(এক)

রাশিয়ায় পুঁজিবাদের শেষ রাতটায় ছিল খুব কনকনে ঠাণ্ডা । স্মলনি ইন্সিটিউটের চারপাশে ছিল কিছু আগুনে আলো। বন্দুক আর মেশিনগানের কালো ট্রিগারগুলোকে একেবারে চকচকে দেখাচ্ছিল সেই ছিটকে আসা আলোয়। পরিবেশ কিছুটা থমথমে। আরও বন্দুক, আরও গুলি আসছে। সেনাবাহিনীকে বিদায় জানিয়ে একটানা নতুন নতুন সেনারা আসছে বিপ্লবী বাহিনীতে যোগ দিতে। 

শহরে কুয়াশা নামছে। টর্চের আলোগুলোও কেমন নিস্প্রভ। আসলেই গাঢ় শীত। অন্ধকারের বুক চিরে সশব্দে একটা ট্রাম তার স্টপেজে এসে থামলো। ভেতরটা একেবারে ফাঁকা। অল্প একটু থেমেই আবার চলতে শুরু করলো। 

লেনিন ও তার সহযোগী ট্রামে উঠলেন। স্বভাবমতোই দু’পাশে ঝাঁকুনি দিয়ে ট্রাম এগোতে লাগলো পেত্রোগাদের সেই নিকশ কালো অন্ধকার রাস্তায়। 

দরজার হাতল ধরে দাঁড়িয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে কালেক্টর বোঝার চেষ্টা করছে কুয়াশার বিস্তার ঠিক কতটা। কালেক্টর তরতাজা একজন যুবক। গভীর নিঃশ্বাসে দ্রুত নাকের চারপাশ হাল্কা ফুলে উঠছে , তার ফর্সা শক্ত চোয়ালে গভীর আত্মবিশ্বাস। অক্টোবরের কনকনে ঠাণ্ডা হাওয়া তার গলার চারপাশের সিল্কের ঢাকা কাপড়টা মাঝেমধ্যেই উড়িয়ে নিচ্ছে , তবুও দৃঢ় তার চাহনি। 

‘এই ট্রামটা কোথায় যাচ্ছে?’ চোখের তারায় আলোর ঝলকানি আর মুখে কিছুটা মিটিমিটি হাসি নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন লেনিন। 

প্রত্যুত্তরের আগেই ফের জিজ্ঞেস করলেন – ‘কমরেড আপনিই বা কোথায় যাচ্ছেন’?  বাইরের অন্ধকারকে একবার ভালো করে দেখে নিয়ে কালেক্টরের জবাব – ‘তালা বন্ধ করতে’।  -‘কেন? এতো তাড়াতাড়ি কেন’?

-‘কোথায় ? কেন ? … আশ্চর্য ! আপনি কি চাঁদ থেকে হঠাৎ মাটিতে পড়েছেন? আপনি জানেন না আজ আমরা এই দেশের পুঁজিপতি আর বুর্জোয়াদের সরিয়ে রাষ্ট্রের দখল নেব’। ছদ্মবেশী লেনিনের মুখে তখন তৃপ্তির ঝলক।

দুই )

স্মলনি ইন্সটিটিউটের বড় থামগুলোর সামনে উপস্থিত শয়ে শয়ে বিপ্লবী জনতা তখন অধৈর্য হয়ে উঠছে । 

‘আমাদের তো আর অপেক্ষা করার সময় নেই’! লেনিন বললেন তার সহযোগীকে। দীর্ঘদেহী ভ্যাসিলি প্রায় জড়িয়ে ধরে লেনিনকে নিয়ে এগোচ্ছেন স্মলনির ভেতরে। লেনিন উৎফুল্ল , মুখে তখন তার শিশুর মতো আনন্দ । 

ভিড়ের একজন হয়েই লেনিন বলতে লাগলেন – ‘ কমরেড চেঁচাও। আমরা ভেতরে যাবো। আমরা আর বুর্জোয়া জমানায় নেই’। 

‘ধাক্কা দাও আরও ধাক্কা দাও’ – বিপ্লবী জনতার চিৎকারে লেনিন এগোতে থাকলেন। প্রশিক্ষিত বলশেভিক বিপ্লবী বাহিনীরও সাধ্য ছিল না এই স্বতঃস্ফূর্ততাকে ঠেকানোর। তারা শুধু বলতে থাকলো– ‘কমরেড, কমরেড আরও একটু শৃঙ্খলা মেনে, আর একটু …’। হইহই করে সকলের সাথে সেই বিপ্লবী জোয়ারে ভেসে স্মলনিতে প্রবেশ। 

