ড্রপ-বক্স আকারে আয়তনে বড় লেটার-বক্স। লেটার-বক্স দেওয়ালে উঠতে পারে, ড্রপ-বক্স পারে না। উপাসনালয়ে ঈশ্বরের সামনে প্রণামী-বাক্স থাকে। যাতে ঈশ্বর দেখতে পান এবং কৃপার হেরফের করতে পারেন। ড্রপ-বক্সের প্রাপক নাকি উদাসীন অন্ধা। চাকরির আবেদন ড্রপ-বক্সে ফেলেছি। যিনি ফেলছেন, তিনিই অনুকম্পা প্রার্থী। ভালবাসার অনুকম্পা প্রার্থী যাতে ঘোমটা দিয়ে ঘোমটা পরা রাজনৈতিক দলকে প্রণামী দিয়ে স্বচ্ছ্ব ভাবে ভালবাসা পেতে পারে, তাই ইলেক্টোরাল বা ঘোমটা বন্ড। নরেন্দ্র দামোদরদাস ভাই মোদীর যুগান্তকারী আবিষ্কার। অনুকম্পা প্রার্থী যাতে কার্যালয়ের পবিত্রতা বিনষ্ট করতে না পারেন, তাই উঠোনের মাঝে ড্রপ-বক্সের ভাবনা সততার প্রতীকের আগামী শতাব্দীর ভাবনা। দরজার পাশের ট্যাপ কলে হাত ধুয়ে মাথায় গঙ্গাজল ছিটিয়ে অনুকম্পা প্রার্থীর গোপন নীরব প্রস্হান। মুখ্যমন্ত্রীর বাসগৃহে পেছন থেকে কে ধাক্কা মারল যেমন জানা যাবে না, তেমনই অধরা থাকবে অনুকম্পা প্রার্থীর নাম-গোত্র পরিচয়। উচ্চ বংশ, উচ্চ ধারণা। দুই অর্ধোন্মাদ পদ্ধতিটা ঘোষণা করলেন। অর্ধেক কেন? বাকিটা সেয়ানা।

নরেন্দ্র দামোদরদাস ভাই মোদী নিজেকে কখনও সৎ বা সততার প্রতীক দাবী করেননি। অনেকেই মুখ ফস্কে বলে ফেলা, “না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা”র মত অর্ধসত্য কথা বলে থাকেন। বাক্যের প্রথমে একটি “অগর” ছিল, অর্থাৎ ‘যদি’ না খাই…. তাহলে খেতে দেব না। তিনি খেয়েছেন এবং সবাইকে নিয়েই খেয়েছেন। সিংহ বেশী খায়, তাই বেশী খেয়েছেন। বিএসপি খেতে পায়নি। বোকা বামপন্হীরাই কেবল ফকিরের যুগান্তকারী প্রতারণার বিরোধিতা করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মাননীয় ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় সহ পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ প্রতারণাকে অবৈধ দুর্নীতি ঘোষণা না করলে আজও সহজ সরল ভারতবাসী ফকির সাহেবকে সনাতনী ধার্মিক ভাবতেন। যদি মহাত্মা ধার্মিক ভাবতে অসুবিধা হত, তাহলে দ্বারকার সমুদ্রতলে হামাগুড়ি দিয়ে ধর্মের পরিচয় রসাতলে রেখে আসতেন। দক্ষ ক্যামেরাম্যান থাকলে সেই ছবি দরিদ্র ভারতবাসী দেখতে পেতেন। মোদীর গ্যারান্টি নিয়ে প্রশ্ন উঠত না। তাই তিনি সদলবলে ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটে নীরব মোদী হয়ে আছেন। কতটা আত্মসংযম ভেবে দেখেছেন কি?

