মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সর্বভারতীয় নেত্রী হয়ে ওঠবার উচ্চাশা রয়েছে ,নাকি আরএসএস চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় নেত্রী হয়ে উঠুন — এই প্রশ্নটাই এখন অনেকটা প্রাচীন বাংলা প্রবাদ,’  তৈলাধার পাত্র না পাত্রাধার তৈল’ র  মত হয়ে দাঁড়াচ্ছে ।পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের আগে কখনো কংগ্রেসের সঙ্গে ,কখনো বা  আরএসএসের তৈরি করে দেওয়া আঞ্চলিক দল ,তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে, আরএসএসের রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি পরিচালিত এন ডি এ  নামক নীতিহীন ,সুবিধাবাদী জোটে মন্ত্রিত্ব করার দৌলতে ,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বভারতীয় স্তরে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছেন অবারিত ভাবে।  রাজীব  গান্ধীর আমলে প্রথমবার সাংসদ হয়ে নানা নাটকীয়তার ভেতর দিয়ে নিজেকে তুলে ধরবার চেষ্টা করার মধ্যে দিয়ে জাতীয় স্তরের  নেত্রী হিসেবে উঠে আসবার চেষ্টার কম কসুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেন নি।পি ভি  নরসিংহ রাও মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবেও ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় কালে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা স্বত্ত্বেও  নিজেকে সংখ্যালঘু মুসলমান সমাজের মসিহা হিসেবে উপস্থাপিত করার প্রচেষ্টার ভেতর দিয়ে, নানা নাটকীয় এবং অতিনাটকীয় কীর্তিকলাপ প্রদর্শন মমতা করেছেন। এইসবের  ভেতর দিয়ে জাতীয় স্তরের নেত্রী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা কিন্তু সেই সময়ে  তিনি আদৌ  করেন নি। 

              সেই চেষ্টা তিনি অটল বিহারী বাজপেয়ী নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় থেকে গুজরাট গণহত্যার’ সময় নীরবতা পালন করে , গুজরাট গণহত্যার’ অব্যবহিত পরেই, নরেন্দ্র মোদি মুসলমান সমাজের রক্তে হাত রাঙিয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর ,তাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান। তারপর নানাভাবে  নিজেকে সংখ্যালঘু সমাজের বন্ধু হিসেবে দেখানোর চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করতে থাকেন, করতেই থাকেন। 

  এইসব কোন কিছুর ভেতর দিয়েই কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় রাজনীতিক হিসেবে নিজেকে বিন্দুমাত্র নিজেকে প্রতিষ্ঠিত  করতে পারেননি। তাই হঠাৎ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাওয়ার পর, জাতীয় স্তরের  রাজনীতি ঘিরে তার ভাবনাচিন্তা দেখে এই প্রশ্নটাই বারবার উঠে আসে যে, যখন তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বিভিন্ন দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে নানা রকমের কৌশল অবলম্বন করেছিলেন, তখন তো পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক নেত্রী হিসেবে নিজের পরিচয় রাখবার  বাইরে কখনো কোনো অবস্থাতে নিজেকে তুলে ধরবার চেষ্টা তিনি করেননি। রেল মন্ত্রী হিসেবে তিনি যখন রেল বাজেট পেশ করেছেন সংসদে ,তখন একাধিকবার বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিরা মমতার বিরুদ্ধে আঞ্চলিকতার অভিযোগ এনেছেন। সেইসব অভিযোগগুলি কিন্তু মমতা কখনো অস্বীকার করেননি ।বরংচ তিনি তার নিজের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের জন্য অনেক কিছু করছেন – এমন আত্মগর্বে বেশ  গর্বিত ই থেকেছেন ।জাতীয় স্তরের মন্ত্রী হিসেবে, জাতীয় স্বার্থের প্রতি দৃষ্টিপাত কে অবহেলা করা ,সেটা তার রাজনৈতিক চরিত্রের সঙ্গে একটা সময়ে প্রায় একইভূত হয়ে গিয়েছিল ।কারণ, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক এবং একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল ; যেনতেন প্রকারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর তখ্ ত টি দখল করা ।

