ব্যক্তিগত ভাবে বহু ব্যক্তি কোন ধর্মীয় নিগড়ের দাসত্বে আবদ্ধ নয়। তাঁরা আদপেই সংখ্যালঘু নয়, বিশ্বে ১৬% মানুষ ধর্ম ব্যবসার বৃত্তের বাইরে স্বাধীন। বিজ্ঞান, চেতনা, শিক্ষার আলোকে ধর্ম ব্যাপারীর ছলনা বাঁচিয়ে বাঁচে। তারপরেও মুক্ত মানুষ সুশৃঙ্খল পারিবারিক ও সামাজিক ধর্মীয় আবহে অবস্হান করতে বাধ্য। সেই দুর্ভর পরিচয় কখনও অজান্তে, কখনও নিরূপায় হয়ে বহন করতে হয়। যেমন আমাদের পূর্বপুরুষ হিন্দু রীতিতে আগ্রহ দেখিয়েছেন বা গোষ্ঠীভুক্ত ছিলেন। যখন দেখি লালকৃষ্ণ আদবানি বা যুবা নরেন্দ্র মোদীরা সেই ধর্মের ধ্বজা তুলে একটি মসজিদ ধূলিস্যাৎ করেন, ঠিক তখন পূর্বপুরুষদের ধর্মের অহংবোধের তলানিটুকুও চূর্ণবিচূর্ণ হয়। ব্রিটিশরা ১৯০ বছরে কোন মন্দির, মসজিদ ভেঙে সেই ভিতের উপর সেই উপাদানে গীর্জা নির্মাণ করেননি। সেই আদবানির মত মানুষকে এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান করলে যে নৈতিকতার শ্রাদ্ধ হবে সেদিন জনগন ধর্মীয় উন্মাদনায় বোঝেননি। নারদ দুর্নীতির নায়করা যেমন রেহাই পেল, তেমন সনাতন ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব ও উদারতার দাবীর মূলে কুঠারাঘাত করল দুর্বৃত্তেরা।

কেবল বিশ্বাসের উপর ভিত্তিতে সেখানেই রামমন্দির করতে হল। বাইতুল মুকাদ্দাস নিয়ে সেই কাহিনী। খ্রীঃপূঃ ২১৭০এ ইব্রাহিম জেরুসালেমে বাইতুল মুকাদ্দাস নির্মাণ করেন। খ্রীঃপূঃ ৫৮৬ সালে ব্যাবিলনের সম্রাট নেবুচাদনেজার ধ্বংস করেন সেই মন্দির। তখন নবী মহম্মদের জন্ম সহস্র বর্ষ দূরে। খ্রীঃপূঃ ২০৮ সালে ইহুদী রাজা হেরাড দি গ্রেটের হাতে নির্মিত সেকেন্ড টেম্পল। ধারণা, যীশু খ্রীষ্ট নিজেও সেকেন্ড টেম্পল দেখেছিলেন। ৭০খ্রীষ্টাব্দে রোমানরা সেকেন্ড টেম্পল ধ্বংস করে জুপিটারের মন্দির নির্মাণ করে। সেই রোমানরা খ্রীষ্টান হবার পর মন্দির পরিত্যক্ত হয়, আবার ষষ্ঠ শতকে রোমান সম্রাট জাস্টিনিয়ান সেখানেই গীর্জা নির্মাণ করেন। পরবর্তী কালে ইসলাম আধিপত্যের যুগে সেই স্হানটিই হারাম আল শরিফ বলে বিবেচিত হয় এবং ইসলামের বিশ্বাস রসুল মহম্মদ মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল আকসা মসজিদে এসে ঊর্ধাকাশে যাত্রা করেন। অপরের ধর্মীয় স্হান বিজয়, ধ্বংস, আধিপত্যের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের জন্য রেখে গেল রক্তক্ষয়ী বর্বরতা। আমরা আধুনিক মানুষ কেন বহন করব?