হায়দ্রাবাদের মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং জোজিলা পাস থেকে প্রতিরক্ষার বরাত, তৈল শোধন থেকে শক্তি উৎপানে অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে ৫৮৪কোটির বন্ড মেঘালাল মোদীর চরণকমলে অর্পণ করেছে। এটাই সনাতন ভারতবর্ষের পরম্পরা। কোন সাংবাদিক নরেন্দ্র দামোদরদাস ভাই মোদীকে প্রশ্ন করতে পারছেন না। চিৎকার করে শুধোতে পারছেন না, Nation wants to know! পোড়া কাঠ পোড়ে না। পোড়া কপালে মেঘালাল মোদী কী জবাব দেবেন? তিনি স্টেট ব্যাঙ্কের সম্মান জিম্মি রেখে প্রতিরোধের অনৈতিক প্রচেষ্টা করেছেন। ফিউচার গেমিংএর ডিয়ার লটারির স্যান্টিয়াগো মার্টিন কেন তৃণমূল কংগ্রেসকে ৫৪২কোটি টাকা দিল? কীভাবে সকন্যা অনুব্রত মন্ডল প্রথম পুরষ্কার জিতেছিল, সমীকরণটা মিলল। সমাজে হতাশার সাথে ফাটকা, চুরি, দুর্নীতির প্রবণতা বাড়ে। বাড়ে স্যান্টিয়াগোদের মুনাফা। ইলেক্টোরাল বন্ডের সর্বাধিক মূল্য ১কোটি। যদি স্যান্টিয়াগো মার্টিন ড্রপ বক্সে বন্ড ফেলতে আসেন, তাহলে ৫৪২বার আসতে হয়েছিল। কত বড় ড্রপ-বক্স যে একত্রে দিস্তা ধরে বন্ড ফেলা যায়? ফেলুদা হাসেন, হিসাবটা মিলছে না রে তোপসে।

স্যান্টিয়াগো মার্টিনকে দলের সুপ্রিমো ও সেনাপতিরা চিনলেও জনগন ডিয়ার লটারি চেনে, মার্টিনকে নয়। কিন্তু সঞ্জীব গোয়েঙ্কা? ফুটবল প্রেমী বাঙালির অর্ধেকের জয়-পরাজয়ে মাতব্বরও মর্নিং ওয়াকে এসে ২৮১কোটি টাকার বন্ড ড্রপ বক্সে ফেলে গেছেন? পাল তোলা কোন বাঙালি চিনতে পারল না? অন্ততঃ গ্রাহকের পকেট কেটে বিদ্যুৎ বিল নেবার সময়ে যন্ত্রনাবিদ্ধ মুখগুলোও কি সনাক্ত করতে পারল না? তিনি স্যান্টিয়াগোর পিসিমণির সাথে স্পেনে বেড়াতে যান। চেনা মুখ, অচেনা কাজ। যখন দলের সুপ্রিমো এবং যুবরাজ সেনাপতি নীরব মোদীর মত ফকির মুখে বসে আছেন, তখন দুজন মুখপাত্র ড্রপ-বক্সের গল্প বাজারে ছাড়লেন কেন? তৃণমূল ভবনে কান পাতলে শোনা যায়, দুজনেরই টিকিটের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। পেছন থেকে ছুরির আঘাত? রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায়ী ধারিওয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ৯০কোটি হাওয়াই চটিতে কেন দিল? রাজেন্দ্র ঝা, মৈত্রয়ী সেন বা ভাস্কর কুমাররা এসেছিলেন, নাকি ৫০% শেয়ার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা কিনে নিতে ড্রপ বক্সে পূজো দিতে বাধ্য হয়েছিলেন? ড্রপ-বক্স এসব প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন তুলে দিল।

নরেন্দ্র দামোদরদাস ভাই মোদী কোন দিন দাবী করেননি, তিনি শিক্ষিত বা সৎ। তিনি সৎ চৌকিদার। চৌকিদার সজাগ আছেন বলে আপ কোম্পানির ডিরেক্টার অরবিন্দ কেজরীওয়ালের উপর দুর্নীতির সব দায় চাপায় তিনি কারাগারে, কিন্তু তৃণমূল কোম্পানির মালকিন ও যুবরাজ সব দুর্নীতি নিয়েও নিরাপদে। রবার্ট বঢরা ও ডিএলএফের বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ ছিল। মোদীজীকে ১৭০কোটির বন্ড দিতে জিরো জিরো সেভেন জেমস বন্ড। মেট্রো ডেয়ারী অধিগ্রহণকারী কেভেন্টার ফুডপার্ক, এম.কে.জে এন্টারপ্রাইজ প্রাইজমানি ৮৮কোটি দিয়েছে তৃণমূলকে। ক্রিসেন্ট পাওয়ার লিমিটেডের ৪২কোটি সঞ্জীব গোয়েঙ্কার পোষাক বদল করে গোপনে ড্রপ বক্সে ফেলা? যে রাজ্যে কোন কারখানা নেই, লগ্নির হাহাকার, সেখানে বন্ড বৃষ্টি এল কেন? কীসের বিনিময়ে? নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রশ্নগুলো যেন না ওঠে, তৃণমূল সচেষ্ট। তখনই দুই মুখপাত্র আত্মঘাতী ড্রপ-বক্সের ঘোমটা প্রকাশ্যে খুলে দিলেন। প্রারম্ভ সিকিউরিটিজের ৩৮.৭৫ কোটির সাথে ধারিওয়াল গ্রুপের যোগ আছে। মূলতঃ মার্টিন, গোয়েঙ্কাকে ঘিরেই বন্ডের চোরচক্র স্পষ্ট।

