image.png

                                      

২৫,৭৫৩ জনের মধ্যে ৮,৩২৪ জন ভুয়ো শিক্ষক। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, যদি যোগ্য এবং অযোগ্যদের নির্দিষ্ট ভাবে পৃথক অসম্ভব হয়, ফলশ্রুতিতে নিয়োগ পদ্ধতিটাই বাতিল। কারণ, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এই রায়ের উপর নির্ভরশীল। যখন টেলিভিসানে ছাপ্পা ভোট দিতে দেখি, তখন কিন্তু নির্বাচন বাতিল হয় না। যদিও নির্বাচিত প্রার্থীর হাতে দেশের ভবিষ্যতের দায়িত্ব অর্পিত হবে। দেশের গুরুত্ব লঘু করল কে? সংবিধান বর্ণিত জনসাধারণের অধিকার রক্ষার দায় কার? ব্যর্থতার জন্য পরিচালকের কী শাস্তি বরাদ্দ?  তা উল্লেখিত নেই কেন? শীর্ষ আদালত যেমন নিয়োগ দুর্নীতিতে বলেছে, মুচলেকা দিয়ে কর্মক্ষেত্রে বহাল থাকতে পারেন, কিন্তু দুর্নীতি প্রমাণিত হলে গুণগার দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন কি দায়বদ্ধতার ঊর্ধে? কয়লা কেলেঙ্কারির অনুপ মাজি হোক বা নিয়োগ দুর্নীতির জীবনকৃষ্ণ সাহারা জামিন পেলেই সত্যের জয় হয়, এমনকি পরবর্তী শুনানি অবধি রায়ের স্হগিতাদেশ হলেও সত্য গাঁথা গেয়ে মুখ্যমন্ত্রী স্বস্তি ও শান্তি পেয়ে যান। তবে যে নাগরিক ভোট দিতে পারলেন না, তাঁর সত্যের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে কবে?

অবশ্যই ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচনের সাথে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পঞ্চায়েত ভোট রাহাজানির তুলনা অর্থহীন। যেখানে কমিশনারের নাম রাজীব সিনহা, সেখানে একটাই চর্চা- লোকটা আদৌও মৃত না জীবিত! বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরেও বাংলায় সাম্প্রদায়িক সমস্যা হয়নি। প্রত্যয়ী জ্যোতি বসুকে প্রশ্ন করতে তিনি বলেছিলেন, সরকার না চাইলে দাঙ্গা হয় না। তাই প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে রাজধর্ম পালনের কথা স্মরণ করিয়েছিলেন। তুফানগঞ্জ থানার এসআই জগদীশ ঘোষরা মহিলাদের সাথে কী রকম আচরণ করে, সেই ছবিও স্পষ্ট। শাহজাহান থেকে শিবু হাজরাদের আলাঘরে কবে কোন মহিলা পিঠে বানাতে যাবে, সেটাই কি কেবল জগদীশ পুলিশ কাজ? পুলিশ না চাইলে বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট হয় না। উজাগর রাতের পর প্রিসাইডিং অফিসার দিনের শুরুতেই সমঝে যান, তাঁর হাতে কোন ক্ষমতাই দেয়নি সরকার বা কমিশন। ভগবানের মত। তিনি আছেন, দেখা নাই। সুস্হ শরীরে বাড়ি ফেরাই মূখ্য আকুতি। অথচ প্রতিবাদটা সেই টেবিল থেকেই শুরু হওয়া উচিৎ।