ব্যাবিলনের সম্রাট হোক বা রোমান সম্রাট অগাস্টাসের মন্দির ভাঙার পরাক্রম প্রদর্শন অন্যায় হয়েছিল। ফলতঃ বাইতুল মুকাদ্দসের মালিকানার দাবীদার ইহুদী, খ্রীস্টান ও মুসলিম জনগোষ্টী। ঠিক যে রকম হিন্দুদের বিশাল অংশ লজ্জিত, ক্ষুব্ধ বাবরি মসজিদ ধ্বংসে। শীর্ষ আদালত অবশ্য একটি নির্দিষ্ট অংশে মসজিদ নির্মাণের অধিকার দিয়েছে। সভ্যতা কি সত্যি শুধরে নিতে শিখিয়েছে? ইস্তাম্বুলে আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড চার্চ ৩৬০-১২০৪ খ্রীষ্টাব্দ অবধি রোমান ক্যাথলিকদের প্রাণকেন্দ্র ছিল। ৪র্থ ধর্মযুদ্ধ বা ক্রুসেডের পর বর্তমান স্হাপত্য রোমান সম্রাট জাস্টিনিয়ানের নির্মাণ। কনস্টান্টিনোপল জয়ের পর অটোমান সুলতান দ্বিতীয় মেহমেদ সেই গীর্জায় জুম্মাবারের প্রার্থনা ও খুতবা পালন করে ১৪৫৩ সালে মসজিদে রূপান্তরিত করেন। এগারো শো বছরের সংস্কৃতি ঘৃণ্য তরবারির আঘাতে ছিন্ন হল কিন্তু দ্বিতীয় আয়া সোফিয়া নির্মাণ করা গেল না। ঐতিহাসিক লজ্জাকে ১৯৩৫ সালে নিরাময় করেছিলেন আধুনিক তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক। গীর্জা-মসজিদের বিভেদ সরিয়ে যাদুঘর বসান।

মুস্তাফা কামাল আতাতুর্ক কি শিক্ষা ও চেতনায় পাঁচশত বৎসরের ধর্মীয় অন্ধত্ব দূর করতে পেরেছেন? সব ভারতবাসী যেমন লালকৃষ্ণ আদবানি বা নরেন্দ্র মোদী নন, তেমন সব তুর্কী মুস্তাফা কামাল পাশা ছিলেন না। ২০১৮ সালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান আবার মসজিদের তাস খেলে ক্ষমতায় এসে পুনরায় মসজিদে রূপান্তরিত করেন। ঠিক যেমন আদবানী বা মোদীরা মন্দির তাস খেলেন। এরপর যদি ইজরাইলের ইহুদীরা বাইতুল মুকাদ্দাসের অধিকার নিয়ে তাদের জনগনকে উদ্বুদ্ধ করে, এরদোগানের প্রতিবাদ করার মুখ থাকবে না। ৫৬টি স্বাধীন ইসলামিক রাষ্ট্র আছে বা ইসলাম মতালম্বীরা প্রায় ৯০%। এমনকি পরমাণু অস্ত্রের শক্তিধর রাষ্ট্রও আছে। তাঁরা একসাথে দাঁড়িয়ে বলতে পারছে না, অন্য ধর্মের উপাসনালয় ভাঙ্গা তাঁদের ধর্মীর নীতি ও রীতি বিরোধী, ফলে বাইতুল মুকাদ্দাসের উপর আক্রমণ বা জেরুজালেম দখল বরদাস্ত করা হবে না। আঞ্চলিক ধর্ম ব্যবসায়ীরা স্হানীয়দের উপর ভীতি সঞ্চার করে জনগনকে অধোমুখী করে পথভ্রষ্ট করছে। যেমন মোদী-শাহ-নাড্ডা বলেন, হিন্দু খঁতরে মেঁ হ্যাঁয়-

অথচ এই ধর্ম ব্যবসায়ীরা ইজরাইলের ভূখন্ডে হামাস আক্রমণে উল্লাসে ফেটে পড়েছিলেন। ১,২০০জন ইজরাইলের নাগরিক নিহত হয়েছে যেমন সত্য, তেমনই বাস্তব ১৯,০০০ প্যালেস্তানীয়ের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮,০০০ নিখোঁজ। তারা সবাই নিশ্চই উগ্রপন্হী হামাসের সমর্থক নয়। হাসপাতাল, কলেজ, স্কুলের নিচে সুড়ঙ্গে হামাসরা আত্মগোপন করেছে। একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে সুড়ঙ্গে ডাঁই হয়ে পড়ে আছে হামাস যোদ্ধাদের মৃতদেহ। ভারতীয়রা প্যালেস্তানীয়দের মৃত্যুতে মর্মাহত হলেও ইজরাইলের নিরীহ নাগরিকদের হত্যাতেও হতবাক। সেখানে ধর্ম ব্যবসায়ীদের প্রাথমিক উচ্ছ্বাস ক্রোধে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। ঠিক যেমন ক্রিকেট বিশ্বকাপে দশটি ম্যাচ অপরাজিত থেকে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারতের দুর্ভাগ্যজনক হারে পৈশাচিক আনন্দে মত্ত হয়েছিল প্রতিবেশী দেশের কিছু নাগরিক। এমনকি ভারতের বিরুদ্ধে কলাগাছ দাঁড়ালেও, কলাগাছকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি ছিল। এরা বা ধর্ম ব্যবসায়ীরা ১০০% নন, তবু তাদের অভিঘাতে আক্রান্ত এবং বিপর্যস্ত সমাজের সমস্ত স্তরের মানুষ সুরাহা চায়।

