রানাঘাট : ২রা মে২৩: আন্তর্জাতিক মে দিবসের মিছিলের প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল, তার সঙ্গে যুক্ত হয়  কামারহাটিতে তৃণমূলের সিপিএম পার্টি অফিসের উপরে হামলার ঘটনা। গতকাল সারাদিন ধরে নদীয়া জেলার মহকুমা শহর রানাঘাটে বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ন গুলির বিভিন্ন দপ্তরে যথেষ্ট উৎসাহ উদ্দীপনের মধ্যে দিয়ে মে দিবস পালন এবং রক্ত পতাকা উত্তোলন হয়। পতাকা উত্তোলন হয় সি পি আই এম রানাঘাট এরিয়া কমিটির সদর দপ্তরে এবং বিভিন্ন শাখা অফিস গুলিতে, উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বলা যায় রানাঘাট পৌরসভাতেও দীর্ঘ এক দশক সময় পর লাল পতাকা উড়ল CITU অনুমোদিত পৌর কর্মচারী সমিতির অফিস ঘরের বারান্দায়, যে ঘরটিও কিছুদিন আগে পুনরুদ্ধার হয়। প্রতিটি কর্মসূচী থেকেই বিকেল পাঁচটায় মে দিবসের মিছিলের আহ্বান করা হয় পৌরসভা প্রাঙ্গণ থেকে। সেইমত বিকাল বেলায় বিভিন্ন গণসঙ্গঠন o শ্রমিক সংগঠনের পতাকা ফেস্টুন এবং ব্যানার নিয়ে সুসজ্জিত মিছিল শুরুহয়। ইতিমধ্যে কাশিপুরে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের সিপিআইএম পার্টি অফিসে মে দিবসের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনার খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে, ফলত বহু সাধারণ মানুষ থেকে কর্মী সমর্থক মিছিলে জড়ো হন, তিন শতাধিক মানুষ নিয়ে একটি দৃপ্ত মিছিল শহর পরিক্রমা করে স্টেশন সংলগ্ন জিআরপি মোড়ে একটি অতি সংক্ষিপ্ত সভার মধ্যে দিয়ে মিছিল শেষ হয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সিপিআইএম নদীয়া জেলা কমিটির সদস্য দেবাশিষ চক্রবর্তী, citu নদীয়া জেলা কাউন্সিল সদস্য কৌশিক ব্যানার্জি, ১২ই জুলাই কমিটির অশোক ঘোষ, বামফ্রন্টের জেলা নেতৃত্ব সুবীর ভৌমিক, সিপিআইএম রানাঘাট এরিয়া কমিটির সম্পাদক কমল ঘোষ, এরিয়া নেতৃত্ব সুভাষ রায়, অয়ন মিত্র, অমিত চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

ছবি – রাজীব দেব

মিছিল থেকে একদিকে যেমন সাম্রাজ্যবাদ, কর্পোরেট রাজ, পুঁজিবাদ বিরোধী স্লোগান ওঠে তেমনি তৃণমূল ও বিজেপির অশুভ আঁতাত ও দুষ্কৃতী রাজের বিরুদ্ধে, পার্টি কর্মীদের উপর লাগাতার হামলার বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠে। মিছিল কে সমর্থন জানিয়ে বহু মানুষ রাস্তার দু ধারে দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে ছিলেন।