রামপুরহাট গণহত্যার পর রাজনৈতিক কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ, তাঁদের প্রত্যেকেরই নজর ছিল সেইসব বুদ্ধিজীবীরা, যাঁরা এককালে বামফ্রন্টের শাসনকালে, নানা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র কে, সরাসরি বামফ্রন্ট সরকার ,তাদের অন্যতম প্রধান পরিচালক সি পি আই(এম)র নির্দেশিত গণহত্যা, অত্যাচার ইত্যাদি ইত্যাদি শব্দে সম্বোধিত করতেন। সেইসব বিষয় নিয়ে মিটিং মিছিল করতেন ।রাস্তায় সেইসব বুদ্ধিজীবীদের শ্রী মুখের ছবি সম্বলিত ,’পরিবর্তন চাই’ পোস্টারে রাজপথ ভরে থাকতো। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ছবির গায়ে রক্তের ছিটের ছবি দিয়ে লেখা থাকতো,’ ছি’ ।সর্বোপরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে এবং তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসকে ,এই রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রে যেসব মানুষেরা অন্যতম প্রধান ক্যাটালিস্টের ভূমিকা পালন করেছিলেন ,সেইসব সফল পেশাজীবী একটা বড় অংশের লোক, সংবাদমাধ্যম যাঁদের ‘বুদ্ধিজীবী’ বলে অভিহিত করে, তাঁদের প্রতি ।


অপর্ণা সেন ,কৌশিক সেন, সুজাত ভদ্র প্রমুখ লোকজনেরা এই রামপুরহাট গণহত্যাকে কি বলেন, কি তাঁদের অবস্থান — এইসব জানার জন্য সাধারণ মানুষ যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছিল। বহু ব্যক্তিগত কারণ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বোধের ভিন্নতা থেকে যেসব মানুষ বামপন্থীদের সমর্থন করতেন না, বা এখনো করেন না ,তাঁদের কাছেও এইসব পেশাজীবী মানুষেরা গণহত্যা ঘিরে কী বলছেন ,তা জানা নিয়ে একটা প্রবল উৎসাহ তৈরি হয়েছিল। কারণ ,এই অংশের মানুষের ভেতরে একটা বড় অংশ ,তাঁরা কিন্তু নানাভাবে রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বিরক্ত ।তাঁরা ক্রমেই একটা বিকল্পের সন্ধান করছেন। হয়তো সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এসে, সেই বিকল্প খুঁজে নিতে তাঁদের এখনো কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ততা আছে।
তাই তাঁরা মনে করেন ,এইসব পেশাজীবী মানুষ বিকল্প একটা দিশা জোগাতে পারেন। সেই কারণেই এই সমস্ত পেশাজীবীরা ,যাঁদেরকে প্রচার মাধ্যম ‘বুদ্ধিজীবী’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাঁদের বক্তব্য ঘিরে একটা উৎসাহ তৈরি হয়েছিল । ব্যক্তিগত স্তরে রামপুরহাট গণহত্যার পরের দিন, সকাল থেকে সি পি আই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের যে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড , দুপুরবেলায় আনিস খানের বাড়িতে যাওয়া ,সেখান থেকে বিকেলে পাঁচলা থানার ভেতরে জনসভা করা ,মিছিল করা এবং সেই সব সেরে, তাঁদের রামপুরহাট এর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যাওয়া– এই ঘটনাক্রমের সাক্ষী থাকা, এবং রাজনৈতিক অভিমুখ তৈরি হতে চলেছে বলে আমার মনে হয়েছিল, সেই গোটা ঘটনা বিভিন্ন পরিচিত ব্যক্তিত্বদের জানিয়েছিলাম ।তাঁদের মধ্যে কৌশিক সেন ও ছিলেন ।


