বিশ্বে ইহুদী জনসংখ্যা মাত্র ১.৬ কোটি। হিন্দু ১২২ কোটি, মুসলমান ২০০ কোটি। সনাতন ধর্ম ৫০০০ বছর প্রাচীণ। খ্রীঃপূঃ ১২১৩ সালে ইহুদী ধর্মশাস্ত্রে কেনানে ইহুদী জাতির উংপত্তি উল্লিখিত। ইসলামের আগমন ১৪০০ বছর পূর্বে। অর্থাৎ ইহুদীদের প্রথম বৈশিষ্ট, তাঁরা বংশ বৃদ্ধিতে আগ্রহী নয়। ইসলামিক ও হিন্দু প্রধান দেশের (ভারত) মোট আয়তন যথাক্রমে ২৯.১৩ ও ৩.২৯ মিলিয়ান স্কোয়ার কিমি। ইহুদীদের অধিকৃত বিতর্কিত ভূখন্ডের আকার মাত্র ০.১২ মিলিয়ান স্কোয়ার কিমি। তাই ইহুদীর দ্বিতীয় বৈশিষ্ট, তাঁরা ভূখন্ড বৃদ্ধিতেও অনাগ্রহী। ইহুদীদের আগ্রহ কোথায়? আজ অবধি ৯০০ জন মনীষিকে নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত করা হয়েছে, তাঁদের ২০% ইহুদী। ৫৬টি মুসলমান প্রধান দেশে মুসলমানদের নোবেল প্রাপ্তির সংখ্যা মাত্র ১৫, তাঁদের মধ্যে ৮ জন শান্তির জন্য পেয়েছেন। ইহুদীদের ক্ষেত্রে শান্তির সংখ্যাটি ৯। শান্তিতে তো বটেই, বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে ইহুদীরা অত্যাধিক আগ্রহী। হিন্দুদের ৯৪% বাস করে ভারতে, হিন্দুদের নোবেল সংখ্যা ৮। তবু প্রায় সকল সমসাময়িক ধর্ম ইহুদী বিদ্বেষে টইটুম্বুর।

২০০৬ সালে হামাস ৪৪% ভোট পেয়ে ফাতাহকে (৪১%) পেছনে ফেলে ক্ষমতাসীন হয়। গাজা ভুখন্ডে হামাসের একচ্ছত্র আধিপত্য। সুতরাং হামাস সংখ্যাগরিষ্ঠ প্যালেস্তাইনবাসী দ্বারা সমর্থিত ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল। (নির্বাচিত তৃণমূল চোর হলে দায় বাঙালীকে নিতে হবে।) ৭ই অক্টোবর সশস্ত্র হামাস বাহিনী ইজরাইলের সীমা লঙ্ঘন করে আয়রন ডোম্ব ভেঙে খুন, ধর্ষণ, গুলিবর্ষণ, অগ্নিসংযোগে ২০০ জনের বেশী অসামরিক ইজরাইলিকে বন্দী করে। প্রতিক্রিয়ায় ইজরাইল প্রত্যাঘাত করবে, স্বাভাবিক। পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে পাকিস্তান ভারতে নিয়মিত আক্রমণ করে। বিষয়টি দুটি দেশে সীমাবদ্ধ। আরব দুনিয়ার তরবারি আস্ফালন সহ বিভিন্ন বৃহৎ শক্তি এবং আবার মার্কিণ গডফাদারের নেতৃত্বে প্রায় সমগ্র ইউরোপ কুরুক্ষেত্রের মত বিরুদ্ধ গ্যালারিতে অবস্হান নিল। কখনও প্যালেস্তাইন ইজরাইলকে ধূলিস্যাৎ করে দেবার শক্তি পেয়ে যাচ্ছে, কখনও দক্ষিণ গাজায় আইডিএফের বিধ্বংসী বোমায় গুড়িয়ে যাওয়া চূর্ণ অট্টালিকা। মার্কিণ রণতরী ভূমধ্য সাগরে দৌড়ে এল, জো বাইডেন তেল আভিভে হাজির।

