা প্রয়োজন মত বিজেপির তিনজন ক্যারিওকর্তাকে খুন করে ২০১৯সালের জুন মাসে সন্দেশখালিতে। দ্বিচোর তত্ত্বে গুরুত্ব দিয়ে তা নিয়ে নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহের মাথা ব্যাথা ছিল না। যেহেতু এসব চর অঞ্চলে শহুরে বিনোদন কম, তাই আলাঘরে বিনোদন সারতেন তোলা-দুর্বৃত্তরা। জন জোয়ার যাত্রায় গিয়ে সেনাপতি দেখে এসেছেন, হেলিপিসি আকাশপথেও দেখেছেন। কোন আদিবাসী রমণীকে কবে কোন আলাঘরে বা পার্টি অফিসে রাতে পিঠে বানাতে হবে, থানার বড়বাবু ঠিক করে দিতেন। আপনাকে লোভ দেখিয়ে ৮৪% ভোট নিয়ে মোদী-মমতা কী করছিলেন?

সেই সন্দেশখালি যদি মোদী-মমতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে, তাহলে আপনিও পারবেন। ৮৪%টা উল্টে দিন, দেখবেন সুর পাল্টে গেছে। ২০২৬ অবধি তৃণমূল টিঁকবে না, আর মোদীকে তদন্ত শেষ করতে হবে না, ঘাড় করবে। ওদের বকলেসটা তো আপনার হাতে, আপনি ওটাকেই ওঁদের চাবুকের মত ব্যবহার করতে দিচ্ছেন কেন? বাংলার নাটুকে মন্ত্রী হয়ত নিজে শাহজাহানের ভূমিকায় অভিনয় করে হুব্বা-টু বানাবেন। কারণ শাহজাহানের মুখে ক্রিমিনালের জন্মগত শ্রাবস্তীর কারুকার্য থাকতেই হবে। আদালত সন্দেশখালির সমস্ত তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে ন্যস্ত করেছে। দ্বিচোর তত্ত্বে ঘর পোড়া গরুরা কোন বিশ্বাস রাখতে পারছে না। পদিপিসির বর্মীবাক্সের অবাধ পথ কল্যাণ মার্গ অবধি থাকলে কোন তদন্ত শেষ হবে না। বাংলার জনগনকেই এই দ্বিচোর তত্ত্বের যোগসূত্র ছিন্ন করতে হবে। কুস্তির নাটক করে চুরির ফিরিস্তি দেবে। সারদা, নারদ শিক্ষা, পুরসভা, বন সহায়কে নিয়োগ দুর্নীতি, রেশনে আলু-বালু, গরু, কয়লা, পাথর, বালি, চিংড়ি থেকে লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ড্স সব জানি। চৌকিদারও মুখস্ত বলছেন। চোর ধরলেন না।

২০১৯ ও ২০২২৪র আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক পরিস্হিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। মোদী-মমতা যে দুর্নীতিগ্রস্ত, এটা আর সংশয় নয়, বাস্তব। ওঁরা সরাসরি অনুদানের বিনিময়ে ভোট কিনতে চান। বিকাশ বা উন্নয়নের গল্প আর মানুষ খাবে না। সেই বাস্তবকে মেনেই এক শ্রেণীর ধান্দাবাজ দালাল হয়ত ভোট দেবেন। সেই সংখ্যাটা দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ভয়াবহ। বাঙালির চারিত্রিক অবনতি সর্বক্ষেত্রে দৃশ্যমান। মঞ্চের উপর বসিয়ে সুশীল বিক্রী হয়, যেমন মার্কিণ মুলুকে মধ্যযুগে ক্রীতদাসের হাট ছিল। বৈতরণী পার হতে এমন প্রার্থী কিনে আনে, যাঁদের রাজনৈতিক ন্যুনতম ধারণা নেই। কেউ ১২% সংসদে হাজির থাকেন, বা আরো কম। ওনারা সেল্সম্যান, এসব রদ্দি জিনিস পালিশ দেখিয়ে বিক্রী করার চেষ্টা করবেন। আপনার ঘরের জন্য কিনলে কি পালিশ দেখে কিনতেন, না কাঠের গুণমান বিচার করতেন? তাহলে দেশের কোন মূল্য নেই আপনাদের কাছে? বহু ভোটার এমনকি প্রার্থী আছেন, যাঁরা সাংসদদের ভূমিকা ও গুরুত্ব সম্পর্কে সাধারণ ধারণাও রাখেন না। তাঁদের বোঝাতে হবে, দেশের ভবিষ্যতের সাথে নিজের সম্পৃক্ততার কথা।

