ইষ্ট জর্জিয়া স্টেট কলেজের নামকরণ হয় ১৯৮৮ সালে। পূর্বনাম ইমানুয়েল কান্ট্রি জুনিয়ার কলেজ। যেহেতু কলেজটি স্বর্ণপ্রসূ, বাঙালি হিসাবে তুমুল আগ্রহ। মানের নিরিখে বর্তমান USAর ৪৭তম স্হানে থাকা কলেজটির বার্ষিক দক্ষিণা ২৫ লাখের কিছু বেশী। ৮ হাজারের মত ভারতীয় ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করছে। পরম করুণাময় ঈশ্বরের অপার আশীর্বাদ ছাড়া সত্তর দশকে টলিনালার পাশে টালির ঘর থেকে পড়া অসম্ভব। তিনিই কি ব্রাত্যের শ্রীশ্রীচৈতণ্য, নির্মল মাজির মা সারদা, বা হেকিমের সান্তাক্লজ কিংবা বিশ্বজিত দাসের ভগিনী নিবেদিতা? বিতর্ক ও দাবীর অন্ত নাই। রামের জন্মের পূর্বে বাল্মিকী রামায়ণ রচনা করেছেন। ইষ্ট জর্জিয়া স্টেট কলেজ উদ্বোধনের আগেই অর্থানুকুল্যে PhD বিতরণ শুরু হয়। সেই জ্ঞান নাকি নিয়োগ দুর্নীতির দিশারী হয়েছিল। ধর্মগ্রন্হে ভবিষ্যত আঁকা থাকে। বিশ্বাসটাই ইমান। প্রশ্ন মানেই কাফের। তৃণ সমর্থকরা ইমানদার। ১৯৪৬এ গান্ধীজীকে রবীন্দ্রনাথের লেবুজল খাওয়ানো প্রসঙ্গে কোন দুর্নীতির সমর্থক একটি শব্দ খরচ করেছেন? এই ভাতৃত্ববোধ তৃণমূলকে ক্ষমতায় ধরে রেখেছে।

আপেল কেন মাটিতে পড়ে? নিত্য সাধারণ ঘটনায় প্রশ্ন নিউটনের মাথায় আছাড়ে পড়েছিল। ভারতে বৃহত্তম বিরোধী দল কংগ্রেস ও পারিবারিক লোকাচারে কংগ্রেসের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব সনিয়া-রাহুল। ওঁরা কোন দিন ভারত সরকারকে প্রশ্ন করেছেন, বিশ্ববঙ্গে দুর্নীতির তদন্ত দশ বছরে কেন হল না? তেত্রিশ বছর রাজনীতির ব্যবসা করছেন, আর চায়ের দোকানের পটলা অবসর সময়ে দেশ ও দশের ভালমন্দের কথা ভাবে। অপেশাদার পটলার কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে মোদী-মমতার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করবে, ভাবাটা ভুল। ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুললে নমিনির নাম দিতে হয়। বিষয়টা রাজনীতিবিদরা অনেক আগেই ভেবেছেন। অখিলেশ, তেজস্বী, সুপ্রিয়া, এমকে স্তালিন, মায়াবতীর ভাতিজা আকাশ, ওমর আবদুল্লা, মেহেবুবা মুফতি, উদ্ভব ঠাকরে, জগন্মোহন রেড্ডি, কুমারস্বামী, ভাইপো অভিষেক, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া থেকে রাজীব-সনিয়া-রাহুল সবাই পূর্বপুরুষের নমিনেশন। রাজতন্ত্রই যদি চলে, গণতন্ত্রের ফালতু মোড়কের প্রয়োজন কী? জনতা হঠাৎ সকালে সক্রেতিস হয়ে যাবে না আশা করি।

