এ তো মণিপুর নয় যে অন্যদিকে চোখ ঘুরিয়ে থাকা যাবে। এ যে ইজরায়েল; তাই মোদীর একদিনও দেরি হয়নি হামাস-হামলায় নিহত ইজরায়েলিদের সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি নেতানিয়াহু সরকারের সমর্থনে সোচ্চার হতে। সোচ্চার হয়েছেন তিনি ভারতের জনসাধারণের পক্ষ থেকে, যে এক্তিয়ার তার নেই, কেন না প্রায় একই সঙ্গে ইজরায়েলের পালটা হামলায় গাজা ভূখণ্ডে প্যালেস্তিনি নরনারীশিশুর যে বেশুমার মৃত্যু ঘটছে তা নিয়ে মোদীর কোনো বিবৃতিই নেই। এই একতরফা সমর্থনে সারাবিশ্বে দুচারটি দেশই সামিল হয়েছে, তাদের মধ্যে বাইডেনের আমেরিকার পাশেই আজ আমাদের দেশ। একসময়ে প্যালেস্তিনিদের নিজ বাসভূমি থেকে উৎখাত করার সাম্রাজ্যবাদী চক্রান্তের মুখ বলেই আমাদের কাছে পরিচিত ছিল ইজরায়েলি রাষ্ট্র; তাই তাদের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিল না। মোদীসরকার ক্ষমতায় আসার পরে পরেই তড়িঘড়ি ইজরায়েলকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এখন এদেশের ভ্রমণবিলাসীদের একাংশ এই ইতিহাস ভুলে গিয়ে আবার ‘আমরা কোনো রাজনীতির মধ্যে নেই’ বলে ইজরায়েল ঘুরতেও চলে যাচ্ছেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের সরকারের এই একচোখো অবস্থান সাম্রাজ্যবাদী চক্রের অভ্যন্তরে আমাদের আরো কয়েক পা এগিয়ে দিল, যেটা এদেশের অনেক মানুষই মেনে নিতে চাইবেন না। আমাদের মনে থাকতে পারে ইউক্রেন-যুদ্ধ যখন শুরু হল তখন কিন্তু আমেরিকা ও তার ন্যাটো-সাঙ্গোপাঙ্গদের পাশে এত দ্বিধাহীনভাবে দাঁড়াতে দেখা যায়নি মোদীকে। কারণ, বিপরীতপক্ষে ছিল পুটিন-শাসিত রাশিয়া। রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি শত্রুতার সম্পর্কে যাওয়াটা মোদীর আদত নয়; সেখান থেকে যে সাহায্য পাওয়া যায় তা হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে মোদীর পক্ষে তা ভালো হবেনা এই বোধ তার আছে। কিন্তু হামাসকে উপলক্ষ্য করে প্যালেস্তাইনের মতো একটি বিপর্যস্ত, হতদরিদ্র, সাম্রাজ্যবাদের থাবায় পিষ্ট দেশের অধিবাসীদের ‘মুসলিম, সুতরাং আতংকবাদী’ এই তকমা পরিয়ে আমেরিকা এবং ইজরায়েলের কাছে প্রিয় হয়ে ওঠা তার সামগ্রিক নীতি এবং লক্ষ্যের সঙ্গে যথেষ্টই সামঞ্জস্যপূর্ণ।

গত ৬ অক্টোবর ইজরায়েলের প্রতিরক্ষার ‘লৌহগম্বুজ’ ভেঙে তার চরচক্রের ঠাসবুনোট জাল ভেদ করে হামাস ইজরায়েলের রাষ্ট্রসীমানার মধ্যে ঢুকে পড়ে যে মারাত্মক আক্রমণ চালাল, তা নিয়ে দুনিয়ার বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানরা এবং রাষ্ট্রসংঘের প্রধান প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই  বিবৃতি দিয়েছেন,  বেশির ভাগ বিবৃতিতেই এই হামলায় সাধারণ ইজরায়েলি মানুষের নিধন, নাগরিক পরিকাঠামোর উপর আক্রমণ এবং সাধারণ মানুষকে পণবন্দি করে আটকে রাখার ঘটনার তীব্র নিন্দা আছে। হামাস এই অসাধ্যসাধন কীকরে করল তা নিয়েও আলোচনা চলছে। কিন্তু একই সঙ্গে আমেরিকা ও ভারত বাদে প্রায় সকলেই ইজরায়েলের পালটা প্রতিহিংসামূলক হামলা বন্ধ করার দাবিও জানিয়েছে, বিশেষত গাজা ভূখণ্ড দখল করতে নেতানিয়াহু সরকারের