হিন্দু মহাসভার কার্যনির্বাহী সমিতি ভারতীয় সমাজের সামরিকীকরণ ও সৈন্যবাহিনীর ভারতীয়করণের প্রত্যাশা করেছিল। ব্রিটেনের ধাঁচে এদেশে অস্ত্র আইনের সংশোধন দাবি করা হয়েছিল। আরও দাবি ছিল আঞ্চলিক ও আধা-সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করা, যে সব প্রদেশে সামরিক সংগঠন নেই সেখানে তা তৈরি করা এবং সর্বোপরি আরও বেশিসংখ্যক ভারতীয় ছাত্রকে সামরিক আকাদেমিতে সুযোগ দেওয়া। হিন্দু মহাসভা আধুনিক সমরাস্ত্রের দেশীয় উৎপাদন বাড়াবার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানায়। এতে বিদেশ থেকে আমদানির ওপর নির্ভর না করেই ভারতীয় সৈন্যবাহিনীকে সক্ষম করে তোলা যাবে। এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার ঠিক পরেই, হিন্দু মহাসভা একটি জাতীয় মিলিশ্যা (স্থানিক বাহিনী) গঠনের কাজ শুরু করে। স্বাভাবিকভাবেই মুঞ্জে এর দায়িত্ব পান। ৮ই অক্টোবর পুনেতে মিলিশ্যার প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে প্রাথমিক সভায় দলের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে মুঞ্জে ভবিষ্যতে সংগঠনের চেহারা নিয়ে বলেন—হিন্দু মিলিশ্যা ইঙ্গ জার্মান যুদ্ধের সময় যখনই কোন আপৎকালীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তখনই দেশের ভেতরের ও বাইরের আগ্রাসনের হাত থেকে ভারতকে বিচার কাজে অংশ নেবে।

…… সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সামরিক দিক থেকে মহারাষ্ট্রের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা মনে রাখলে, মহারাষ্ট্র থেকেই এর সূত্রপাত হওয়াটাই সর্বতো উপযুক্ত। সারা ভারত এই নেতৃত্বকে অনুসরণ করবে (NMML, পূর্বোল্লিখিত, circular letter dated September 27]

দেশের ভেতরের ‘আগ্রাসী মুসলিমরা ছাড়া আর কারা ? এর উত্তরটা বোধকরি রয়েছে ১৮ই অক্টোবর, ১৯৩৯-এ মুঞ্জের খাড়পারেকে লেখা চিঠিতে…

মুসলিমরা নিজেদের একটা উৎপাতে পরিণত করেছে। কংগ্রেস সরকার এদের আটকাবার চেষ্টা তো করবেই না, বরং প্রশয় দেবে। এই সরকারের কাছ থেকে আমরা কোন সুবিবেচনা আশা করি না। আমাদের সরকার এবং মুসলিম উভয়ের সাথে লড়তে হবে, যেমনটা যুক্তপ্রদেশে খাসকাররা করছে। হিন্দু মহাসভা এ ধরনের লড়াইয়ে মদত দেবে যেরকম মুসলিম লীগ খাসকারদের দিচ্ছে আপনারা নিজেদের শহরের পেচ্ছাসেবকনের তৈরি রাখুন। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ এব্যাপারে বেশ কাজে আসতে পারে [NMML পূর্বোল্লিখিত]। 

মুঞ্জের আরও চাঁছাছোলা ভাষায় কংগ্রেসের প্রতি তাঁর বিদ্বেষ প্রকাশ করেছিলেন।

একটাই শুধু চিন্তার বিষয়………. পারস্পরিক সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী এবং বিবদমান দুটি ভাবাদর্শ, চরকা’র সাথে যদি বন্দুকের সঙ্ঘাত বাধে? [NMML পূর্বোল্লিখিত Circular letter] 

গান্ধীবাদী প্রতীক চরকা কংগ্রেসের নামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল। ‘আভ্যন্তরীণ শত্রুর বিষয়টি ফ্যাসিবান ও হিন্দু জাতীয়তাবাদের ভাবাদর্শের নৈকট্য প্রমাণ করে। মনে হয় যে, হিন্দুত্ববাদীরা মুসলিম সম্প্রদায় এবং কংগ্রেসের সাথে দ্বন্দ্বে যতখানি আগ্রহী ছিল, ততখানি ব্রিটিশদের মোকাবিলায় নয়।