মাইক্রো অবজার্ভারদের সমস্যা তথৈবচ। গুড, ভেরি গুড, এক্সেলেন্ট ফর্ম ফিলাপ করে কোনক্রমে বাড়ি ফেরা। যদি কিছু লিখতে যান, তাহলে উচ্চপদস্হ আধিকারিকরা দিন কয়েক ক্রমাগত হেনস্তায় বাড়ি ফিরতে দেবেন না। বাকি খেলাটা জেলা প্রশাসনের নিম্নতম স্তর থেকে ডিএম, এসপি, ক্রিমিনালরা বুঝে নেন। ছাপ্পা ভোট বা বুথ দখলের জন্য কোন প্রিসাইডিং অফিসার, অবজার্ভার বা বুথের পুলিশের শাস্তি হয়েছে? যিনি দেশের নির্বাচন কমিশনার, তিনি কি মাটির এই চিত্র জানেন না? সর্বত্র হয়ত বাংলার মত বীভৎস ছবি নয়। তিনি কতটুকু পারবেন, কতটা পারবেন না, জেনেও জনগনকে কেন মিথ্যা আশ্বাস দেন? দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানাঘাটে দাঁড়িয়ে বললেন, চিন্তা করবেন না কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। সেই রানাঘাটেই তাঁর দলের প্রার্থী বললেন, ঠুঁটো জগন্নাথ কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকার সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিৎ। দলের প্রতিনিধি সান্ধ্য মজলিশে সওয়াল করছেন, আগের দিন রাতে স্হানীয় শাসক দল কী সব যেন খাওয়ায়…. আমরা বাহিনীর খাবার জন্য আমাদের করের টাকায় তাঁদের মায়না দিই। খাবেন কেন?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে গেছেন। তাঁর যদি কুমতলব না থাকে, তাহলে জনগনের সামনে দাঁড়িয়ে বলুন, যে নিরাপত্তা দেবার গ্যারান্টি আমাদের উপর ছিল, তা দিতে পারিনি। এরকম আলটপকা গ্যারান্টির উপর ভরসা করবেন না। সাধারণ জনগন পুলিশ, প্রশাসন, লুম্পেন বাহিনীকে সামলেও গণতন্ত্রের পরীক্ষা অতীতে দিয়েছেন। মমতা বলছেন, মোদী একশ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না। মোদী সরকার বলছে, ওরা দুর্নীতি করেছে। তৃণমূল দুর্নীতি করবে, তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। দিল্লী থেকে বহু টিম এল, ঘুরল, পাঁচতারা হোটেলে স্ফূর্তি করে রিপোর্ট দিয়ে গেল। মোদী-দিদির বিতর্ক থামল না। একজন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যও কি দুর্নীতির রিপোর্টের ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছে? সেই নেতার সাতমহলা বাড়ি এক মাইল দূর থেকে দেখা যায়। চোর এবং চৌকিদার যখন এক চৌকিতে বসে হিস্যা ভাগবাটোয়ারা করে, তখন গৃহস্হের চরম অকল্যাণ হয়। চৌকিদার যাবার সময়ে গ্যারান্টি দিয়ে যাচ্ছেন। আপনি লেফাফা খুলে দেখুন ২০১৪ সালে শ্রীরামপুরে সেই গ্যারান্টি বিক্রী করেছিলেন চালিয়াত বানিয়া।

ভুয়ো শিক্ষক যদি ১২% হারে সুদ সহ মায়না ফেরৎ দিতে পারে, তবে নির্বাচন কমিশনার ব্যর্থতার জন্য পারবেন না কেন? সাথে সাত তারা হোটেলের খানাপিনাটাও জুড়ে নেবেন, বিজনেস ক্লাসে বিমান যাত্রা, মখমল পানীয়। রাষ্ট্র খরচ করেছে, আপনি সংবিধান বর্ণিত নির্দিষ্ট পরিষেবা দেবেন বলে। সেটা ডেলিভারি না করতে পারলে সুইগির ব্যর্থ ডেলিভারি বয়ের সাথে কোন ফারাক নেই। রাজনৈতিক নেতা নন আপনি। নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে শ্রীরামপুরে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, সারদার তদন্ত হবে এবং অভিযুক্তরা দ্রুত কঠোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। ২০১৯এও একই কথা বলেছেন। ২০২৪এও বলছেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মিথ্যাচারিতা স্বাভাবিক কারণ সরকারী নিয়োগ পরীক্ষায় সফল হয়ে আসতে হয়নি। জনগন নির্বাচিত করেন। জনগন ভুল করলে জনগনের ক্ষতি, জনগন বুঝবে। নির্বাচন কমিশনার, ডিএম, এসপি, বিডিও, থানাদার, প্রিসাইডিং অফিসাররা সরকারী পরিষেবা দিতে বাধ্য। আপনারা যোগ্যতা প্রমাণ করে এসেছেন। যেটুকু খন্ডচিত্র প্রকাশিত হয়, সেটাও বেয়নেট সামলে বেসরকারী সংবাদ মাধ্যমের দৌলতে।