চেন্নাই গ্রীন উডসের সাথে কালীঘাটের কী সম্পর্ক, কোন উদ্দেশ্যে ৪০কোটির ভালবাসা উজার করে দিল, ক্রমশঃ প্রকাশ্য। আমরা নরেন্দ্র দামোদরদাস ভাই মোদীকে অনুরোধ করব, ওনার খুব ইচ্ছা ছিল বিদেশে সঞ্চিত কালাধন ফেরৎ এনে প্রত্যেক ভারতবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫লাখ টাকা জমা দেবেন। সহসা নিজের দেশের ব্যাঙ্কে নিজের কালাধন দেখে ভিরমি না খেয়ে, যখন সুপ্রিম কোর্ট অবৈধ বলেছে, তখন ভোগ না করে, প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১০০টাকা জমা দিন। আপনার (১) চান্দা দো, ধান্দা লো, (২) ঠেকা লো, রিশবত দো, (৩) হাফতা উশুলি এবং (৪) ফরজি কোম্পানির প্রকল্প ১০০% রূপায়ণ করে দেখিয়েছে তৃণমূল। হাফতা উশুলিতে আইএফবি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ ৪২কোটি সেলামী দিয়েছে। সেই বাধ্যবাধকতার কথা বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে কোম্পানি বলেছে, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে কোম্পানি চালাবার জন্য অবৈধ অনুদান দিতে কোম্পানি বাধ্য হয়েছে। আইএফবির মত আবগারি সংক্রান্ত কোম্পানিগুলি মাতাল তৃণমূল দলকে ১২০কোটি টাকা ড্রপ-বক্সে ইলেক্টোরাল বন্ড দিয়ে গেছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বহু পূর্বে আইএফবি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠি লিখে সরকারী গুন্ডাদের হামলা ও বন্দুকের নলের সামনে দাঁড় করিয়ে ছিনতাইয়ের উল্লেখ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথারীতি ব্যবস্হা গ্রহণ না করলে কোম্পানি ৪২কোটি ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে মুক্তিপণ দিতে বাধ্য হয়। ইদানিং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সততার প্রতীকের দাবী প্রত্যাহার করেছেন, কিন্তু কারণ দেখাননি। হয়ত ভেবেছেন, ইতিহাস নিজেই কঙ্কাল আবিষ্কার করবে। আইএফবি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ বন্ড ড্রপ-বক্সে ফেলেনি। সেই তথ্যটা মুখপাত্ররা বেমালুম অস্বীকার করলেন কেন? ফরজি কোম্পানি বা শেল কোম্পানি হয়ত আপনি চিনতে পারেননি। ৫৩এ, মীর্জা গালিব স্ট্রিটে গুচ্ছ গুচ্ছ এমন ফরজি কোম্পানি আছে, যারা রাতের আঁধারে মুখ ঢেকে ড্রপ-বক্সে বন্ড ফেলে গেছে। মুখপাত্ররা ভূতের গল্প পড়েছেন। এখনও সুযোগ পেলে ভূতের গল্প বলেন। নাগালে তৃণমূল ভবনের ড্রপ-বক্স ঘিরে ভৌতিক আনাগোনা আপনাদের উৎসাহিত করেনি? জটায়ু গম্ভীর হয়ে বলেন, তোপসে, ভূত কখনও ভূতের খোঁজ করে না।

নরেন্দ্র দামোদরদাস ভাই মোদীর হাতে ইনকাম ট্যাক্স, সিবিআই, ইডি, এসএফআইও, এনআইএ, সেনা, ক্ষেপণাস্ত্র, রাফেলের মত মোক্ষম ভয় দেখাবার শমণাস্ত্র। এমনকি অভিযুক্ত পি শরৎচন্দ্র রেড্ডি ৬০কোটির বন্ড-পূজো দিয়ে জামিন ও শাপমুক্তির পর অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে আবগারি মামলায় ধরিয়ে দিলেন। তুলনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে কেবল অমেরুদন্ডী পুলিশ, সিভিক ভলেন্টিয়ার, সিআইডি, লাল চুল কানে দুল বাহিনীর নেতৃত্বে, সওকত, শাহজাহানরা আছেন। আলাঘরে রাতের আঁধারে ইজ্জতের পোষ্টমর্টেমের বীভৎস চিৎকারে কাজ হয়ে যায়। মাথায় ধার্মিক নরেন্দ্র দামোদরদাস ভাই মোদীর হাত কেনা আছে। নীরব বা ললিত মোদী যত সহজে ভারত ছাড়েন, ততটাই মসৃণ ভাবে ভানাটু গেছেন বিনয় মিশ্র। একটি মাত্র আঙ্গ রাজ্যে ক্ষমতায় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দানবীয় লুন্ঠন ঐতিহাসিক, অতুলনীয়। মোদীর (বেদ)বেদান্তের ২২৭কোটি, (মহা)ভারতী এয়ারটেলের ১৯৭কোটি, ৩৭৫কোটির কুইকসাপ্লাই চেইন, সব তুচ্ছ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুষ্কৃতির দ্রুত যোগানের শৃঙ্খলের সফলতার কাছে।        