ভারতবাসী দীর্ঘ মনুবাদী বর্ণবিদ্বেষী অত্যাচার সয়েছে, সাতশ বছর মুসলমান শাসনের পর দুশো বছর ব্রিটিশ লুন্ঠনের সাক্ষী। সেই ভারতবাসী রাতারাতি কপি অ্যান্ড পেস্ট করে উপরে অশোক স্তম্ভ লাগিয়ে নিজস্ব সংবিধানের অহমিকায় গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, সাম্যবাদী হয়ে যাবে, তাই হয় নাকি? চামড়ায় শিক্ষার প্রলেপ লাগিয়ে হবে না, রক্তে মিশতে হবে। আজও ডঃ সুগত বসুরা আরাবুলকে স্বার্থে তাজা নেতা দেখেন। ভারতবাসী শিক্ষা, বন, পুর, স্বাস্হ্যে নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা, গরু, বালি, পাথর, মাটি, চাল, রেশন, শিশু, পাচার কিংবা চিটফান্ড বা নারদে খড়্গহস্ত হয়ে উঠবে ভাবানাটা অলীক কল্পনা। যদি কোন শিক্ষিত, সাংস্কৃতিক, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রধানমন্ত্রী থাকতেন, তাহলে বিকল্প ইতিহাস নির্মিত হত। সে সম্ভাবনা তৃতীয় বিশ্বে খুব কম কারণ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাবিনেট বা প্রশাসনিক ক্ষমতাশালীদের নির্বাচন করেন শিল্পপতিরা। পরিসেবা রাহুল গান্ধী শিল্পপতিদের পাপোষে পৌঁছে দিতে পারলে, হয়ত তিনিই যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারতেন। নিয়ন্ত্রক মনে করছেন, পরিসেবা প্রদানের পরিপক্বতা তাঁর নেই।

রাজীব কুমার রাজ্য পুলিশের ডিজি হলেন, কারণ চটিতে দেবতার আরাধনার মেধা, কুশলতা অতীতে সাফল্যের সাথে করে দেখিয়েছেন। রাজীব সিনহা রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন সার্থক চটিপুজায়। দুর্নীতির আস্হাবান গোলাম হবার যোগ্যতা অর্জন করতে হয়। কখন আলীবর্দী খান সরফরাজ খানকে হত্যা করে নবাব হবেন, আর কবে আলীবর্দীর নাতি সিরাজকে খতম করে সৈয়দ মীর জাফর আলি খান মসনদে বসবেন, সবটাই নির্ধারণ করতেন পশ্চিমা ব্যবসায়ী জগৎশেঠ। দুর্নীতির পক্ষে গোপনে কত বিশ্বাসঘাতক আছে, কত জল মেশালে এখনও পার্থ বা বালুরা ভোটে জিতে আসবেন, জগৎশেঠরা জানেন। সেই নির্বাচন কে পরিচালনা করবেন, কে আইনরক্ষা করবেন সবটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। জনগন চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে হাজারদুয়ারী ঘুরে যাবে, আর ভোট লুঠ হয়ে যাবে দরিদ্রের দুয়ার থেকে। দুয়ারে সরকার অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম মাখিয়ে রাখবে কারণ বাজারটা যমের দুয়ারে চলে গেলে জগৎশেঠদের মূল ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। প্রয়োজনে মমতা ডক্টরেট হবেন, মোদী স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী।