করোনার সময়ে যেমন প্রধানমন্ত্রী জনগনকে সতর্ক করেছিলেন, তেমনই নির্বাচনেও চেতাবনী দিন, আপনার গ্যারান্টি লিক করে গেছে। আপনার দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দুর্দমনীয় দিলীপ ঘোষের নিরাপত্তা রক্ষী রক্তাক্ত। চাপড়ায় বাম এজেন্টও রক্তাক্ত, ওটা বাদ দিন। অতিরিক্ত চাপ নেবেন না। বিরোধী দলনেতা পরবর্তী পর্যায়ে কত বাহিনী আসবেন বলছেন। জনগন সংখ্যায় বিশ্বাসী নয়, কাজে বিশ্বাসী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দুর্বৃত্তদের সম্পর্কে ভয় বা ভক্তি আপনার আছে। সেই শক্তির মোকাবিলায় কত বাহিনী দরকার, আপনিই ভাল জানেন। যদিও আমরা জানি, আপনি আর নির্বাচন কমিশন এক নয়। ঠিক যেমন রাজীব সিনহা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক নন। দাস-প্রভূর সম্পর্ক। নোটবন্দী থেকে প্যান আধার লিঙ্ক, গ্যাসে কেওয়াইসিতে জনগনকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্যস্ত রাখতে ভালবাসেন। ভোটের লাইনটাও তো লাইন, সেটা গণতন্ত্রের উৎসবের লাইন। ওটা বেলাইন করে দেবেন না। রবীন্দ্রনাথের ছবি উল্টো ধরছিলেন বলেই যে এখনই বাঙালি আপনাকে উল্টো ঝুলিয়ে দেবে তেমনটা এখনও বলেনি তো।

মুর্শিদাবাদে স্কুলের হেডমিস্ট্রেস রুবিনা খাতুন সেই স্কুলের বুথেই প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পেয়েছেন। সালারে তৃণমূল নেতা আব্দুল মাজিদ একের পর এক ছাপ্পা মারলেও ছবি দেখেও অস্বীকার করছেন প্রিসাইডিং অফিসার। তেহট্টে দাদুর ভোট দিচ্ছে নাতি, অথচ দাদুর নাম জানে না প্রিয় নাতি। ইলমবাজারে তৃণমূলের বুথ মেম্বার বুথ দখল করে জনগনের তাড়া খেয়ে পালালো। পলাশিপাড়ায় ছাপ্পা ভোট। ভোটারদের বোমা ছুঁড়ে, গুলি করে ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা। বিজেপির রাজমাতা অমৃতা রায় অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনিও জানেন না, বাহিনী চলে গেলে অসহায় ভোটারদের কী হবে! খুব স্বাভাবিক ভাবেই এসব ঘটনা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। পুলিশের জগদীশ ঘোষরা নীরব। পুলিশ যদি বোম, গুলির শব্দ না শুনতে পায়, তাহলে বিডিও, ডিএম, এসপি শুনতে পাচ্ছে না। রাজ্য শুনছে না। মমতা নির্বাচনী সভায় বলছেন, আমি জল ভরিবার ছল করিয়া দেখব নয়ন ভরিয়া- দেইখো আসিয়া। আমার বন্ধু চিকন কালিয়া। কালিয়া পাটনার গুরুদ্বারায় রাঁধুনীর ছবির পোজ দিচ্ছেন। নীরবে লুঠ হচ্ছে গণতন্ত্র।

নরেন্দ্র মোদী আগে এসব জানতেন না, কিন্তু ভোটে গ্যারান্টি বিক্রী করতে তো রোজ আসছেন চার্টার্ড বিমানে। শুনেছেন, রাজভবনও নিরাপদ নয় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। কোন থানা নিরাপদ নয়, গরীব আদিবাসী মহিলাদের জন্য। জগদীশ ঘোষরা নেত্রীর নেকনজরে পড়তে ব্যস্ত। যেখানে বিনয় মিশ্র ভানাটুতে নিরাপদে থাকতে পারেন, অনুপ মাজি, জীবনকৃষ্ণ সাহা থেকে মুখ্যমন্ত্রী সত্যের জয় খুঁজে পান, সেখানে জনগন কবে সত্য-গাঁথা শুনবে? যে পানীয় জলের কলের লাইন গরীবের ঘরে যায়নি, সেটা মোদীর লাইন না মমতার লাইন তা নিয়ে তরজা চলছে নির্বাচনী জলসাঘরে। যে পুকুর কাটা হয়নি, সেই পুকুরের একশ দিনের কাজের খতিয়ান নিয়ে মোদী-মমতার দ্বৈরথ। মমতা বলছেন, ওর নাম শাহজাহান বলে ওকে আক্রমণ করা হচ্ছে আর নরেন্দ্র মোদী বলছেন, ওর নাম শাহজাহান বলে ওকে বাঁচানো হচ্ছে। কিন্তু ওই ব্যক্তি যে অভিযুক্ত, সে কথা বলার সাহস একজনেরও নেই। নামের জন্য কেউ কারাগারে থাকে না। নীতির জন্য থাকতে পারেন। নিরাপদ সর্দার শাহজাহানের বিরোধিতা করে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে ছিলেন।

