২৪শে জানুয়ারী, ২০২৪, ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকের আড়ালে দলীয় মোচ্ছব সেরে নেত্রী ঘরমুখী। দুয়ারে হেলিকপ্টার। পবনযানের ভাড়া বইয়ের রয়ালটি থেকে আসে না, ট্যাক্সোর টাকার কোষাগার থেকে স্ফূর্তির খরচ যায়। আকাশ মেঘলা। পঞ্চায়েত ভোট লুঠের সময়ে, ২৭শে জুন, ’২৩, উত্তরবঙ্গে ভাষণ ছিটিয়ে আকাশ পথে ফিরতি বেলায় কালো মেঘের ঘনঘটায় সুকনার সেনা ছাউনিতে ভয়ে জরুরী অবতরণ। সেই সুযোগে পায়ের ব্যান্ডেজ নির্বাচনে তুমুল ফায়দা দিয়েছিল। ইতিপূর্বে পায়ের পট্টির খেলা ১০ই মার্চ, ’২১এ নন্দীগ্রামে বিধানসভা ভোটে শুভেন্দুর কাছে হেরে উশুল হয়নি। ২০২৪এ লোকসভা নির্বাচনে পায়ের খেলা দেখাতে গেলে হ্যাট্রিকের খোরাক হয়ে যাবে। আকাশ রঙা মেঘ দেখে কবি মন ফন্দির আলপনা আঁকে। বার্ধক্যের শেষ বিকেলে ইলিশগুড়িতে হেলিকপ্টার চড়তে খুব ভয়। হেলিকপ্টার অবশ্য নির্বিঘ্নে ফিরেছে। কনভয় হাঁকিয়ে ফিরতি পথে আফশোসটা রয়ে গেল। হাইওয়েতে ওঠার মুখে সামনে দিয়ে একটা গাড়ি ধীর গতিতে যাবার সময়ে নেত্রীর গাড়ি থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল।

    ঠিক সেখানে চিত্রনাট্যে ক্লাইম্যাক্সের বিস্ফোরণ। সড়ক পথে রাজভবনে যখন পৌঁছালেন, তখন জ্বর সমাগত। ২০০ স্পিডে একটা গাড়ি ড্যাশ করে দিচ্ছিল। মরে যেতেন। গা গুলোচ্ছে, ঠান্ডা লাগছে। ব্রেক কষার সময়ে পুরো ড্যাশবোর্ড এসে মাথায় লেগেছে। কিছুটা রক্তও পড়েছে, কিছুটা ফুলেও আছে, মাথা টনটনও করছে। সেই রোমহর্ষক ঘটনা বর্ণনা করলেন, গাড়ির কাঁচটা বন্ধ থাকলে ড্যাশবোর্ডটা কাঁচ শুদ্ধ ওনার শরীরে যুক্ত হয়ে যেত। গাড়িটা চুরমার হয়ে যেত। পেটোয়া সাংবাদিক অভিযুক্ত গাড়ির বংশ পরিচয় প্রশ্ন করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আইন আইনের বিপথে চলে যাবে। মানে গাড়ি যাবে গাড়ির নির্দিষ্ট গ্যারেজে। মাত্র দু দিন আগে রামলালার শুভনন্দন করলেন মহাসাধক ফকির। মোদীজীর এত বড় ক্ষতি হতে পারে? ভক্ত মন বিশ্বাস করতে চায় না। জয় শ্রীরাম এবং জয়রাম রমেশের রাতে ঘুম হারাম হয়ে যাবে। ছবিতে বারবার দেখে কপালে আঘাতটা ঠাহর করতে পারছিলাম না, ডাকটিকিট সাঁটা ছিল। আশা ছিল, বিশ্ববাংলার মর্মান্তিক দুঃসংবাদে গাজা এবং ইউক্রেনে যুদ্ধ বিরতি ঘোষিত হবে।