জনতাকে শান্ত রাখার জন্য সাইবার যোদ্ধা পুষতে হবে। যোদ্ধাদের সাথে শাহী-আলোচনা হবে। যোদ্ধারা নিজেদের হনু ভাববেন। কথা-বার্তায় হনুত্ব প্রকাশ পাবে। রোজ সকালে ভিডিও প্রকাশ করে ঘোষণা করবে কাল গোষ্ঠমামার মত ফাঁদ পেতে মোদী মাথাটাকে খপ করে ধরবেন। সেই আগামীকালটা আর আসবে না। শেষে ‘ঘ্যাঁচ করে তোর পাঁজর ঘেঁষে লাগল কি বাণ ছটকে এসে ফট?’ জনতা সেটিং ধরে ফেললে মোদীকে সরিয়ে দেবে, ফোট। সাইবার যোদ্ধারা জার্সি বদল করে আবার আগামীকালের কিস্যা নিয়ে আসবে। ভৃত্য ছাড়া জগতে কিছু নিত্য নয়। শান্তনু-কুন্তল-অয়ন শীল, সবই নিত্য পরিবর্তনশীল। এই ভৃত্যবোস কুণাল ঘোষের মত বদলে যাবে। সর্বদা হাত তুলে দিতেন বলে শ্রীশ্রীচৈতণ্য বলেছিলুম। এখন চাহিদার হাত দু দিকে বিস্তারিত বলে ক্রুশবিদ্ধ যীশু বলছি। ভবিষ্যতে জগন্নাথ বলব। ফেব্রুয়ারী অবধি রাহুল প্রণয়ের প্রস্তাব নিয়ে তৃণভূমিতে ঘোরাঘুরি করে অতঃপর বামেদের কুটীরের পাশে চুপটি করে বসবেন। ২০২৪ সবার ভাল কাটুক, বদলে কাটুক। ওরা বদলে গেলে এ বছর আপনি বদলে যান।

সমাজটা বদলে দেবার মত এলেম আপনার নেই, কেবল নিজেকে বদলান। পাল্টা প্রশ্ন করতে শিখুন। দুর্নীতিগ্রস্তদের শর্তসাপেক্ষে ভোট দিন। মোদীর গ্যারান্টির দরকার নেই, মমতার ছবির মত মূল্যহীন। মুফতে অ্যাকাউন্টে পনেরো-বিশ লাখের বকেয়া মিটিয়ে দিন, গত দশ বছরের বিশ কোটি কর্মসংস্হান। রামমন্দির, ৩৭০ধারা বাতিল, সিএএ, দাঙ্গা, কৃষিবিল, বীমা-বিমান বেসরারীকরণ, ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ, হয়ে গেছে। আর করতে বলছি না। দুর্নীতির তদন্ত করতে যদি পা কাঁপে সেটাও কবুল করুন। আপনার অসুস্হতা নিশ্চই সহনশীলতার সাথে ভোটার বিবেচনা করবে। বিনিময়ে ললিত-নীরব মোদীরা বিদেশে যান, অমিত মিশ্র-অভিষেকরাও যান। আপনি যখন গ্যারান্টি দিচ্ছেন, কতজন মেহুলমামা বিদেশে যাবেন নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে বলুন। শোষক আর শোষিতের চুক্তিপত্রের দলিল দস্তাবেজ স্পষ্ট হোক। যদি গুজরাতি থালি খান, বাংলার গরীবরাও যেন ডাল-ভাত খেতে পারে, মধ্যবিত্ত সপ্তাহে দুবার মাছ-ভাত, তোলাচোরদের ডিম্ভাত যেন বরাদ্দ থাকে। ভাইপোর রুশ-জার্মান বান্ধবীর শ্যাম্পেনও থাক।

আমরা কিন্তু দামোদর-তনয়কে ঠকাচ্ছি না। রাজ্য সরকারের কাছে কোন দাবী নেই। নতুন কিছু করতে হবে না, তবে প্রতিদিন নেত্রী বৃদ্ধা হচ্ছেন ফলে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় যেন সামান্য নিয়ন্ত্রণ আসে। জেলনিবাসী মন্ত্রী-আমলা-নেতাদের পৃথক নৈশ ক্লাব যুক্ত ফাইভ-স্টার হাসপাতাল হোক। কালীঘাটের কাকু ভোকাল কর্ডে মাফলার জড়িয়ে বিছানা জুড়ে শুয়ে থাকবেন, আর হাসপাতালের দুয়ারে শয্যা না পেয়ে শিশু বিনা চিকিৎসায় মরবে, এটা মা সারদার ভাল বিজ্ঞাপন নয়। আমরা যখন নরেন মোদীর কাছে দুর্নীতির তদন্তের দাবী করছি না, তাহলে তাঁকে কাটমানিও দিতে হচ্ছে না। আবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের কোষাগার খালি করে দুর্নীতিগ্রস্তদের ছাতাও কিনতে হবে না। লভ্যাংশের একাংশ জনহিতে খরচ করলে উন্নয়ন সত্যি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে। উৎপাতের ধনের কিছুটা বিলিয়ে দিলে হেকিমকে সান্তাক্লজ বলতে হবে না। পূর্বে সরকার অনুদান দিত, এখন আপনি দেন। ফলে সমপরিমাণ রোজগার আপনার আছে তা অনস্বীকার্য। ঘুগনি-পিসি থেকে নিবেদিতা-ভগিনী হয়ে যেতে পারেন অনায়াসে।

