হাছান মাহাবুদ, বাংলাদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী, কলকাতায় দাঁড়িয়ে সখেদে বললেন, এই বাংলায় লোকাল বডি নির্বাচনে কী হয় আপনারা দেখেছেন। বাংলাদেশে এমন হয় না। পাকিস্তানের ডন পত্রিকা তীব্র সমালোচনা করেছে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলার পাহাড়। এসডিও, বিডিওরা সরাসরি মানুষের সাংবিধানিক ক্ষমতা হরণের জন্য সাসপেন্ড, নির্বাচন কমিশনার শীর্ষ আদালতে ধিকৃত। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, শান্তিপূর্ণ ভোট। সাতান্নটি লাশ উদ্ধার হয়েছে, কত লাশ ভেসে গেছে গাঙের জলে। একবিংশ শতাব্দীতে ভারতের কোথাও এই বর্বরতার ইতিহাস নেই। বাঙালীকে বিশ্ববাসী উপহাস করে। অধঃপতন অনস্বীকার্য। থমাস জেফারসন বলেছিলেন, আপনি সেই সরকার নির্বাচিত করবেন, যা আপনার উপযুক্ত। আপনি যদি চাকরি বিক্রীর দোকানে চাকরি কেনেন, তবে ফেক PhD ডিগ্রীধারীকে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে। আপনি মদ্যপ হলে, মদনা আপনার প্রতিনিধি। নারী দেখলে আপনার কোমর দুলে উঠলে ঝিঙ্কু মামনিকে ছাপ দেবেন। আপনার সরকার আপনার বেলেল্লাপনার যোগফল। ক্রীতদাস প্রথা থেকে বিংশ শতাব্দী অবধি সিংহ ভাগ সময়ে জনগন শাসিত হয়েছে একনায়কতান্ত্রিক, স্বৈরাতান্ত্রিক, পারিবারিক শাসনের নাগপাশে। শাসক ধর্মকে ব্যবহার করেছে চাবুকের অতিরিক্ত বিকল্প হাতিয়ার হিসাবে। প্রতিটি মানব শিশু পিঠে আজও সেই দাগ নিয়ে জন্মায়, জিনের আলপনায় রক্ষিত বংশ পরম্পরায়। অবশ্য প্রতি যুগে কিছু প্রগতিশীল মানুষ ছিলেন, যাঁদের কাছে মেরুদন্ডহীনতা অদ্ভূত লেগেছে। রাজশক্তি স্বল্প মূল্যে রক্ত ও ঘাম কিনেছে ক্রীতদাসের। আজও দেখুন, সন্তানের ভবিষ্যৎ বিক্রী করে ভান্ডারীরা ৫০০ টাকার লাইনে উজাগর রাত্রি কাটায়। অথচ খ্রীঃপূঃ ৫৯৪ সালে প্রাচীণ গ্রীসে সোলনের হাত ধরে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্হার সূর্যোদয় হয়। শাসন ক্ষমতা কেবল ধনী, সম্পদশালীর একচেটিয়া অধিকার থেকে মুক্ত করার প্রথম সোপান।

Demos মানে জনগন, Kratiaর শব্দার্থ শাসন ক্ষমতা। Democracyর kratia (শাসন) স্বৈরশাসন হয় demos (জনগন) চিন্তাশক্তিহীন হলে। ধর্ম এবং তথাকথিত মাসোহারার সভাসদদের দিয়ে জনগনকে অন্ধ রাখা যায়। সেদিনের গ্রীস সত্য বুঝেছিল। প্লেটোর দুটি বিখ্যাত উক্তি- গণতন্ত্র হলো নিকৃষ্ট শাসনব্যবস্থা যেখানে মন্দ ও অযোগ্য লোক অনায়াসে জাতির ঘাড়ে চেপে বসে উত্তম ও যোগ্য লোকদেরকে শাসন করার সুযোগ পায়। দ্বিতীয়তঃ, রাজনীতি করো; অন্যথায় তোমার চেয়ে অযোগ্য লোক তোমাকে শাসন করার কর্তৃত্ব পেয়ে যাবে। আড়াই হাজার বছর আগের উপলব্ধি আজও বর্ণে বর্ণে সত্যি। শঙ্খ ঘোষকে গালমন্দ করে হাততালি পায় অনুব্রত। আপনি ভীরু বলে অনুব্রতর বিরুদ্ধে রাজনীতি না করে তোষামোদী করেন। অনুব্রত গরু, কয়লা, পাথর পাচারের কাটমানি পৌঁছে দেয় সেনাপতির শান্তিনিকেতনে। আপনার