‘আমরা এভাবেই সব জায়গা দখল করবো’– একটানা বলে চলেছেন লেনিন। উত্তেজিত বিপ্লবী জনতার স্রোত তখন স্মলনির হলঘরে। লেনিনও তাদের সাথে এসে জায়গা নিলেন একেবারে জানালার পাশে। এভাবেই একেবারে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপ্লবী রুশ জনতার ঢল নামলো। লেনিনের পায়ে রয়েছে একটা ছেঁড়া জুতো আর চারপাশে শ্রমিক কৃষক সেনা বিভিন্ন পেশার জনগন। 

কমরেডস, শুনুন, কমরেডস …’ লেনিনের পাশেই হাতে একটা পোড়া রুটি নিয়ে বসা এক গরীব চাষি বলতে লাগলেন -‘ আপনারা কেউ কমরেড লেনিনকে দেখেছেন’? 

লেনিন উত্তর দিলেন –‘না আমি অন্তত দেখিনি। কেন’ ?

চাষি – সকলে বলছে আমাদের নেতা এখানেই আছেন। লেনিন – হ্যাঁ। এটা হতে পারে।

চাষি – আমি তাঁকে একবার দেখতে চাই। লেনিন – আচ্ছা।

চাষি – আমরা কুলাকদের কাছ থেকে শুনেছি, লেনিনের ছোট লালচে মাথা আর মুখে গুটি বসন্তের দাগ রয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করি তার মাথা অনেক বড়, মানে যে মাথা দিয়ে তিনি গরীব নিপীড়িত রুশ জনগণকে জাগিয়ে তুলেছেন। 

লেনিন – দুঃখিত , এ ব্যাপারে আমি ঠিক বলতে পারবো না।

 চাষি – হুম, কারন তুমি তো তাঁকে দেখোই নি। 

এদিকে ভ্যাসিলি আরও কিছু মানুষকে সাথে নিয়ে লেনিনের কাছে এলেন এবং নিচু স্বরে বললেন – ‘আমার এখন আর সময় নেই, একটু পরেই আবার আসছি’। 

চাষি তাকেও জিজ্ঞেস করল – ‘আপনি কি লেনিনকে দেখেছেন ? 

ভ্যাসিলি – হুম, এখানেই আছেন। 

চাষি – কোথায় ? 

ভ্যাসিলি – দেখো। বলে ভ্যাসিলি তার উল্টোদিকে চাষির পাশেই থাকা লেনিনের দিকে আঙুল দেখালেন।

চাষি – কোথায় কোথায় ? ( চোখে মুখে বিদ্যুৎ খেলে গেল )

 তিন ) 

স্মলনি ইন্সটিটিউটের অন্য একটা ঘর। এখানে শুধুমাত্র বিপ্লবী মিলিটারি কমিটির সদস্যরা রয়েছেন। তাদেরই মধ্যে মিলিটারি টুপি পরা একজন সদস্য , কমরেড লেনিনের হাতে লেখা একটা পাতা তুলে ধরে সামনে বসা টাইপিস্টকে বলতে শুরু করলেন – ‘ জমির ওপর অধিকার ….

বড় জানলার বাইরে থেকে একটানা গুলির আওয়াজ আসছে।  টাইপিস্ট টাইপ করে চলেছেন – ‘ জমির ওপর ব্যক্তিগত মালিকানার অধিকার বিলুপ্ত করা হল’।

ভ্যাসিলি ঘরে ঢুকে ফোনটা তুলে ডায়াল করলেন – ‘ প্রশাসন , প্রশাসন … ওহ ঈশ্বরের দিব্যি ফোনটা তোল প্রশাসনের কেউ‘। লাইনটা কেটে গেল। 

ভ্যাসিলি ফের একবার ডায়াল করলেন টেলিফোন এক্সচেঞ্জে। সেখানে তখন চলছে গুলির লড়াই। টেলিফোন অপারেটররা প্রাণভয়ে চিৎকার করছে আর এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছে। 

ভ্যাসিলি একটানা চেষ্টা করেই চলেছেন – ‘ প্রশাসন , প্রশাসন…। আচমকা ভ্যাসিলির মুখটা খুশিতে উজ্জ্বল হয়ে উঠল। ‘ প্রশাসন, আমায় ওয়ান এইট থ্রি তে দাও , বাল্টিকের যুদ্ধ জাহাজে দাও’।  

এদিকে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের শুটিং একটু কমেছে। একগাদা তারের জালের মাঝে এক হাতে রিভলবার আর কানে হেডফোন গুঁজে কমরেড মাতভিভ বসলেন টেলিফোন অপারেট করতে। অপরপ্রান্তে ভ্যাসিলি। মাতভিভ চিৎকার করে বলে চললেন – ‘ আমি তো কিছুই বুঝছি না কোন তার কার সাথে জুড়তে হবে, এদিকে সব মেয়েরাও পালিয়ে গেছে’। 

সেই গলা শুনে ভ্যাসিলি খুশিতে ঘুরে তাকালেন লেনিনের দিকে – টেলিফোন এক্সচেঞ্জও আমাদের! 

