শীতকালে সার্কাসের তাঁবু পড়ত। সাইকেল রিক্সায় চোঙ বেঁধে কলের বিজ্ঞাপন। একজন রঙীন পাতলা ঘুড়ির কাগজের লিফলেট ছুঁড়ে দিত শীত বাতাসে। আমরা এক হাতে ইজের সামলে দৌড়াতাম রিক্সার পেছনে। দম অনুযায়ী লিফলেট জুটত। সেদিন কাগজে দেখি গৌড়ীয় মঠে গীতা পাঠ হবে। এমন খবর হেডলাইন হবার কথা নয়। চোখের ভুল অভিজ্ঞতায় মন শুধরে নেয়, তাই সঠিক লেখা ভুল পড়েছি। সত্যিটা গড়ের মাঠে গীতাপাঠ। চলচ্চিত্র উৎসব মানে একমাত্র অভিনেত্রীর খিল্লি ছবি। সল্লু মিঞাঁর সাথে যৌথ নেত্য। বইমেলা মানে এক লেখক হাতুড়ির উদ্বোধন। ১২৮টি গ্রন্হের রচয়িতাকে চ্যালেঞ্জ করার সাধ্য কার? সাহিত্য উৎসব মানে এক নিরলস সাহিত্যসেবী। সঙ্গীতের মঞ্চে সেই শিল্পীর রবীন্দ্র-সঙ্গীত “ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা।” ছোটবেলার চিড়িয়াখানা, যাদুঘর, ভিক্টোরিয়ার রোমাঞ্চ হারিয়েছে। শিল্পেও সেই শিল্পীর ব্যাঙের পৌষ্টিকতন্ত্র। জয়নগরের মোয়া এখন কালীঘাটের প্রোডাক্ট, অন্যান্য বিস্বাদ খবরের সাথে। গড়ের মাঠে গীতা পাঠ হবে শুনে মনটা আনন্দে নেচে উঠল। ঠিক যেন সার্কাসের তাঁবু।

পরিবারের সবাইকে উচ্চকিত স্বরে জানাতে তাঁরা যার পর নাই প্রীত হয়ে বললে, “আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধূলার তলে। সকল অহঙ্কার হে আমার ডুবাও চোখের জলে।” শুধরে দিয়ে বলি গীতাঞ্জলী নয়, গীতা। বিষয়টি বাঙালির নয়, গুজরাত সম্রাট ও তাঁর আমত্যবর্গের। ভাইপো বলল, “দরিদ্র হয়ে জন্মানো অপরাধ নয়, কিন্তু দরিদ্রতা বেচে সুখলাভ অপরাধ।” আবার শুধরে দিয়ে বোঝাই, ওটা কথাঞ্জলী। বাঙালি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্তঃস্হল থেকে উঠে আসা ভাবনার ফুলঝুরি। তাই কোন দিন নিজের টালির বাড়ির কথা প্রচার করেননি। এমনকি ভারতের বাদশাহ নরেন্দ্র মোদী কদাপি শৈশবে রেল স্টেশানে চা-বিক্রির দুঃখ বলে সুখলাভ করতে চাননি। ঝর্ণার মত সুখ তাঁর মস্তকে স্বর্গ হতে পতিত হয়েছে। বোনঝি বলল, খাটিয়ার মরার বুকের উপর যে ছোট্ট বইটা রাখে সেটা কি গীতা? হতে পারে, জীবদ্দশায় সংসারের জোয়াল টানতে টানতে পড়ার সময় পাননি। পৃথিবী থেকে স্বর্গে যাবার পথের বাঁকে পড়ে নেবেন। সবার গীতা পাঠ করা উচিৎ। নরেন মোদী পড়েননি কেন? এত দূরে কেন?

অর্জুন উবাচ, সেনয়োরুভয়োর্মধ্যে রথং স্হাপয় মেহচ্যুত। যাবদেতান্নিরীক্ষেহহং যোদ্ধুকামানবস্হিতান। কৈর্ময়া সহ যোদ্ধব্যমস্মিন রণসমুদ্দমে।। ডার্বির কিক অফের পূর্বে অর্জুন বললেন, হে অচ্যুত অর্থাৎ কৃষ্ণ, তুমি উভয় পক্ষের সৈন্যদের মাঝে আমার রথ স্হাপন কর, যাতে আমি দেখতে পারি যুদ্ধ করার অভিলাষী হয়ে কারা এখানে এসেছেন এবং মহাসংগ্রামে আমাকে কাদের সাথে যুদ্ধ করতে হবে। মোদী যদি গীতা পড়ে থাকেন, কলকাতায় দেখতে চাইবেন, কাদের সাথে ২০২৪ সালে মহাযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সহস্রাধিক দিবসাতিক্রান্ত করে আন্দোলনকারীদের দেখতে পাবেন। আপনার সিবিআই এবং ইডি বিচারপতিদের ভর্ৎসনা সহ্য করেও যুগান্তকারী দুর্নীতিবাজদের কুঁহুঁ কুঁহুঁ ডাক পাঠায়। বিগত কুড়ি তারিখে আপনি যে সেনাপতির সাথে গলাগলি ও মালামালি করে ফেললেন, তাঁকে শীর্ষ আদালত সুরক্ষায় ছত্রপতি বানিয়ে রাখে। অথচ সংসদে রংবাজী করায় ললিত ঝায়ের জন্য পঞ্চাশটি তদন্তের টিম বানিয়ে ফেলেছেন, কিন্তু সে ললিত মোদী হলে, আপনার আঁখি মুদিত হয়ে যায়।

