আগের দিনের পদযাত্রায় নাজেম চাচার সাথে কথামত কয়েকদিন পর সকাল দশটা নাগাদ ওনার বাড়ী গেলাম। যদিও আগে থেকেই নাজেম চাচাকে খবর দিয়েছিলাম। বাড়ীতে  গিয়ে দেখি নাজেমচাচা মুড়ি খাচ্ছে। আমি যেতেই বলল ,এসো এসো, বসো। দুটি মুড়ি খাও। মুড়ি দিতে বললাম। মুড়ি খেতে খেতে জিজ্ঞাসা করলাম, সেদিনের মিটিং এর খবর কি? নাজেম চাচা খুশিতে টগবগ করতে করতে বলল, খবর খুব ভালো। পদযাত্রা আমরা করবো। তবে লোকজন কম হবে।সব ভয় পাচ্ছে। আমি বললাম,যা জুটবে তাই হবে, তবে ভয় কেটে যাবে। আরো দু একজন বয়স্ক মানুষ নাজেমচাচার উঠোনে এসে গেলেন। কিছু ছেলে মেয়েও জুটে গেল। সামনে এসে তারা বলল, চাচার ডাইরির লেখাটা সেদিন পড়ে শোনানোটা খুব কাজে লেগেছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম কিরকম! ওরা বলল,ছেলে ছোকরারা বলছে, আমাদের ছোটলোক বলত, আমাদের দাদু,বাবা,কাকা, জেঠুদের তখনকার দিনে “চাকর”বলত। ওদের খুব মানে লেগেছে।ওরা বলছে, কই এখন তো  আর বলে না ? ছেলেদের বললাম, এখন বলার মতো সাহস ওদের নেই। কারন, বামফ্রন্ট সরকার আমাদের মর্যাদা দিয়েছে। মাথা উঁচু করে বাঁচতে শিখিয়েছে বামফ্রন্ট সরকার। ঐ সরকার গরীবদের ভিতকে শক্তিশালী করেছে। আর সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়ে তোরা (ছেলেছোকরার দল) নানান বাহারের চুলের ছাঁট দিচ্ছিস,কানে কি সব গুঁজে বড় ফোনে আঙ্গুল ঠিলছিস, ডিজে বাজিয়ে দু’দিন ছাড়া ফিস্টি করছিস আর নাচনকোদন করছিস। আর পোশাক-, কেবলই ভাবি আমি , আমার বাবা, দাদু এক জামা কাপড় পড়ে কাটিয়েছি। আর এখনকার ছেলেমেয়েদের পোশাকের সব বাহার। এ রকম দিন থাকবে না। গরীবের খুব খারাপ দিন আসছে। তোদের দাদু,বাপ-কাকাকে কত কষ্ট করতে হয়েছে তা জানিস? জানিস না আর বোঝার চেষ্টাও করিস না। মোহনদা কি যেন ছেলে গুলোকে বলছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কি হল মোহনদা। মোহনদা বলল, ওদেরকে বলছি আমাদের রায় পাড়ায় (বাগ্দী) আগে কি ছিল আর এখন কি হয়েছে তোরা মিলিয়ে দেখ। এখনো সময় আছে। দুটো দল যা করছে ,আমাদের সব অধিকার কেড়ে নেবে। আরে আমাদের পাড়ায় কেউ স্কুলে যেত ? বামফ্রন্ট সরকার লেখাপড়ার জন্য বিনা পয়সায় সব ব্যাবস্থা করেছিল।মোহনদা খুব রেগে গেছে। সকলেই থামানোর চেষ্টা করছে কিন্তু থামছে না। অবশেষে আমি মুখ খুললাম।মোহনদাকে বললাম, আজকে আর ডাইরি পড়া হবে না। ভালোই সভা হয়ে গেল। হঠাৎ মোহনদা জামার পকেট থেকে একটা পুরোনো কাগজ বের করে তাতে একটা ছবি দেখাল। ছেলেদের বলছে, দেখ বামফ্রন্ট সরকার প্রথম স্কুলে ছেলেমেয়েদের সাইকেল দেওয়া শুরু করে। ছেলেরা সব ঝুঁকে পড়ে ছবিটা দেখতে লাগল। আমিতো দেখে হতবাক। ছবিতে দেখা যাচ্ছে বামফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য স্কুলের ছাত্র -ছাত্রীদের সাইকেল দিচ্ছেন।