  আরএসএস , কংগ্রেস, বিজেপি  ইত্যাদিদের সহযোগিতা এবং অবশ্যই বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির প্রচ্ছন্ন মদতে সেই কাজটি সম্পন্ন করার পর ,হঠাৎ কেন পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক রাজনীতি ঝেরে ফেলে দিয়ে, জাতীয় স্তরের রাজনীতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত উৎসাহিত হয়ে পড়লেন? মমতার নিজের দলের মানুষজন তো দূরের কথা ,তিনি নিজেও খুব ভালোভাবেই জানেন, ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, মমতা যদি পশ্চিমবঙ্গের থেকে লোকসভার ৪২ টির ভিতরে ৪২ টি আসনে ই  নিজের দল, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের সংসদে পাঠাতে পারেন, তবুও কোনও অবস্থাতেই ,কোনো স্তরের রাজনৈতিক দলই মমতাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবে না। কারণ, কংগ্রেস বা অন্য ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলি কিংবা হিন্দু সাম্প্রদায়িক শিবির ,তাদের প্রত্যেকের কাছেই নিজের নিজের দলের এমন একাধিক ব্যক্তি আছেন, যারা প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার ।তারা কোনো অবস্থাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে উড়ে এসে জুড়ে বসতে  দেবেন না ।তাহলে কেন মমতার দিবাস্বপ্ন’কে তথাকথিত রূপ দিতে  লোকসভা ভোট এগিয়ে এলেই মমতার দলের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাদের নেত্রীর নাম বারবার তুলে ধরা হয় ? রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বা উপ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো জাতীয় স্তরের কোন ইস্যু সামনে এলে ,প্রার্থী ঠিক করতে খানিকটা ,’গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল ‘ এর মত ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে দেখতে পাই ?                      গোটা প্রশ্নাবলীর একমাত্র উত্তর হল; বিরোধীদের রাজনৈতিক শিবিরকে ছত্রভঙ্গ করতে, আরএসএস তাদের অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এবং অবশ্যই গোপন অদৃশ্য বন্ধু তথা কার্যক্ষেত্রে দৃশ্যমান সঙ্গী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ‘শিয়ালের কুমির ছানা দেখানোর ‘ মত ঝুলি থেকে বের করে ।তবে সেই বের করবার ভেতরের একটা কৌশলগত কুশলতা থাকে  শিয়াল ,কুমির ছানাটাকে সামনে দেখিয়ে ফেলে নিজের ধূর্ততার যতই পরিচয় দিক না কেন ,আরএসএস কিন্তু তাদের এই কুমিরছানা দেখানোর ক্ষেত্রে, নিজেদের শিয়ালের ভূমিকাটা সবসময়ই ভারী পর্দার আড়ালে রেখে দেয় এবং রেখে দেয় বলেই ,মমতা যখন আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে বিরোধী প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করছেন,  তখন ই আরএসএসের অত্যন্ত বিশ্বস্ত বিজেপি নেতা তথা দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ,মমতাসহ একাধিক বিরোধী নেতাদের কাছে ফোন করছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে।                 

এখানেও সেই প্রাচীন বাংলা প্রবাদ টিই সামনে এসে যায় ,’ ঠাকুর ঘরে কে? আমি তো কলা খাই নি ‘ । এটা যাতে কারো কোনো অবস্থাতেই মনে না হয় ,অর্থাৎ;  বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ টিকে  ঘেঁটে দেবার উদ্দেশ্যেই যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী কে হবেন ,তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বৈঠকের হম্বিতম্বি, এটা যাতে কোনো অবস্থাতেই সঠিকভাবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি বুঝে উঠতে না পারে, সেই কারণে ,ঠিক এই সময়টাতেই রাজনাথ সিং বেছে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী ঘিরে মমতার সহ অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের  নেতাদের ফোন করবার সময় হিসেবে বেছে নেন।                      মমতা যে  বিরোধী রাজনৈতিক দলের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে ঐক্যবদ্ধ হবার কোনো সুযোগই সামনে আসতে দেবেন না ,সেটা যাতে বিরোধী দল গুলি প্রথম অবস্থায় কিছুতেই বুঝে উঠতে না পারে, আর সেই সুযোগে বিজেপি যাতে ঘর গুছিয়ে নিতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কিন্তু মমতার আহবান করা বৈঠকের অব্যবহিত আগে রাজনাথ সিংয়ের টেলিফোন। 

মমতা অ বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী দের অনেককেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তাঁদের ভিতরে বিজেপি শিবিরের যাঁরা কাছাকাছি আছেন, স্বভাবতই মমতার ডাকা এই বৈঠকে তাঁরা যাননি ।কিন্তু তাঁরা একবারের জন্যেও এই কথা বলেননি যে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে মমতার কর্মকাণ্ডের তাঁরা বিরোধী ।বিজু জনতা দলের নবীন পট্টনায়ক থেকে শুরু করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আরবিন্দ কেজরিওয়াল ,এঁরা প্রত্যেকেই মমতার ডাকা বৈঠক সম্বন্ধে একটা আশ্চর্যজনক নীরবতা পালন করেছেন ।এঁদের এই নীরবতা এবং সেই নীরবতা ঘিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও নীরবতা –এটাও কিন্তু আরএসএস কৌশলের একটা অঙ্গ ।