মুঞ্জের ছক অনুযায়ী জাতীয় মিলিশ্যা গঠনে আর এস এস-কে যুক্ত করতে হবে। ১৮ই অক্টোবর, বরোদার জেনারেল নানাসাহেব সিন্ধেকে লেখা চিঠিতে তিনি জানান : 

আমি আনন্দিত যে, আপনি মহারাষ্ট্রের জন্য হিন্দু মহাসভার উদ্যোগে হিন্দু জাতীয় মিলিশ্যা গঠনের ব্যাপারে আমার ভাবনাকে অনুমোদন দিয়েছেন। আমি নিজেই আর এস এস-র কথা চিন্তা করছিলাম, আর ওদের নেতাদের সাথে আমার চিঠি লেখালিখি চলছে। ওদের কিছু নির্দিষ্ট সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু আসল কথা হল এই অবস্থাতেই মিলিশ্যা গঠন করতে হবে, তা আর এস এস যোগ দিক্ না দিক্‌। [NMML পূর্বোল্লিখিত]

এই প্রারম্ভিক পর্বে, মুঞ্জের পরামর্শ করেছিলেন হেডগেওয়ারের সাথে। দুজনের ভেতর চিঠিপত্রের আদান-প্রদান ছাড়াও, মুখে হেডগেওয়ারের সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন মিলিশ্যাতে যোগদান নিয়ে আলোচনার জন্য [NMML পূর্বোল্লিখিত, Letter from B S. Monje to Hedgewar, Oct. 18,1939]

২৭ই অক্টোবর লাহোরের এক উগ্র হিন্দুত্ববাদী মুঞ্জেকে জানান, বর্তমানে পাঞ্জাবে অনেকগুলো দল ও সঙ্ঘ রয়েছে। এদের মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০,০০০; কিন্তু এরা কোন একটা সংগঠনের আওতায় কাজ করে না। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ, আত্ম সঙ্ঘ, মহাবীর দল, সেবা সপ্ন এবং আকালি দল আলাদা আলাদা নেতাদের অধীনে আন্দোলন করছে। এদের এক ধরনের জঙ্গী সংগঠন আছে। আকালি দলের সদস্যরা তরবারি সঙ্গে রাখে; কিন্তু অন্যদেরও কিছু না কিছু হাতিয়ার রয়েছে। আর এস এস-র আছে শুধু লাঠি। এখন প্রথম কাজ হলো এইসব সঙ্ঘগুলো একটিমাত্র নেতৃত্বের মধ্যে নিয়ে আসা। তবে সেই নেতৃত্ব কোন একজন ছড়ির না, একটি কাউন্সিলের হাতে থাকবে [NMML পূর্বোল্লিখিত]। 

এরকম তোড়জোড় সত্ত্বেও, হিন্দু মিলিশ্যা গঠন করা যায়নি। ব্রিটিশ সরকার সামরিক আধা-সামরিক সংগঠন ও বিদ্যালয়ের ওপর চলতি নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে রাজি হয়নি।

এটা প্রমাণ করা কঠিন যে, উগ্র হিন্দুবাদ কাদের বিরুদ্ধে নিজেদের সশস্ত্র করে তুলছিল- সম্ভাব্য বিদেশী আক্রমণ, দেশের ভেতরের শত্রু অথবা ব্রিটিশরাজ ? খুব সম্ভবত তারা তাদের আসল লক্ষ্যকে আড়াল রেখেছিল আর ভবিষ্যতে যেকোন অনুকূল পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার জন্য নিজেদের তৈরি করেছিল। যাই হোক, এটা ঘটনা যে, ১৯৩৯-র ৯ই অক্টোবর বোম্বেতে Linlithgow-র (তৎকালীন ভাইসরয়) সাথে আলোচনায় সাভারকর ব্রিটিশদের প্রতি আপসের মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন। Linlithgow-র ভাষ্য অনুযায়ী-