সামাজিক গণমাধ্যমের যে বিভিন্ন পর্যায়ে গুলি আছে ,তাতে যে কেউ যেকোনো মানুষকে তাঁর নিজস্ব অভিমত জানাতে পারেন ।যাঁকে জানানো হচ্ছে ,তাঁর যদি মনে হয়, যে ব্যক্তির কাছ থেকে অভিমত গুলি আসছে ,তার অভিমত গুলি অভিপ্রেত নয়, তাঁকে ব্লক করে দেওয়ার ও নানা ধরনের প্রযুক্তিগত উপায় আছে। সেইসবের আশ্রয় না নিয়ে ,কৌশিক ব্যক্তিগত স্তরে আমাকে একটি বার্তা পাঠান। সেই বার্তায় একটিবারের জন্যও রামপুরহাট ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো রকম দুঃখ, যন্ত্রণা, কষ্ট ইত্যাদির কথা কিন্তু কৌশিকের কন্ঠ থেকে ধ্বনিত হলো না ।বরংচ আমি কেন ব্যক্তি মহম্মদ সেলিমের প্রচারের পোষ্টের ‘দায়িত্ব’ গ্রহণ করেছি এবং তাঁকে কেন এই ধরনের বিষয়গুলি পাঠাচ্ছি, তা নিয়ে তিনি আমাকে কার্যত অভিযুক্ত করলেন ।


অথচ এই কৌশিক কিন্তু নন্দীগ্রাম পর্বের পর, নিজের থেকে যোগাযোগ করে আমাদের মত বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের পথে নামানোর চেষ্টা করেছিলেন। গোটা ঘটনাক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে, কোনো রকম কোনো জায়গায় যাওয়া উচিত হবে না , কারন; আমাদের কাছে খুব সুনির্দিষ্ট খবর ছিল যে, একটা বৃহৎ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নন্দীগ্রামের দুঃখজনক ঘটনা কে কেন্দ্র করে পরিচালিত হচ্ছে।


