সিংহাসনে প্রতিবিম্ব দেখা যায়। সৈয়দ মীর জাফর আলি খান মুর্শিদাবাদের মসনদে বসেছিলেন। প্রতিবিম্ব মাত্র। বণিকদের দেখা যায়নি। বিধায়ক থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত, মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষিত হলে জায়গীরদারের স্ত্রীকে টিকিট দেয়। স্ত্রীর বকলমে জায়গীরদার শাসন করে। নির্বাচিত প্রতিনিধি রবার স্ট্যাম্প। এমনকি তফসিলি জাতি, উপজাতিদের সংরক্ষিত আসনে যারা প্রার্থী হন, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধায় জাতির সাধারণ মানুষের চেয়ে বহু ক্রোশ এগিয়ে। এগিয়ে থাকতে হলে টিকিট ও ক্ষমতা বণিকদের থেকে ম্যানেজ করতে হয়। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ঘোড়ায় বিনিয়োগ করে। ঘোড়দৌড়ের মাঠে বুকলেট বিক্রী হয়। ঘোড়ার জিনগত বংশ পরিচয়, বিগত দৌড়ের ইতিহাসের ইতিবৃত্ত থাকে। দেখবেন, একই ব্যক্তি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে বন্ড দিয়েছে। একটা না একটা বাজীমাৎ করলেই কেল্লা ফতেহ। নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময়ে শ্রেষ্ঠীগণ আপন বন্ডেড দলের জয়ে মিঠাই, ধোকলা বিতরণ করে। নতুন রাজা শপথ গ্রহণ করতে দেখে জনগন। উষ্ণীষে তাজ খচিত শ্রেষ্ঠীগণ দেখে তার বন্ডেড লেবারের শপথ।

অভাগারা ভারতের দিক থেকে ধার্মিক দেখে এবং ঠিকই দেখে। চতুররা ইন্ডিয়ার গ্যালারি থেকে দেখছে। তারা বফাদার, পোষ্য বন্ডেড লেবার দেখছে, ঠিকই দেখছে। তথাকথিত সরকারের প্রাথমিক কর্ম বিনিয়োগকারীদের শোষণে সহযোগিতায় তুষ্ট করে আগামী নির্বাচনে বিনিয়োগ সুনিশ্চিত করা। জনগনের দাবী খুব কম। এক শীর্ষ নেতার সুরক্ষায় বছরে যত খরচ হয়, সেই অর্থে চন্দ্রযান-৩ চাঁদে পাঠানো যায়। নেতার বেঁচে থাকার টাকা নিশ্চই বণিককুল দেবে না। ভারতের মত দেশে প্রতি মহল্লায় ওরকম নেতার আগাছা জন্মায়। কিন্তু দেশবাসী নিজগুণে নেতাকে ধার্মিক ও ফকির মনে করে। ফলে ফকিরকে বাঁচিয়ে রাখার তাগিদ তাদের আছে। তবু ধার্মিক এমন বিকশিত ভাবে শোষণ করেন, যাতে জনগনের মালুম না হয়। বিগত ৩ বছরে রেল ওয়েটিং লিস্টের টিকিট বাতিল থেকে ১,২৩০কোটি আয় করেছে। গরীব মানুষ ব্যাঙ্কে ন্যুনতম ব্যালেন্স রাখতে না পারায় জনদরদী ফকির নীরবে ১,৭৭২কোটি কেটে নিয়েছেন। সিনিয়ার সিটিজেনদের ছাড়ের সুবিধাটা রেল ছিনিয়ে নিয়ে বৃদ্ধ ধার্মিক ফকির ২,৫০০কোটি মুনাফা করে নিয়েছেন।

