আজাদ’-ঠিকানা জেলখানা

                      তাপস সিনহা

তোমার নাম কি?-“আজাদ”

পিতার নাম –? “স্বাধীনতা”

তোমার বাড়ী কোথায় ‘জেলখানা’

ইংরেজ ম্যাজিস্ট্রেট এর প্রশ্নের উত্তরে এই কথাগুলি বলেন অগ্নি যুগের এক স্ফুলিঙ্গ বিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদ। ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে পিকেটিং করার অপরাধে চন্দ্রশেখর আজাদের বিরুদ্ধে মামলা চলে, কিশোর সত্যাগ্রহী চন্দ্রশেখর আজাদের উত্তরে রুষ্ট হয়ে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে পনেরো ঘা বেত মারার সাজা দেন। সাজা গ্রহণকালে কিশোর চন্দ্রশেখর আজাদ সাহসিকতার সঙ্গে তার পিঠ পেতে দেন। কিশোর চন্দ্রশেখর জানতেন, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের যে দামামা বেজে উঠেছে সারা ভারতবর্ষব্যাপী,… একজন বিপ্লবী কে বেত্রাঘাত করে তার গতিকে স্তব্ধ করে দেওয়া যাবেনা। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের শৃঙ্খল থেকে কোটি কোটি মানুষকে মুক্ত করার জন্য তিনি অসহযোগ আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন। একেবারে কিশোর অবস্হাতেই মাত্র পনের বছর বয়সেই নিজেকে অগ্নি মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিলেন চন্দ্রশেখর আজাদ।

১৯০৬ সালের ২৩শে জুলাই মধ্যপ্রদেশের ভাওরাতে চন্দ্রশেখর আজাদের জন্ম। পিতা পণ্ডিত সীতারাম তেওয়ারী জীবিকার অন্বেষণে উত্তর প্রদেশের উন্নাও থেকে ভাওরাতে গিয়ে বাস করেন। পণ্ডিত সীতারাম দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে অতি নিষ্ঠাবান ও সৎ জীবনযাপন করতেন। চন্দ্রশেখর আজাদকে পড়াশোনার জন্য তার পিতা বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান।

অল্প বয়স থেকেই চন্দ্রশেখর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার স্বপ্ন দেখেন। দেশ স্বাধীন হবে আর স্বাধীন দেশের পূব আকাশে তমশাচ্ছন্ন রাত্রির অবসান ঘটিয়ে স্বপ্নময় সোনালী সূর্যের উদয় হবে। যে সূর্যের আলোয় আলোকিত হবে দেশের কোটি কোটি মানুষ, স্বাধীন জীবন যাপন করবে। দেশে মানুষের জন্য বুক ভরা ভালবাসা তার দেশের মুক্তির রক্তিম সূর্য তাঁর চোখের সামনে ভাস্বর হয়ে উঠেছিল। নিজেকে আর স্হির রাখতে পালেন না আজাদ।

পনের বছর বয়সে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণের পর ১৯২২ সালে বিপ্লবী দলে যোগ দেন চন্দ্রশের আজাদ। বিপ্লবী দলে যোগদানের পর থেকেই তার বৈপ্লরিক জীবন ও কর্মধারা নতুন রূপ নিল। আজাদ জীবনের প্রতিটি কাজের ভিতর দিয়ে তাঁর আজাদ নাম স্বার্থক করে তোলেন। ১৯২২ সালে বিপ্লবী দলে যোগদানের পর থেকেই আজাদ সংগোপনে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা শুরু করেন। পুলিশ তাঁর খোঁজ কখনও পায়নি।

১৯২৫ সালে কাকোরীর বিপ্লবী কাণ্ড অনুষ্ঠিত হয়। কাকোরীর কাছে ট্রেন থামিয়ে সরকারী অর্থ লুঠ করা হয়। অনেকে এই ঘটনাকে একটা সাধারন ডাকাতি বলেই মনে করেছে। কিন্তু কাকোরী মামলার শুনানী থেকে বোঝা যায় এটা কোন সাধারন ঘটনা নয় এটা ছিল ভারতীয় বিপ্লবী আন্দোলনের একটি অপরিহাৰ্য্য অঙ্গ।