২০ মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। কেউ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পদধ্বনী শুনতে পেল না। ইউএসএ এবং ইউকে ছোটাছুটি শুরু করে দিল না। বাংলাদেশ সহ যেভাবে আরব দুনিয়া হুঙ্কার দিচ্ছে, সন্দেহ জাগছে হামাসের আক্রমণ কি স্বাধীনতা সংগ্রামের নাকি ইসলামি ধর্মীয় জেহাদের? হামাসের প্রাথমিক অতর্কিত হানায় উল্লসিত জনতা পরক্ষণেই প্যালেস্তানীয় নারী ও শিশুদের বিপন্নতার ছবি তুলে ধরতে থাকল তাতে সন্দেহ বাড়ল। শান্তিপ্রিয় ধর্মনিরপেক্ষ জনগন মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করে, কিন্তু ধর্মীয় জেহাদকে নৈব নৈব চ। ভারতবাসী চিরকাল ইয়াসির আরাফতের পাশে ছিল এবং আছে। হামাস কর্মকান্ডে স্বাধীনতা সংগ্রামী আর জঙ্গীর সংজ্ঞা ঘেট ঘ। ক্ষুদিরাম, বিনয়-বাদল-দীনেশের হাতে বন্দুক ছিল কিন্তু নিরস্ত্র অসামরিক ব্যক্তিকে খুন, ধর্ষণ বা জিম্মি করতে নয়। ভারত স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস জানে। ইউটিউবাররা প্রচার করতে থাকল, কোন আরব রাষ্ট্র কত সময়ের মধ্যে ইহুদী নিধন সংগঠিত করতে পারবে। তারপরে প্রশ্ন, করছে না কেন? অতঃপর, প্যালেস্তাইনকে একাই লড়তে হবে।

এক দিকে বেঞ্জামিন নেতানিহায়ুর সাথে জো বাইডেন, ঋষি সুনকের সহাস্য করমর্দন, অপর দিকে স্বঘোষিত আলেম ওলেমাদের ওয়াজ মেহফিলে গগণভেদী জেহাদের আহ্বান। যেন ইহুদী, খ্রীষ্টানদের সাথে মুসলিমদের ক্রুসেড। শান্তিকামী নিরপেক্ষ ভারতীয়, যারা স্বাধীনতার পক্ষে ছিল, তারাও পাশ ফিরে শুয়ে পড়ল। আমেরিকা তো নৌবহর নিয়ে পৌঁছে গেছে ভূমধ্য সাগরে, প্রয়োজন পড়লে আপনারা হজ করার মত আঁশবটি নিয়ে চলে যান। শহীদ হলে জান্নাত, নয়ত সারা জীবন যুদ্ধের অতিরঞ্জিত গল্প শুনিয়ে বাজার গরম করবেন। সনাতনী হিন্দুরা যদি বলে, ৭০০ বছরের মুসলিম ও ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের পর নিশ্চিন্তে ধর্ম পালন করতে পারবে। তা খুব ভাল কথা। কিন্তু যদি বলে, কেবল হিন্দুরাই নিশ্চিন্তে ধর্ম পালন করবে, তাকে সমর্থন করা যায় না। অধিকাংশ ভারতবাসী কোন রকম ধর্মান্ধতা মেনে নেবে না। এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র দেশ, যেখানে সঞ্চিত তেল নেই, স্বর্ণখনি নেই, কৃষিভূমি ২৫%র কম সেখানে মার্কিণ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামাসের বোম বর্ষণের শব্দে দৌড়ে হাজির হয়ে গেলেন কেন?

ইহুদীদের বসতি ইজরাইলের পর মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্রে, কিন্তু কিছুতেই মোট জনসংখ্যার ২%র বেশী নয়। ভারতে খ্রীস্টানের সংখ্যা তুলনায় ঢের বেশী। আমেরিকায় ইহুদীরা সংখ্যালঘু। ভারতের জিডিপি ৩.১৮ লক্ষ কোটি মার্কিণ ডলার, সেখানে ইজরায়েলের ০.৪৯ লক্ষ কোটি। ভারতের আয়তন ও জনসংখ্যা মাথায় রাখুন। মাথা পিছু ইজরায়েলের জিডিপি ভারতের ২৩ গুণের বেশী। ইরাণের চেয়ে ১৩ গুণ বেশী, তেলের খনি সমৃদ্ধ সৌদি আরবের চেয়ে সোয়া দুই গুণ বেশী। ৩৫টা পাকিস্তান ইজরায়েলের জিডিপির মোকাবিলা করতে অক্ষম। এমনকি চিনের চেয়ে ৪.১৫ গুণ বেশী। তাহলে জো বাইডেন, ঋষি সুনকরা দৌড়ে আসবেনই। বাংলাদেশের গ্রামে বসে যে মাদ্রাসায় শিক্ষা পাওয়া মুরুব্বিরা বাজার গরম করছে, দৈত্যের চেহারা ও পুঁজির ক্ষমতা সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। ভারত উন্নয়নশীল দেশ, একই সময় জন্মে ইজরায়েল উন্নত দেশ। ২৬৭ জন বিলিয়নার ইহুদী। ওনারা বসে আছেন মার্কিণ দেশে। ব্যবসা গুটিয়ে যদি ইজরায়েলের পথে রওনা দেন, আমেরিকার ব্যান্ড বেজে যাবে। এতএব শুভস্য শীঘ্রম।