করের অর্থে পুলিশ শান্তিনিকেতন পাহাড়া দেয়। আপনি প্রাসাদের সামনে দিয়ে হাঁটতে পারেন না। আপনার প্রতিদিনের পাপ সঞ্চিত হয়ে আপনাকে ভয় দেখায়, যদি কোন দিন মানুষের শাসন ফিরে আসে, তাহলে আপনারও বিচার হবে। চটিতলে নিভৃত উঁইপোকারা আতঙ্কিত। বানিয়া ব্যবসা করে। দেশের সম্পদ নিয়ে ললিত-নীরব মোদীরা কেবল নয় ব্যানার্জীরাও দেশত্যাগী। এটা বোঝাতে পারলে (বিনয়)মিশ্র প্রতিক্রিয়া হবে জনগনের মনে। বণিক শ্রেণী রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে শাসন ক্ষমতার মোহরের একাংশ দাবী করে। শাসন ক্ষমতায় বণিক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব বানিয়াদের লুন্ঠনের সহযোগী ভূমিকা পালন করে। ফলে গণতন্ত্র বা প্রজাতন্ত্রে আধুনিকতর বণিক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব ছিল, আজও আছে। আজও বানিয়া প্রতিনিধিকে সিংহাসনে বসিয়ে আম্বানি-আদানিরা দেশ চালান, তাঁদের ঋণ মকুব হয়, জনগনের গলায় ট্যাক্স ফাঁস হয়ে চেপে বসে। মেহুল-মামা, বিজয়-চাচারা বিদেশে পালিয়ে যান। সেই ক্ষমতার বাটোয়ারায় সেনাপতি থেকে বিনয় মিশ্ররাও দুবাইবাসী হন। অর্থাৎ লুন্ঠনকারী বণিকশ্রেণী এক ছাতার নিচে আসে। প্রাচীণ ভারতে বৈশালী, বৃজ্জি সহ বহু মহাজনপদে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাবে প্রজাতন্ত্র স্হাপিত হয় খ্রীঃপূঃ ষষ্ঠ শতকে। তবু সেই প্রজাতন্ত্রকে আজও সাবালক হতে দেয়নি রাজতান্ত্রিক, পরিবারতান্ত্রিক, মুনাফাভোগীর দল। ব্রাক্ষ্মণ্য ধর্মের তরবারির আঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ হয় সেই প্রজাতান্ত্রিক মহাজনপদগুলি। আজ রামমন্দিরের নামে শস্তায় শাসন ক্ষমতা কিনে নেন বণিকরা।

লুন্ঠিত হয় রাষ্ট্র, ওদের সম্পদ উপছে পড়ে বিদেশে। ভাগ্যের কি পরিহাস, সেই বিদেশে গচ্ছিত কালাধন ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বণিক শৃগালরা ক্ষমতায় এসে বাঁড়ুজ্যেবাবুকে দুবাইতে পাঠান কালাধন আলিবাবার গুহায় সঞ্চিত রাখতে। আমাদের বাংলায় শশাঙ্কের পর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গোপালকে নেতা নির্বাচিত করা হয়। শুরু হয় পাল-বংশ। স্বাধীনোত্তর ভারতে বাংলায় গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের বহু সংগ্রাম ও রক্তের ইতিহাস আছে। রাতারাতি মানুষের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও চেতনার পরিবর্তন হয় না। ভারতের বিভিন্ন অংশে গণতান্ত্রিক আবহাওয়ায় লালিত পালিত হয়েছে পরিবারতন্ত্র, রাজতন্ত্র ও বণিকতন্ত্র। গরীব-গুর্বো নিরক্ষর মানুষ পিতৃপুরুষের বিকিয়ে দেওয়া মেরুদন্ড ফেরৎ পাননি। দেশভাগের ফলে অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা ও মধ্যবিত্তের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ অন্ততঃ ৬৪ বছর এই ভাইরাস থেকে অনেকটা মুক্ত ছিল। এই অগ্রসর ভারতের অন্যান্য ক্ষেত্র সহজে