কথায় আছে স্বভাব যায়না মোলে, আর ইজ্জত যায়না ধুলে। তৃণমূল আছে তৃণুমুলেই। সারা রাজ্য জুড়ে যখন তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে, শুরু হয়েছে ধরপাকড়,দলের প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রী থেকে নিচুতলার কর্মীরা যখন দুর্নীতির দায়ে জেল খাটছে, তখনও দুর্নীতির লাগামে বিশেষত পঞ্চায়েত এলাকায় বিশেষ কোনো লাগাম পড়েনি। এবার দুর্নীতি প্রকাশ্যে এলো রানাঘাট -২ নং ব্লকের অন্তর্গত বৈদ্যপুর ১ নং পঞ্চায়েতে।খবরে প্রকাশ বৈদ্যাপুর স্কুল পাড়ার বাসিন্দা বাহুবলী তৃণমূল নেতার দিদি মিলনরানি পাল দীর্ঘদিন ধরেই পঞ্চায়েত থেকে বিধবা ভাতার টাকা তুলছেন যদিও তাঁর স্বামী মানিক পাল বেঁচে আছেন এবং দিব্যি বহাল তবিয়তে আছেন। মিলানরানি পাল জানান তিনি বার্ধক্য ভাতার জন্য অনেকদিন আগে এপ্লাই করেছিলেন কিন্তু ভুল করে তার বিধবা ভাতা চলে আসে, বর্তমানে তার বয়স ৬০, তিনি দ্রুত ভুল শুধরে নেবেন।

এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ব্যাপারটা তিনি শুনেছেন, এটা হওয়ার কথা নয় দুয়ারে সরকারে কাজের সময় ভুল করে হয়ে গেছে, পঞ্চায়েত বা আবেদনকারীর কোন ভুল নেই এবং এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানান যে কোনোভাবেই এই ভুল সম্ভব নয় বরং ঠিক উল্টোটা। কারণ বার্ধক্য ভাতার চাইতে বিধবা ভাতা পাওয়া অনেক বেশি জটিল, এক্ষেত্রে স্বামীর ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়, আর ৬০ বছর বয়স হয়ে গেলে সাধারণভাবে অটোমেটিক বিধবা ভাতা বার্ধক্যে ভাতাতে ট্রান্সফার হয়” অর্থাৎ ওই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ওই মহিলা দীর্ঘদিন ধরেই অন্যায় ভাবে সুযোগ নিয়ে যাচ্ছেন।

বিরোধীদের বক্তব্য পঞ্চায়েত প্রধান এখন দোষীকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন যেহেতু তিনি দলের লোক। এ বিষয়ে রানাঘাট পূর্ব ওয়ান এরিয়া কমিটির সম্পাদক ও নদীয়া জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য সিপিএম নেতা গৌতম বাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে, গোটা অঞ্চলটাই তৃণমূলের দখলে, কন্ট্রাকটরির কাজ থেকে ভোট লুঠ সবটাই তৃণমূলের বাহুবলী নেতাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, অতএব ভুল ঠিক যাই বলুন সবটাই ওদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং এর দায় পঞ্চায়েতের এবং তৃণমূলের, দুর্নীতিকে ওরা অভ্যাসে পরিণত করেফেলেছে। এ ব্যাপারে বিডিও-টু এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এরকম একটা খবর পেয়েছি, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি, যদি এই ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে ওই মহিলাকে সমস্ত টাকা ফেরত দিতে হবে এবং যথাযোগ্য শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদিও বিরোধীদের বক্তব্য পঞ্চায়েত এবং তৃণমূল যেভাবে বিষয়টিকে আড়াল করার চেষ্টা করছে তাতে টাকা ফেরত পাওয়া গেলেও দোষীরা আদেও শাস্তি পাবে কিন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে, কারণ সঠিক তদন্ত হলে এই রকম হয়তো আরো ভুরি ভুরি দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে আসবে।