আমাদের দেশে যেমন আম্বানি-আদানিরা রাষ্ট্রনেতা নির্ণয় করেন, আমেরিকাতেও তাই। তারা কারা? গুগল, ওরাকেল, ল্যাপটপ আবিষ্কারক, মাইক্রোসফ্ট, ব্লুমবার্গ, ডেল, ফেসবুক… আজকের ই_জীবণ নিয়ন্ত্রণ করছে ইহুদীরা। মিডিয়া ইহুদীদের হাতে। ভারতীয় চোর বা ব্যবসায়ী বাড়তি সম্পদ দুবাই-ব্যাঙ্ককে রেখে আসে, আর ইহুদীরা নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন থেকে তেল আভিভে পাঠায়। কেবল টাকা নয়, প্রয়োজনে রাষ্ট্র প্রধানকে পাঠিয়ে দেয়। নয়ত বলবেন, রইল ঝোলা, চলল ভোলা। যেখানেই যাবে সেখানে জামাই আদরে বরণ করে নেবে। ইহুদীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় বসে ইহুদীদের বিরুদ্ধে জনরব তুলছে। আরব রাষ্ট্রগুলো চুপ করে গেছে। ইউরোপের দেশগুলোকেও বেশী চোখ লাল করতে হচ্ছে না। মোদী সরকার পেগাসাস কিনছে। মোবাইলে ডুয়াল লেন্স ক্যামেরা ইজরাইলের। কৃষিপ্রধান ভারত ওদের থেকে কৃষি শিখছে। গাছের জল লাগে না, জল লাগে শিকড়ের। সেই সেচ কী করে করতে হয়। বাইডেন উড়ে আসেননি, পুঁজিবাদ ও অর্থ উড়িয়ে এনেছে। সেখানেই যুদ্ধ জয় হয়ে গেছে ইহুদীদের।

হ্যারি পটারের খেলা? হ্যাঁ উনিও ইহুদী, অ্যালবার্ট আইনস্টাইনও। পুঁজিবাদ থেকে মুক্তি পথের কথা প্রথম শোনান একজন ইহুদী। তিনি কার্ল মার্ক্স। ইহুদীরা বংশ বৃদ্ধি বা জন্মভূমি বিস্তারে বিরোধী নয়, স্পেন থেকে বিতারন বা হলোকাস্টের মত নির্মম গণহত্যা উদাহরণ মাত্র। খ্রীস্টান বা মুসলমানরা ইহুদীদের রেয়াত করেনি। তাই ইহুদীদের সংখ্যা বিশ্বে ০.১৮%, যেখানে শিখ ০.৩০%। আব্রাহামের বংশধর একেশ্বরবাদী ইহুদীরা নীল নদ ও মেসোপটোমিয়ার মধ্যবর্তী অঞ্চল বা কেনান ভূমিতে অর্থাৎ বর্তমান ইজরায়েল, লেবানন, ফিলিস্তিন, জর্ডনে বাস করত। ৩ হাজার বৎসর পূর্বে ওদের রাজা ছিল। ডেভিড ও সলোমন জেরুজালেম জয় করে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। খ্রীঃপূঃ ৫৮৬তে ব্যাবিলনের অসূরিয় সাম্রাজ্য সেই মন্দির ধ্বংস করে। পারস্য পুনরায় মন্দির নির্মাণের সম্মতি দিলে দ্বিতীয় মন্দির নির্মাণ করে ইহুদীরা। ১-২ শতাব্দীতে সেটাও রোমানরা ধ্বংস করে দেয়। পঞ্চদশ শতকে স্পেন ও পর্তুগালে ইহুদীরা বসতি স্হাপন করলে, সেখান থেকেও উচ্ছেদ হয়। খ্রীস্টান ও মুসলিম অত্যাচার সবার জানা।