জঙ্গি নীতিই যে এই এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, এমনটা অনেকেরই অভিমত। ব্রিটেন যে একেবারে সাম্রাজ্যবাদী অক্ষের মধ্যেকার দেশ তাতে তো সন্দেহ নেই। কদিন আগেই সেদেশের প্রধানমন্ত্রী রক্ষণশীল নেতা ঋষি সুনক একটি আইন পাশ করাতে উদ্যত হয়েছিল যার বলে ইজরায়েলের উৎপন্ন দ্রব্য বয়কট করার নাগরিক আন্দোলন ব্রিটেনে বেআইনি ঘোষিত হতে পারত। সেই ব্রিটেনেরও কিন্তু অভিমত, এক্ষেত্রে প্যালেস্তাইনের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিয়ে  দ্বিরাষ্ট্রনীতির রূপায়নের মধ্য দিয়েই শুধু সমস্যার সমাধান হতে পারে। ইজরায়েল এতবছর ধরে তার হিংস্র উপস্থিতির মধ্য দিয়ে দ্বিরাষ্ট্রনীতির যে পুরোনো আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্তকে প্রায় মুছে দিচ্ছিল আজ তা নিয়ে আবার সেই স্তরে কথা উঠছে।

বোঝা যায়, ইজরায়েলের বিরুদ্ধে নীরব থাকলেও অন্তত পশ্চিমের কোনো কোনো দেশের অভ্যন্তরে হয়তো প্যালেস্তাইন নিয়ে কিছু অপরাধবোধ কাজ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নাৎসিরাজের শিকার রাষ্ট্রহীন ইহুদিদের একটি নিজস্ব রাষ্ট্র দেবার নাম করে প্যালেস্তাইনের বুকে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত তৈরি করার ব্যাপারে প্যালেস্তাইনের অধিবাসীদের মতামত কখনো নেওয়া হয়নি। হাজার হাজার বর্গ মাইল এলাকা নিয়ে কুবেরের ভাণ্ডারের অর্থ বিনিয়োগ করে রাতারাতি ইজরায়েল নামে একটি নতুন রাষ্ট্র যখন তৈরি হল সেই ভূখণ্ডের কয়েক লাখ মানুষ চিরতরে নিজভূমে পরবাসী হল। বছরের পর বছর ধরে চলেছে তাদের জবরদস্তি উৎখাত হবার কাহিনি। ১৯৭৩ সালে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ‘ইয়ম কিপ্পুরে’র দিনে কয়েকটি আরব দেশ যে একজোট হয়ে যুদ্ধঘোষণা করেছিল তার প্রেক্ষাপট ছিল সাম্রাজ্যবাদের মদতে ইজরায়েল রাষ্ট্রের এই আগ্রাসী বিস্তারই। অন্যদিকে আমেরিকা এবং তার দোস্তদের সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ইজরায়েলের সঙ্গে নিবিড় থেকে নিবিড়তর হবার ফলেই বছরের পর বছর প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের মানবতাবিরোধী সমস্ত অপরাধ একধরনের বৈধতা পেয়ে গেছে। রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক আইনসংস্থার বিচারে ইজরায়েল একটি যুদ্ধাপরাধী মানবিক আইনভঙ্গকারী রাষ্ট্র বলে চিহ্নিত হলেও তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।

‘ইয়ম কিপ্পুরের’ জয়ের পর থেকে ইজরায়েল ক্রমশই প্যালেস্টাইনের ভূখণ্ডকে ছলেবলে কৌশলে গ্রাস করে চলেছে। তার ভিতরে জবরদস্তি ইজরায়েলিদের বসতি তৈরি করছে; গাজা অঞ্চলের চারিদিকে কার্যত ইজরায়েলি প্রতিরক্ষার একটি খাঁচা তৈরি হয়েছে; সেই খাঁচার ভিতরে যারা রয়েছে প্রতিদিন সকালে উঠে তাদের হিসাব কষতে হচ্ছে ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ আক্রমণে বা রকেটহানায় কোন্‌ পরিবারের কতজন নিহত হল, বাচ্চাদের স্কুল অনিয়মিত, তাদের তাড়া করছে মৃত্যুর আতংক, জল, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা প্রভৃতি নাগরিক