খারিজ। ২৫,৭৫৩টি নিয়োগ? নাকি রাজ্যের ভবিষ্যৎ খারিজ? সাত-সতেরো না ভেবে, নির্বাচনে সতেরো পদের দুর্নীতির রাঁধুনীকে ঘৃণায় খারিজ করে দিন। ব্রাত্য বসু আইপিএস রাজীব কুমারের মত ধূর্ত মেধাবী নন। সারদায় যে পেশাদারী নৈপুণ্যে তামাম নথি লোপাট হয়েছে, এসএসসি স্ক্যামে গলদ থেকে গেছে। দলনেত্রী আফশোস করতেই পারেন, ছাগল দিয়ে জমি চাষ হয় না। নাইসাকে ওএমআর শিট মূল্যায়ণের দায়িত্ব দেয় এসএসসি। ওএমআরের নথি এসএসসির সার্ভার থেকে গায়েব হলেও নাইসার আধিকারিক পঙ্কজ বনশলের গাজিয়াবাদে বাড়ির ৩টি সার্ভারে পঞ্চাশ লক্ষ তথ্য উদ্ধার করেছিল সিবিআই। বেনিয়মে পাওয়া চাকরি প্রাপকদের প্রাপ্ত নম্বর দুই সার্ভারের তথ্যে ব্যাপক গরমিল দুর্নীতি প্রমাণ করছে। ব্রাত্য বসুরা নাইসার সার্ভারের তথ্যের বৈধতা অস্বীকার করেছে। হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ নাইসার সার্ভারের তথ্যকে বৈধতা দিয়েছেন। সেই ডাটাবেস থেকে কি পুনর্মূল্যায়ণ সম্ভব নয়? শিক্ষাগত মান ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর যুক্ত করে করা যেতে পারে।

ভুয়ো প্রার্থীদের রক্ষার্থে রাজ্য সরকার রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবে। খাদ্যের সাথে বিষ মিশে গেলে পুরো ডিশটাই খারিজ হয়। সিবিআইয়ের অকর্মণ্যতা, এসএসসি, পর্ষদ তথা রাজ্য সরকারের বিশ্বাসঘাতকতা যোগ্যদেরও ভাগ্যাহত করল। ব্রাত্য বসুর সংজ্ঞানুসারে ব্যতিক্রমী (ভুয়ো) শিক্ষকদের চিহ্নিত করা গেল না কেন? বহু অন্তর্ঘাত সত্ত্বেও চাকরি লুঠ হওয়াদের ১১৩৫ দিনের রাজপথের আন্দোলন কি কাঙ্খিত ফল পাবে? ব্যতিক্রমীদের সাথে প্রকৃত যোগ্য চাকরিরতরাও চাকরি হারালেন। প্রধানমন্ত্রীর নাম নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী ও মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলে এটাই ভবিতব্য। সভাপতি সিদ্ধার্থ দাশগুপ্তর দপ্তর জানে কারা বেনিয়মে নিয়োগ পেয়েছে। বারবার অনুরোধের পরেও ব্যতিক্রমীদের নাম প্রকাশ না করে আদালতে ঘুলিয়ে দিয়েছে। নেত্রী কর্মরত প্রার্থীদের জন্য কাঁদতে বসবেন। বিচারকদের অপদস্হ করবেন। এমনকি জনৈক বিচারকের বিশেষ রাজনৈতিক দলে যোগদানের খেসারত দিতে হবে আন্দোলনকারী ও বিচারপতিদের। বিরোধী দলনতার বোমার হুমকি, অস্বস্তিতে ফেলেছে প্রতিবাদীদের।

