২০২২ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, “কৃষকের আয় দ্বিগুণ করবেন”। না, কৃষকের আয় দ্বিগুণ হয় নি। আয় দ্বিগুণ হয়েছে কর্পোরেটদের। কৃষকদের আরো সর্বনাশ কিভাবে করা যায় ,তা ২৩ -২৪ এর বাজেটেই  পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। দেখা যাক কৃষকদের আয় দ্বিগুণ হল ,নাকি আয় কমে গেল।এ বছরের বাজেট দেখলেই বোঝা যাবে যে ,বাস্তবে কৃষকরা কি পেল! ২০২৩–২৪ অর্থ বর্ষে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে বাজেট পেশ করেছেন,সেই বাজেটের কৃষি ও কৃষকের খাতটা  দেওয়া হল।আরএসএস পরিচালিত বিজেপি সরকারের  অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কর্পোরেট পুঁজির ও ধান্দার ধনতন্ত্রের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এই বাজেট।  কৃষকদের স্বার্থে নয়।বাজেটে দেখা যাচ্ছে- কৃষকের বেঁচে থাকার জন্য ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করার যে সুযোগগুলি ছিল — সেগুলিকেও সুকৌশলে  বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। নির্লজ্জ,বেহায়া।যেমন,– “প্রধানমন্ত্রী অন্নদাতা আয় সংরক্ষণ যোজনা অভিযান –“(পিএম -আশা)।তৈলবীজ ও ডাল চাষীদের জন্য ২০১৮ সাল থেকে এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল ,ফসলের দাম পড়ে গেলে সরকার সরাসরি ফসল কিনে চাষীকে রক্ষা করবে।, বাজেট পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, ২০২২-২৩ সালে এই প্রকল্পের বরাদ্দ ছিল এক কোটি টাকা।২০২৩ – ২৪ সালে বরাদ্দ হয়েছে মাত্র এক লক্ষ টাকা। হঠাৎ এত পরিমান টাকা  কেন কমিয়ে দেওয়া হল, তার কোন ব্যাখা  অর্থমন্ত্রী দেননি। আনাজ ও ফল চাষীদের জন্য প্রকল্প ছিল — “মার্কেট ইন্টারভেনশন স্কিম এন্ড প্রাইস সাপোর্ট স্কিম”। অদ্ভুতভাবে তার বরাদ্দ দেড় হাজার কোটি টাকা থেকে এক লাফে কমে এক লক্ষ টাকা করা হয়েছে। তাহলে যারা তৈলবিজ ও সবজি চাষ করে সেই সমস্ত কৃষক/চাষী,  বাঁচবে কিভাবে? এই বিষয়ে কোনো লক্ষ্য নেই সরকারের।ঐ সামান্য টাকাটাই রাখার কি দরকার ছিল।বড় বড় শপিং মলে, হিমঘরে,বাসে আগুন লাগলে কিংবা দূর্ঘটনায় ক্ষতি হলে,সেই সব মালিকরা বীমার ক্ষতিপূরণ পায়।আর চাষীর ফসল বন্যা,খরা, পোকার আক্রমনে,নষ্ট হয়ে গেলে চাষীকে কপাল চাপড়াতে হয়। কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে “প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনায়”– এ বছর ২০০০ কোটি টাকা বাজেটের বরাদ্দ কমানো হয়েছে।”পি-এম-কিষান”প্রকল্প থেকে আট হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছেঁটে দেওয়া হয়েছে। নির্মলা সীতারামন এই বাজেটে দুটি প্রকল্প ঘোষনা করেছেন- খুব চতুরতা ও ধূর্ততার সাথে। বলেছেন,”এই প্রকল্পে নাকি কৃষকের স্বার্থ রক্ষা হবে”। আসলে স্বার্থ রক্ষা হবে কর্পোরেট পুঁজির। প্রথম প্রকল্প -“কৃষির ডিজিটাল-পরিকাঠামো তৈরী, দ্বিতীয় প্রকল্প –“গ্রামীন কৃষি-ব্যবসার সহায়তায় বরাদ্দ। কৃষকদের কি লাভ হবে জানা নেই।এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদরা ভালো বলতে পারবেন। তবে যেটুকু বুঝি, তা হল ব্যবসায়িক স্বার্থে উক্ত প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।চাষীর আয় বাড়বে না ,আয় বাড়বে বড় বড় ব্যবসায়ীদর।চাষী আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ বছরের বাজেটে কৃষি খাতে ব্যয় বরাদ্দ প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে। গত বছরে মোট বাজেটে কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বরাদ্দ ছিল ৩.৮৪ শতাংশ । এই বৎসর ঐ খাতে বরাদ্দ কমিয়ে ৩.২০ শতাংশ করা হয়েছে ।প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে গত বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকা  বরাদ্দই রেখে দেওয়া হয়েছে। এক টাকাও বাড়ানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর ফসল বীমা যোজনায়, গত বছরের বরাদ্দ ছিল পনেরো হাজার পাঁচশো কোটি টাকা। এ বছর সেটা কমে হয়েছে ১৩,৬২৫ কোটি টাকা। ২০০০ কোটি টাকা কমানো হয়েছে।ঢাক ঢোল পিটিয়ে নতুন করে ,

“সবুজ বিপ্লবের “কর্মসূচি ঘোষণা হয়েছিল গত ২০২১–২২ সালে ।বরাদ্দ ছিল ৬৭৪৭ কোটি টাকা ।২০২৩–২৪ সালে বরাদ্দ ০০। অর্থাৎ এই বছরে কোন বরাদ্দ নেই। তাহলে কি এই প্রকল্পটিকে গলা টিপে মেরে দিল মোদি সরকার। এবারের বাজেটে সারের ভর্তুকিতে ঝেরে ছেঁটে ফেলা হয়েছে। প্রায় ২২ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া  হয়েছে।সার উৎপাদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

।সেক্ষেত্রে সরকার কৃষকদের খানিকটা সহায়তা করে থাকে।এবছরের বাজেটে সেখানেও বরাদ্দ ছেঁটে দেওয়া হয়েছে।সেচের জন্য,”প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই” যোজনায়  গত বছর থেকে এ বছরে বরাদ্দ ছেঁটে ১০,৭৮৭ কোটি টাকা করা হয়েছে।গত বাজেটের থেকে  ২২০০ কোটি টাকা কম।মোদি সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষ যাতে খেতে না পায় ,তারও __ ব্যবস্থা করেছেন পাকাপোক্ত ভাবে।তার জন্যই খাদ্যে ভর্তুকি কমানো হয়েছে ৩১শতাংশ। জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনে খাদ্যশস্য সংগ্রহে গত বছর বরাদ্দ ছিল ৭২,২৮২কোটি টাকা। এবছর কমে হয়েছে ১২শতাংশ। অর্থাৎ ৫৯,৭৯২কোটি টাকা। গ্রামে যখন কাজের অভাব সেই সময় গ্রামীণ কর্মসংস্থানে বরাদ্দ একেবারেই কমিয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে।গত বছরের বরাদ্দ ছিল ১,৫৩,৫২৫ কোটি টাকা।এ বছর বরাদ্দ হয়েছে ১,০১,৪৭৪কোটি টাকা।২০০৭ সালে বামপন্থীদের চাপে ইউ,পি,এ সরকার ১০০ দিনের জব কার্ডের কাজ চালু (মনরেগা প্রকল্প)করে।২০১৪সালে বিজেপি কেন্দ্রে সরকার গঠন করে। তারপর থেকেই এই প্রকল্পে প্রতি বছর বরাদ্দ কমতে কমতে এ বছর ২৯,০০০ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে।গত বছর ছিল ৮৯০০০ হাজার কোটি টাকা। এবছর করা হয়েছে ২৯০০০হাজার কোটি টাকা। এমনিতেই খেতমজুরদের সারা বছর কাজ থাকে না। বাজেটের বরাদ্দ কমে যাওয়া মানে খেতমজুরদের কাজ আরও কমে যাবে।