মেনে নেবে না। টেনে নামিয়ে আনতে হবে। কাটা মুন্ডুর প্ল্যাকার্ডে পরিবর্তনের দামামা ঘোষিত হল। ওদের উপযুক্ত প্রার্থী গোকুলে বাড়িয়াছে গোপনে। কাটা মুন্ডুর কোলাজে কোন রোড ম্যাপ ছিল না। পরিবর্তনের একমাত্র যুক্তি ছিল ৩৪বছরের বামফ্রন্টের অবসান। নিশানা করা হল সিঙ্গুরের গাড়ি কারখানা থেকে নন্দীগ্রামের পেট্রোকেমিকাল প্রোজেক্টকে। হাওয়া গরম করে হাওয়াই চটির তলে সমবেত হলেন বিভিন্ন স্তরের মানুষ। দক্ষিণপন্হী দলগুলোর ৩৪ বছরের খিদে দাবানল জ্বালিয়ে দিল। সেখানে সাম্প্রদায়িক, অসাম্প্রদায়িকতার কোন ফারাক রইল না। চিটফান্ডের অঢেল কালো টাকা বিনিয়োগ হল সংবাদ মাধ্যমে। বামপন্হী ধূমকেতুরাও ঘুরতে লাগল হাওয়াইয়ের চারপাশে। বাম বিরোধী কথা বললেই মিডিয়ার সান্ধ্য মজলিশে নিমন্ত্রণ। তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা কোল্ডক্রিমের মত কালো মুখে আলো মাখতে হাজির হলেন। হাত গরম পুরষ্কার রেলের কমিটির উপরি রোজগার। অনেকের মনে হল বাম আমলে যোগ্য সমাদর পাননি। যে কোন সময়ে একজন প্রথম হয়, দ্বিতীয় থেকে দশম মনে করে ওঁর প্রথম হওয়া উচিৎ ছিল। মুখের সামনে মিডিয়ার বুম পেয়ে বোম ফাটাতে শুরু করলেন। মহানগরীতে মিছিল চলল, কোন দিকে তা কেউ জানত না। ৩৪ বছর আগে প্রতি পাড়ার মুখে অমূক দাদা, তমূক দাদার রাজত্ব ফিরে পাওয়ার মরিয়া প্রয়াস। বাম কর্মীরা মনে করত, ওরা পাতে দেবার মত নয়। লুম্পেন সমাজ জায়গীরদারী ফেরৎ চায়। তুমি অতিথি, অতিথি আমার। বলো কোন নামে করি সৎকার! সৎকার করতে গিয়ে বভ্রুবাহনের জন্ম। অশ্বমেধ যজ্ঞে বভ্রুবাহনের শরে অর্জুনের পতন। সেদিন খেয়াল করেনি হাওয়াই চটিতে কোন ঠিকানা লেখা ছিল না। যাত্রা ছিল, মাত্রা ছিল না। জয় চেয়েছিনু, জয়ী আমি আজ। ক্ষুদ্র সুখে ভরে নাকো ক্ষত্রিয়ের ক্ষুধা… কোন ক্ষুদ্র সুখ লুম্পেন জায়গীরদারদের আবদ্ধ করে রাখতে পারেনি। পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্হী, আমরা দুজন চলতি হাওয়ার পন্হী। পিসি আর ভাইপোর আকাঙ্খা আকাশচূম্বী। ডেলো পাহাড়ে দিল্লীর মসনদের স্বপ্ন আঁকা হয় সুরাপাত্রে। যেন নাদির শাহের ভারত অভিযান। বর্গী আক্রমণের পর এমন ছন্নছাড়া হয়নি বঙ্গ জীবন। আমি তোমাকে পাঁচশ টাকা দেব, তুমি আমাকে ভোট দাও, কয়লা দাও, বালি দাও, পাথর দাও, নিয়োগ দুর্নীতির চাবি দাও। চার আনা রেখে বাকিটা আমার চিতায় ঢেলে দাও। বভ্রুবাহন পিতা অর্জুনকে আঘাত করেছিল। পরিবর্তনের নিট ফল গণতন্ত্রের হত্যা। দিল্লীর মসনদে মোদী বাহাদুর আসীন হলে খাজনা বরাবর রাখলে দুর্নীতির ঢালাও লাইসেন্স।