আদালতের রায়ে যদিও পনেরো দিনের মধ্যে পুনরায় স্বচ্ছ প্যানেল প্রস্তুতির প্রক্রিয়া শুরু করার আদেশ আছে, তবু আইনী জটিলতা সৃষ্টি করে রাজ্য সরকার কালক্ষেপ করে বৈধ চাকরি প্রাপক ও চুরি যাওয়া যোগ্যদের আবার ধৈর্যের অগ্নিপরীক্ষায় ফেলবে। দ্বিতীয়তঃ দুর্নীতি উদ্ঘাটনে সিবিআইকে আবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় সংস্হাটি মমতা-সখা মোদীর অঙ্গুলি হেলনে বাংলায় নখ-দন্তহীন। বিজেপির প্রার্থী, প্রাক্তন বিচারপতি সিবিআইয়ের গড়িমসি নিয়ে বারংবার আদালতে ভর্ৎসনা করেছেন। পুনর্মূল্যায়ণের দায়িত্ব যদি এসএসসিকে দেওয়া হয়, তাহলে কি আদপেই ত্রুটিমুক্ত থাকতে পারে? ফলতঃ রাজ্যব্যাপী দুর্নীতি ও ন্যায্য বিচারের মাঝে দাঁড়িয়ে দুর্নীতির গ্যারান্টি নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। রাজ্য সরকারের তুমুল গালমন্দে বানিয়া ব্যাপমশ্রীর কোন ক্রিয়া বা প্রতিক্রিয়া নেই। নেত্রী নাকি এক লক্ষ চাকরি জাহাজে আমদানী করেছেন, কিন্তু বিজেপির জন্য বন্দরে খালাস করতে পারছেন না। যেখানে দুর্নীতির চেয়ে বহু মানুষের কাছে ৫০০টাকা মূল্যবান, সেই ভিখারিতে পরিণত রাজ্যে দুর্নীতি ভোটে কতটা প্রভাব ফেলবে?

রাজ্য সরকারের সুপার নিউমারারি পদ সৃষ্টির উদ্যোগে আদালত প্রশ্নাতীত ভাবে নিশ্চিত ক্যাবিনেট অবৈধ চাকরি প্রাপকদের নিরাপত্তায় যার পর নাই তৎপর ছিল। ৫ই মে, ২০২২এর ক্যাবিনেট মিটিংএ যে মন্ত্রীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁদের হেফাজতে নিয়ে সিবিআই জেরা করতে পারে। নরেন্দ্র দামোদরদাসের কি কোমরে সেই শক্তি বা সাহস আছে? সুপার নিউমারারি পদ মানে সীমিত সময়ের জন্য বকেয়া সহ পদ সৃষ্টি এবং সেই ব্যক্তির পদোন্নতি, অপসারণ বা অবসর গ্রহণের পর যে পদের শূন্যতা পূরণের প্রয়োজন থাকে না। দুর্নীতি প্রাক্তনী পার্থর জামানায় হলে ব্রাত্য বসু প্রায় ৭ হাজার সুপার নিউমারারি পদ সৃষ্টিতে উৎসাহী কেন? তৎকালীন শিক্ষা-সচিব মণীষ জৈন শিক্ষামন্ত্রীর অগ্রণী ভূমিকা স্বীকার করেছেন। উক্ত বিচারপতি এখন বিজেপির প্রার্থী। তিনি এবং বিরোধী দলনেতা কি নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর কানের সামনে সেই বোম ফাটাতে পারবেন? নির্বাচনী সভায় বোম ফাটাবার গল্পে, শাসক দলের বোম বিশারদ সৌগত রায় বা সওকত মোল্লারা বোম লুফে ছুঁড়ে মারবেন তৎকালীন শাসক দলের মন্ত্রী শুভেন্দুর দিকেই।  

অক্টোপাসের আটটি পা। সেপ্টেনডেসিমাল দানবের পা সতেরোটি। সমাজটাকে আষ্টেপৃষ্টে ধরেছে। নাইসা নামক সংস্হাকে গোপনে ওএমআর শিট মূল্যায়ণের দায়িত্ব অর্পণ অসাংবিধানিক। নাইসা সাব-এজেন্ট নিয়োগ করে। সেই সাব-এজেন্ট এসএসসি দপ্তরে বসে ওএমআর স্ক্যান করেছে। ওএমআর শিট বিনষ্টের আগে এসএসসির সার্ভারে মিরর ইমেজ সংরক্ষিত থাকার কথা, কিন্তু সিবিআই ডাটাবেস খুঁজে পায়নি। আরটিআই আবেদনকারীরা এসএসসির সার্ভার থেকেই নাকি স্ক্যান করা শিট পেয়েছে ২০২৩ পর্যন্ত। ঘোষিত শূন্যপদের চেয়ে নিয়োগ বেশী কেন? প্যানেলে নাম নেই, ফাঁকা ওএমআর, কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের চাকরি হয়েছে। মেধা তালিকায় প্রাপ্ত নম্বর প্রকাশিত হয়নি। প্যানেল মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরে প্রায় ১১০০টি কাউন্সেলিং হয়েছে। তাদের ১২%সুদ সহ মায়না ফেরৎ দেবার রায় দিয়েছেন মহামান্য আদালত। দুর্নীতি প্রসঙ্গে এসএসসি, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও রাজ্যের তথ্যে কোন সমাঞ্জস্য নেই। ক্যাবিনেট পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সুপার নিউমারারি দাওয়াই বাতলায়। সতেরো পদের রেসিপি আদালত ধরেছে।