/

     দিন পাঁচেক পর দেখি কপালের চেনা ডাকটিকিটটা আর নেই। রক্তপাত হল, তবু আঘাতের চিহ্ন নেই। রামলালার লীলা এই ভাবেই ভক্ত চিনে নেয়। ২০০ কিলোমিটার গতিতে চলা গাড়ির ভিডিও দেখলাম। খুব বেশী হলে ২০ কিলোমিটার গতি ছিল। ছাতে নীল বাতি, মানে লেজওয়ালা কারো হবে। সামনের আসনে আইন মেনে সিট-বেল্ট পরলে ড্যাশবোর্ড আক্রমণ করে না। মরে যাবার মত বেমক্কা দুর্ঘটনায় এয়ারব্যাগ খুলে যায়। পরে চিত্রনাট্যের খসরা বাতিল হয়েছে। ডাকটিকিট লাল ডাকবক্সে সিঁধিয়ে গেল। ভবিষ্যতে আর টুঁ শব্দ হবে না। গান্ধীজীকে লেবু জল খাওয়ানোর মহাফেজখানায় নয়া নথি জমা পড়ল। কিন্তু একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এত বড় ঝুঁকি একের পর এক নিচ্ছেন কী করে? মেরা দেশ মহান, তবু হেমন্ত-শিবু সোরেন, মধু কোড়া, লালু যাদব, জয়ললিতা, ওমপ্রকাশ চৌতালা, ইয়েদুরাপ্পা, করুণানিধি থেকে চন্দ্রবাবু নাইডুরাও মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। জনতা ডাকটিকিটের গল্প খাচ্ছে কী করে? ৪৩০ টাকার গ্যাস ১২০০ টাকায় কিনেও আচ্ছে দিনের গল্প খায়। ফকিরের ডাকটিকিটে জেল ফুঁড়ে বেরোনো যায়।

      যদি ভুল করে কোন সাংবাদিক প্রশ্ন করতেন, ভারতের কোন রাস্তায় ২০০ স্পিডে গাড়ি ড্যাশ করে? এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মবিশ্বাস। তিনি যদি বলতেন, হেঁটে তালগাছে উঠেছি, বিশ্বে সংবাদ পত্রের স্বাধীনতায় ১৬১ নম্বরে থাকা ভারতীয় মিডিয়ার ফিরতি প্রশ্নের মেরুদন্ডটাই নেই। তিনি জানেন ডাকটিকিট নিরাপদ। ওই ডাকটিকিট দেখেই ফকিরবাবু সুদক্ষ ধার্মিক চিনে নেন। লোকসভা নির্বাচনের পূর্ণ দায়িত্ব মমতাকেই ছেড়ে দিয়েছেন এক বছর আগে। কেবল নিঃস্ববঙ্গে গেরুয়া প্রার্থী বেছে দেবেন না, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিরোধীদের বান্ডিল বেঁধে, নামকরণ, অন্নপ্রাশন থেকে শ্রাদ্ধ শান্তির মন্ত্র পড়ে দেবেন। গুজরাতি নৃত্য ডান্ডি থেকে চন্ডীর মন্ত্র ঠোঁটস্হ বলতে পারেন। তিনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি দাবী করেন, বাম ও কংগ্রেস নাকি বিজেপির সাথে ছিল, তিনি নট। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এন.ডি.এর মন্ত্রীত্ব করেছেন, বাম ও কংগ্রেস নট। বুক চিতিয়ে মিথ্যাচারিতার ডাকটিকিট ধর্ম ব্যাপারী ফকিরের ঘনিষ্ঠ করেছে। কলিকালের অন্তিম লগ্নে এই দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার চেয়ে সুচতুর রাজনীতিবিদ আর কেহ নাই।

     নীতিশ, তেজস্বী, অখিলেশদের নবান্নে ডেকে বোঝালেন নীতিশ জোটের নেতা হবেন, রাহুল গান্ধী নন। তেজস্বী দেখলেন ফাঁকতালে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার তাঁর ভোগে উন্মুক্ত। অখিলেশ নীতিশের পেছনে লাইনে দাঁড়ালেন। হেমন্ত আর অরবিন্দকে বোঝালেন, একবার জোটের ঘোঁট কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসলেই দুর্নীতিটাই নীতি হয়ে যাবে। মমতার পরিকল্পনা ছিল, ধ্বংসবঙ্গে কংগ্রেসকে দু-তিনটে ললিপপ ধরিয়ে অন্যান্য রাজ্য থেকে নিশ্চিত আসন হাতিয়ে আবার সর্বভারতীয় তকমা ছিনিয়ে আনার। তারপর দিল্লীর তখত হাতের মুঠোয়। নাম দিলেন ইন্ডিয়া। অরবিন্দের সাথে ষড়যন্ত্রে করে মল্লিকার্জুনকে জোটের নেতা ঘোষণা করে এক তিরে রাহুল আর নীতিশ বধ করলেন। নীতিশ ও অরবিন্দ উল্টো পথে হাঁটা দিলেন। ফকিরকে বললেন, বাকিদের কারাগারে রাখুন অন্ততঃ নির্বাচন পর্যন্ত। সব ফকিরের সাথে শলা করেই দাবার ছক সাজানো হয়েছে। এবার ধ্বংসবাংলায় ফকির বাবাজীর সাথে পাওনা পালার কুস্তির অভিনয় আর রামমন্দিরের ভীতি দেখিয়ে সংখ্যালঘু ভোট কুড়িয়ে নিলেই ফকিরজী তৃতীয়বারের মত ক্ষমতায়।