আমরা যতই “তারাই সব নয়, আরো মানুষ আছেন” জাতীয় সান্ত্বনা বাক্যে উপশম খুঁজি, তবু বলব, পলায়নে লুকিয়ে আছে হননের ঠিকুজী। নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহের মত হিন্দুত্ববাদী সব জনগন নয়, এটাও যেমন সত্যি, তেমনই সত্যি মোদী-শাহ ভারতে শাসন কায়েম করেছেন। শান্তিপ্রিয় মানুষ যদি এই নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করাকে উপেক্ষা করার ধৈর্য দেখায় তাহলে সেই অস্ত্রেই শান্তিকামীদের মৃত্যু অবধারিত। আজ নরেন্দ্র মোদীর রামমন্দিরের সাথে অসাম্প্রদায়িকদের ধর্ম নিরপেক্ষতার লড়াই নেই, সেই বিরোধিতার স্হান দখল করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জগন্নাথ মন্দির। এবার মন্দিরে মন্দিরে লড়াই হলে আপনার দাঁড়াবার যায়গাটাও থাকবে না। কিংবা পথভ্রষ্ট হয়ে সংসদ ভবনে রঙীন গ্যাস ছড়িয়ে নিভে যাবে। কারণ ২০০৬ সালে বিধানসভা আক্রমণের পর আমরা সম্মিলিত ভাবে আক্রমণকারীকে প্রতিরোধ করতে পারিনি। আজ আমরা যত কম দেখব, ভবিষ্যতে আমাদের অপমৃত্যু তত তরাণ্বিত হবে। আজ প্রতিটি হননের ঠিকুজী দেখুন আপনার পূর্বপুরুষের ভুলের খেসারতে লেখা।

কোন স্বার্থান্বেষী জনগোষ্ঠী যদি হননের সলতে পাকায় তাহলে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ইতিবাচক সক্রিয়তা দেখাতে হবে এবং যখন রাষ্ট্রযন্ত্র কোন ধর্মের কাছে বিক্রী হয়ে যায়, তখন জনগনকে ধর্ম-নিরপেক্ষ পরিবর্তনের পথ খুঁজতে হবে। প্রকৃতপক্ষে সরকার ও জনগনের মধ্যে সম্পর্ক ভোটপ্রার্থী-ভোটারের দেওয়া-নেওয়ার। ভোটারের সংখ্যা যদি ব্যালটে হেরফেরে সমর্থ হয়, তখন সরকার চোখ বুঁজে থাকে। ভোটার যদি ঘুষ, দুর্নীতির লাইসেন্স, অনুদান পায়, তখন পিঠে কুলো বেঁধে কানে তুলো গুঁজে দেয়। অথচ দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্হা নিলে অচিরেই গভীর সমস্যাগুলি থেকে নিস্তার সম্ভব। উদাহরণ স্বরূপ, সম্প্রতি অনূর্ধ ঊনিশ এশিয় বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ভারতকে হারিয়েছে। বাংলাদেশের কাছে আশার খবর, কারণ ৯বারের মধ্য ৮বার ভারত চাম্পিয়ান। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রচার করছে, ‘চির-প্রতিদ্বন্দ্বী’ ভারত পরাভূত। চির-প্রতিদ্বন্দ্বী কেন? দুই দেশের ক্রিকেটীয় ইতিহাসের গভীরতায় আসমান জমিন ফারাক। বাংলাদেশের জন্মের বিশ সাল পূর্বে ভারত ইংল্যান্ডকে টেস্টে হারিয়েছিল।

