কমিউনিস্ট পার্টিতে “বামবিচ্যুতি” বলে একটি রোগ(দোষ) আছে যে রোগ কে চিহ্নিত করে বহুদিন আগেই কমরেড লেনিন লিখেছিলেন “বামপন্থী কমিউনিজম শিশুসূলভ বিশৃঙ্খলা”।

       ভারত তথা বাংলার কমিউনিস্ট আন্দোলনের দিকে দেখুন এই “বাম বিচ্যুতির”কারনে প্রভূত ক্ষতি হয়েছে ।সিপিআই(এম)র অনেক কমরেড কে মরতে হয়েছে এই বিচ্যুত বামেদের,(যারা পরিচিত ছিল নকশাল নামে)হাতে ষাটের দশকের শেষভাগে।এই নকশালরাই তো ৭০র দশকের শেষভাগে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের ভাড়াটে খুনী হয়ে কংশাল নামে পরিচিত হয়েছিল। বাংলার মানুষ তাদের অভিজ্ঞতায় এই বিচ্যুত বামেদের চেনে যাদের নেতারা সি আই এর এজেন্ট হয়ে একটা গোটা প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিমান ছেলেমেয়েদের সিপিআই এম থেকে ভাঙ্গিয়ে তাদের ভবিষ্যত ধ্বংস করে নিজেরা বিদেশে গিয়ে দিব্য সুখে জীবন যাপন করছে।

   গুরু সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মতোই শিষ্যা মমতাদেবী তার পরিবর্তন অভিযানে বিশ্বস্ত সাথী হিসেবে সঙ্গে পেয়েছিল এই বিচ্যুত বামেদের যারা নাম বদলে তখন হয়েছিল মাওবাদী।বেশিদিন আগের কথা কী(?)  কোটেশ্বর রাও নামে মাওবাদী নেতার নেতৃত্বে মাও’ তৃণমূল যৌথ বাহিনীর জঙ্গলমহল জুড়ে সিপিআই এম কর্মী সমর্থকদের হত্যা করা।চোখের সামনে আজও ভেসে ওঠে এই খুনীদের হাতে নিহত কমরেড শালকুর পোকায় ধরা মৃতদেহ। 

      এই বিচ্যুত বামেদের ই বাংলার মিডিয়া অতি বাম বলে দাগিয়ে দিয়ে তাদের সিপিআই( এম)- র সঙ্গে এক বন্ধনিতে আনতে চাইছে।আসলে সিপিআই (এম )কে কালিমালিপ্ত করবার জন্য মমতা পোষিত মিডিয়ার এ এক জঘন্য খেলা।যে খেলা মমতাদেবী সূচনা করেছিলেন স্বপ্নের মৃত্যুর পর তার দায় মার্কসবাদীদের উপরে চাপিয়ে।

    আসলে সুকৌশলে মমতাদেবী নিজের পুরনো সহযোগি  বিচ্যুত বামেদের অপকর্ম মূলধারার কমিউনিস্টদের বিশেষত সিপিআই(এম)র উপর চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।যেমন জ্ঞেনেশ্বরি কান্ডের সময় চাপিয়েছিলেন,আর তার অপচেষ্টার সাথী হয়েছে  কর্পোরেট মিডিয়া।