ডিওয়াইএফ আই এর সভাতে গ্রামের গরীব মানুষের ঢল দেখে যাঁদের শিহরণ জাগে না,মাপ করবেন,তাঁদের বামপন্থায় বিশ্বাস নিয়েই সংশয় রয়েছে। ইনসাফের ব্রিগেডে রাত জেগেছেন যাঁরা তাঁরা বেশিরভাগই দক্ষিণ ও উত্তর দিনাজপুর, মালদা মুর্শিদাবাদের খেটে খাওয়া মানুষ,বাঁকুড়া বীরভূম জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ারের জমায়েতের অনেকটা জুড়েই খেতমজুর অথবা দৈনিক মজুরিতে কাজ করা মানুষ। পতাকা নিয়ে আসতে হয় – ব্রিগেডে আসা বামপন্থী মানুষ এই অভ‍্যাসের বাইরে বেরোতে পারেন না। অনেকের হাতেই কাস্তে হাতুড়ি আঁকা লাল পতাকা দেখা গেল। ভিড় বাড়ার বহর দেখে বোঝা মুশকিল বাস ট্রেনের পরিবহন পর্যাপ্ত ব‍্যবস্থা আজ নেই। প্রকৃত অর্থেই বহু প্রতিকূলতা অগ্রাহ‍্য করে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলা থেকে এসেছেন লাখো মানুষ। সম্ভবত পঞ্চাশ দিন ধরে ২৯১০ কিলোমিটার একনাগাড়ে হেঁটে চলা ইনসাফ পদযাত্রীদের প্রতি সমমর্মিতা দেখানোর তাগিদ থেকেই।
যুবসংগঠনের ডাকে ইনসাফযাত্রার লক্ষ্য অবশ্যই যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের দাবি ,শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির প্রতিকারের দাবি প্রাধান্য পেয়েছে কিন্তু ফসলের ন‍্যায‍্য দাম দ্রব‍্যমূল‍্য বৃদ্ধির কথা বার বার ফিরে এসেছে ইনসাফযাত্রার প্রচারে, তাই স্বাভাবিকভাবেই ব্রিগেড উপচে পড়েছে যুব সমাজের বাইরে তাঁদের অভিভাবকদের ভিড়ে।

কখন যেন উত্তর বঙ্গের চা বাগানের শ্রমিক থেকে শুরু করে দুই চব্বিশ পরগণার চাষী ও খেতমজুর এবং মালদার নদীভাঙন রুখে দেওয়ার দাবির পোস্টার ইনসাফযাত্রাকে শ্রেণী আন্দোলনের অংশে পরিণত করেছে। ভারতের বামপন্থী আন্দোলনের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে ইনসাফের ব্রিগেড গুরুত্বপূর্ণ একটি মাইলফলক।