মনস্তাত্বিক এই বিদ্বেষকে বলা হয় মেক্সিকান সিনড্রোম। মেক্সিকানরা আমেরিকানদের পান থেকে চূণ খসলেই আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে যায়। মূল কারণ হীণমন্যতা। ভারতের ধার্মিকরা যেমন মুসলমান দেখলেই পাকিস্তানি বা বাংলাদেশী ভেবে বসে, ততোধিক বাংলাদেশীরা হিন্দু মানেই ভারতীয় ভেবে বিদ্বেষ পোষণ করে। পাকিস্তানের সাথে ধার্মিক আত্মীয়তা অনুভব করে, কিন্তু গাজার যুদ্ধে আত্মীয়দের জন্য কেউ এক গেলাস পানি নিয়ে যেতে পারল না। ওয়াজ মেহেফিলে মাইক্রোফোন ফাটিয়ে হুঙ্কার দেন। ইজরাইলের এই আক্রমণ প্রকৃতপক্ষে দাজ্জালের আবির্ভাব। তখন ইমাম মাহদী দামেস্ক শহরে অবস্হান করবেন। আবার হজরত ঈসাও উপস্হিত থাকবেন। দাজ্জাল সত্তর হাজার ইহুদী নিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেও গলে নুন হয়ে যাবেন। মুসলমানরা ঝাঁপিয়ে পড়বে ইহুদীদের উপর। অতঃপর সবাইকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের দাওয়াত দেওয়া হবে। প্রত্যাখ্যান করলেই মৃত্যু। অমুসলিমহীন হবে সমস্ত জগৎ। এসব গল্প শুনে গাঁয়ের চাষী, কলের শ্রমিক নিশ্চিন্তে বিড়িতে টান দিয়ে ঘর পানে টালমাতাল হাঁটা দেয়।

বাস্তবে এই ধর্ম ব্যবসায়ীরা ইহুদীদের থেকে জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে আরো পিছিয়ে দিচ্ছেন জাতিকে। যেহেতু ভারত বহুজাতিক, বহুভাষিক দেশ ফলে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের টানা পোড়েনে টাল সামলে নেবে। বাড়বে দ্রব্যমূল্য, বেকারত্ব এবং শিল্পপতিদের নির্বিচার শোষণ। সামনে ঝুলবে রামমন্দির। ঠিক যেমন ইমাম মাহদী আসবেন। অতীতের অন্যায়, ভুলের খেসারত যেমন আজ দিতে হচ্ছে, তেমনই আজকের অন্ধত্বের মূল্য আগামীকাল সুদে আসলে চুকিয়ে দিতে হবে। একটু খতিয়ে দেখুন, এত শত গরু পাচার হল সীমান্ত পেরিয়ে, সবটাই কি অনুব্রত আর সেহেগাল হোসেনের খেলা? রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব? তাঁরাই আবার গোমাতার সন্তান। তাঁরা কলকাতার সব বড় দুর্গাপূজো উদ্বোধন করেন, চক্ষুদান করেন। গোপনে দুবাইতে জমছে গরুর রক্তের টাকা। মোদীবাবুর জীবদ্দশায় এই তদন্ত শেষ হবে না, আদবানিবাবুর সাংসদ জীবনে এথিক্স কমিটি নারদের মিটিং ডাকতে পারেননি। এরাই ওয়াজ করেন। উপরওয়ালাই ভরসা। অসুস্হ হলে ইমান বন্ধক রেখে হাসপাতালে যান, মসজিদে নয়।

আমরা প্রতিদিন হননের ঠিকুজী বুনন করছি। গাজার যুদ্ধ আপনার কর্মের মার্কশিট ছাড়া আর কিছু নয়। সেখানে দেখে নিন, ৫৬টি মুসলিম দেশের স্কোরকার্ড। সবাই বাড়ির আঙিনার ঘেরাটোপে বসে চিৎকার করেছে। আশার বুজরুকি শোনায়, যে শিশুগুলি জান্নাত-জাহান্নামের অর্থই শেখেনি, তারাও নাকি জান্নাতবাসী হয়েছে। এই জান্নাত লোভী জাহান্নামবাসীরাই পতনের সিঁড়ি রচনা করছে। আঙিনা ছেড়ে বেরিয়ে দেখুন, ইনসাফের তল্লাশে শিক্ষিত, প্রতিবাদী যুবক-যুবতীরা ইনসাফের দাবীতে পথ পরিক্রমা করছে। চোখের উপর থেকে ধর্মের ঠুলি খুলে ফেলে, পৃথিবীটাকে রোটি-কাপড়া-মাকানের ফিতায় মেপে দিক-নির্ণয় করুন। নয়ত পাগলা ষাঁড়ে করলে তাড়া কেমন করে ঠেকাব তায়? ষাঁড়ের তাড়ায় কেতাব খুলে দেখে। এত ধর্মের বই সবার পূর্বপুরুষরাও পড়েছেন, তারপরেও আপনার দুর্দশা ঘোচেনি। আপনি ভুল করলে তার দায় পড়বে আপনার সন্ততির উপর। সে আপনার কাছেই ইনসাফ চাইবে। তারচেয়ে দ্রুত আজ চলুন, ইনসাফ পদযাত্রায় পা মিলিয়ে কড়ায় গন্ডায় হিসাব বুঝে নিই।