নির্ভীক ফকিরের নিরাপত্তায় প্রতিদিন খরচ ১.৬২কোটি টাকা। সেই তুলনায় গরীবরা টুপটাপ চুপচাপ প্রতিবাদহীন মরে যায়। ৮৫বছরের পারকিনশন রুগী পাদ্রী ফাদার স্ট্যান স্বামীকে আরবান নক্সালাইট বলে ফকির ভয় পান বলে বিনা বিচারে কারাগারে মরে গেলেন। প্রধানমন্ত্রী বানাতে বন্ড দেয় বানিয়ারা, কিন্তু সরকার বানাতে জিএসটির ৫০% দেয় তিন-চতুর্থাংশ গরীব ভারতবাসী। আধার কার্ড লিঙ্কে পেনাল্টি বাবদ ফকিরের ফকির সরকার ৬০০কোটি শুষে নিয়েছে। গরীবরা হিন্দু রাষ্ট্র, হনুমান, গোবর, গোমূত্রে খুশী। কান্দাহার হাইজ্যাক, অক্ষরধাম হামলা, রঘুনাথ মন্দিরে হামলা, কার্গিল-দ্রাসে আক্রমণ, সংসদে হামলা, অমরনাথ যাত্রীদের খুন, উরি সেক্টর থেকে পুলওয়ামায় হামলা হিন্দুরাষ্ট্রবাদীদের জামানার ফসল। রামমন্দিরের রায় শীর্ষ আদালত দিয়েছে। বিচারপতি সাংসদ হয়েছেন। ১,৮০০কোটি দিয়েছে ভারতীয় জনগন কিন্তু উপুর হয়ে শুয়েছেন ফকির বাবাজীবন। অর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরণ বলছেন, কর্ম-সংস্হানের অভাবে বেকারত্বের যে আন্তর্জাতিক সমীক্ষা তাতে ফকিরকে চিৎ করেও আর সুবিধা নেই।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্হা (ILO) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইন্স্টিটিউট ফর হিউমান ডেভেলপমেন্ট (IHD) একটি সমীক্ষায় জানিয়েছে যুবশক্তির ভারতে বেকারদের মধ্যে ৮৩% তরুণ-তরুণী। ২০০০সালে যখন বেকারদের ৩৫.২% শিক্ষিত ছিল, ২০২২সালে বেড়ে হয়েছে ৬৫.৭%। গ্রামে তরুণদের মধ্যে মাত্র ১৭.৫% নিয়মিত চাকরি করে। ২০১২তে অর্থিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত তরুণদের হার বিকাশের পথে ২০২২এ ৪২% থেকে কমে ৩৭% হয়ে গেছে। ২০১২সালের তুলনায় বেকারত্বের হার বেড়েছে ৩গুণ। গ্যাস, জ্বালানি, খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসার খরচে দ্বিগুণ বিকাশ হয়েছে। ২০১৪সালে বছরে ২কোটি বেকারের কর্মসংস্হানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তাতে বন্ডের মালিকদের অনুমতি ছিল, নাকি বন্ডেড লেবার নিজেই আশু ফায়দার তাগিদে জুমলাবাজী করেছেন? বিদেশে সঞ্চিত কালাধন ফিরিয়ে প্রত্যেক ভারতবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫লাখের স্বপ্ন ধাপ্পাবাজী ছিল, প্রবল ধার্মিক ভিন্ন সবাই জানত। অর্থমন্ত্রীর স্বামী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, লেখক পরকলা প্রভাকর ইলেক্টোরাল বন্ডকে বিশ্বের বৃহত্তম আর্থিক স্ক্যাম বলেছেন।

একটি দুর্বল সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্মণ সীমান্তে নিরাপত্তাহীনতা। ৯,০০০কোটির স্ক্যাম করে বিজয় মাল্য, ভাই নীরভ মোদী, মামা মেহুল চোক্সিদের ১২,৬৩৬কোটির জালিয়াতি, যতীন মেহেতার ৭,০০০কোটির বাটপারি, চেতন-নীতিন সন্দেসারাদের ৫,০০০কোটির ডাকাতি সহ ললিত মোদীর ১২৫ কোটির ভারতছাড়ো আন্দোলন ভারতবাসী ফ্যালফ্যাল করে দেখেছে। বিজয় মাল্য ছাড়া সবাই দেখুন ভারতের একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের অধিবাসী। এছাড়াও আশিস জোবানপুত্র (৭৭০), রীতেশ জৈন (১৫০০), সুরেন্দর সিং-সভ্য শেঠ (৩৯০), সঞ্জয় ভান্ডারী (১৫০) থেকে নীলেশ পারেখের (২,২২৩) মত জালিয়াত ভারতভূমি মুক্ত হয়েছেন। ওনারা যখন দেশত্যাগ করছেন, তখন ফকির চোখ বন্ধ করছেন, নাকি বন্ডের মালিকরা বন্ড-ভৃত্যকে হুকুম করছেন? আজকে উনি জনৈক রাজমাতা প্রার্থীকে বলছেন, ইডি বাংলায় যে ৩,০০০কোটি বাজেয়াপ্ত করেছে, তা ফেরৎ দেবেন। সেই রাজমাতা অমৃতা রায় রাজনীতির মানুষ নন, ফলে নীরভ-ললিত মোদীর গল্প জানার কথা নয়। আমরা পাল্টা প্রশ্ন করতাম। বন্ডদাস তাই শোনেন না।

