ওরা শুনতে গেছেন বিকল্পের কথা, ওরা শুনতে গেছেন পেটের ভাতের কথা হকের লড়াই এর কথা। প্রায় আগুণ হয়ে যাওয়া শাকসব্জির দামের ছ্যাঁকা খাওয়া জনতা মঞ্চের উপরের দিকে তাকিয়ে প্রতি মুহুর্তে মিলিয়ে নিতে গেছেন, তাঁদের যন্ত্রণার কথা মঞ্চের উপর থেকে কারা বলেন ও কী বলেন সেটা মিলিয়ে নিতেই গেছেন। আর মিলিয়ে নিতে পেরেছেন বলেই পাড়ার চা দোকানের টালির খাঁজে লাল পতাকা উড়ছে, বাড়ির কার্ণিশে উড়ছে পতাকা। সাধারণ পোষাক পরা সর্বসাধারণ বাঁশের মাথায় পতাকা নিয়ে হাঁটছেন।


আর মঞ্চের উপর থেকে ওরা বলছেন একজোট হওয়ার কথা, প্রতিরোধের কথা, প্রতিবাদের কথা, আর সর্বশেষ নিজের মতামতটা নিজে দেওয়ার কথা। কারণ জনতাকেই তো বেছে নিতে হবে “১৭ জন সহনাগরিকের রক্তের দামে হতে চলা নির্বাচনে তাঁরা কাকে নির্বাচিত করবেন, একটা খুনী সরকার কে নাকি মানুষের সরকারকে!! কর্মসংস্থানহীন বেকারত্বের পশ্চিমবাংলা কে তাঁরা বেছে নেবেন নাকি কৃষির ভিত্তিতে আর শিল্পের ভবিষ্যতে তৈরী হওয়া একটা রাজ্য তাঁরা বেছে নেবেন। তাঁরা অবশ্যই জোরালো উত্তর দেবেন। কারণ দিকে দিকে তাঁরাই যে আশা জাগাচ্ছেন। আরো রঙ্গিন করছেন সূর্যের রংটাকে।


শহরের অলিগলির চা দোকেনে গুঞ্জন “কারা জিতবে??” নীল সাদা জার্সি নাকি কমলা জার্সি নাকি উড়বে পতাকা, যার রং সূর্যের মত লাল!! কেউ আবার বলছে— মানুষ তার ভোট দিতে পারলে… বন্দুকের বিরুদ্ধে ঝান্ডার ডান্ডা নতুন কোনো শিক্ষা তো নয়। যতবার শাসকের বিরুদ্ধে মানুষ রাস্তায় থেকেছে ততবারই ঝান্ডার ডান্ডা আর লাল শালু মানুষকে পথ দেখিয়েছে, এবারও দেখাবে। অপারেশন বর্গা এমনি এমনি সাফল্য দেখেনি। এমনি এমনি ত্রিস্তরের পঞ্চায়েত ব্যাবস্থা আলো দেখায় নি। পোলট্রি, হাঁস মুরগী পালন করে এমনি এমনি তো আর গ্রাম জেগে ওঠে নি। জনগণের সরকার যতদিন জনতার হাতে ছিল ততদিন বাংলার প্রতিটা মানুষ তার সুফল পেয়েছে, কখনও এস এস সি র মাধ্যমে কখনও আবার টেট পরীক্ষার মাধ্যমে, চাষার ছেলে চাষা এই ধারণা টা একটা সরকার আমূল বদলে দিতে পেরেছিল বলেই সরকারি চাকরির শূণ্যপদে গ্রামের বহু ছেলে মেয়ের নিয়োগ হয়েছে। একটা সময়ে মানুষের লোডশেডিং বা কারেন্ট অফ নিয়ে অভিযোগ থাকলেও মানুষ সে সময়ে নিশ্চিন্ত ছিল কারণ তাঁরা জানত পড়াশুনা শেষ করে নিতে পারলেই কর্মসংস্থান হবে, আজ শহরের প্রতিটা ঘরে আলো, কারেন্ট প্রায় যায় না বললেই চলে। কিন্তু আজ আর নেই কোনো শিল্পাঞ্চল। বিদ্যুৎ এর অভাব বরাবর প্রমাণ করে দেয় রাজ্যটি বা দেশটি শিল্পোন্নত।


গ্রামের মাটিতে আজ জেগে ওঠার আনন্দ, গ্রাম জাগছে নাহঃ সরকার নির্বাচনের জন্য নয়। গ্রাম জাগছে তাঁর গ্রামসভাকে নির্বাচিত করার জন্য। গ্রাম থেকে বাংলা চালানোর জন্য। গ্রাম দিয়ে শহর যেমন ঘেরা যায় তেমনি গ্রাম পথ দেখাবে অনেকটা সূর্যের মত।