এটা ঘটনা যে অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় প্রস্তুতি সেরে ৭ ই জানুয়ারির ব্রিগেডের সকালে ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন ইনসাফ আদায় করবার আওয়াজ তুলল। সাড়ে এগারোটায় এই লেখা যখন লিখছি তখনই ব্রিগেডে জনজোয়ার। সভা শুরু হতে এখনো দেরি আছে। পিপলস রিলিফ কমিটির স্টলে দূরদূরান্তের রাতজাগা বাসযাত্রার ফলে শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করা মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন চিকিৎসকদের কাছে পরামর্শ ও ওষুধ চেয়ে। ন‍্যাশানাল বুক এজেন্সিতে উৎসাহী ক্রেতার ভিড় বেলা বাড়ার পর কি চেহারা নেবে সহজেই অনুমান করা যায়। এবং ইনসাফযাত্রার ডায়েরি বইটি কেনার জন‍্য যুবশক্তির স্টলে লম্বা লাইন। কবি মন্দাক্রান্তা সেন যেখানে বই ও পোস্টার নিয়ে মাঠে বসেছেন অরিনিন্দম মুখোপাধ‍্যায়কে নিয়ে তার ঠিক পাশেই গণনাট‍্য সংঘ নিজেরাই তাঁবু খাটিয়ে বই ও পত্রিকা বিক্রি করছেন।

বাজারি মিডিয়া সাংবাদিকরা গুরুত্ব দিতে বাধ‍্য হয়েছেন এই ইনসাফ ব্রিগেডকে। কেননা আঠারো বছর পর যুব সংগঠন একক শক্তিতে এই ব্রিগেডের ডাক দিয়েছে। সভাস্থলে মিডিয়া সেন্টার থেকে তাঁরা বার্তা পাঠাচ্ছেন “মানুষের উৎসাহ বিস্ময়কর “কিন্তু সেইসঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে বামেরা এই রাজ‍্যে বিনানসভা ও লোকসভায় ” শূন্য “। মোক্ষম জবাবটা দিলেন জমায়েতের এক মাঝবয়সী মহিলা পদযাত্রী। টিভি চ‍্যানেলের বুমের সামনে বলে উঠলেন,” এত ভোটে জিতেছে কি চাকরি চুরি করার জন‍্য? শিক্ষায় দুর্নীতি আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যতের সর্বনাশ করছে এটুকু আমরা বুঝি তাই আমরা প্রতিবাদ করতে এসেছি। “

এই সময় তাৎপর্যপূর্ণ একটি প্রশ্ন যুব ব্রিগেড ঘুরছে ভুল ইস‍্যু ধর্ম জাতপাত সি এ এ এন আর সি বিজেপি তৃণমূল দুর্নীতির তদন্তের চাপান উতোরের বাইরে মূল ইস‍্যু কর্মসংস্থান,গণতান্ত্রিক অধিকার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিবেশ ফিরিয়ে আনা – এই সব প্রশ্ন মিডিয়া এবং শাসকশ্রেণীর কানফাটানো প্রচার অগ্রাহ‍্য করে উঠে আসছে। আগামী দিনে আরও প্রবলভাবে উঠে আসবে।