নিরাপদ সর্দার যার নাম সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে বলতে পারেন, নরেন্দ্র মোদী বিশাল নিরাপত্তা বলয়ে থেকে বলতে ভয় পান। নির্বাচন কমিশনারকে সাহসী হতে হবে। নরেন্দ্র মোদী হলে চলবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেও চলবে না। দেশের স্বার্থে দায়বদ্ধতা নিতে হবে। এই অশ্বমেধ যজ্ঞের পুরোহিত আপনি। আপনি চাইলে, কড়া শাস্তির বিধান থাকলে, একটিও অপরাধ হবে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পঁয়ষট্টিটি প্রাণ গেছে। রাজ্য সরকার দখল চেয়েছে বলে। আপনি তো সরকার নন। আপনার কোন লুঠের পরিকল্পনা নেই। দেশ বিক্রীর ইজারা নেননি বা অগ্রিমও নয়। আপনাকে সিএএ, এনআরসি, সিবিআই, ইডি, ভাতা বন্ধের ভয় দেখাতে হচ্ছে না। জনগন গুরু দায়িত্ব দিয়ে সম্মানিত করেছেন, তার মূল্য ফেরৎ দিন। আপনি বিজ্ঞাপন দেন, নির্ভয়ে ভোট দিতে বলে। বরঞ্চ আপনি নির্ভয়ে নির্বাচন কমিশনকে পরিচালনা করার সাহস সঞ্চয় করুন। ইঞ্জিন যদি সঠিক দিকে বাঁক নেয়, প্রতিটি বগি সেই দিকেই যাবে। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দের হাত থেকে মুক্ত করুন বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রকে। এটাই ধর্মবোধ।

সবচেয়ে বড় সমস্যা নির্বাচনে মানুষকে যারা প্রতারণা করল, গণনার পর সাত খুন মাফ হয়ে যায়। কারণ সেই মোদী কিংবা মমতারা জেতেন, নির্বাচন কমিশনারের রাজা সাজার যাত্রা পালা সাঙ্গ হয়। সংবিধান যে কর্মগুলি অবৈধ বলছে, তাদের সাজাও নিশ্চিত হোক। নির্বাচনের কারচুপির মামলা পাঁচ বছর পেরিয়ে যায়, ততদিনে বিজিত প্রার্থী সকল ভোগদখল পূর্ণ করে নিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ভুলের থেকে খাতায় কলমে শিক্ষা গ্রহণ করলেও, কাঁটাগুলি পরের নির্বাচনের জন্য সযত্নে রক্ষিত করে যান। পরবর্তী নির্বাচন কমিশনার সেই কাঁটাতেই বিদ্ধ হন। এমনকি কেন্দ্রে সরকারে থেকেও ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে নিহত দলীয় ক্যারিওকর্তাদের ব্যাপারে উদাসীন বানিয়া গোষ্ঠী। জয়ী প্রার্থী আদানি-আম্বানীর পেছনে ভিক্ষাপাত্র হাতে দৌড়ায়। প্রতিটি অভিযোগের সুরাহা করতে হবে। অভিযোগকারী সুরাহা স্বীকার করলে তবেই কমিশনের মুক্তি। কলঙ্কমুক্ত নির্বাচন ছাড়া সরকারের ক্ষমতার ভোগদখল বেআইনী। সরকারটা মানুষের। সকল মানুষের মতামত নিয়েই সংখ্যাগরিষ্ঠের মত গ্রাহ্য হবে। রেফারি সাহসী না হলে ফাউলের খেলা চলবেই।