যোৎস্যমানাবেক্ষেহহং য এতেহত্র সমাগতাঃ। ধৃতরাষ্ট্রস্য দুর্বুদ্ধের্যুদ্ধে প্রিয়চিকীর্ষবঃ।। ধৃতরাষ্ট্রের দুর্বুদ্ধি সম্পন্ন পুত্রকে সন্তুষ্ট করার বাসনা করে যারা এখানে যুদ্ধ করতে এসেছেন, তাদের আমি দেখতে চাই। নরেন্দ্র মোদী এই শ্লোকটি পাঠ করলেই আয়না প্রদর্শন করে যজ্ঞকার্য শুরু হবে। আয়নায় নরেন্দ্র মোদী নিজের মুখের ভূগোলে ভারতের কান্না দেখবেন। লোলচর্ম লালকৃষ্ণ আদবানি মহোদয় আপনার নেতৃত্বে সংসদে এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর লালসা ছিল রাষ্ট্রপতি পদে, গীতা পাঠ করেই বাসনা ত্যাগ করেছেন। তিনি নারদ-ভোগীদের এথিক্স নেড়ে দেখেননি। আপনার নাম নরেন বটে, তবু তদন্তের প্রসঙ্গ উঠলে নড়েন না। পাকিস্তানে আদানির কারখানার স্বার্থে বিনা দাওয়াতে পাক-প্রেসিডেন্টের বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ার তৎপরতা দেখালেও গরু, কয়লা, বালি, পাথর খাদান, মাটি, রেশন, চাল থেকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে আপনি কচ্ছপেতর শ্লথ, অবোধ, ক্ষীণবুদ্ধি হয়ে যান। দুর্জনে বলে, তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক বুদ্ধি আপনাকে খোলসে আত্মগোপনের পরামর্শ দেয়। সেনাপতি ভাইপো ছাড়া বঙ্গে নাকি গতি নাই।

কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন, মা কর্মফলহেতুর্ভূর্মা তো সঙ্গোহস্তকর্মণি।। মানুষের অধিকার শুধু কর্মে, কর্মফলে নয়। আপনাদের দায়িত্ব ছিল নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দেওয়া, কিন্তু ফলের আশা করবেন না। প্রত্যেক অ্যাকাউন্টে পনেরো লাখ কিংবা বছরে দু কোটি কর্মসংস্হান ভুলে যান। নোটবন্দী থেকে গ্যাসে আধার লিঙ্ক, দুষ্টুমি করলেই ভারতেশ্বর আপনাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে দেবেন। নরেন্দ্র মোদী অনেক গ্যারান্টির কথা দেবেন, কিন্তু সংসদের ভিতরেই কোন গ্যারান্টি কাজ করে না। মনে রাখবেন বৈজ্ঞানিক নরেন্দ্র মোদীর আবিষ্কার তালি-থালি বাদ্য থেকে দিয়া জ্বালিয়ে মাত্র পঁয়তাল্লিশ লক্ষ ভারতবাসী করোনায় মারা গেছেন। নয়ত সংখ্যাটা নিয়ন্ত্রনে থাকত। গীতা না পাঠ করলে ফলের দাবী সোচ্চার হয়ে যেতে পারে শতকন্ঠে। দ্রোণাচার্য যখন রাজপুত্রদের ধনুর্বিদ্যার শিক্ষা দিতেন, বলতেন, দৃষ্টিতে থাকবে শুধু পাখির চোখ, তাহলেই সাফল্য। তৃতীয় পান্ডব মুন্ডুর নিশানায় পাখির মুন্ডুচ্ছেদ করেছিলেন। এটা কুরুক্ষেত্রের আগের এডিশন। গীতার পুনর্বিবেচনায়, কর্মফলের গ্যারান্টি রইল না।