সুবিধা প্রতি দিন ধ্বংস হচ্ছে ইজরায়েলি হামলায়। প্রায় প্রতিদিন কোনো পিতাকে রকেট-আক্রমণে মৃত শিশুকে নিজে হাতে কবরে শোয়াতে হচ্ছে। যাঁরা উদবাস্তুশিবিরে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁদেরও কোনো রেহাই নেই। দুতিনমাস আগেই ওয়েস্ট ব্যাংকের উত্তরদিকে জেনিন শিবিরে হামলায় নারীশিশুসহ কিছু লোক মারা গেছেন; গুঁড়িয়ে গেছে অনেকের বাসস্থান। এই আক্রমণ প্রথম বা শেষ নয়। তার আগে মে’মাসে এই শিবিরের খবর নিতে এলে খ্যাতনামা মহিলা সাংবাদিক শিরিন আবু আখ্‌লেকে সামনাসামনি গুলি করে হত্যা করে দুজন ইজরায়েলি সেনা। ইজরায়েলের ‘শয়তান’ রাষ্ট্র যে শুধু প্যালেস্তাইনকে পুরোপুরি দখল করার দিকে অবাধে এগোচ্ছে তাই নয়, তারা তাদের সংবিধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ইতিমধ্যেই এই সংশোধনী এনেছে যে দখলীকৃত ভূখণ্ডে যারা ইহুদি নয় তাদের দ্বিতীয়শ্রেণির নাগরিক হয়েই বাস করতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে কি একথা বলা যথেষ্ট যে হামাস ইরানের দ্বারা পরিচালিত একটি জিহাদি গোষ্ঠী যারা বিপর্যয়ের সুযোগ নিয়ে নিজেদের শক্তি বাড়াচ্ছে? কী আওয়াজ তুলেছে নেতানিয়াহু সরকার? তারা গাজার বাসিন্দাদের খোলাখুলি হুমকি দিচ্ছে যদি নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে এখনই চলে না যাও তাহলে কেউ আর বেঁচে থাকবে না। এটা তো গণহত্যার হুমকি। গত কয়েকদিন গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েল যে ভয়ংকর কাণ্ড চালাচ্ছে আমেরিকার মদতে, তা কি গণহত্যার কিছু কম? এতে বিপর্যস্ত হবে ইজরায়েল রাষ্ট্রের চৌহদ্দির মধ্যে থাকা আরবেরাও। কারণ সরকার তাদের সুরক্ষা তো দেবেই না, বরং যেকোনো সময়ে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেবার অভিযোগে তাদের ওপরেও হামলা নেমে আসতে পারে। যে আগ্রাসী ফ্যাসিস্ট শক্তির মুখে দাঁড়িয়ে গাজা অঞ্চলের আরবদের প্রতিদিন কাটছে তার বিরুদ্ধে তাদের কি আত্মরক্ষার অধিকারও নেই? তা যদি থাকে তাহলে সেখানেই রয়েছে হামাসের শক্তির উৎস। ঐএলাকায় বিগত নির্বাচনে হামাসই ব্যাপকভাবে জিতেছিল। আল ফাতাহ্‌ অবিশ্রাম আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর হিম্মত দেখাতে পারেনি বলেই তাদের জনপ্রিয়তা কমেছে। ইজরায়েল রাষ্ট্রের এই চরম সন্ত্রাসবাদী রূপের সামনে যে প্যালেস্তিনিয়রা এখনো মাথা নত করেনি তার পিছনে হামাসের প্রতিরোধ নিশ্চয়ই রয়েছে। তাই হামাস এবং নেতানিয়াহুকে একদলে ফেলে শুধু শান্তির কথা বলা যথেষ্ট নয়। সব মৃত্যুই দুঃখজনক। নির্বিবাদী সাধারণ মানুষের দুর্গতি সবসময়েই আমাদের নাড়িয়ে দেয়। কিন্তু যারা বিগত বছরগুলি জুড়ে ইজরায়েলের লাগাতার হামলা আর সাধারণ প্যালেস্তিনিয়দের দুর্দশা দেখেও চোখ বুজে থেকেছে তাদের মুখে আজ আর সেকথা শোভা পায় না।   