সেকথা কৌশিককে বলার সাথে সাথে ই নানা ধরনের ব্যক্তি আক্রমণাত্মক কোথাও সেদিন তিনি বলেছিলেন ।সেদিনের সেই প্রতিবাদী কৌশিক কিন্তু আজ যখন রামপুরহাটের ঘটনা ঘটছে ,সেই ঘটনার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া নিয়ে কোন মনোভাব প্রকাশের আগেই ,তাঁকে অহেতুক বিরক্ত করা হচ্ছে – এই ধরনের মানসিকতা প্রসূত ব্যক্তিগত মেসেজ পাঠালেন ।পরবর্তীতে আমরা দেখতে পেলাম, একটি বহুল প্রচারিত বৈদ্যুতিন গণমাধ্যমে রামপুরহাট গণহত্যা নিয়ে মুখ খোলার নাম করে, প্রথমেই কৌশিক সেন বসে গেলেন পুরনো কাসুন্দি ঘাটতে ।
বীরভূমে বাউল ফকিরদের মেলায় ফকিরদের উপরে অত্যাচারের ঘটনা আটের দশকের গোড়ায়, সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করলেন ।রামপুরহাটের ঘটনাকে কার্যত জাস্টিফাই করার ধান ভানতে শিবের গীত গাইতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন তিনি। বস্তুত কৌশিক সেন অভিনয় জগতের বাইরে কি সামাজিক অবদান রেখেছেন, সরাসরি প্রশ্ন তুলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করি; বাংলা ভাগ হওয়ার আগে ১৩০৫ বঙ্গাব্দে মৌলানা রিয়াজউদ্দিন আহমদ যে বাউল বিধ্বংসী ফতোয়া জারি করেছিলেন, তার কোনো খবরা খবর কি কৌশিক কখনো রাখবার সুযোগ পেয়েছেন? বেশরা , অর্থাৎ ; শরিয়াত মানেন না , পুরাণ মানেন না, থার্ড কমিউনিটি বলে অভিহিত, বাউল ফকির, তাঁদের সাধনার ধারা কে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম, নানা ছলছুতোয় কিভাবে এই বাউল ফকিরদের উপরে অত্যাচার করে চলে ,সে সম্পর্কে কোন ধারনা আছে কৌশিকের? তিনি কি কখনো মুর্শিদাবাদের কুশাবেড়িয়া গ্রামের নাম শুনেছেন ? যে গ্রামে একটা সময়, একাংশের স্থানীয় মানুষ ,ফকিরদের ঝুটি কেটে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ।সেই ঘটনা শোনার সাথে সাথেই ,সেই সময়ে ক্ষমতাসীন বামপন্থী দলের স্থানীয় স্তরের নেতারা, প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে ,আগে কিভাবে বাউল ফকিরদের হেনস্তার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন, সে খবর কি কৌশিকের জানা আছে?
বাউল ফকিরদের উপরে অত্যাচার বলতে কি বোঝেন কৌশিক? এই মরমিয়া সাধকদের সাধনার গোপন তত্ত্বের সাথে তাঁদের ঝুটির কি সম্পর্ক ,গভীরভাবে কি আদৌ জানেন কৌশিক সেন ?যদি জেনে থাকো থাকতেন ,তাহলে বোঝা যেত, বীরভূমের বাউল ফকিরদের উপরের স্থানীয় একাংশের মানুষদের ক্ষোভের যে ধরনের সামাজিক ভিত্তি, মুর্শিদাবাদের কুশবেরিয়া গ্রামে বাউল ফকিরদের উপরে সাধারণ মানুষের একাংশের সাধারণ ক্ষোভ, তার ভেতর মৌলিক ফারাকটা কোথায় তা জানেন কৌশিক? আর বাউল ফকির সাধনার ভেতরে তাদের মাথার ঝুটির মর্যাদা ,তাদের সাধনার অঙ্গ হিসেবে কতখানি ,এই সমস্ত পরিপ্রেক্ষিত কে মাথায় রেখেই রামপুরহাটের ঘটনাকে তরল করে তুচ্ছ করে তুলবার জন্য পুরোনো কাসুন্দি গাইবার আগে, এই সমস্ত প্রেক্ষিত কৌশিক সেন অবতারণা করছেন, বাউল ফকিরদের উপরে যে সামাজিক অত্যাচার হয়, সেই সামাজিক অত্যাচারের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক আদৌ নেই ।সেই অত্যাচারের পেছনে রয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের, মৌলবাদী অংশের নানা ধরনের সম্পর্ক, এটা হয় কৌশিক সেন জানেন না, আর না হলে ,রামপুরহাটের ঘটনাকে তরল করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে, ডায়লুট করে দেয়ার উদ্দেশ্যে ,অত্যন্ত পরিকল্পনামাফিক, বাউল ফকিরদের উপরে অত্যাচার আর নানা অর্থনৈতিক প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন তিনি ।


রামপুরহাট গণহত্যা সঙ্গে অর্থনীতির অবশ্যই সম্পর্ক আছে। সেই অর্থনীতি হলো, তোলাবাজির অর্থনীতি। বালি খাদানের অর্থনীতি ।পাথর খাদানের অর্থনীতি– এইসব সম্পর্ক তো অবশ্য ই আছে। মূল বিষয় হলো, যে অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে বীরভূম জেলা কে ঘিরে বলতে চাইছেন কৌশিক সেন, সেই অর্থনৈতিক অবস্থা কেবলমাত্র বীরভূম জেলায় নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গ পৌঁছলো, তা নিয়ে কি ওই অভিনেতা একটি শব্দও উচ্চারণ করেছেন ? বীরভূমের প্রান্তিক মানুষ ,তপশিলি জাতি -উপজাতি ভুক্ত মানুষজনের এবং প্রান্তিক মুসলমানেরা, যাঁদের মধ্যে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষ অনেক আছেন, তাঁদের অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে ,গত প্রায় এগারো বছর ধরে এ রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অবস্থান সম্পর্কে একটি শব্দও কি কৌশিক সেন উচ্চারণ করেছেন ?কৌশিক যে তাত্ত্বিক বাতাবরণ তৈরি করতে চান ,সেই বাতাবরণ কে যদি আমরা তর্কের খাতিরে মেনে নিই, তাহলে বামফ্রন্টের আমলে ওই প্রান্তিক মানুষদের অর্থনৈতিক উন্নতির নিয়ে কোনো ভাবনা চিন্তা হয়নি এমন মনগড়া তত্ত্বকে ধরে নেওয়ার পরও এই প্রশ্নটাই থেকে যায়। যে কাজ বামফ্রন্ট করেনি, সেই কাজ কতখানি ত্বরান্বিত করতে পেরেছেন গত এগারো বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার? কৌশিক সেন একটা ঘটনা যদি সুনির্দিষ্টভাবে দেখাতে পারেন যে ,বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বালি খাদান থেকে শুরু করে ,পাথর খাদানে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা করতে, বামফ্রন্টের আমলে , একটা ও নকল টোল ছিল, তাহলে বুঝবো, আজকের এই অর্থনৈতিক অবস্থার কথা তুলে গনহত্যার বীভৎস তাকে আড়াল করতে চাইছেন কৌশিক ,তার সেই তথাকথিত দাবির কিছু না কিছু বাস্তবতা হয়ত আছে। যেভাবে গত এগারো বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাকৃতিক সম্পদ লুট হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারা সরাসরি সরকারি মদদে ,সে সম্পর্কে একটি শব্দও কৌশিক সেন উচ্চারণ করছেন না।