কাকোরীর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর-পাকড়, খানা তল্লাশী, গ্রেপ্তারের হিড়িক পড়ে গেল চারিদিকে। চন্দ্রশেখর আজাদ এবং কুন্দন লাল ছাড়া এক এক করে সবাই ধরা পড়ে গেল। আজাদ নিজের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখতে বদ্ধপরিকর। অনেক বারই তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, ” যেই জিতুক আমার দেহে হাত লাগাতে কেউ পারবেনা’। আজাদ বারানসীতে ছিলেন অন্যান্য সাথীদের মতামত জানার অপেক্ষা না করে বারানসী ছেড়ে ঝাঁসী চলে গেলেন। শুরু হোল আজাদের ফেরার জীবন। —

আজাদের ফেরার জীবনের কতকগুলো লক্ষ্যনীয় দিক ছিল যখন কোন সহকর্মী ধরা পড়ত যারা তার আবাস জানে তিনি তৎক্ষনাৎ তাঁর আশ্রয় বদলে ফেলতেন। ফেরার জীবন কাটানোর পক্ষে আজাদের চেহারা ছিল উপযোগী। অতি সাধারণ বেঁটে খাটো এবং খুব বলিষ্ট। অন্যান্য মানুষ থেকে তাঁকে পৃথকভাবে চিহ্নিত করা কঠিন ছিল। তিনি যেমন খুশী বেশ ধারন করতে পারতেন। আজাদ কখনও ধুতি, গলায় উত্তরীয় ধারন করে হাতে ভাগবত নিয়ে ঠাকুর সাজতে পারতেন। সাধারণ ধূতি, পাঞ্জাবী, সাদা টুপি পরে রুজি রোজগারের ধান্দায় ব্যস্ত ব্যবসায়ী বলে নিজেকে চালিয়ে নিতে পারতেন। কখনও বনেদী পরিবারের চাকর হয়ে যেতে পারতেন। আর কখনও পুলিশের পোষাকে পুলিশদের সঙ্গে ভীড়ে যেতে পারতেন। যা ভগৎ সিং ও আসকাফউল্লার পক্ষে সম্ভব ছিল না। ‘আজাদের এই বৈশিষ্ট্যের জন্য যখন লাহোরের স্যান্ডার্স হত্যার পর কারোরই পক্ষে সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না তখন আজাদ তাঁর এই গুণগুলির জন্য অনায়াসেই লাহোর ছেড়ে চলে যেতে পেরেছিলেন। চন্দ্রশেখর আজাদের ফেরার জীবন ছিল চমকপ্রদ ।একবার তিনি ঝাঁসী শহর থেকে কয়েক মাইল দূরে সতার নদীর তীরে কুটির বেঁধে সাধুর বেশ ধরে আশ্রমের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেই সময়ে সেখানে একটি খুন হয়। সেই খুনের কিনারা করার জন্য দারোগা পুলিশ আসে। পুলিশ তাঁরও নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করে, উত্তরে বলেন, ”সাধুর আবার নাম ঠিকানা! সাধুকে এসব জিজ্ঞেস করতে নেই। এসব জিজ্ঞেস করলে আমার ব্রত নষ্ট হয়ে যাবে”।

একবার আজাদ কোন এক সাধুর সঙ্গে তার কুটিরের দিকে যাচ্ছিলেন রাস্তায় দুই পুলিশ কনস্টেবল তাঁকে দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন করে –” তোর নাম কি আজাদ’? আজাদ এতটুকুও বিচলিত না হয়ে উত্তর দিলেন ‘হ্যাঁ সাধু আজাদ ছাড়া আর কি? তার তো কোন বন্ধন নেই। সে বন্ধন মুক্ত পাখির মত”।

আত্মগোপনকালে তিনি গোপনে বিপ্লবী সংগঠন গড়ার কাজ চালিয়ে যান। ১৯২৮ সালে ভগৎ সিং প্রমুখ বিপ্লবীদের সঙ্গে একযোগে হিন্দুস্হান সোস্যালিষ্ট রিপাবলিকান (এইচ.এস.আর.পি) পার্টি গড়ে তোলেন। হিন্দুস্হান সোস্যালিষ্ট রিপাবলিকান পার্টির একজন সেনাপতি হিসাবে সহকর্মীদের সাথে যেমন কঠোর ব্যবহার করতেন আবার তেমনি সর্বস্তরের সহকর্মীদের আন্তরিকতার সঙ্গে ভালবাসতেন। কোন সময় কাউকে তিরস্কার করলে পরমূহূর্তে তিনি তাকে কাছে টেনে নিতেন। কঠোর এবং কোমলের এক আশ্চর্য্য সমন্বয় তাঁর সমগ্র চরিত্রকে মহিমান্বিত করে রেখেছে।