 মোহনদা বলছে, বামফ্রন্ট সরকার একটা নিয়ম নীতি মেনে সাইকেল দিত।এখন দেখ ,বড়লোকের ঘরে সাইকেল ঢুকছে তিন চারটা করে। সব বিক্রি করে দিচ্ছে। আমাদের দেওয়া ট্যাক্সের টাকা সরকার অপচয় করছে।মোহনদার ঝাঁঝালো গলা শুনে ছেলেগুলো চুপসে গেল। আমি বুঝলাম কাজ হয়েছে। মোহনদা ঐ সব ছেলেমেয়েদেরকে বলছে,এখন তোরা যেভাবে চলছিস এইভাবে বেশিদিন চলতে পারবি না। সব বড় হয়েছিস বুঝে দেখ। মোহনদা ঐ ছেলেগুলোর সাথে বকবক করতে থাকলো। নাজেম চাচা আমাকে আগামী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যেতে বলল। সেদিন আবার ডাইরি পড়া হবে এবং পদযাত্রার তারিখ করা হবে।

যথারীতি বৃহস্পতিবার আমি দু -চারজনকে নিয়ে সন্ধ্যায় নাজেম চাচার বাড়ি গেলাম। গিয়ে দেখি তখন অনেকেই এসে গেছে কিছু বয়স্ক মহিলাও  আছে। অনেক ছেলে ছোকরাও জুটেছে। চা- টা খেয়ে নাজেম চাচার ডায়েরি আবার পড়া শুরু হলো।

আগের লেখায় মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু যা ঘোষণা করেছিলেন তা উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ১৯৭৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হল। কংগ্রেস আমলের ইউনিয়ন বোর্ডের ঘুঘুর বাঁসা ভেঙে তছনছ হয়ে গেল। দিকে দিকে বামপন্থীরা পঞ্চায়েতে জিতে বোর্ড গঠন করল। জ্যোতিবাবু বলেছিলেন,”মহাকরন থেকে সরকার সব কাজ করবে না। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে গ্রামের সব কাজ হবে, উন্নয়ন হবে। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হবে।”সে বছরই বিধ্বংসী বন্যা হল। নতুন পঞ্চায়েত সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গত মানুষদের উদ্ধার করে এবং তাদের সমস্ত রকম দায়িত্ব গ্রহণ করে। আমাদের গ্রামের সামনে দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙে গেল ।সে দৃশ্য এখনো ভুলতে পারি না। বন্যার মোকাবিলাসহ বন্যার পরের অবস্থা , ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে বামফ্রন্ট সরকার সমস্ত কিছুই আবার নতুন করে গড়ে তোলার কাজ শুরু করল। এই অবস্থায় কোন মানুষকে না খেয়ে বা ঘরবাড়ি হারিয়ে সহায় সম্বল হীন হয়ে গ্রাম বা ভিটে ছেড়ে কাউকে শহরে  চলে যেতে হয়নি। কিম্বা না খেতে পেয়ে অনাহারে মরতে হয়নি। রিলিফের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সাহায্য সহযোগিতায় সরকার খুব ভালোভাবেই সেই ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে মানুষদের পাশে থেকে সমস্ত রকম মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছিল।

একে নিদারুণ অভাব অনটন তার ওপর বন্যা। কাজ কম ,তার পর গতরের দাম নাই । সেই অবস্থায় ১৯৮০ সালে কৃষক সমিতির নেতারা এসে বলল, মজুরীবৃদ্ধির আন্দোলন করতে হবে। কংগ্রেসের তৈরি করা আইন ন্যূনতম ৮ টাকা ১০ পয়সা মজুরির দাবিতে ধর্মঘট করার জন্য পাড়ায় পাড়ায় বৈঠক শুরু হল। তার সাথে আমিও ছিলাম (আমি বলতে নাজেম চাচা)। বর্ষাকালে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলো। একদিন ধর্মঘট হতেই চাষী বাবুদের টনক নড়লো। পরের দিন ডাকতে এলে আমরা যারা জমি-জিরিতে কাজ করে খায় তারা কেউ কাজে গেলাম না। চার আনা-আট আনা কেউ স্বেচ্ছায় দিতে চাইলো না। চাষীরা সব বলাবলি করছে ,”সি পি এম ছোটলোক গুলোকে মাথায় তুলে দিল। “আমাদেরও টহল চলছে,পাল্টা আমাদের ছেলেরাও বলছে , ছোটলোক গুলো ছিল বলে তোমাদের মুখে ভাত উঠছে।” চাষিরা গাঁতায় চাষ শুরু করল (গাঁতায় চাষ বলতে – চাষিরা সব এক হয়ে জমিতে ধান লাগাতে শুরু করল)। আমরাও কেউ কাজে না গিয়ে মিটিং মিছিল জোরদার করতে লাগলাম দাবি আদায়ের জন্য। তাতে উৎসাহী লোকজনের সংখ্যা, মজুরের সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়তে লাগলো। চাষীরা ধর্মঘট ভাঙ্গার অনেক চেষ্টা করেও পারলো না। আন্দোলন আরো তীব্র হল। এদিকে চাষীদের গাঁতাপ্রথা আসতে আসতে ভাঙতে শুরু করেছে। তারা আমাদের কাছে এসে বলতে লাগলো ,তোদের মজুরি বাড়ালে আমাদের চলবে কি করে! তোরা ধর্মঘট তুলে নে, তোদের পুষিয়ে দেবো।  আমরা বললাম ,আমাদের মজুরি বৃদ্ধি আন্দোলন মেনে নিতে হবে।আর আমাদের গতরের দাম দিতে হবে।  আলোচনায় বসতে হবে। তোমাদের অভাব বেড়ে যাবে আমাদের বেতন বাড়ালে?? তোমরা ফসলের দাম পাওনি, সেচের কোন ব্যবস্থা নাই ,সারের দাম বেড়েই চলেছে , জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। কই তোমরা তো তখন কিছু বলছো না। তোমাদের দাবি নিয়েই তো আমরা লড়াই করছি। আমাদের মজুরি মেনে নাও। তোমাদের দাবি আদায়ে আমরাই তো সামনের সারিতে আছি ।আগামী দিনেও থাকবো। দুপক্ষের টানাটানিতে ছয় দিন কেটে গেল ।সংসারে টান পড়ছে। কৃষক সভার নেতারা বাইরে থেকে চাল ,ডাল সংগ্রহ করে আমাদের দিন চালানোর মতন সাহায্য করতে থাকলেন। এদিকে বিভিন্ন গ্রাম থেকে গোলমালের খবর আসছে। আমাদের গ্রামের উত্তর দিকে ক্ষেতমজুরদের উপর গুলি চললো, কয়েকজন ক্ষেতমজুর মারাত্মক আহত হলেন। দক্ষিণদিকে ক্ষেতমজুর কৃষকের সামনাসামনি লড়াই হল। দুপক্ষেরই আহত হল। কৃষক সভার এক নেতার মাথায় টাঙ্গির কোপ পড়লো। চাষিদের জোট ভেঙ্গে গেল। পশ্চিমদিকেও একই অবস্থা। ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে ক্ষেতমজুরদের মজুরি বৃদ্ধি আন্দোলনের জয় হল। চাষী মজুর চুক্তি হলো। খাতায় সই -সাবূদ হলো।১টাকা থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত মজুরি বাড়লো। ভোরবেলা হাল বের করা বন্ধ হল। সকাল –সন্ধ্যা আবার কোথাও সকাল – তিনটা কাজে যাবার নিয়ম চালু হল । তারপর থেকে প্রতি বছরই ধর্মঘট হত আর মজুরি বাড়তো। কৃষক মজুর ঐক্য মজবুত হতে থাকলো। নাজেম চাচা এবার থামলেন। বললেন, এখন আমাদের গ্রামে দৈনিক মজুরি ২২০ টাকা আবার পাশের গ্রামে ১৯০ টাকা। তবে এখন বিঘা চুক্তিতে মূলতঃ (কনট্র্যাক্ট প্রথায়)ধান,আলু চাষ হয়ে থাকে। মেয়েরাও এখন ঐ কনট্র্যাক্ট দলে কাজ করতে যায়। সরকারি আইন কৃষি মজুরদের ন্যূনতম দৈনিক মজুরি ৩৪৭ টাকা। কিন্তু মজুররা ঐক্যবদ্ধ নয় বলে আন্দোলন হচ্ছে না।  যেটা বাড়ছে তা অতীতের আন্দোলনের জেরে। ২০১১ সালের পর মজুরি বৃদ্ধি আন্দোলনের কথা ভাবাই যায় না। একটি গ্রামে খেতমজুররা নিজেরাই জোটবদ্ধ হয়ে আড়াইশো টাকা মজুরী করেছিল। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত মাইকিং করে ২২০ টাকা ঘোষণা করে চলে যায়। মজুররা এই মাইকিং শোনার পর তারা নিজেরা মিটিং করে এবং বলে আড়াইশো টাকা মজুরি না হলে আমরা কেউ কাজে যাব না। দু’দিন কেউ কাজে গেলো না। তারপর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে খেতমজুরদের ডাকা হল। তাদের দু-চারজন প্রতিনিধি গেলেন। মীমাংসা হল না। অবশেষে গ্রামে ত্রিপাক্ষিক সভা হলো।