 আরএসএসের গোটা বৃত্ত থেকে  মমতা , অরবিন্দ কেজরিওয়াল কিংবা বিজু জনতা দলের নবীন পট্টনায়ক ,কেউ ই বাইরে নন। আমাদের খুব গভীরভাবে লক্ষ্য করার বিষয় এই যে ,অটল বিহারি বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন তিন দফায় সাড়ে ছয়  বছরের এনডিএ সরকারের  কালে বিজু জনতা দল কেন্দ্রীয় সরকারের শরিক বেশ খানিকটা সময় ছিল ।কিন্তু সেই সময়কালেও আরএসএস এর শাখা সংগঠন বজরং দল ,বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু সংহতি ইত্যাদিরা উড়িষ্যার একটা বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নানা ধরনের উগ্র হিন্দুত্ববাদী, সন্ত্রাসী মূলক আগ্রাসন চালাত। মূলতঃ আদিবাসী খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির আগ্রাসন তখন লক্ষ্য করা যেত ।বড়দিন উপলক্ষে কেওনঝড়, ময়ূরভঞ্জ ইত্যাদি জেলাগুলিতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল ইত্যাদির  আক্রমণ একটা রুটিনমাফিক ব্যাপার তখন হয়ে দাঁড়িয়েছিল ।                   

এই সময়েই কেওনঝড়ের আদিবাসীদের গ্রামে অস্ট্রেলীয় মিশনারি ফাদার গ্রাহাম স্টুয়ার্ট স্টেইন্সকে দুই শিশুপুত্র সহ নির্দয়ভাবে অগ্নিদগ্ধ করে হত্যা করে আরএসএসের শাখা সংগঠন বজরং দল। মজার কথা হল ২০১৪  সালে নরেন্দ্র মোদি একক গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত, বাজপেয়ীর  আমলের মতো খ্রিস্টান মিশনারীদের সরাসরি শারীরিক নির্যাতন কিন্তু আগের মত এখন আর ওড়িশাতে  হয় না ।নবীন পট্টনায়ক নেতৃত্বাধীন বিজু জনতা দলের সঙ্গে আরএসএসের বোঝাপড়ার জায়গাটা এমন একটা পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে যে ,আরএসএসের  রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি খুব ভালোভাবে বুঝে গেছে যে, বিজু জনতা দল কোনো অবস্থাতেই হিন্দু সাম্প্রদায়িক রাজনীতির আগ্রাসনের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে না ।                 

ঠিক যেভাবে নয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আরএসএস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে এই দৃষাটিভঙ্গিতে  উপনীত হয়েছে যে ,তাদের হিন্দু সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন ঘিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক, সামাজিক, মানসিক আপত্তি নেই। হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তি যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে,’ এলোমেলো করে দিয়ে লুটেপুটে খাওয়ার সুযোগটা ‘ পরিপূর্ণভাবে করে দেয় ,তাহলে তার পাল্টা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গোটা হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তিকে,’ এলোমেলো করে দিয়ে লুটেপুটে খাওয়ার পূর্ণ মাত্রায় সুযোগ’  করে দেবেন ।                   

এই জায়গা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই বিজেপির একটা খেলনা বিকল্প হিসেবে তাকে তুলে ধরতে আরএসএস চেষ্টার কসুর নেই  হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রকৃত বিকল্প হিসেবে যাতে বামপন্থীরা উঠে আসতে না পারে ,সেই জন্যই একটা মেকি  বিকল্প হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে তুলে ধরা হলো আরএসএসের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। আর সেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা ভোটের আগে, নিজেকে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তুলে ধরেন  যেমন এখন আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে বিরোধী প্রার্থী নির্ধারণের ক্ষেত্রে সমস্ত চাবিকাঠি তার হাতেই রয়েছে– এইটা দেখাতে তিনি উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন। আগামী দিনে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে এই এক ই তিনি ভূমিকা পালন করবেন।                   

মমতার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য যে হিন্দু সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আরো ক্ষমতাবান করার তাগিদে, সে বিষয়ে  বামপন্থীদের কোনোরকম সংশয় নেই ।সংশয় নেই বলেই মমতার ডাকা বৈঠকে যোগ না দিয়ে দিল্লির ওড়িশার বিজেডি, দিল্লির আম আদমি পার্টি তেলেঙ্গানা আঞ্চলিক দল যে রাজনৈতিক বার্তা হিন্দু সাম্প্রদায়িক শিবিরকে দিতে চায় ,সে সম্পর্কে সম্যক অবহিত  বামপন্থীরা।তাই তাঁরা  মমতার ডাকা বৈঠকে গিয়েছেন। মমতার বিজেপি বিরোধী মেকি লড়াই কে মানুষের সামনে তুলে ধরা টা বামপন্থীদের একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক কর্তব্য  সেই কর্তব্য পালনের তাগিদও বামপন্থীদের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার একটা বড় কারণ ।মমতা যাতে কোনো অবস্থাতেই তার এই ছদ্মবেশী বিজেপি বিরোধী ভূমিকার ভেতর দিয়ে, হিন্দু সাম্প্রদায়িক, মৌলবাদী রাজনৈতিক শিবিরকে ওয়াকওভার দিতে না পারেন ,সংসদীয় রাজনীতির, সংসদীয় কৌশল বজায়  রেখে সেই দিকটাই এখন মানুষের সামনে তুলে ধরেছে বামপন্থীরা।