     মুখ্যুসখ্যু মানুষরা ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছয় মাস আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। হাইকমান্ডের বদ্ধ ঘরে মুখ্যুদের কথা পৌঁছায় না। ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় রাহুল গান্ধীকে তুমুল আতিথেয়তা দিয়ে মমতা বাকি ইতিহাস বুঝিয়ে দিয়েছেন। জয় শ্রীরাম ফকির যতটা তীক্ষ্ণ বুদ্ধিধর, জয়রাম রমেশ ততটা বোকা। সনিয়া রাহুলের বুঝতে আরো কয়েক দশক লাগবে। বিগত বছরে রাহুল গান্ধী একবারও ধ্বংসবঙ্গের দুর্নীতির তদন্ত চাননি, বরঞ্চ সংসদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বাঁদর নাচের ভিডিও তুলেছেন। বাঁদর নাচও মানুষ খাবে যদি মিডিয়ার ডাকটিকিট কপালে থাকে। ওই ডাকটিকিট কপালে লাগিয়ে শেখ শাহজাহান বেহদিশ হয়ে গেছেন। ফকিরের রাফেল বিমান বা যুদ্ধ কামানেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নেহাৎ কলকাতা হাইকোর্টের কতিপয় মাননীয় বিচারপতির দুর্নীতি বিরোধী দৃঢ়চেতায় জনগন আস্হা ফিরে পেয়েছিলেন। আমরা ভুলে গেছি, প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিরপীত প্রতিক্রিয়া থাকে। সৎ বিচারপতি থাকলে ফকির দাদা ও সততা পিসি বিচারব্যবস্হায় ঠিক ব্যালেন্স করে রাখবেন গোপনে।

           প্রশাসনিক কর্তারা এতটাই মেরুদন্ডহীন যে চটিচাটাদের অবসরের পরেও খাজাঞ্চিখানা উপুর করে মায়না দিয়ে বুদ্ধি কিনতে হয়। মৃত্যুর পরও পাঁচ বছর তাঁরা বুদ্ধির ঠিকাদারি বজায় রাখতে পারবেন। তাহলে ফকিরের দপ্তরের আধিকারিকরা কেন কপাল ফাটিয়ে ফেরেন? যে পুলিশ কর্তা সিবিআইয়ের অভিযোগে বিদ্ধ, তিনি কী করে রাজ্য পুলিশের ডিজি হন? মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রশাসনিক কর্তা, বিচারক থেকে মিডিয়া- দেখতে হবে কপালে ফকিরের ডাকটিকিট আছে কিনা। আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ফকিরের ডাকটিকিটের পাসপোর্ট নিয়ে নীরভ-ললিত মোদী, মেহুলমামারা বেহদিশ হয়ে গেছেন। বিনয় ঘরে ফেরে নাই। প্রশ্ন করবেন কী করে? উপবাসী ধার্মিক ফকির এক শিবলিঙ্গ থেকে আরেক লিঙ্গে ছুটে বেড়াচ্ছেন। ফকির দেশবাসীর কপালের ডাকটিকিট চিনতে পারেন। ওরা কর্ম চান না, ধর্ম চান। ফকির সমতা চান না ক্ষমতা চান। আম্বানি-আদানির ভাঁড়ার পূর্ণ, সেটাই ফকিরের পূণ্য। জনগন বিবর্ণ, শূন্য। ফকির আর নেত্রীর চেনা ফর্মূলা, গরীবের অনুদান, বড়লোকের রিবেট। জনতার জন্য টিভির ডিবেট।