খেতমজুর ,কৃষক, পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা শুরু হয়। অনেক টানাটানির পর চাষিরা আড়াইশো টাকায় মেনে নিতে বাধ্য হয়। ২০১২ সালে দক্ষিণ দিকের একটা গ্রামে খেতমজুররা মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলন শুরু করেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাবাহিনী, খেতমজুররা য়খন মিছিল বের করল, সেই মিছিলের উপর আক্রমণ করে। প্রতিরোধও হয়।এই পর্যন্ত বলে নাজেম চাচা থামলেন। তারপর একটা বিড়ি ধরিয়ে আবার ডায়েরি পড়া শুরু করলেন।

১৯৮০ সালে মজুরি বৃদ্ধি আন্দোলনের পর এরপর শুরু হল জমির আন্দোলন। বেনাম জমি, সিলিং ঊর্ধ্বজমি,প্রকৃত ভাগ চাষীদের জমি রেকর্ড করা এইসব আন্দোলনে গ্রামের পর গ্রাম উত্তাল। খাস জমি দখল করে ভূমিহীন কৃষকদের জমি দেওয়ার কাজ তার সাথে পাট্টা দেওয়ার কাজও চলতে লাগলো। গ্রামে একটা নতুন উন্মাদনা। জমির কেন্দ্রীভবন ভাঙ্গার কাজ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল। নাজেম চাচার ডায়েরিতে লেখা আছে যে, একটা শিব ঠাকুর ১০০ বিঘের জমির ধান খেতে পারে ? মন্দির মসজিদের নামেও প্রচুর জমি –সেই সব জমি খুঁজে বার করা হচ্ছে আর জমি দখল হচ্ছে। একটাই সহায়, বামফ্রন্ট সরকার আছে , তারা এই আন্দোলনের পাশে থেকে জমি বিতরণের কাজ নিবিড়ভাবে শুরু করল, তার সাথে শুরু হলো সুদখোর মহাজনদের বিরুদ্ধে আন্দোলন। এইসব আন্দোলনের ফলে গ্রামের চেহারা আস্তে আস্তে বদলাতে লাগলো। ভূমিহীনরা জমিতে ফসল ফলাতে শুরু করল। মজুরদের হাতে পয়সা এলো, ফলে গাঁয়ের গরিবের কেনার ক্ষমতা বাড়লো। গ্রামের মোড়ে, রাস্তার মোড়ে, পাড়ার ভিতরে ছোট ছোট দোকান গড়ে উঠলো। বামফ্রন্ট সরকার ঋণের ব্যবস্থা, সেচের ব্যবস্থা, পাট্টাদাররা যে চাষ করবে তার জন্য সারের ব্যবস্থা করল। গ্রামের যে দশা ছিল তা আস্তে আস্তে বদলে যেতে থাকলো। নাজেম চাচা বলল ,আর আমি পড়তে পারব না অন্য কেউ পড়ুক। একটি যুবক ছেলে সে এগিয়ে এসে বলল আমাকে দাও, আমি পড়ে শোনাবো। সবুর বলে ছেলেটি পড়তে শুরু করল। সরকার যেহেতু স্কুলের বেতন মুকুব করে দিয়েছে, গরিব ঘরের ছেলেরা যারা লোকের গরু-ছাগল চড়িয়ে সংসার চালাতো তারা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে শুরু করল। স্কুলগুলোতে ছেলে মেয়ের সংখ্যা বাড়তে লাগলো ।সামনের মাঠে পঞ্চায়েতের ব্যবস্থায় গুচ্ছমিনি বসলো। যে মাঠে একটি ফসল হতো সেই মাঠে দু- তিনটে ফসল হল।গ্রামের মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারছে। এই সময়েই একজন বয়স্ক মহিলা  সবুরকে থামিয়ে দিয়ে বলছে, সিপিএমও এল, সিলভার কার্প মাছ এলো, আম্রপালি ধানও এলো,আমরাও দুবেলা পেটপুরে খেয়ে বেঁচে থাকতে পারলুম। আর এখন সব কি হচ্ছে দেখো, বাবুদের বাড়ি গাড়ি হচ্ছে। রান্নাঘরে আগুন লেগেছে। রাত হল চাচা বললেন ,আজ থাক আবার অন্যদিন হবে। জমে উঠেছে আলোচনা সভা। অতীতের কাহিনী শোনার আগ্রহ বেড়ে গেছে,আমাদের লোকজন ক্রমশঃ বাড়ছে। ১০ই জানুয়ারি ২০২৩ পদযাত্রার তারিখ করে আমরা বাড়ি ফিরলাম।

           ( চলবে—- )