এই রায় মানে কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর সিবিআইয়ের তদন্তের শেষের রায় নয়। ঝাড়খন্ড বা দিল্লীতে সিবিআই-ইডি বন্দেভারত হলে বাংলায় বন্ডে-এ-ভারত। বন্ড-তুতো ভাইবোনের দুষ্টু খুনসুটি। ২০২১ সালের ২২শে ডিসেঃ গ্রুপ-ডি নিয়োগে প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ১৫ই ফেব্রুঃ ও ৭ই এপ্রিল, ২০২২এ যথাক্রমে গ্রুপ-সি ও নবম-দশমেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আসে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের আদেশ খারিজ করে প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের অনুসন্ধান কমিটি গড়ার নির্দেশ দেন। ১৮ই মে, ২০২২, বিচারপতি সুব্রত তালুকদার বাগ কমিটির রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে পরিকল্পিত দুর্নীতির অকাট্য প্রমাণ দেখে পুনরায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। ২২শে জুলাই, ২০২২ মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হন। ২৮শে সেপ্টেঃ সিবিআই দুর্নীতির তথ্য পেশ করে ও পাঁচ হাজার নিয়োগ বাতিল হলে চ্যালেঞ্জ হয়। ৯ই নভেঃ, ২০২৩, শীর্ষ আদালতে মাননীয় বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু সিবিআই তদন্তগুলিকে এক সাথে হাইকোর্টকে মামলার নিষ্পত্তি করতে বলেন।

২২শে এপ্রিল, ২০২৪এর মাননীয় বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ করে পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া বিলম্বিত করবে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার। চিটফান্ড, নারদ, গরু-কয়লা-বালি-পাথর-মাটি পাচার থেকে রেশন কেলেঙ্কারি রাজ্য সরকারের চোররা নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর সহায়তায় তদন্ত স্তব্ধ করে রেখেছে। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির সাথে বহু মানুষের রুজি-রুটি সরাসরি যুক্ত। ফলে দুই ধর্ম-ফুলের আঙুলের ফাঁকে দুর্নীতি প্রকাশ্যে দৃশ্যমান। দেশে যদি শিক্ষিত প্রধানমন্ত্রী থাকতেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অযোগ্য দুর্নীতিগ্রস্তদের কড়া হাতে দমন করাই প্রাথমিক গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য হত। রামভক্তের ব্যাপমে কলঙ্কিত ইতিহাসের শিলালিপি উজ্জ্বল। ডিগ্রী জালিয়াত শিক্ষার গুরুত্ব বুঝবে না। নারদে মোদীর নির্লজ্জ এথিক্স কমিটির লালসাময় ভূমিকা কদর্য। দশ মাস রাজ্য সরকার জেলবন্দী প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করার সম্মতি দিচ্ছে না। মাননীয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকের বিরুদ্ধে রুল জারি করতে পারেন। 

সিবিআই কি আদপেই তদন্তের দিশা দেখাতে পারবে? অবসর প্রাপ্ত মাননীয় বিচারক রঞ্জিত কুমার বাগ একাকী যে কর্মকুশলতা দেখাতে পেরেছেন, অপদার্থ নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর হাতে পড়ে আস্ত একটি সংস্হা সেই উদ্যোগ দেখাতে ব্যর্থ। মাস খানেক আগে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের কাঁধে বন্দুক রেখে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে পালাবার সুড়ঙ্গ খুঁজেছিলেন। ৫ই মে, ২০২২এর ক্যাবিনেট মিটিংএর নথিতে কোন মন্ত্রী কোন যুক্তিতে সুপার নিউমারারি পদ সৃষ্টিতে আগ্রহী ছিলেন, লিখিত আছে। তাঁরা প্রাক্তন অপা মন্ত্রীর কীর্তি ও বর্তমান ব্যতিক্রমী মন্ত্রীর ব্যতিক্রমী-সূত্র সম্পর্কে অবগত ছিলেন না? মন্ত্রীদের সিবিআই দপ্তরে তুলে এনে প্রশ্ন করার অধিকার সিবিআইকে দিয়েছে আদালত। যারা অবৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছে, তাদেরও হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারে। স্হানীয় এজেন্ট, ব্লক স্তরের হুব্বা নেতা, জেলার কাক্কু নেতার সিঁড়ি ধরে শান্তিনিকেতনী প্রাসাদে পৌঁছান যায় ইচ্ছা থাকলে। অথবা মন্ত্রীদের থেকে নিচে নামতে নামতে অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়া লুঠেরা দুর্বৃত্তের বাড়ির উঠোনে যাওয়া যায়।