কেবলমাত্র বীরভূম জেলা নয় ,গোটা বাংলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অংশেও, তৃণমূলের সমস্ত নেতা নেত্রীদের গত চার-পাঁচ বছর আগেও কুঁড়েঘরে বাস ছিল, দিন আনা দিন খাওয়া অবস্থা ছিল ,সেই সমস্ত লোকজনদের, এত অল্প সময়ের ভিতর কি করে এমন প্রাসাদোপম বাড়ি, অগাধ টাকাপয়সা হয়েছে, এ সম্পর্কে কি কৌশিক সেন কোনরকম আলোকপাত করবেন? কৌশিক ধরেই নিয়েছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে(২০২৪) , নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিকল্প হিসেবে উঠে আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাই তাঁর মতে মমতার মোদির বিকল্প হিসেবে উঠে আসার জায়গাটিকে ভেস্তে দেওয়ার জন্যই রামপুরহাটের মত ঘটনা ঘটানো হয়েছে ।পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের বাইরে ,বহু চেষ্টা চরিত্র করে ও ,যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে সামান্যতম পা রাখতে পারেননি, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে একতরফাভাবে সম্মিলিত বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরার ভেতর দিয়ে কৌশিক সেনের যে রাজনীতি, সেই রাজনীতি কিন্তু খুব পরিষ্কার করে দিচ্ছে ,কেন কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে রামপুরহাট গণহত্যার মতো ঘটনাকে আড়াল করতে চান এই তাকথিত বুদ্ধিজীবীরা এবং কথায় কথায় বাম আমলে বিভিন্ন ঘটনাক্রমেদ মধ্যে তুলনা টেনে, গোটা ব্যাপারটিকে সরলীকৃত করে দিয়ে ,সেদিন অন্যায় হয়েছিল ,তাই আজকেশ অন্যায় টাও জাস্টিফায়েড অন্যায় ,এমনটাই তাঁরা দেখাতে চান ।


এই প্রবণতার কাছে সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন ,গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রকাশ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম ঘটনা ,শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারীর পরিবার থেকে ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ।সেই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি একাধিকবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন স্তরের নেতারা গত এক বছর ধরে করে চলেছেন ।তাহলে খুব পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে যে, সেই সময়ের বামফ্রন্ট সরকার এবং সেই সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে রাজনৈতিক মেলাইন করবার উদ্দেশ্য নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে অমন দুঃখজনক ঘটনা ঘটিয়ে ছিলেন ।কৌশিক সেন এটা কিন্তু একটিবারের জন্য নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ উত্থাপন করার সময় ওই ঘটনাক্রমে অধিকারী পরিবারের ভূমিকা ঘিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক মূল্যায়ন সম্পর্কে একটি শব্দও উচ্চারণ করেন না।