নেহেরু জামানায় নাকি কালাধনে ভরে গিয়েছিল। নোটবন্দীতে সব কালাধন নির্দ্বিধায় সফেদ হয়ে ৯৮% কোষাগারে ফেরৎ এল। ১৪২জন নিরপরাধ সহনাগরিক অসহায় ভাবে মরলেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি.ভি নাগরত্না, তথা আরবিআই গভর্নর রঘুরাম রাজনের মতে কালোবাজারীদের টাকা সাদা করার ওয়াশিং মেশিন নোটবন্দী। তালি থালি বাজিয়ে করোনা মোকাবিলাতে সরকারী হিসাবে ৫,৩৩,৫৪৩জনের মৃত্যু। বহু গুণ বেওয়ারিস লাশ ভেসেছে নদীর জলে। যিনি এ প্লাস বি হোলেস্কোয়ারে এ স্কোয়ার বি স্কোয়ারের সাথে যিনি টু-এবির মুনাফা দেখেন, তাঁকে সন্তানের গৃহশিক্ষক নিয়োগ করতেন? তিনি বাজারে গ্যারান্টি বিক্রী করছেন চৈত্র সেলে! ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস ইনডেক্সে ১৫০টি দেশের মধ্যে ১২৬ নম্বরে ভারত। রামমন্দির বানিয়ে, গোমূত্র সেবনে লাভ কী হল? আপনার ঘরের টেলিভিসান বন্ডমালিক বানিয়েদের কথা বলতে বাধ্য। বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নিরিখে ভারতের স্হান ১৬১তম। ওরা চাইলে ফকির ছাড়া কোন বিকল্প শক্তিকে আপনারা দেখতে পাবেন না ভূভারতে।

তারপরেও আপনাকে ভাবতে বাধ্য করছে সাড়ে তিনশ নাকি চারশ আসনে জিতবে বন্ডভোগীদের দল। সংবাদপত্রের একপাশে লেখা বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনৈতিক স্ক্যামের কারিগর ধার্মিক ফকির। আরেক পাশে জনতার উল্লাসে নাকি তিনিই ফিরবেন ক্ষমতায়। সাদ্দাম হোসেন, গদ্দাফি, ইদি আমিন দাদার মত জনদরদী স্বৈরাচারীরারা ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। হাতে গ্যারান্টির প্যাকেট ধরিয়ে দিচ্ছেন, বাড়ি গিয়ে খুলে দেখলেন, পুরানো আমলের ছারপোকা মারার যন্ত্রের মত দুটো পাথরের খন্ড। কাশ্মীরে ৩৭০ধারা লাগু হয়েছে, কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন হাজার কাশ্মীরী পন্ডিতের ৮০৮টি পরিবার ২৬২টি আস্তানায় বাস করেন। ইউপিএ-১ সরকারের সময়ে শেষ ৬হাজার চাকরির ব্যবস্হা করা হয়। নব্বই দশকে সোয়া তিন লাখ কাশ্মীরী পন্ডিত ছিলেন। যাঁরা উপত্যকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন, তাঁরা আর ফিরতে চান না। প্রধানমন্ত্রীকে দুঃখের কথা বললে অসহায় চোখে কেবল তাকিয়ে থাকেন। শকুনের চোখে পাতা পড়ে না। হয়ত বন্ডপ্রভূ তেমন কোন হুকুম দেননি, ফলে ফকির কিংকর্তব্যবিমূঢ়। ভোট লুঠ লিয়া, উসকা বাদ শোচো মাত ভাই।

সম্প্রতি তৃণমূল দলের মুখপাত্র জনৈক তৃণমূলের সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন যে তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রীর সাথে সেটিং করে রোজভ্যালি চিটফান্ডের তদন্তে মুক্ত হয়েছেন। জনমানসে সিবিআই, ইডি, আয়কর, এনআইএ, এসএফআইওর মত তদন্তকারী সংস্হাকে নির্লজ্জ ব্যবহারের ধারণা ছিল। তদুপরি তৃণমূলের এক বিধায়কের অভিযোগ সেই তৃণমূলের সাংসদ তাঁর বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্হাকে তল্লাশিতে পাঠিয়েছেন। সুতরাং কেবল প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল নয়, চাটুকার দলের সাংসদও তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন। আরো বিশ্বাস হল, যখন সেই বিধায়ক প্রধানমন্ত্রীর দলে নাম লিখিয়ে সংসদীয় নির্বাচনের প্রার্থী হলেন। বাংলার তৃণমূল সরকার এমন কোন ক্ষেত্র বাদ রাখেনি, যেখানে দুর্নীতি হয়নি। বিগত দশ বছরে নারদ, চিটফান্ড তদন্ত থেকে শুরু করে, নিয়োগ দুর্নীতি, গরু-কয়লা-বালি-পাথর পাচার থেকে অবৈধ নির্মাণের তদন্তের কোনটা শেষ হয়নি। যে বন্ডপ্রভূরা প্রধানমন্ত্রীকে আশীর্বাদ করে ফকির করেছেন, সেই প্রভূরাই বাংলার মেয়েকে সততার প্রতীক করেছেন। প্রভূর অফিসে দুর্গা নামে এনরোল করা আছে।