ভারতীয় বিচার ব্যবস্হা চোরদের ঘোমটা উন্মোচিত করে দিয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে চোর চিহ্নিত হয়েছে, চৌকিদারও। চোরের দালাল, চোরের উকিল, চোরের সুশীল- সবাই স্পষ্ট। চোরের সিবিআই কতটা আদালতে প্রমাণ করবে সন্দেহ আছে। বিরোধী দলনেতার হুঙ্কার কিংবা গেরুয়া ইউটিউবারদের প্রবচন- ‘এবার দেখুন মোদী কী করেন!’ শুনে কোন লাভ নেই। বাংলার শিক্ষা কোন শ্মশানে পোড়ানো হবে, তা নিয়ে যেমন শেখ শাহজাহানের মাথা ব্যথা ছিল না, তেমনই নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীরও নেই। কেউ আলাঘরে উপুর হয়ে ভোগে আছেন তো কেউ রামমন্দিরে উপুর হয়ে ভোগ খাচ্ছেন। কাপুরুষ নরেন্দ্র মোদীর দৌড় কত দূর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বিলক্ষণ বোঝেন। তিনি জানেন, শাহজাহানকে মোদীর ভয় দেখাবো, মোদীকে শাহজাহানের। প্রতিকুল পরিস্হিতিতে বিচার ব্যবস্হা যত টুকু সুরাহা উপহার দিয়েছে সেটাকেই মূলধন করে বাংলার মানুষকে সোচ্চার হতে হবে। চুরি বন্ধ করতে হলে, চোর ধরে জেলে ভরতে হবে। দুই ক্যাবিনেট মন্ত্রী জেলে। আদালত জেলেই ক্যাবিনেটের সভা বসাবার ইঙ্গিত দিয়েছে।    

এবার স্বাভাবিক কারণে প্রায় কুড়ি হাজার যোগ্য প্রার্থী পথে নামবেন। যে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির জন্য এই সমস্যার সৃষ্টি হল, সেই দুর্নীতিপরায়ণ সরকার এই বিক্ষোভকে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার কাজে ব্যবহার করবে। চাকরি চুরি যাওয়া যোগ্য প্রার্থীদের সাথে সঙ্ঘাত লাগিয়ে দেবে ভিড়ে মিশে থাকা শাসকের দুর্বৃত্তরা। পুনর্মূল্যায়ণের কাজের দায়িত্ব যেমন এসএসসি পালনে অনাগ্রহী হবে, ঠিক তেমনই নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর সিবিআই শ্লথতর হয়ে সমস্যা আরো জটিল করে তুলবে। এসএসসির চেয়ারম্যানের প্রশ্ন, পাঁচ হাজার অবৈধ নিয়োগের জন্য কেন সব নিয়োগ বাতিল হল, অথচ পাঁচ হাজার নাম প্রমাণ সহ জেনেও চিহ্নিত করলেন না। রাষ্ট্রের মাথা থেকে চেয়ারম্যান, মন্ত্রী, দালাল অবধি দৃষ্টান্তমূলক কঠোর সাজা ভবিষ্যৎ ভারতের সংবিধানে আস্হা অটুট রাখবে। নেতারা যেন দুষ্কর্মের আগে পরিণতির কথা স্মরণ করেন। ধর্ম ব্যবসায়ীরা রাম-রহিমের নামে শিক্ষিত ও সৎদের পথে বসিয়ে ছাড়ছে, চোররা রাজ কায়েম করেছে। শিক্ষিতদের নির্বাচিত করুন। গ্যারান্টি আর দুয়ারে দুর্নী