এ বছর ১লা মে লালগড়ের সেই আমাগাছটার তলায় জড়ো হয়েছিলেন শালকু সোরেনের সাথীরা।সব কিছুর উপরে হিম্মতকে স্থান দিয়ে রক্ত পতাকা উত্তোলন করেছে।সেই আমগাছ যে সাক্ষী ছিল শালকুর মৃতদেহ টা ধীরে ধীরে পচনের।যে অঞ্চল মাও তৃণমূলের মানুষ খেকো বাহিনীর বধ্যভূমিতে পরিনত হয়েছিল সেই অঞ্চলেও রক্ত পতাকা উড়ছে।
আত্মীয়ের বাড়িতে লুকিয়েও সেদিন নিজেকে বাঁচাতে পারেন নি তিনি। হিটলারের গেস্টাপো বাহিনীর কায়দায় হুগলী জেলা পরিষদের ৩০ নং আসনে ধনিয়াখালী থেকে সিপিএম প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দাখিল করা কালিপদ ভূমিজকে খুঁজে বের করে আক্রমণ চালায় তৃণমূলের লুম্পেন বাহিনী।
পার্টি জান কালিপদ ভূমিজকে প্রথমে মনোনয়ন প্রত্যাহারের বদলে পাঁচ লাখ টাকার লোভ দেয় তৃণমূলি গুন্ডাবাহিনী।
প্রতিদিন সেই টোপ বাড়তে থাকে শেষে বলা হয় দশ লাখ টাকা এবং বাড়ি করে দেওয়া হবে।
ক্ষেতমজুর পরিবারের এই পার্টিজানকে তবুও টলাতে না পেরে অবশেষে সশস্ত্র বাহিনী চড়াও হয় তার বাড়িতে।
কাটারি দিয়ে কোপানো হয় দুটি পা। ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে বুকের পাঁজর, দাঁত।
হাসপাতালে বেড পায়নি।
মেঝেতে শুয়ে যখন লড়াই জারি রাখার বার্তা দিচ্ছে তখন তার স্ত্রী-বাচ্চার মুখে দুবেলা অন্ন জোটানোর দায়িত্বটা এলাকার কমরেডরা নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
যদি কমরেড কালিপদ ভূমিজ সেদিন তৃণমূলের প্রস্তাব মেনে নিতেন তাহলে রসে বশে থাকতে পারতেন কিন্ত কমরেড কালিপদ যে পার্টিজান, জান যাবে কিন্ত লাল ঝান্ডার অসম্মান হতে দেবেন না।আজও এরকম হাজারো কালিপদ ভূমিজ আমাদের পার্টিতে আছে আমি গর্বিত কমরেড কালিপদ যে লাল পতাকা বহন করে,কমরেড শালকু যে লাল ঝান্ডাকে ভালোবেসে শহীদ হলো আমিও সেই লাল ঝান্ডার মিছিলে হাঁটি।
কমরেড কালিপদ ভুমিজ লাল সালাম।
শহীদ কমরেড শালকু সোরেন লাল সেলাম।