হঠাৎ দাও- দাও- চিৎকার উঠতে নরেন্দ্র মোদী বিব্রত। কারা গীতা বিরোধী প্রাপ্তিযোগের আশা করেন? শাহী আমত্যবৃন্দ জানালেন, কালীশ্বরীদেবী চন্ডীপাঠে উন্মত্ত। চণ্ডিকে সততং যুদ্ধে জয়ন্তি পাপনাশিনি। রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি। হে চণ্ডী, সদা যুদ্ধে বিজয়িনী ও পাপনাশিনী দেবী,আমায় রূপ দাও, জয় দাও, যশ দাও এবং আমার শত্রু বিনাশ কর। মোদী কেঁপে ওঠেন, দিদ্দি কেবল দাও- দাও- করেন কেন? দিল্লীতে নাও- নাও- তদন্তে মুক্তি দাও- বলেন। অমিত শাহের ধনী সুপুত্র ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। বোঝাতে সুবিধা হয়, ডানহাতি ব্যাটারের কাছে যা লেগস্পিন, বাঁ হাতি ব্যাটারের সেটাই অফস্পিন। যে পায়ে তিনি সাল্লু মিঞাঁর সাথে নাচেন, রিয়াল মাদ্রিদ বার্সিলোনা এফসিতে বল পাঠান, সেই পা ঠিক ভোটের আগে ভেঙে যায়। রামমন্দির বানালে উনি জগন্নাথ মন্দির বানান। ভারতেশ্বর নরেন্দ্র মোদী মাধবকে বললেন, আমার রথের ল্যাডার ঊর্ধে তুলে ধরো, যাতে চন্ডী মাতার আরাধ্যা কালীশ্বরীদেবী ও তাঁর চামুন্ডা সহ ডাকিনী-যোগিনীদের স্বচক্ষে দর্শন করে পরিতৃপ্তি লাভ করতে পারি।

তত্রাপশ্যৎ স্হিতান পার্থঃ পিতৃনথ পিতামহান। আচার্যন্মাতুলান ভ্রাতৃন পুত্রান পৌত্রান সখীংস্তথা। শ্বশুরান সুহৃদশ্চৈব সেনয়োরুভয়োরপি।। তখন পার্থ উভয় পক্ষের সেনাদলের মধ্যে পিতৃব্য, পিতামহ, আচার্য, মাতুল, ভ্রাতা, পুত্র, পৌত্র, শ্বশুর, মিত্র ও শুভাকাঙ্খীদের উপস্হিত দেখতে পেলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ভারতভাগ্যবিধাতাকে বললেন, হাঁ মুখ বন্ধ করুন। করোনার নতুন প্রজন্মের ভাইরাস ঢুকে যাবে। বাকরূদ্ধ হয়ে গেলেন কেন? নরেন্দ্র মোদী শোকাপ্লুত হয়ে বলেন, চন্ডীশিবিরে ওরা কারা? ওদের সাথে আমাদের মালাবদল হয়েছিল। গড়ের মাঠে সবাই স্তম্ভিত। নরেন্দ্র মোদী বেদনা সামলে বলেন, ওরা মঞ্চে আমাদের গলায় মালা দিয়েছেন, আমরা ওনাদের হাতে পতাকা তুলে দিয়েছিলাম। প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব, কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মুকুল থেকে ভয়প্রকাশ। ওদের অনেকেই পদ্ম টিকিটে বিধানসভায় গেছেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে হাফটাইমে দল বদলের রেওয়াজ ছিল না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বুঝিয়ে বলেন, বিশ্ববঙ্গে প্রক্রিয়া সহজ। মাঝ পথে দাঁড় করিয়ে কচু বনে লাথি মেরে ফেলতে পারলেই সেই পদ্ম কচু ঘাস কচু হয়ে যায়।

ন চ শ্রেয়োহনুপশ্যামি হত্বা স্বজনমাহবে। ন কাঙ্খে বিজয়ং কৃষ্ণ ন চ রাজ্যং সুখানি চ। হে কৃষ্ণ, যুদ্ধে আত্মীয় স্বজনদের নিধন করা শ্রেয়ষ্কর দেখছি না। আমি যুদ্ধে জয়লাভ চাই না, রাজ্য ও সুখভোগও কামনা করি না। আগমী লোকসভা যুদ্ধে দুর্নীতিগ্রস্ত ঘাস ভাইয়ের সাথে দুর্নীতিগ্রস্ত পদ্ম ভাইয়ের যুদ্ধ। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বীর সেনানী মেহুল চোক্সি, নীরব-ললিত মোদীদের সাথে বিনয় মিশ্রদের টিনের তরোয়ালের ঠনঠনানি। ঠিক তখন হেকিম দূত দূর হতে গান গাইতে গাইতে এলেন, হে পার্থ, আপনি সুখ পরিত্যাগ করিলে, সিংহাসন ত্যাজিলে ঘটনাক্রমে কোন সদাচারী ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হইলে দুর্নীতিতে পরাক্রমী বিশ্ববঙ্গবাসীর নিদ্রা টুটিয়া কী সব যেন ফাটিয়ে যাইবে। জোটের মুখোশের আড়ালে শ্রীমতী ভয়ঙ্করীর হাসি কি দেখেন নাই? তিনি যথাসময়ে দিল্লীতে উপস্হিত হইয়া আপনার আরোহন পর্বে কাঁসর বাদনে মত্ত হইবেন। মোদী বললেন, আমি ভাবছি। শাহজী প্রশ্ন করেন, কী প্রভূ? এইটুকু বোধগম্য করাতে শ্রীকৃষ্ণের আস্ত একটা বই লিখতে হল কেন? অথচ হেকিম কত সহজেই বললেন।