লেনিন শুধুমাত্র ঘাড় নাড়লেন, আসলে তিনি নিশ্চিতই ছিলেন এটার ব্যাপারে। 

ভ্যাসিলি ফের বললেন – ওয়ান এইট থ্রি তে দাও, বাল্টিকের যুদ্ধ জাহাজে দাও, কমরেড লেনিন কথা বলবেন। মাতভিভ অসহায়, কিছুই বুঝতে পারছেন না। শুধু বলে উঠলেন – দাড়াও, এদিকে মনে হচ্ছে একজন মেয়ে আসছে, দেখছি কি করা যায়। 

মাতভিভ নিজের হেডফোনটা খুললেন এবং এগিয়ে আসা টেলিফোন অপারেটর মেয়েটিকে নিজের সিটে বসতে বললেন। মেয়েটি ভীত, সন্ত্রস্ত্র ও আতঙ্কিত। মাতভিভ ধীরে ধীরে তার সাথে কথা বলে তাকে ভরসা যোগালেন এবং আশ্বস্ত করলেন। এমন সময় হঠাৎ বাইরে এক তীব্র বিস্ফোরণ। 

মাতভিভ বলছেন – মিস আপনি ঘাবড়াবেন না, উত্তেজিত হবেন না, ভয় পাবেন না। শুধু বাল্টিকের  জাহাজের লাইনটা ধরুন। 

মেয়েটি ভয়ে কাঁদছে। এমনসময় হঠাৎই শত্রুপক্ষের একজন বোর্ডে ঢুকে পড়ল। মাতভিভের অব্যর্থ লক্ষ্যে এক সেকন্ডে সে নিকেশও হল। সেটা দেখে মেয়েটা চেয়ার ছেড়ে ফের দৌড়ে পালাতে গেল। মাতভিভ কোনরকমে আবার তাকে শান্ত করে চেয়ারে বসালো এবং আরেকপ্রস্থ আশ্বস্ত করল যে কিছুই হয়নি, মিস আপনি স্থির হন। যে হাতে রিভলবারটা ধরা আছে সেই হাত দিয়েই মেয়েটির মাথায় হাত রেখে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে মাতভিভ ! 

অবশেষে মেয়েটা একটু ধাতস্থ হয়ে যেই মাত্র বাল্টিকের লাইনটা ধরে ফেলতে যাবে সেই মুহূর্তেই শত্রুপক্ষের আরও একজন পেছন থেকে এসে অতর্কিতে হামলা চালালো মাতভিভের ওপরে। 

যদিও সামনে থাকা পর্দায় ছায়া পড়তে দেখে মাতভিভ আগেই সতর্ক ছিল, ফলে এই হামলাকারীর পরিনতিও আগেরজনের মতই হলো। 

এবারে কিন্তু টেলিফোন অপারেটর মিস একদম সটান অজ্ঞান হয়েই পড়ে গেলেন !  

 চার )  

স্মলনির ঘরে কমরেড জারজিনস্কি লেনিনের কাছে এলেন – ‘ ভ্লাদিমির ইলিচ, আমরা নিকালোভস্কি স্টেশনটাও পেয়ে গেছি’।

লেনিন দ্রুত ঘুরে তাকিয়ে বললেন – ‘ প্যালেসটা চাই , প্যালেসটা। আমরা কেন এখনও উইন্টার প্যালেসটা দখল করতে পারলাম না ? জলদি চাই’।

অন্যদিকে উইন্টার প্যালেসের দিকে এগোচ্ছে বলশেভিক বিপ্লব বাহিনী। প্যালেসের ভেতর থেকে তীব্র গুলিতে স্বাগত জানানো হচ্ছে তাদের। কাঠের ব্যারিকেডের মধ্যে দিয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসছে মেশিনগানের গুলি। বিপ্লবী বাহিনীও পিছু হঠতে নারাজ , গুলিতে সমুচিত জবাব দিচ্ছে তারাও। তীব্র লড়াই চলছে ব্যারিকেডের দুই প্রান্তে । ইতিমধ্যে বাল্টিক নৌসেনারাও বিপ্লবীদের সাহায্যে এসে হাজির। তারা শুরু করল একদম টার্গেট ফায়ারিং। ঠিক মাপা পদক্ষেপে এগোচ্ছে বিপ্লবী বাহিনী। রাশিয়ার পুঁজিবাদের শেষ দুর্গ- উইন্টার প্যালেস– তার প্রতিটা ইঞ্চি রক্ষা করতে , প্রতিটা দরজা রক্ষা করতে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ শুরু করল সরকারী বাহিনী। 