২০২৪এ বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে কেউ আগ বাড়িয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারছেন না। আকাশ পাতাল উথ্থান পতন হতে পারে কেবল বাম-কংগ্রেস জোটের ক্যারিশমায়। বিগত পাঁচ বছর যদি মানুষ পথে দেখে থাকেন, তাহলে রেড ভলেন্টিয়ার্স থেকে ইনসাফ যাত্রায় বাম তরুণ ব্রিগেডকে দেখেছেন। সেখানেই নির্বাচনের চাবিকাঠি। সেই চাবিটা আছে আপনার জিম্মায়। যাঁরা কলার তুলে বলেছিল, দুর্নীতি করলেও জনগন আমাদের ভোট দেবে, তাদের ঘরে ঢুকিয়ে দিতে পারেন কেবল আপনি। যে অমিত শাহ বাংলায় এসে ‘সুনার বঙ্গাল’এর আজব ছড়া শোনান, তাঁরা এদিক পানে আর তাকাবেন না। মমতার কথাঞ্জলির পথে বাংলায় এসেছিলেন, মমতার জলাঞ্জলিতে জন-বর্জনে বিসর্জন হয়ে যাবে। আপনাদের প্রতিটি ভোট নতুন উদ্দীপ্ত বাংলার ইমারতের ইট। আমরা আশা করব অভিনয় ছেড়ে মোদী-মমতার ধর্ম ভাব জাগ্রত হবে। মেধাবীরা আবার শিক্ষক হবে, আমাদের ব্যাঙ্ক, বীমা, রেল, প্রতিরক্ষা, খনি সব দেশের মানুষ ফেরৎ পাবে। ললিত-নীরব মোদী, ভাইপো-সখা বিনয় মিশ্ররা সম্পদ লুঠ করে আর বিদেশে পালাতে পারবে না।

রাবণ সীতাহরণ করতে দশানন নিয়ে আসেননি, এসেছেন ফকিরের বেশে। দুয়ারে ফকির এলে ফিকিরটা জেনে নিন। দ্বিচোর তত্ত্ববাদীরা প্রচার করছে, বাম-কংগ্রেস আসন পাবে না, তাই ভোট দেবেন না। বিজেপি কেরালা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল, পণ্ডিচেরি, নাগাল্যান্ড, মিজোরামে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে কেন? কেন ভাইপো গোয়া, মেঘালয়, ত্রিপুরায় সৈন্য বাহিনী নিয়ে গিয়েছিলেন? ২০০৪এ তৃণমূল মাত্র ২১% ভোটে ১টি আসন পেয়েছিল। দ্বিচোর তত্ত্বের সাথী জোটসঙ্গী বিজেপি খাতা খুলতে পারেনি। দুর্নীতির বাইনারির গল্প মিডিয়া বলতে আসলে সটান জবাব দিন আঙুলের কালিতে। দ্বিচোর তত্ত্বের প্রবক্তারা বলছে, বাম-কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া বেকার। ওই সংখ্যাটা বলে দেবে, বাংলায় কত মানুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাথা তুলে আছেন। সেটা বাংলার মান, সম্মান, শিক্ষা, ইজ্জতের সরাসরি উত্তর। সে কথার অর্থ মোদী-মমতার বোঝার কথা নয়। বাম-কংগ্রেস জোটকে একটি ভোট মানে বিশ্বের চোখে সৎ, স্বাধীন মানুষের একটি ভোট বাড়িয়ে জাতির মুখ উজ্জ্বল করা।