একদা তৃণমূল দল সিঙ্গুরে টাটার গাড়ি কারখানা বন্ধ করতে টাটা লবণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। আজকেও কিছু ধর্মান্ধ কোকাকোলা, পেপসি, ম্যাগি, নেসলে, স্প্রাইট, ফ্যান্টা, অ্যাপেক্স, নোকিয়া, ইনটেল, আইবিএম, বাটা, বস, কিটক্যাট, নিভিয়া, লরিয়েল, সিএনএন থেকে নিউ ইয়র্ক পোস্ট বর্জনের ডাক দিয়েছে। যারা ডাক দেয়, তাদের কত শতাংশ এসব পণ্য ব্যবহার করে? যারা উপভোক্তা তারা মৌলবীদের ফতোয়ার তোয়াক্কা করে না। থিওডর হার্জেল ইহুদী রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সব ইহুদী তাঁর মতবাদী নয় অর্থাৎ জায়নিস্ট নয়। ১৯৪৫ সালে জাতিসঙ্ঘ প্যালেস্তাইনের ভূখন্ড দ্বিধাভক্ত করে প্যালেস্তাইন ও প্রমিস ল্যান্ডে ভাগ করে দেয়। প্যালেস্তাইন ও আরব দেশরা মেনে নেয়নি। ১৯৪৮-৪৯, ১৯৫৬, ১৯৬৭-৭০, ১৯৭৩ সালের চারটি ইজরায়েল ও আরব দুনিয়ার সম্মিলিত বাহিনীর যুদ্ধে ইহুদীরা পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পায়। তারপর ক্রমাগত ইজরাইলী আধিপত্যে গৃহ ও সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে প্যালেস্তানীয়রা। আমরা এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, এর মধ্যে ধর্মীয় আবেগ অবান্তর।

লেবানন থেকে হিজবুল্লা গোষ্ঠীর আগ্রাসন পরিস্হিতি জটিলতর করতে পারে। হামাস প্রাথমিক ভাবে ইজরাইলী অসামরিক ব্যক্তিদের হত্যা, ধর্ষণ, পণবন্দী করলেও বর্তমানে উত্তর গাজার প্যালেস্তানীয় মানুষকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। ইজরাইলের বেপরোয়া বোমবর্ষণ বন্ধ হোক। দশ হাজারের চেয়ে বেশী বাড়ি ধূলিস্যাৎ হয়ে গেছে, দশ হাজার ক্ষতিগ্রস্ত। হাসপাতালে চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই। বিদ্যুৎ, জল, ওষুধ, খাদ্য নেই। এই নারকীয় পরিস্হিতি বন্ধ হোক। কোন জঙ্গী গোষ্ঠী এই পৈশাচিক অবর্ণনীয় জাহান্নামের দায় নেবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ানের দেশগুলি বেঞ্জামিন নেতানিহায়ু ও ইজরাইলী প্রশাসনকে সংযত থাকতে বাধ্য করুন। এই আক্রমণের দায় গাজার নিরস্ত্র সাধারণ মানুষ, নারী ও শিশুদের নেই। কোন সভ্য দেশ তাদের উপর প্রতিশোধ নিতে পারে না। হামাস শীঘ্রই পণবন্দীদের মুক্তি দিক। তাহলে গাজা ভূখন্ডের মানুষও মুক্তি পাবে। ভারত সহ সমগ্র বিশ্ব থেকে ত্রাণ সামগ্রী উপদ্রুত অঞ্চলে পৌঁছাক। পুনর্নির্মিত হোক উত্তর গাজা। শেষ হোক অভিশপ্ত সব যুদ্ধ।

২৮শে অক্টোবর ইজরাইলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিহায়ু দ্বিতীয় দফার যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। গাজায় নিহতের সংখ্যা তিন হাজার শিশু সহ সাত হাজার। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ১২০টি দেশ যুদ্ধ বিরতির পক্ষে ভোট দিলেও ভারত, আমেরিকা, ব্রিটেন সহ ৪৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। মোদী সরকার অসাম্প্রদায়িক, জোট নিরপেক্ষতার অবস্হান থেকে সরে পুঁজির দালালির পক্ষে। সেই সরকার ধর্মের নামে মন্দির বানাতে আগ্রহী। ভারত পুঁজি ও প্রযুক্তির জন্য ইজরায়েলের উপর নির্ভরশীল মানে নীতি বিসর্জন দিয়ে নয়। ধর্মের মুখোশে পুঁজিবাদী মোদী সরকার ভারতবাসীর জন্য ভবিষ্যতে সেই শাস্তি নির্ধারণ করবে, যা হামাস উত্তর গাজার জনগনকে দিচ্ছে। প্রথমতঃ গাজার যুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণ বন্ধ হোক। দ্বিতীয়তঃ ইহুদীদের বিজ্ঞান-প্রযুক্তির গুণগ্রাহী হয়েও পুঁজির আগ্রাসনের বিপক্ষে। তৃতীয়তঃ আলোচনার ভিত্তিতে ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের ভূমি চিরস্হায়ী ভাবে চিহ্নিত হোক। স্বাধীনতার সময়ে সাভারকর ও জিন্নার দ্বিরাষ্ট্রীয় নীতিতে সর্বহারা ভারতবাসী আর কোন রাষ্ট্রের সর্বনাশ চায় না।