 এদিকে স্মলনিতে এবার ভ্যাসিলি এলেন লেনিনের কাছে – ‘ ভ্লাদিমির ইলিচ সেই মহার্ঘ সময় এসে গেছে’। 

লেনিন উঠে দাঁড়ালেন । কেউ একজন তার ছদ্মবেশের পরচুলাটা এগিয়ে দিল। কিন্তু লেনিন ফেলে দিলেন ।

ভ্যাসিলি – ইলিচ, এটা এখনই ছুঁড়ে ফেল না , এটার দরকার হতে পারে। 

লেনিন – না , আমার বন্ধু , এটার আর দরকার হবে না। বলশেভিকদের আর ছদ্মবেশের দরকার হবে না রাশিয়াতে । আমরা দীর্ঘ সময়ের জন্যই ক্ষমতা দখল করতে চলেছি। চল যাই।

ঠিক তখনই একজন বিপ্লবী সৈনিক হাঁফাতে হাঁফাতে লেনিনের কাছে দৌড়ে এল। লেনিন তাকে দেখেই বুঝলেন কি সংবাদ এনেছে , জিজ্ঞেস করলেন –‘ আরও রাইফেল পেয়েছ’ ? 

সৈনিক – সেস্ত্রস্ক কারখানা থেকে আরও সাত হাজার পাওয়া গেছে।

লেনিন – অসাধারন , নিয়ে নাও । তাড়াতাড়ি , তাড়াতাড়ি কমরেডস। 

সৈনিক – কিন্তু সেগুলো এখনও পুরো তৈরি হয়নি , মাথাগুলো পালিশ হয়নি।

লেনিন – ওতে অসুবিধে নেই , গুলি চলতে চলতেই ওগুলো চকচকে হয়ে উঠবে।

 পাঁচ )  

উইন্টার প্যালেসের যুদ্ধ এখন তার ভেতরে এসে পৌঁছেছে। বড় বড় হলঘরগুলোতে বিপ্লবী বাহিনী প্রবেশ করতে শুরু করেছে। পিছু হঠতে হঠতে সরকারী বাহিনী এখন মোটা থামের আড়াল থেকেই সেই প্যালেস রক্ষার চেষ্টা করে চলেছে। 

বিপ্লবীদের নেতৃত্বে সেই মাতভিভ। নিজে এগিয়ে এসে সরকারের শেষ রক্ষনগুলো উপড়ে ফেলে দিলেন। 

আগ্নেয়গিরির লাল লাভার মতো গতিবেগেই গোটা প্যালেসে ঢুকতে শুরু করল বিপ্লবী বাহিনী।

ওভাল হলের ঠিক মাঝখানের টেবিলে গোল হয়ে বসে তখন সরকারের সব মন্ত্রীরা ভয়ে ঠকঠক করে কাঁপছে।

হলের ঠিক বাইরেই একটা গ্রেনেড বিস্ফোরণের তীব্র আওয়াজ, সাথে হুররে, হুররে উল্লাস। 

বন্ধ হলের দিকে এগিয়ে আসছে কিছু পায়ের আওয়াজ। গোটা মন্ত্রীসভা আতঙ্কিত। 

বাইরে থেকে ধাক্কা মেরে ওভাল হলের দরজাটা খুলে গেল, সাথে সাথে ঘরে ঢুকল বেশ কিছু বিপ্লবী সেনা ও নৌসেনা সদস্যরা। ফাঁকা ওভাল হলটা দ্রুত ভরে গেল। ‘ধীরে কমরেডস। ধীরে’। 

মাতভিভের আদেশসুলভ গমগমে কণ্ঠস্বর শোনা গেল। মন্ত্রীসভার সদস্যরা ততক্ষণে ভয়ে নিজেদের চেয়ার ছেড়ে হাত মাথার ওপরে তুলে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। মাতভিভ এসে দাঁড়ালেন তাদের সামনে। নিজের টুপিটা খুলে টেবিলের ওপরে রাখলেন, পাশেই রাখলেন তার রিভলবারটাও। পকেট থেকে একটা চিরুনি বের করে নিজের চুল আঁচড়ালেন। 

তারপর ভয়ে কাঁপতে থাকা সরকারের মন্ত্রীদের দিকে তাকিয়ে বললেন–

‘বিপ্লবী মিলিটারি বাহিনীর পক্ষ থেকে এই সরকারকে আটক করা হল। তবে আপনারা ঘাবড়াবেন না, শান্ত হোন। তেমন ভয়ঙ্কর কিছুই এখানে হয়নি, শুধুমাত্র কমরেড ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের নেতৃত্বে রাশিয়ায় প্রলেতারিয়েত বিপ্লব সবেমাত্র সম্পন্ন হয়েছে’।