মন্ত্রী-নেতা-প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তির জন্ম-নিয়ন্ত্রণ করুন। যত প্রভাবশালী, তত বিচিত্র হারেম, ততই শয্যা। আপত্তি শয্যায় নয়, বার্ধক্যে শয্যার উষ্ণতার জন্য খাটের তলায় নোট মজুত করতে হয়। গরীব বাথরুমে গিজার লাগায়, মন্ত্রীরা ফাঁপা দেওয়ালে স্বর্ণগহ্বর বানান। সঞ্চিত বিপুল অর্থে অবসরের পর অশোভন রঙমিলন্তি প্রেমে তাতাথৈথৈ নাচে। মহান শ্রীচৈতণ্য, দু হাত তুলে দেবেন, কিন্তু ঘরোয়া মানুষ মানসিক অবসাদে ভোগে। শ্রীভান্ডারে যদি বান্ধবীশ্রী প্রকল্প যুক্ত করেন পোড়াকপাল পুরুষরাও দু হাত তুলে আশীর্বাদ করবে। জয় মা জগদম্বে! আর মাত্র ২৯০বছর বাদে নগর কবিয়াল আপনার কপালেশ্বরী মন্দির বানাবে, ভক্তের মনের কথা নিজে পড়ে সুরাহা করতে হবে। এত দিন আপনি যা ভাল বুঝেছেন, তাই দিয়েছেন শ্রাবণ ধারার মত। জনগন যা চায়, তাই দিন। প্রথমতঃ বাঙালি বাংলার বুড়িকেই চায়। দ্বিতীয়তঃ ভাইপোর অগাধ ঐশ্বর্য, রুশ-জার্মানী-ফিলিস্তিনী বান্ধবী চায়। অবাধে দুবাই, দোহা ঘুরতে চায়। তৃতীয়তঃ দিল্লীর বুড়ো শেয়ালের থেকে পাহাড়া দিয়ে আপনার পরিবারকে নিরাপদ রাখতে চায়।

শর্ত সাপেক্ষে এ বছর থেকে জনগন ভোট দিক। বাঙালি রাহুলকে বড় দেখতে চায়। গোঁফ গজানোর পর যখন তখন মা, পিসিমার কোলে চড়া ভাল দেখায় না। পিসিমার কোলেও তো তাঁর ভাইপো আছে। মোদী জেঠুকে জড়িয়ে ধরে কিংবা রাস্তায় বাঁদরের নাচ দেখে ভিডিও করা পরম অকল্যাণকর। রাহুলের থেকে কিছু পেতে মানুষ অধীর নয়। প্রদীপটা টিমটিম করে জ্বলুক। রাহুল আগামী কয়েক বছর নামী কোম্পানির হেল্থ ড্রিংক্স পান করুন, মানসিক বিকাশের জন্য সুষম আহারের সাথে মাল্টি ভিটামিন ট্যাবলেট খান। জগিং করুন, জিমে গিয়ে পায়ের পেশী বলশালী করে দুর্নীতির পক্ষের দলীয় উকিলদের পশ্চাৎদেশে সজোরে লাথি মারতে পারবেন। চঞ্চল মনকে শান্ত করতে জিভ সামলে নিজের অবস্হানে দীর্ঘ সময়ে অটল থাকা অভ্যাস করুন। আর্থিক কোন শর্ত আপনাকে দিতে হবে না। দীর্ঘ ক্ষমতাহীন হয়ে বসে খেলে সাত রাজার ধনও শেষ হয়ে যায়। পরিষ্কার থাকা অভ্যাস এবং নিত্য সিনান করুন। কদর্য ও অপরিষ্কার মানুষের পাশে খপ করে বসে হাতে হাত রাখার সুবিধাবাদী অভ্যাস ত্যাগ করুন।