সরকার খাদ্য সংগ্রহে যে টাকা খরচ করতো, সেই টাকা খরচ তো করেই নি ,উপরন্ত এবছর বাজেটে কোন বরাদ্দও ধরা হয়নি।খাদ্যে ভর্তুকি ৩১ শতাংশ কমানো হয়েছে। যার প্রভাব পড়বে রেশনিং ব্যবস্থায়। যে দেশের মানুষ দুবেলা পেটপুরে খেতে পায় না, সেখানে সরকার যদি খাদ্যে ভর্তুকি কমিয়ে দেয় তাহলে সে দেশের মানুষ বাঁচবে কিভাবে!জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইনে খাদ্যশস্য সংগ্রহের জন্য গতবছর  বরাদ্দ ছিল ৭২ হাজার ২৮২ কোটি টাকা।এ বছরে ১২ শতাংশ কমিয়ে করা হয়েছে ৫৯ হাজার ৭৯২ কোটি টাকা।খাদ্যে ভর্তুকি ৩১% কমানো হয়েছে।  কৃষি পরিকাঠামোয় কোন বরাদ্দই নেই।

কেন্দ্রীয় সরকারের কর্পোরেটমুখী  কৃষিতেই উৎসাহ বেশি। ফলে কৃষি ক্ষেত্র থেকে সরকার তার দায়িত্ব সরিয়ে নিচ্ছে ।তেমনি রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। রাজ্য  সরকারও  ওই একই নীতিতে চলছে । কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার চলছে বলেই  পশ্চিমবঙ্গের কৃষককেও আজ ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে আলু চাষীদের সামনে এক বিরাট সমস্যা।, পশ্চিমবঙ্গের আলু হচ্ছে অর্থকরী ফসল। সেই ফসল কিভাবে বিক্রি হবে, সংরক্ষণ হবে সে সম্পর্কে রাজ্য সরকারের কোনো নীতিতো নেই, আবার উদাসীন ।এবছর আলুর ফলন এমনিতেই কম।ঘন কুয়াশার আবরনে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে, একদমই বৃষ্টি না হওয়ায়,রোগ ও পোকামাকড়ে আলুর যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। ফলে ফলন অনেক কমে গেছে।কাঠায় ৩/৪ বস্তা ফলন।( ৫০কে জি বস্তা) এমনিতেই উৎপাদন কম তার উপর দাম নেই।চাষীর অবস্থা এখন ,”মড়ার উপর খাড়ার ঘা”এর মতন।আলু উঠতে শুরু করেছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বস্তা। (প্রতি বস্তা ৫০কেজি ) আলু চাষ করতে খরচ কম করে হলেও ৩৫ হাজার টাকা। জমিতে আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫০/৩০০ টাকা প্রতি বস্তা। এবছর ডাহা লোকসান। চাষীর দেনা বাড়বে। দেনা শোধ করার মত চাষীর বিকল্প কোন ব্যবস্থা নেই। ইতিমধ্যেই কয়েকজন আলু চাষী দেনার দায়ে আত্মহত্যা করেছে।সরকার চাষীদের পাশে থাকবে ,তারও কোন গ্যারান্টি নেই।প্রশাসন নির্বিকার –এ বিষয়ে জেলা স্তরের আধিকারিকরা ওয়াকিবহাল নয়।কয়েক বছর আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আলুর প্রভূত ক্ষতি হয়েছিল। আলু চাষীদের রক্ষা করার জন্য বামফ্রন্ট সরকার একবার ২০০ কোটি টাকা ও পরের বারে ৪০০ কোটি টাকা দিয়ে চাষির আলু কিনে দামের বিপর্যয় ঠেকাতে সক্ষম হয়েছিলেন।  অন্য রাজ্যে আলু পাঠানোর জন্য তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার উদ্যোগী হয়েছিলেন এবং সফল হয়েছিলেন।২০১১সালের পর সরকার পরিবর্তন হল। মুখ্যমন্ত্রী বীরদর্পে ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো বন্ধ করে দিলেন। বর্ডার সিল করে দিলেন। সেই বছর আলু চাষিরা ভয়ংকর বিপদে পড়েছিলেন। কিন্তু সরকার পাশে দাঁড়ায়নি।