সততার প্রতীকের ঢোল ফেঁসে গেল ।অবশেষে ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে গেল ।বিড়াল আর কতদিন ঝুলিতে থাকবে । ২১কোটি ২০ লক্ষ টাকা ! টাকার বিছানায শুযে কি করত রে বাবা ! ভাবা যায় একজন হেবিওয়েট মন্ত্রীর কি হাল।বাংলার লজ্জা ।যাই হোক এখন প্রশ্ন হল ঐ বিড়াল মারবে কে ??কিছুদিন পরে মিডিয়াও চুপ হয়ে যাবে আর ই ডি হয়তো মাঝপথে থেমে যাবে ।এখন মমতা ব্যানার্জি যেটা করে থাকে সেটাই হয়তো করতে পারে ।অর্থাৎ মেকিয়াভেলির কূটনীতি প্রয়োগ করে বেরিয়ে বাঁচার চেষ্টা করবেন ,যাকে বলে গোপন সমঝোতা ।ভবিষ্যতে দেখা যাবে কি হল ।এখন যে বিষয়কে কেন্দ্র করে গতকাল থেকে টান টান উত্তেজনার মধ্যে টাকার বান্ডিল, সোনার গয়না, সম্পদের পাহাড়ের মাঝে গ্রেফতার হচ্ছে সেই বিষয়ে আসা যাক ।এস এস সি তে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি ।হাইকোর্ট, সি বি আই, ই ডি র ঘেরাটোপে রাজ্য সরকার ।রাজ্য সরকারের যিনি প্রধান অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী তিনি কি তাঁর দায় অস্বীকার করতে পারবেন !দায় তাঁকে একদিন না একদিন নিতেই হবে ।কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা ।

**শিক্ষক নিয়োগে বেহাল দশা**

মেধা চুলোয় যাক  টাকায় চাকরি ।তাও আবার নিলামে।স্বজনপোষণ ,দুর্নীতি, দলীয় আনুগত্যই হচ্ছে চাকরির মাপকাঠি ।তৃণমূল ভবন থেকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছিল ।তাদের চাকরি গেছে ।স্কুলগুলিতে শিক্ষক নাই।শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে ।অথচ উন্নয়নের ঢাক বাজিয়েই যাচ্ছে ।এস এস সি উত্তীর্ণ প্রার্থীরা দীর্ঘদিন অনশন করেছেন,লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ।পুলিশ পিটিয়ে কখনও কখনও তুলে দিয়েছে ।কিন্তু তাদের আন্দোলনকে দমন করতে পারে নি ।অনশন, বিক্ষোভ, অবস্থান, ঘেরাও কর্মসূচির সাথে  আইনী লড়াই ও করে গেছেন ।৭২ ঘন্টায় ৭২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল সরকার ।তার কোন হদিস পাওয়া যায় নি।শূন্যপদ পূরণে মমতা ব্যানার্জি অপদার্থতার জন্য লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক যুবতীদের জীবনকে খাক করে দিল ।তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার নির্বিকার ।শূন্যপদ পূরণে বামফ্রন্ট সরকার ১৯৯৮ সালে র পর থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যা নিয়োগ হয়েছে তা সকলের অবগতির জন্য তুলে দিলাম।


১৯৯৮ এ –নিয়োগ হয়েছে ৮০৭২ জন১৯৯৯ এ –১০,৯৮৭ জন ২০০১এ–১২৬৪১ জন২০০২ এ –৯৯৮০ জন ২০০৪ এ –৮৬৮৫ জন২০০৫ এ –১৪২৬৭ জন ২০০৭ এ –২০ ৮৮৭ জন২০০৮ এ –১০ ৯৯৫ জন২০০৯ এ–১২ ৯৩১জন২০১০ এ –১৩ ৬৭৭ জন ২০১১ এই –১১ ৭২৩ জন সরকারের পরিবর্তন হল।মেধাবী পাশ করা বেকার যুবক যুবতীদের জীবনের স্বপ্ন  তছনছ হয়ে গেল ।আর ওরা প্রেমিক প্রেমিকা নিয়ে জীবনকে উপভোগ করল ।লেখার শুরুতে লিখেছি “বিড়াল মারবে কে? ” বাংলার দামাল ছাত্র যুবরা এই বিড়াল তপস্বীদের তাড়া করবে ।জবাব চাইবে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিকস্তরে ,শিক্ষাকর্মী ও শিক্ষক নিয়োগ কবে হবে ।ঘুষের টাকা সব ফেরত দিতে হবে ।ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বড় দুর্নীতির মামলা আমাদের রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি কেলেঙ্কারি ।এদের কোন বিবেক, নৈতিকতা নাই ।তার জন্যই তো অনশনরত চাকরি প্রার্থীদের উপর পুলিশকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল ।অনশনরত চাকরি প্রার্থীরা জনতার দরবারে যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তা সকলের জানার জন্য লিখলাম  ।

জনতার দরবারে অনশনকারী বৃন্দদের বিবৃতি; –“আমরা এম এ ,বি এড ,/বি পি এড সম্পন্ন  করা সত্ত্বেও সরকারের জীবিকা বিমুখ মনোবৃত্তির কারনে আমরা জীবিকাহীন।২০১২ সালের পর দীর্ঘ চার বছর পর ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন “নবম — দ্বাদশ স্তরে এবং work Education, Physical Education স্তরে যে পরীক্ষা নিয়েছে তাও প্রহসনের নামান্তর ।স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়মভঙ্গের কারনে এবং স্বচ্ছ মূল্যায়নের অভাবে আমরা অপেক্ষমান তালিকাভূক্ত শিক্ষক পদপ্রার্থীতে পরিণত হয়েছি।অথচ তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও দুর্নীতিগ্রস্ততার কারনে প্রভাবশালীদের নাম প্যানেলভুক্ত হয়ে যায় ।তাই পর্যাপ্ত শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও সরকারের নিয়োগ বিমুখীনতা আমাদেরকে হতাশাগ্রস্ত ও মৃত্যুমুখী করেছে ।তাই চাকরির দাবিতে আমরা কারো প্ররোচনা ছাড়াই স্বেচ্ছা য় আমরণ অনশনে অংশগ্রহণ করছি ।আমাদের কোনো রকম শারীরিক বা মানসিক ক্ষতিসাধন হলে, তার দায় সম্পূর্ণ সরকারের ।        ইতি অনশনকারীবৃন্দ কর্তৃক এস এম সি ,যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ দ্বারা প্রচারিত এই আন্দোলন দেখে কবি শঙ্খ ঘোষ কাঁদতে কাঁদতে বলেছিলেন, “হবু শিক্ষকদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে বর্তমান শাসকদল ,৩৪ বছরে এমন অন্তত দেখিনি —–“অপেক্ষায় থাকুন কেউটে বেরুবেই ।[তথ্য সংগৃহীত ২৩৷৭৷২২]