তদন্তকারী সংস্হারা আসে, যায়। নয় বছর চিটফান্ড, সাত বছর নারদ পরীক্ষা চলে, মোদী-বাবাজীবন পাশ করতে পারেন না। ভোটের নামে লুন্ঠন, গণহত্যা। শাসকের যুক্তি পানিপথের যুদ্ধেও বাবরের হাতে ইব্রাহিম লোদীর সৈন্যরা মরেছিল। শাসক নেতাদের ব্রজগোপালী পুত্রেরা নাবালিকাকে ধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে দিতে পারে। মমতাময়ী প্রেমের গল্প শুনিয়ে যান। কেউ ধর্ষণের প্রেক্ষিত খোঁজেন, কেউ মাওবাদী পেয়ে যান। বিডিও, এসডিও থেকে এসপিরাও লুম্পেনদের সাথে একাসনে বসে ভোগে মত্ত। ধৃতরাষ্ট্র মোদী হাতড়ে খোঁজেন- আগলে বার দোশো পার। রবীন্দ্র সঙ্গীত বাজিয়ে দেবু দাস, ঊষা দাসদের জীবন্ত দহন হয়। স্বৈরাচারীরা খুব কার্নিভাল প্রিয় হন। রোমান সম্রাটরা কালোসিয়ামে লড়াই উপভোগ করতেন। বকলেস বাঁধা সুশীলদের মঞ্চে তুলে কাঁসর বাজিয়ে নেত্রী নাচতে বলেন- ক্যাঁক্যাঁছিঃছিঃ। ওনারা নাচতে বাধ্য। এ যেন ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের বর্ণনা। শিল্প নেই, কর্মসংস্হান নেই। বাংলার যৌবন ভিনরাজ্যে শ্রমিক। ব্রাত্যজনেরা টাকার বিনিময়ে ব্যতিক্রমী শিক্ষক। মেধাবীরা গড়ের মাঠে বসে কাঁদছে। সুদীপ্ত গুপ্ত, মইদুল ইসলাম থেকে আনিস খানদের খুন করা হয়ে গেছে। গণতন্ত্রের মকবারায় তখন গহীন রাত। আশার আলো জ্বলে উঠল কলকাতা হাইকোর্টে। একজন বিচারপতি দৃঢ় স্বরে বললেন, ঢাকী সহ বিসর্জন দেব। শৃগাল নেকড়েদের মর্মভেদী আর্তনাদ। সেই স্বর এজলাস থেকে এজলাসে ছড়িয়ে পড়ল। বামপন্হী আইনজীবীদের সওয়াল লোক মুখে। সব শেষ হয়ে যায়নি। পুষ্করিণীর মাঝে অতল তলায় ডাইনীর প্রাণভোমরার খবর রটে গেছে। সেটিং-রাজ দিল্লীর বানিয়া নিশুতি রাতে দুঃস্বপ্নে উঠে বসেন সোনার পালঙ্কে। সুতোর এক পাশে টান পড়লে আরেক পাশে সে খবর পৌঁছে যায়। কিছু মানুষ হাওয়াই আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টা করবে শেষ পর্যন্ত, তারপর বেগতিক বুঝে মুখোশ বদলে নেবে। গণতন্ত্র ফিরবে, যেমন ফিরেছে গ্রীস, কোশল, বৃজ্জিতে। মুখোশ গুলো মাড়িয়ে আমাদের মুখগুলো এগিয়ে যাবে। প্লেটোর ধারণা ছিল, জ্ঞানীকে শাসনের ভার নিতে হবে। বাংলায় অন্ততঃ তেমন ধারাবাহিকতা চলছিল। তারপর শাসক জ্ঞানীর মুখোশ পরে মসনদে বসে পড়লেন।

নীল শেয়াল তাঁর কেরামতি দেখাতে গিয়ে বারবার হুক্কাহুয়া ডাকবেই। তিনি সর্বগুণান্নিতা প্রমাণ করতে গিয়ে অশিক্ষার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে দিচ্ছেন। প্রথমে মানুষ হাসছিল, হাসি ক্রোধে রূপান্তরিত হল। সেই ক্রোধের আগুন থেকে ব্যালট বাক্সকে উদ্ধার করতে গিয়ে গণতন্ত্রের শ্রাদ্ধ করল শাসকদল। ক্যামেরার সামনে সুশীল নামক নর্দমার কীটদের বসিয়ে বা পোষ্যকে নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত করে। প্রশাসন, মিডিয়া বিক্রীত ও বিকৃত হয়ে গেছে। বিচার বিভাগের উপর নেমে আসছে লাগামহীন ফ্যাসিস্ত আক্রমণ। মানুষকে যেমন বাঁচতে হবে দু মুঠো অন্নে, শোষককে তেমন বাঁচতে হবে দু ফোঁটা অক্সিজেনে। জনগন ব্ল্যাকশার্টদের প্রতিহত করছে। মুসোলিনির ভবিতব্য রাতে ঘুমোতে দেয় না। কেউ বিদেশে পালাবে, কেউ অন্য রাজ্যে। নিচের তলা অসহায়ের মত আত্মসমর্পণ করবে। মুখোশ খুঁজবে, নতুন মুখোশ। মানুষের স্মৃতির মুখগুলো লুকিয়ে রাখতে পারবে না।