একটি প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী চাষীদের উদ্দেশ্যে যেমন কৈফিয়ত চেয়েছেন তেমনি উপদেশও দিয়েছেন ।, চাষীরা এত আলু চাষ করে কেন ?তার পরেই মন্তব্য করেছেন, বেশি বেশি করে আলু খেতে!এটাতো চাষীদেরকে অবজ্ঞা ও উপহাস করা।এ বছর পশ্চিমবঙ্গ প্রাদেশিক কৃষক সভা (সারা ভারত কৃষক সভার শাখা) আলু চাষীদের নিয়ে দুটি কনভেনশন করে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে–, এক হাজার টাকা কুইন্টাল দরে রাজ্য সরকারকে আলু কিনতে হবে এই দাবিতে।তার জন্যই আগামী ১১ই মার্চ ২০২৩ সালে রাজ্য জুড়ে কৃষকদের নিয়ে প্রাদেশিক কৃষক সভা জাতীয় ও রাজ্য সড়কে অবস্থান-বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আরও কয়েকটি দাবি তোলা হয়েছে –**হিমঘরে বস্তা প্রতি সংরক্ষণের ভাড়া কমাতে হবে।**হিমঘরে আলু সংরক্ষণের জন্য আলু চাষীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।**চুক্তি চাষীদের আলু বিক্রি ও সংরক্ষণের সমান সুযোগ দিতে হবে।**ভিন রাজ্যে ও বিদেশে আলু রপ্তানি করতে হবে।**আলু ভিত্তিক শিল্প স্থাপনের জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।”পিঁয়াজ চাষীদের অবস্থাও একই রকম ।সেখানেও দাবি করা হয়েছে, পিঁয়াজের বস্তা পিছু (৫০ কেজি )কমপক্ষে ৯০০ টাকা কুইন্টাল দিতে হবে ।পিঁয়াজ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ নিতে হবে।গোটা রাজ্য এই সকল দাবিতে ওই দিন উত্তাল হবে। আসলে এই সরকারের কোন যোগ্যতাই নেই। অন্য রাজ্য রপ্তানি করতে পারে ,আমাদের রাজ্য পারে না। ২০১১ সালের তথ্যে দেখা যায়, আলু উৎপাদনে মহারাষ্ট্রের স্থান ১৪ কিন্তু রপ্তানিতে প্রথম। তামিলনাড়ুর স্থান কুড়ি ,রপ্তানিতে দ্বিতীয় আর পশ্চিমবঙ্গে উৎপাদনে দ্বিতীয় কিন্তু রপ্তানিতে তৃতীয়।২০১৭-১৮-,১৮-১৯ এ দেখা যায় আলু রপ্তানিতে মহারাষ্ট্র প্রথম ,বিহার দ্বিতীয়, তামিলনাড়ু তৃতীয়, কেরল চতুর্থ, রাজস্থান পঞ্চম, পশ্চিমবঙ্গ ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে।অপদার্থ রাজ্য সরকার আলু রপ্তানি করতে পারে না ,অন্য রাজ্যে আলু পাঠানোর মুরোদ নাই,—আর মুখ্যমন্ত্রী মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বড় বড় কথা বলেন। প্রশাসনিক সভা করতে কোটি কোটি টাকা খরচ হতে পারে,আর চাষীদের আলু  কেনার জন্য টাকা খরচ করতে পারে না।লজ্জা -শরমও নাই। দুই সরকারের যাঁতাকলে পড়ে কৃষকের জীবন আজ ওষ্ঠাগত। কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের দাম??? শুধুই লোকসান আর লোকসান।কৃষকের আয় বাড়বে, রোজগার বাড়বে নাকি কৃষকের জীবন ঘন কুয়াশার আবরনে ঢেকে গিয়ে খাদের কিনারায় চলে যাবে!কৃষক আন্দোলন ও  সংগঠনই পারে, খাদের কিনারা থেকে কৃষককে সরিয়ে এনে বাঁচার সঠিক রাস্তায়  আন্দোলনের পথ চেনাতে। এই আন্দোলনের পথ ধরেই কৃষকের রোজগার বাড়বে।জীবনে আসবে সুখ-স্বাচ্ছন্দ। ভবিষ্যৎ সেই দিকেই যাচ্ছে।

[তথ্য সংগৃহীত]