একজন মানুষ অপদার্থ হতেই পারেন। চুড়ান্ত ব্যর্থও হতে পারেন। ব্যক্তিটি ঝাড়খন্ড বা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপারে উদ্যোগী কিন্তু বঙ্গপিসি ও ভাইপোর বখরা দেখলেই যথারীতি হতোদ্যোমী। ইতিমধ্যে জার্মানী ও মার্কিণ যুক্তরাষ্ট্র সব ভারতীয়ের সমান আইনের সুবিচার পাবার অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে ছোট্ট করে কান মুলে দিয়েছে। বন্ডমোদী-ভন্ডমোদী মধ্যযুগীয় সামন্ততান্ত্রিক ও পরিবারতান্ত্রিক দুর্বল নেতৃত্বের প্রধান বিরোধী দলের বকেয়া ১৮২৩কোটি আয়কর দাবী করেছে নির্বাচনের প্রাক্কালে। এমনকি রাষ্ট্রপুঞ্জের মুখপাত্র স্তেফেন গুতেরেস ভারতের গণতন্ত্রের দীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে।  দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০১৪তে ছিল ৭.৪১%, এখন ৬-৬.৮%। GDP Normal (Per Capita)য় ভারত ১৩৮তম স্হানে। ১৩৭এ বাংলাদেশ, ১৩১এ শ্রীলঙ্কা, ১২৮এ ভূটান। শিক্ষিতের হারে ভারতে স্হান ১২৮তম। স্বাস্হে ১৬৭টি দেশের মধ্যে ১১১তম। দুর্নীতিতে বিশ্বে ৯৩তম স্হানে। ফকিরকে ভাগ্যিস কোন যুদ্ধ করতে হয়নি। প্রতিরক্ষার অবস্হা অজানা। বন্ড-ভন্ডের মুখের কথায় বিশ্বাস করা আত্মহত্যা।

ভারতের মসনদ নিষ্কর নয়। বিনিয়োগ নিয়ে সিংহাসনে বসে সুদে আসলে বিপুল লভ্যাংশ বুঝিয়ে দিতে হয়। আগে জাহাজ বোঝাই করে ইংল্যান্ডে যেত, এখন চোখের সামনে দিয়ে বিদেশে যায়। ভারতের বীমা, রেল, ব্যাঙ্ক, বিমান, বন্দর, খনি দেদার বিক্রী হয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে ব্রিটিশদের পক্ষে ছিল এই রাজনৈতিক দলটি। স্বাধীনতা হরণেও মসনদে আসীন। বিশ্বের সর্বাধিক সুখী দেশগুলি আজ ধর্ম বিমুখ। আর ভারতকে ধর্মের ফাঁস পরিয়ে কাঁদাচ্ছে ফকির সমাজ। দশ বছর আগে হিন্দুরা বিপদে ছিল না, দশ বছর পরে জানা গেল হিন্দু খঁতরেঁ মেঁ হ্যাঁয়। NRC, CAA নিয়েও রাজনীতি। ফকির নিজে বাঁচতে যত খরচ করেন তার ১শতাংশ খরচ করলে শুনতে পেতেন সন্দেশখালির শাহজাহানের আলাঘরে নারীর শীৎকার। সন্দেশখালির নারীরা রুখে দাঁড়ালে সেটাও ফকিরের রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে যায়। আমরা স্বাধীন নিষ্কর প্রধানমন্ত্রী চাই। বানিয়ার মনোনীত করদ প্রধানমন্ত্রী নয়। ধনী-দরিদ্রের ক্রম-বর্ধমান ফারাকের বিরুদ্ধে সরব হতে পারবেন, যাঁকে ফকির সাজতে হবে না, উন্নতশির এবং জ্ঞানী হবেন কেবল।