তিনি (সাভারকর) বললেন, পরিস্থিতি এখন এমন যে ব্রিটিশ সরকারের হিন্দুদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে, তাদের সহযোগিতা নিয়েই কাজ করা উচিত। যদিও আমাদের সাথে হিন্দুদের সম্পর্ক অতীতে তেমন ভালো ছিল না; কিন্তু এরকমটা তো ব্রিটেন ও ফ্রান্স এবং জার্মানি ও রাশিয়ার মধ্যেও ছিল। আমাদের স্বার্থ এখন এক এবং তাই আমাদের মিলেমিশে চলা উচিত। সবচেয়ে জরুরী বিষয় হলো হিন্দুবাদ ও ব্রিটেনের মধ্যে বন্ধুত্ব। পুরোনো বৈরিতা এখন অপ্রাসঙ্গিক। হিন্দু মহাসভা, তিনি (সাভারকার) বললেন, যুদ্ধের শেষে ডোমিনিয়ন স্ট্যাটাস নির্দ্বিধায় মেনে নিতে রাজি। একই সাথে, এটাও সত্যি, তারা কংগ্রেসকে তাদের নিজেদের সংগঠন ছাড়া আর কারোর প্রতিনিধি হিসেবে মানতে রাজি নয় [Indian office (IO) MSS Eur F 125/8, 1939, Letters to the Secretary of State for India: the letter is dated October 7, but the report of the meeting is in the postscript on October 9 ] |

১৯৪০-এ হিন্দু মহাসভা ভাইসরয়ের শাসন পরিষদ (executive Council) এবং যুদ্ধ দপ্তরে (war office) যোগদানের ইচ্ছার কথা ঘোষণা করে। আমাদের এটা ভুললে চলবে না যে, হিন্দু মহাসভা বা আর এস এস কেউই ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনে অংশ নেয়নি। তারা এই পর্বে কী অবস্থান নিয়েছিল, তা পরিষ্কার ধরা পড়ে সাভারকারের ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪২- ঘোষণাপত্রে। এখানে তিনি জানান জাপান যদি ভারত আক্রমণ করার পর এদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য প্রস্তুত থাকত, তবে তা ভারতবাসীদের ‘অবিশ্বাস্যভাবে উদ্দীপ্ত করত। তাই ব্রিটিশদের এরকম একটা আভাস দেওয়া উচিত যে, তাদের পাশাপাশি যুদ্ধ করার অর্থই হলে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করা। অর্থাৎ হিন্দু মহাসভা (সম্ভবত তার সহযোগীরাও) ব্রিটিশদে সাথে হাত মিলিয়ে দেশের ক্ষমতা দখলে যতখানি আগ্রহী ছিল, তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ততখানি নয়।

হিন্দু জাতীয়তাবাদের এই স্ববিরোধী মনোভাবের আরেকটি দিক ছিল ইউরোপীয় একনায়কদে নির্লজ্জ স্তুতি। পুনেয় সঙ্ঘের কার্যকর্তাদের প্রশিক্ষণ শিবির সম্পর্কে ১৯৪২-র মে মাসের পুলিস রিপোর্ট অনুযায়ী-

ডাঃ পি সি সহস্রবুধে স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে তিনবার ভাষণ দিয়েছেন। ৪ঠা মে তিনি ঘোষণা করেন যে, সঙ্ঘ একনায়কতন্ত্রের নীতি মেনে চলে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে অকার্যকর প্রমাণ করতে গিয়ে তিনি ফ্রান্সের উদাহরণ দেন। আর স্বৈরতন্ত্রকে প্রশংসা করার ক্ষেত্রে তিনি জাপানকে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরেন। বিশেষ করে ফুয়েরার হিটলারের নীতির জয়গান করেন। ২১মে, ১৯৪২-এ তিনি রাজনৈতিক প্রচারের গুরুত্বের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাশিয়া এবং জার্মানির নমুনা দেন। নেতৃত্বের গুণাবলীর তাৎপর্য বোঝাতে গিয়ে তিনি মুসোলিনির সাফল্যের প্রসঙ্গ টানেন [NAI Home Poll Dept 28/ 8/1942, Summary of report on the officers Training Camp of Rashtriya Swayan Sevak Sangh held in April/ May 1942 at Poona, copy in MSA, Home Special Dept. 822 IInd, 1940-11

১৯৪০-র দশকে, যখন সর্বগ্রাসী শাসনগুলো তাদের নখদন্ত বের করেছিল তখনও উগ্র হিন্দুবাদী সংগঠনগুলোর ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিবাদের প্রতি অনুরাগ কমেনি। হিটলার এবং মুসোলিনির নৃশংসতার খবর জানার পরেও হিন্দু জাতীয়তাবাদের মুখ্য সংগঠনগুলো এই একনায়ক ও তাদের শাসনের প্রশংসা করে গেছে। এটা যৌক্তিক হতো, যদি তা জোরালো ও সংহত ব্রিটিশ-বিরোধী নীতির অংশ হতো। কিন্তু আমি এটা দেখাবার চেষ্টা করেছি যে, হিন্দুত্ববাদী শক্তিগুলোর মনোযোগ দেশের শত্রু’ মুসলিম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যতখানি নিবদ্ধ ছিল, বিদেশী আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ততখানি নয়। সুভাষচন্দ্র বসুর অক্ষ শক্তিবর্গের সাথে মৈত্রী ছিল মূলত এক ব্রিটিশ-বিরোধী পদক্ষেপ; কিন্তু, হিন্দু মহাসভা ইউরোপের একনায়কদের প্রতি তাদের সমর্থনকে ব্রিটিশকে ‘ব্ল্যাক মেইল করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিল। 