ডাকাতির সমান সুযোগ থাকলে শিল্পহীন বাংলার কন্যাশ্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ড্রপ-বক্স প্রথম হত, কোন সন্দেহ নেই। এমনকি সারা ভারত থেকে কংগ্রেস এই ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। শক্তিশালী ও বেশী বুদ্ধিমানের সাথে জোটের পরিকল্পনা করাটাই কংগ্রেসের অন্যতম ভুল। ইলেক্টোরাল বন্ড প্রকল্প ব্যর্থ হলেও নরেন্দ্র দামোদরদাস ভাই মোদী বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুটি যে হতোদ্যম হয়ে যাবেন, তেমনটা নয়। নতুন কোন খেলা আমদানী করবেন। সবচেয়ে সুবিধার পরিস্হিতি হল, কোন কোম্পানি কোন পিশাচকে কেন অর্থ দিতে বাধ্য হয়েছিল, সে তদন্ত ফকির বাবাজীবনের জীবদ্দশায় কদাপি হবে না। যেমন নারদ তদন্ত দেখেছেন, কিন্তু ছুঁতে পারেননি। ইলেক্টোরাল বন্ডের ড্রপ-বক্স ধার্মিক ফকির বা সততার প্রতীক চোরদের দিনের আলোয় চিনিয়ে দিল। জানতাম না, আর বলতে পারবেন না। এবার ড্রপ-বাক্সে ঘি-চন্দন ঢালবেন না আগুন জ্বালাবেন, সেটা আপনার বিচার ও বিবেচনা বোধ। মুখপাত্ররা ইঙ্গিত দিলেন ড্রপ-বক্সের। সে ব্যালট বক্স হলেও চলবে। মোদ্দা কথা এবার সুবর্ণ সময় এসেছে বক্সটা ড্রপ দিয়ে দিন।

বাংলা ও কেরলের বাইরে রাজনৈতিক দলগুলি প্রচারে ইলেক্টোরাল বন্ডের কথা বলবে না। লোম বাছতে গেলে কম্বলটাই থাকবে না। বাংলায় ও কেরলে বামপন্হীরা অবশ্যই প্রচার করবে, তবে তৃণমূলের দুই বুর্বক মুখপাত্র ছাড়া সবাই নির্বাক হয়ে যাবে। মিডিয়া ব্যবসাও বন্ডের সাথে যুক্ত। কে কার দিকে আঙুল তুলবে? সমাজকর্মীদের দাবী, রাজনৈতিক দলগুলি এবং কর্পোরেট আঁতাতের তদন্ত হোক। কতটা ডাকাতি হয়েছে এবং ডাকাতির বিনিময়ে কোম্পানিগুলি ডাকাতির ছাড়পত্র পেয়েছে। শেষ পর্যন্ত পকেট কাটা গেছে দরিদ্র মানুষের। কেউ কপালে তিলক কাটছেন, কেই হিজাবে সেজে ইফতারিতে হাজির। ভন্ডামি আজ বন্ডামির মত ঘৃণিত নৃশংস। ৩৩টি সংস্হা ১,৭৫১কোটি ঘুষ দিয়ে ৩.৭লক্ষ কোটি টাকার বরাত পেয়েছে। উপড়ে ফেলুন ধর্মের ভন্ডামি বা ঘুষের বন্ডামির মুখোশ। ৪১টি সংস্হার বিরুদ্ধে তদন্তের নামে ২,৪৭১কোটি ঘুষ নিয়েছেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীরা। যাঁর নিজের সততার, ধর্মের গ্যারান্টি নেই, তিনি দেশবাসীকে গ্যারান্টি বিক্রী করছেন। তৃণমূলের ড্রপ-বক্সে দুষ্কৃতিদের ফেলে মুক্ত বাংলা গড়ে তুলুন।