লাহোর স্যান্ডার্স হত্যাকাণ্ডের পর ভগৎ সিং এবং রাজগুরুকে হাবিলদার চন্দন সিংহের হাতে গ্রেপ্তারের জাল থেকে বের করে আনতে পারা তার দুঃসাহসিক সাহসিকতা ও কৃতিত্বের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। স্যাণ্ডার্স হত্যার পর ভগৎ সিং এবং রাজগুরুর ডি.এ.ডি কলেজের ছাত্রাবাসের দিকে যাওয়ার কথা ছিল। আর আজাদ দাঁড়িয়ে ছিলেন ছাত্রাবাসের চত্বরে। ভগৎ সিং, রাজগুরু তাদের পিস্তলের সমস্ত গুলি স্যান্ডার্সের উপর চালিয়ে যখন ছাত্রাবাসের দিকে দৌড়ে পালিয়ে আসছিলেন-তখন হাবিলদার চন্নন সিং ভগৎ সিংকে ধরার জন্য পেছনে পেছনে ধাওয়া করতে থাকে। ভগৎ সিং আগে, মধ্যভাগে চন্দন সিং পিছনে রাজগুরু! তিনজনেই ছুটছেন। ভগৎ সিং, রাজগুরু জানেন তাঁদের দুজনের কেউ একজন ধরা পড়লে তার শাস্তি একটাই…. ফাঁসি। আজাদ তিনজনের এই দৌড় লক্ষ্য কর ছিলেন এবং তিনজনের মাঝে থাকা চন্নন সিংকে লক্ষ্য করে আজাদ পর পর গুলি ছুঁড়লেন। দুটি গুলির পর হাবিলদার চন্নন সিং এর পা আর পেট বিদ্ধ হোল। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। এই রকম সংকটময় মুহূর্তে প্রত্যয়ের সঙ্গে লক্ষ্যভেদ করা আজাদের পক্ষেই সম্ভব ছিল। লড়াইয়ের ময়দানে পূর্ণ আত্ম বিশ্বাস এবং আত্মপ্রত্যয়ের সঙ্গে তা পরিচালনা করা আজাদের এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ‒‒‒

..লাহোরের রাজপথে স্যাণ্ডার্সকে গুলি করে হত্যা করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সূচনা হয়,,লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা। এই মামলায় বটুকেশ্বর দত্তকে অভিযুক্ত করেও প্রমান না থাকায় মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। চন্দ্রশেখর আজাদকে অভিযুক্ত করেও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বৃটিশ সরকার তার মাথার দাম ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার) টাকা ঘোষণা করেছিল। লাহোর ষড়যন্ত্র মামলায় ভগৎ সিং, শুকদেব, রাজগুরুর মৃত্যুদণ্ড হয় এবং শিব বর্মা, জয়দেব কাপুর, ডা. গয়া, প্রসাদ, কমল তেওয়ারী, বিজয় সিনহা, কুন্দনলালকে যাবজ্জীবন কারা দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এদের সকলকেই এবং বটুকেশ্বর দত্তকে আন্দামান সেলুলার জেলে নির্বাসিত করা হয়। সেখানে এঁরা সকলেই গভীর আত্মানুসন্ধানের মধ্য দিয়ে কমিউনিষ্ট মতাদর্শ গ্রহণ করেন। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক আদর্শের সঙ্গে সম্যক পরিচিতি ছিল না তাদের। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের রূপ কী হবে? আন্দোলনে নেতৃত্ব কারা দেবে — এপ্রশ্ন তখনও পর্যন্ত পরিস্কার হয়ে ওঠেনি তাদের কাছে। স্বাধীনতা আন্দোলন ব্যাপক হতে ব্যাপকতর হোক, ‘ভারতের প্রতি ঘরে ঘরে স্বাধীনতার সংকল্প ধ্বনীত হোক এটাই ছিল তাদের স্বপ্ন। এরাজতন্ত্রের বিপ্লবী নীতি ও কর্মসূচী যে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত, এসত্য তারা উপলব্ধি করেছে। লাহোর ষড়যন্ত্র মামলার আর একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হোল লাহোরের বোর স্টাল জেলে ৬৩ দিনের অনসনে বিপ্লবী যতীন দাসের মৃত্যু বরন (১৩ই সেপ্টেম্বর ১৯২৯)।