উপসংহার

—————-

এতদূর আলোচনার সূত্রে দেখা গেছে যে:

(ক) হিন্দু জাতীয়তাবাদের প্রধান ঐতিহাসিক সংগঠনগুলো এবং নেতাদের ফ্যাসিবাদ ও নাৎসিবাদ সম্পর্কে একটি সুনির্দিষ্ট ও নিরবচ্ছিন্ন আগ্রহ ছিল।

(খ) হিন্দু জাতীয়তাবাদের ওপর ফ্যাসিস্ত ভাবাদর্শের প্রভাব বাস্তব সত্য ও প্রাসঙ্গিক। 

(গ) এই প্রভাব অনেকটাই প্রবাহিত হয়েছিল ইতালিয় ফ্যাসিস্ত রাষ্ট্র ও হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের ভেতর প্রত্যক্ষ সংযোগের মধ্যে দিয়ে। নিঃসন্দেহে, ১৯২০-র দশকের শুরু থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা প্রথমে ফ্যাসিস্ত ইতালি ও পরে নাৎসি জার্মানির রাজনৈতিক বাস্তবতাকে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছিল।

ফ্যাসিবাদ ও হিন্দু জাতীয়তাবাদের মধ্যে যোগসূত্রের অন্যতম ফল হয়েছিল হিন্দু সমাজকে সামরিকীকরণ এবং হিন্দুদের মধ্যে জঙ্গি মানসিকতা গড়ে তোলার প্রয়াস। ফ্যাসিবাদী অভিঘাতের সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক পরিণতি হয়েছিল ইতিমধ্যেই সক্রিয় রাজনৈতিক হিন্দুত্বের সংগঠনগুলোর আরও সক্রিয় ও জোরালো রাজনৈতিক চরিত্র পরিগ্রহ করা। ভাবাদর্শের স্তরে সবচেয়ে অর্থবহ প্রতিক্রিয়া হলো হিন্দু জাতীয়তাবাদের ‘বিভিন্নতা’ (diversity) সম্পর্কে নিজস্ব ধারণা তৈরি এবং ‘ভিন্ন’ (diverse) জনগোষ্ঠীকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা। ‘দেশের শত্রু’ সম্পর্কে ধারণা আগে থেকেই সাভারকরের ‘হিন্দুত্ব’-এ অন্তর্নিহিত ছিল। তা সত্ত্বেও, জার্মানির জাতি-বৈষম্য নীতির একটানা উল্লেখ এবং জার্মানির ইহুদী সমস্যার সাথে ভারতের মুসলিম প্রশ্নের তুলনা করা- খোলাখুলিভাবে ফ্যাসিস্ত ধাঁচে ‘দেশের ভেতরের শত্রু-র ধারণা গড়ে তুলেছিল।

আমার মতে, ভারতে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে হিন্দু উগ্র মানসিকতার বিবর্তনকে বুঝতে হলে, দেশজ উৎসের পাশাপাশি, এর বিকাশে বাইরে প্রভাবকেও নজরে আনতে হবে। ১৯২০ ও ৩০-র দশকে ফ্যাসিবাদ ছিল একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। তাই সারা বিশ্বে সমধর্মী আন্দোলনগুলোর মধ্যে এর ছাপ পড়াটাই ছিল স্বাভাবিক। সঙ্ঘ পরিবার ও তেঘরিয়ার সবচেয়ে অসংযত ও বিদ্বেষপূর্ণ মুসলিম-বিরোধী বক্তব্যগুলো সাভারকরের বক্তৃতা আর তত্ত্বের প্রায় আক্ষরিক উদ্ধৃতি ছাড়া কিছু নয়। এর থেকেই মনে হয় ফ্যাসিস্ত প্রভাব আজও চরমপন্থী হিন্দুবাদে সজীব রয়েছে।

_________________________________________

গ্রন্থসূত্র: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস: বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়।

মহাফেজখানার দলিল 

সুভাষচন্দ্র বসু এ অক্ষশক্তি: সুধীপ্রধান