গড়ের মাঠে পার্থ- পার্থ- বলে চিৎকারে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে পার্থর ভাত ঘুম ছলকে ওঠে। কে নাম ধরে ডাকে? অর্পিতা নয় তো? কালীঘাটের কাকু গীতা পাঠে অপারগ, হাসপাতালে নামী ডাক্তাররা স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে ভোকাল কর্ড খুলে রেখেছেন ফরমালিনে। বালু ডাবের খোলায় স্ট্র দিয়ে ভদকা খান। কেষ্ট তিহাড়ে বসে হাঁক পাড়েন- ক্যা রে- আমার নাম ধরে ডাকিস? ওনারা তো জানে না গড়ের মাঠে গীতা পাঠের সার্কাসের তাঁবু পড়েছে। দূরে গ্রামের পথে আল বেয়ে আসছে লাল পতাকার ইনসাফের মিছিল। দুর্নীতির তদন্ত চাই, মাথাগুলো ধরতে চাই, নরেন্দ্র মোদীর বিচার চাই। এবার ভীতি সঞ্চারিত হলে নরেন্দ্রজী গীতা পাঠে নিবিষ্ট হলেন, অশোচ্যানন্বশোচস্ত্বং প্রজ্ঞাবাদাংশ্চ ভাষসে। গতাসূনগতাশূংশ্চ নানুশোচন্তি পন্ডিতাঃ। তুমি প্রাজ্ঞের মত কথা বলছ অথচ যে বিষয়ে শোক করা উচিৎ নয়, সেই বিষয়ে শোক করছ। যাঁরা যথার্থই পন্ডিত তাঁরা কখনও জীবিত বা মৃত কারো জন্যই শোক করেন না। কত মৃত ব্যক্তি রাজনৈতিক ময়দানে দুর্নীতিতে লিপ্ত হবেন, কত জীবিত মানুষ দুর্নীতির জ্বালায় মরবে।

ভারতের চন্দ্রযান চাঁদের মাটিতে সফল। ভারত এক সম্ভাবনাময় দেশ। আমাদের একজন কৃষ্ণের মত সারথী দরকার। নরেন্দ্র মোদী গীতা পাঠ করতে আসলে বাঙালি বহু প্রশ্ন তুলে ধরবেন। নরেন্দ্র মোদীর জিম্মায় তার কোন উত্তর নেই। ফলে খুব সম্ভবতঃ তিনি গড়ের মাঠে গীতা পাঠের সার্কাসের তাঁবুতে আসবেন না। পালিয়ে বাঁচলেন। নরেন্দ্র মোদী আসুন, উত্তরগুলো নিয়ে আসুন। অমিত শাহ বলেছিলেন, ক্ষমতায় আসার নব্বই দিনের মধ্যে অভিযুক্তদের গারদের ওপাশে নিয়ে যাবেন। গত ২০ তারিখে অভিযুক্তরা নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎ করলেন। আপনি রামায়ণে আসুন, মহাভারতে আসুন, তৈত্তীরিয় উপনিষদে আসুন, গীতায় আসুন…. কেবল উত্তরগুলো নিয়ে আসুন। পেটোয়া সাংবাদিকদের সাজানো প্রশ্ন শুনে শুনে আমরা বিরক্ত, আরো হতাশ সেই এক ডায়ালগ শুনে। লক্ষ কন্ঠের গীতায় আপনার ভিতর প্রকৃত ধর্মজ্ঞান জাগরিত হোক, দুর্নীতির কলুষমুক্ত হোক, জ্ঞানশিখা প্রজ্জ্বলিত হোক, উন্মেষ হোক চেতনার। আপনি সীতায় ভাল হবেন, না গীতায় সেটা মূল বিষয় নয়। আপনি ভাল হয়ে যান।