যতীন দাসের মৃত্যুর পর ১ বছর ৫ মাস ১৪ দিন অতিবাহিত হোল। আজাদ হিন্দুস্হান সোস্যালিষ্ট রিপাবলিকান পার্টির সৈনিক হিসাবে পার্টি পরিচালনা করেন। তিনি জানতেন সশস্ত্র লড়াই ছাড়া মুক্তির আর কোন পথ নেই। তাই তিনি নিজে সমস্ত পার্টিকেই সেই পথে পরিচালনা করতে চেয়েছিলেন। আজাদ ছিলেন যথার্থ বিপ্লবী। বিপ্লবী হৃদয় নিয়েই তিনি সমস্ত মানুষকে দেখতেন, তাদের কথা চিন্তা করতেন। তাদের মুক্তির কথা ভাবতেন। আজাদ বার বার বলতেন ‘আমি বেঁচে থাকতে শাসকশ্রেণীর হাত আমার গায়ে পড়তে দেবনা ‘। আজাদের এই আত্মবিশ্বাস ছিল সূর্যের যত তেজোদীপ্ত। তাই ঝাঁসী থেকে পুলিশ যেদিন আজাদকে অনুসরন করে এলাহাবাদের আলফ্রেড পার্কে ধরার চেষ্টা করল সেদিন আজাদ বীরের মতোই তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেন। একটা গাছের পিছনে নিজেকে আড়াল করে তিনি গুলি ছুঁড়তে লাগলেন। বেশ কিছুক্ষন গুলি বিনিময়ের পর সেই গাছের নীচেই ভারতের মুক্তিযুদ্ধের বীর অধিনায়ক চন্দ্রশেখর আজাদ (১৯৩১ সালের ২৭ শে ফেব্রুয়ারী) শহীদের মৃত্যু বরন করেন। আল ফ্রেড পার্কের যে গাছের নীচে মহানায়ক মৃত্যুবরন করেন। পরবর্তী কালে ব্রিটিশ শাসক সেই গাছটিকে ছিন্নমূল করে শহীদের স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু ভারতের কোটি কোটি মানুষের হৃদয় থেকে চন্দ্রখের আজাদের বিপ্লবী স্মৃতিকে কেউ মুছে ফেলতে পারেনি। আজও হাজার হাজার মানুষ ”আলফ্রেড  পার্কে যায় বীর সৈনিকের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানাতে। ঐ পার্কের নাম আর আলফ্রেড পার্ক’ নেই এখন ঐ পার্কের নাম চন্দ্রশেখর আজাদ পার্ক। যুব আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারনে একাধিকবার এই পার্কে গিয়ে চন্দ্রশেখর আজাদ পার্কে গিয়ে আজাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার সুযোগ হয়েছে।

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসনের বিরুদ্ধে ভারতের মুক্তি সংগ্রামে সশস্ত্র বিপ্লবীদের ভূমিকার গুরুত্ব সেদিন অনেকেই যথাযথ উপলব্ধি করতে পারেননি। দেশের আপামর জনগণ যে সশস্ত্র বিপ্লবী দের কার্যকলাপে আলোড়িত হয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের নবচেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উঠেছে — তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল লাহোর ষড়যন্ত্র মামলা চলার সময়। ঐসময় থেকেই ভগৎ সিং, যতীন দাস, চন্দ্রশেখর আজাদ প্রমুখ বিপ্লবীদের নাম ভারতের জনসাধারনের মনে একটা স্হায়ী আসন করে নিয়েছে। তাঁরা হয়ে উঠেছিলেন জনসাধারনের আশা-আকাংক্ষা ও তাঁদের রাজনৈতিক মর্যদাবোধের প্রতীক, তাঁরা হয়ে উঠেছিলেন বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের  অবসানের জন্য সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক। তাঁদের দেশপ্রেম ও আদর্শ নিষ্ঠার জন্যই তাঁরা মৃত্যুহীন।

যারা স্বর্গগত তারা এখনো জানে

স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি

এসো স্বদেশব্রতের মহাদীক্ষালোভী

সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণচুমি…..আসুন আজ দেশকে রক্ষা করার জন্য ব্রতী হই,দেশপ্রেমে সকলকেই উদ্বুদ্ধ করি।