ইজরায়েল কোনো অর্থেই কোনো ‘গণতান্ত্রিক’ রাষ্ট্র নয়। নেতানিয়াহু গত কয়েকবছর ধরে নির্বাচনী লড়াইয়ে যথেষ্ট সমর্থন না পেয়ে তার চাইতেও বেশি উগ্রপন্থী দলগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়েছে। এই জোটের শর্তই হল ইজরায়েলকে পুরোদস্তুর একটি জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে; ওয়েস্ট ব্যাংক দখল করতে হবে; ইজরায়েলের ভিতরে শাসকদলের বিরুদ্ধে একটিও কথা বলার কোনো পরিসর রাখা হবে না। আশা করি এর থেকে বোঝা যাবে যে নেতানিয়াহুর সঙ্গে মোদির সম্পর্কটা শুধু রাজনৈতিক নয়, তা আত্মিকও বটে। এখানে মোদি ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা যে নোংরা ভাষা ব্যবহার করে মুসলিমদের ‘দানব’ বানাতে চায়, তা নেতানিয়াহু এবং সরকারে তার সহায়ক চরম দক্ষিণপন্থী দলগুলির প্যালেস্তাইনি আরবদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত ভাষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইজরায়েলের মধ্যেই আজ এক শক্তিশালী জন-আন্দোলন চলছে, তার একটি বড়ো কারণ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ক্ষমতা খর্ব করে শাসককে একচ্ছত্র শাসনের নিশ্চিতি দিতে নেতানিয়াহু-সরকার যেন তেন প্রকারেণ দেশের আইন বদলাতে উদ্যোগী হয়েছে। তার পাশাপাশি কট্টর ইহুদি ধর্মীয় কানুন প্রবর্তন করে ইজরায়েলের মেয়েদের নানাবিধ রক্ষণশীলতার নিগড় পরানোর এক সামাজিক প্রক্রিয়াও চালু হয়েছে। ইজরায়েলের মেয়েরা উগ্র জাতীয়তাবাদের নামে তা মেনে নেবেন বলে মনে হয় না।  

বর্তমান পরিস্থিতিতে ‘দেশ বিপন্ন’ এই জিগির তুলে এইসব গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে মানুষের মনকে সরিয়ে দেওয়া ইজরায়েলি সরকারের পক্ষে তত সহজ নাও হতে পারে। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে ইজরায়েলি জুলুমের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। সাম্রাজ্যবাদের জঙ্গি হস্তক্ষেপে বিধ্বস্ত লেবানন দাঁড়িয়েছে প্যালেস্তাইনের পাশে। সৌদি আরব পরিস্থিতির ‘স্বাভাবিকীকরণে’র নামে ইজরায়েলের কাছাকাছি ঘেঁষে আসার যে প্রবণতা দেখাচ্ছিল প্যালেস্তাইনের ওপর নতুন প্রতিহিংসামূলক আক্রমণ তার প্রতিকূলেই যাবে। ইজরায়েলের কমিউনিস্ট পার্টি এবং অন্য বামপন্থী পার্টিগুলির জোট অনেক আগে থেকেই সোচ্চার ছিল এই ভুয়ো ‘স্বাভাবিকীকরণের’ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে। ইজরায়েলের প্রতিহিংসামূলক আক্রমণ শুরু হবার পরে তাঁদের কাছে যে বিবৃতি আমরা পাচ্ছি তাতে বলা হয়েছে, গত কদিনে যুদ্ধের বিস্তারের জন্য দায়ী  নেতানিয়াহু সরকার ব্যতীত অন্য কেউ নয়। নিঃসন্দেহে সাধারণ মানুষ , আরব বা ইজরায়েলি যাই তাঁর পরিচয় হোক, এই সংঘাতের মধ্যে পড়ে যাঁরা প্রাণ হারাচ্ছেন তাঁদের জন্য আমাদের সহানুভূতি রয়েছে, কিন্তু চোখের জল ফেলা যথেষ্ট নয়, রাষ্ট্রসংঘের নিছক দাক্ষিণ্যে সমস্যা মিটবে না, দুপক্ষকে যুদ্ধে বিরতি দিতে বলেও বেশি লাভ নেই যতক্ষণ না আন্তর্জাতিক স্তরে একথা স্বীকৃত হচ্ছে যে প্যালেস্টাইনের সার্বভৌমত্ব, তার মানবিক ও নাগরিক অধিকারগুলিকে পূর্ণ করার দ্বিধাহীন পদক্ষেপই এই ভয়ংকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায়। সারাবিশ্বে এবং ইজরায়েলের ভিতরে এই আওয়াজ যত জোরদার হবে ততোই নেতানিয়াহুর ফ্যাসিবাদী সরকারকে কোনঠাসা করা সম্ভব হবে।