বাঙালির চোর অংশটা fool। ঘাসফুল হোক বা পদ্মফুল। কাস্তেকে ফুল ভয় পায়, যদি তা সঠিক হাতে থাকে। মীনাক্ষীরা পথে থাকুন। কোন সাত তারা হোটেলে ঘসেটি বেগম, মীর জাফর আলি খান আর জগৎশেঠদের শলা চলছে, তা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। ইতিহাসে তাদের করুণ পরিণতির গল্প পড়ে নেবেন। মানুষের প্রথম শর্তটাই হচ্ছে- ইনসাফ। মানুষ নরেন্দ্র দামোদর, শ্রীচৈতণ্যময়ী বন্দ্যোপাধ্যায় বা শিশু রাহুলের কাছে ইনসাফ চায় না। হোর্ডিংএ মোদীর মুখের পাশে যে গ্যারেন্টির কথা বলা হচ্ছে, তা বাংলার টাকায়। পাচার হয়েছে বাংলা থেকে, বারোআনা গেছে সান্তাক্লজের কালিঘাটের ঠিকানায়, তদন্ত বন্ধে জমা পড়েছে গেরুয়া মহাফেজখানায়। সে টাকা ফিরে এসেছে হোর্ডিংএ দাড়িওয়ালা বুড়োর মুখের ছবিতে। ধন গেছে, প্রাণ গেছে, এমনকি ঘরের বউকে টেনে নিয়ে গেছে হায়নার দল। কল্যানীর জয়ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় স্বেচ্ছা মৃত্যু চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। স্ত্রীকে কাউন্সিলার বানিয়ে তুলে নিয়ে গেছে মন্ত্রীর দার্জিলিঙের হারেমে। সোনারপুরে যুবতীকে কাউন্সিলার করে জবরদস্তি বিয়ে করতে চায় দলের প্রতীক।

২০২৪ নতুন বছর, নতুন আলো নিয়ে আসুক। আমরা রাজনৈতিক নেকড়েদের অনেক কথা শুনেছি। গীতা আগে না ফুটবল আগে, আমাদের কোন আগ্রহ নেই। শশীমন্ত্রী রাস্তা বন্ধ করে ফুটবল খেলবেন বলেই তো খানসামা পুলিশের ডিজির প্রয়োজন। আমাদের শর্তগুলো এবার শুনুন। আমাদের ব্যালট চেনাবেন না, আমরা যাতে বুলেট চেনাতে পারি সেই শর্ত মেনে নিন। ২০২৩এর যদি কেউ হিরো থাকেন, তা কলকাতা হাইকোর্টের কিছু সাহসী মাননীয় বিচারক। চায়ের দোকানের পটলা ২০২৪এ আঙুল তুলে বলুক ওর শর্তগুলো। মোদী বা মমতারা খুন করতে পারবেন, কিন্তু ইতিহাসের গতিমুখ পরিবর্তন করতে পারবেন না। আমরা ঘৃণা করতে চাই মাসোহারা সুশীলদের। নৌশাদের মত লম্বা হাঁটার বিধায়ক চাই। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন চশমা চাই। নবযৌবনের উদ্দীপনা চাই। বাংলা তার নিজের মেয়েকেই চায়। মীনাক্ষীকে চায়। কোন বুড়ি ধরিয়ে হাতসাফাইয়ের খেলা ধোকলা বুড়ো আর করতে পারবেন না। বাংলা ও বাঙালি নিজের শর্তে স্বভূমিতে বাঁচতে চায়। কারো জমিদারীতে নয়।