সম্প্রতি অনুষ্ঠিত কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে বামপন্থীদের জনসমর্থন পুনরুদ্ধার করা অবশ‍্যই স্মরণীয় ঘটনা। আসন সংখ‍্যার বিচারে মাত্র দুটি আসন পেলেও প্রাপ্ত ভোট শতাংশের হিসাবে গত২০২১সালের এপ্রিল মে মাসে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে মিডিয়া ও তৃণমূল কংগ্রেসের সাহায্যে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলা বিজেপির জনসমর্থন ব‍্যাপকভাবে হ্রাস পেয়ে বামফ্রন্টের থেকে পিছিয়ে পড়ার কথাও উল্লেখ করা প্রয়োজন। কিন্তু পাশাপাশি এটাও ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি বিরোধী পক্ষের প্রচারে বাধা দিয়ে ভোটারদের ওপরে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে চাপ তৈরি করে রাজ‍্যের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক ব‍্যানার্জীর কড়া নির্দেশ মেনে কোন বড় গোলমাল না করেও চাপা সন্ত্রাস তৈরি করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ব‍্যপক ছাপ্পা ভোট এব তার প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করার জন‍্য বাইরে থেকে সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের দিয়ে পোলিং এজেন্টদের ভয় দেখানোর ঘটনাও অসংখ্য ঘটেছে কলকাতার বিভিন্ন ওয়ার্ডে।

নির্বাচন কমিশন পুলিশ এবং রাজ‍্য সরকারের কর্মচারীদের মধ‍্যে থেকে নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে আসা ভোটকর্মীদের ভূমিকাও পক্ষপাতদুষ্ট। নিজেদের ভোট সাফল‍্যে মশগুল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা গণতান্ত্রিক কাঠামোর ভগ্নদশা নিয়ে আদৌ চিন্তিত নন। ফলে আসানসোল, চন্দননগর, বিধাননগর ও শিলিগুড়িতে আসন্ন পুরভোটে ব‍্যাতিক্রমী ঘটনার সম্ভাবনা কম।

অনেক ঠোঁটকাটা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ বলেন আসলে দুর্নীতি কে সামাজিক বৈধতা দিয়ে সততা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা কে কার্যত বিদ্রূপ করে তৃণমূল কংগ্রেস ভোটে জিততে মরীয়া হয় পুরসভা পঞ্চায়েত এবং বিধানসভা লোকসভায় এলাকা উন্নয়নের জন‍্য বরাদ্দ বিপুল অঙ্কের টাকার ভাগ পাওয়ার জন‍্য। টাকার লেনদেন করে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইঁদুরদৌড়ও সেই কারণে। বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা তথাগত রায় তো বিজেপি কেও একই অপরাধে কাঠগড়ায় তুলেছেন।

পশ্চিমবঙ্গে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে শিবাকীর্তন মিডিয়াতেও এখন শোনা যাচ্ছে কই?