   ঘন্টা খানেকের আনন্দ মজলিশে কপালে ডাকটিকিট সাঁটিয়ে কুৎসিৎ ভাষায় শাসক দলের দেড় আঙুলে মুখপত্র বিচারকের মুন্ডুপাত করছেন। ফকির জানেন না, লাল কেল্লায় তেরঙ্গা পতাকা তোলায় দেশপ্রেম সীমাবদ্ধ নয়, এমনকি সীমান্তে ফৌজের সাথে সেল্ফি তুলেও নয়। ভারতীয় সংবিধানকে রক্ষা করা মূল কাজ। আনন্দ মজলিশের দায় নেই, ওদের বিজ্ঞাপন দরকার। ওরা প্রকাশ্য ব্যবসায়ী। কিন্তু ফকির তো প্রকাশ্য বানিয়া নন। কপালে ডাকটিকিট দেখলেই কেন ফকির মেরুদন্ডহীন হয়ে যান? বিধান সভায় দাঁড়িয়ে যেদিন কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিচার কেনা যায়, তখন বিচার ব্যবস্হা চুপ করে ছিল কেন? নরেন মোদীও জানেন, প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে অগ্নিকন্যাই হোক বা ঘুগনিকন্যা, ডাকটিকিট বদলে ফেলতে সময় লাগবে না। যিনি নীতিশ আর অরবিন্দের কপালে ডাকটিকিটে ছাপ লাগিয়ে জোট থেকে ডেসপ্যাচ করে দিলেন, হেমন্তের ললাটে কারাগারের ঠিকানা লিখে ডাকটিকিট সাঁটিয়ে দিলেন, অগ্নিকন্নার কপালে সেই উজ্জ্বল ডাকটিকিটটাই দুর্নীতি পুকুরের অতলে ডাইনীর কালো প্রাণ ভোমরা।

      আপনার শিশুর গাল টিপে যে প্রতিবেশী আদর করল, কপালটা খেয়াল করুন। ডাকটিকিট নেই তো? নোংরা হাতে ছুঁতে দেবেন না। হয় দুর্নীতিতে ওর পরিবার বা নিজে জড়িত, ভান্ডারীভোগী, দান গ্রহীতা, ক্লাবে চুল্লুভাতার ভিখারী, লোভী, খুনী, ধর্ষক, বিগত পাপের ভয়ে জর্জরিত। ওরা ডাকটিকিটটা লুকিয়ে সমাজে মেশে। ওরা মিথ্যার পূজারী, মিথ্যার বেসাতিতে বাঁচে। সবাই নিপাট মিথ্যাচারে আঁতকে ওঠেন, আর ওরা মিথ্যায় অলীক জগতে বাঁচে। কপালের ডাকটিকিট লাগানো রুশ-জার্মান-ফিলিপিন্সের বান্ধবী পোষা রাজপুত্র একদিন ধ্বংসবঙ্গ থেকে বিনয় মিশ্রর মত ডেলিভারি হয়ে যাবেন। পড়ে থাকবে স্হানীয় ডাকটিকিটওয়ালা নেতা। প্রশাসন, মিডিয়া, বিচার ব্যবস্হা কিংবা ধার্মিক ফকির দুর্নীতির বিরোধিতা করবেন না। যত দিন কপালে ডাকটিকিট লাগান আছে, ফকিরের জীবদ্দশায় কোন তদন্তের সুরাহা হবে না। হিসাব আপনাকেই বুঝে নিতে হবে। গল্প শুনে আর কেবল হাসবেন না। সততার প্রতীককে হাসতে দিন। লাখ লাখ অলীক গল্প শুনেছেন। এবার আপনার চাহিদার গল্প বলুন, একবার বিদায় দে মা, ঘুরে-না, ঘুরে আর যে তিনি আসবেন না, সূর্য-চন্দ্রের মত সত্যি।

     রাজীব সিনহার মত নির্বাচন কমিশনার, রাজীব কুমারের মত ডিজি, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত মুখ্যসচিব, ভাইপোর অভিভাবকের মত বিচারক, মার খাওয়া ইডির অধিকারিক, মজলিশি মিডিয়ার বিজ্ঞাপন-ভূক সঞ্চালক, শাহজাহানের মত দুর্বৃত্ত, পার্থ-বালুর মত মন্ত্রী, হুব্বা বোসের মত শিক্ষামন্ত্রী, মাসোহারা ভোগী সুশীল আর কাপুরুষ সেই প্রতিবেশীর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরছেন। আমাদের উচিৎ ছিল সেখানেই ডাকটিকিট ছিঁড়ে ললাট লিখন পড়ে ফেলা। সেখানেই লেখা আছে ফকিরের সাথে গোপন সেটিংএর আজব ছড়া। ফকির ফিকির খুঁজবেন। আমাদের বিশ্ববাংলা বা ধ্বংসবাংলার প্রয়োজন নেই, থাক সোনার বাংলাটাই। সেই সোনার বাংলার ঠিকানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে লেখা নেই। ডাকটিকিট লাগিয়ে কাজ হবে না। জেল গারদের খাঁচার ভিতর মন্ত্রী জাগছে ওই, মা গো আমার মিথ্যা বলা নির্লজ্জ দিদি কই? রেশন চালে, চাকরি বেচে, থোকায় থোকায় ডাকাত জ্বলে, ঘুষের গন্ধে ঘুম আসে না, ফকির সেজে রই।