“আমাদেরই দায়িত্ব সংবিধানের মর্যাদা ও জাতীয় পতাকার মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখা।” ইনসাফের ব্রিগেডের মঞ্চে বলেছিলেন আভাস রায়চৌধুরী প্রাক্তন সর্বভারতীয় যুব নেতা – কমিউনিস্ট পার্টির এখনকার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস‍্য। দেশে এবং রাজ‍্যে গণতন্ত্র যেমন বিপন্ন তেমনই বিপন্ন জীবন জীবিকার অধিকার।আভাসের আগেই এসময়ে যুব সংগঠনকে লড়াইয়ের আহ্বান করলেন ময়ূখ,সৃজন এবং হিমঘ্ন। ইনসাফ পদযাত্রার সময় রাজ‍্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষের ক্ষোভের বঞ্চনার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছিলেন বক্তৃতার সময়। মীনাক্ষী স্পষ্ট আহ্বান জানালেন, লড়াই চলবে রুটি রুজির শর্তে লুটের রাজনীতি দুর্নীতির রাজনীতি দাঙ্গার রাজনীতি রুখে দেওয়ার শর্তে। বাঁচতে গেলে লড়তে হবে। বিনা লড়াইতে বাঁচা যাবে না। বিধানসভা লোকসভায় বামপন্থী প্রতিনিধি না থাকার কারণেই লুট দুর্নীতি অবাধে হচ্ছে। মানুষের লড়াই এর বার্তা সংসদ বিধানসভা ও সংসদে পাঠাতেই হবে। “

ইনসাফের ব্রিগেডের মঞ্চে লাল তারা চিহ্নিত শাদা পতাকা র সারির ওপরে উড়ছিল জাতীয় পতাকা। নতুন অভিজ্ঞতাই বটে। মনে পড়ছিল, স্তালিনের কথা, গণতন্ত্রের পতাকা আজ ভুলুন্ঠিত। কমিউনিস্টরা ছাড়া আর কেউ পারবেনা তাকে তুলে ধরতে। ডিওয়াই এফ আইয়ের আরেক প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান পলিটব্যুরোর সদস‍্য মহম্মদ সেলিম সভার শেষ বক্তা হিসাবে বলছিলেন,”হক আদায় করতে ধক লাগে। সেই ধক আমাদের বামপন্থীদের ছাড়া কারুর নেই। তাই আমরা বলছি পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি পাল্টাতে ৩৫৬ বা ৩০৫৬ দরকার নেই,রাজ‍্যের তরুণ তরুণীদের ইনসাফ চাওয়ার যাত্রার আহ্বানে সাড়া দিয়ে একককাট্টা হলে পাল্টে যাবে বাংলা।”