এত দুর্নীতি দেখেও বহু মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেয়। কথা বলে দেখেছি তৃণমূল সমর্থকদের কুযুক্তির ফ্যালাসি ভিন্ন নিজেকে সান্ত্বনা ও আত্মরক্ষার বিকল্প নেই। চ্যানেলের মজলিশে তৃণবক্তার লজিকাল ফ্যালাসি শ্রোতার চিন্তনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রচলিত ফ্যালাসি- যেহেতু দুর্নীতিগুলো আদালতে মান্যতা পায়নি, অতএব অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যর্থ, তার জন্য একমাত্র দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন তদন্তকারী সংস্হাগুলি। সংস্হাগুলোর ব্যর্থতায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে, কিন্তু বাহ্যিক প্রমাণ সমূহ অভিযোগকে খারিজ করছে না। কংগ্রেস-বাম আতঙ্ক কেন্দ্রকে ধীরে চল নীতি নিতে বাধ্য করেছে। সরাসরি ফায়দা উসুল করছে তৃণমূল, উপরন্তু নিরূপায় ভীত কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রতিহিংসার কাঠগড়ায় তুলে রাজনৈতিক, তোষণের মুনাফা তুলছে। জনগন ভাবছে, যুযুধান বিজেপির কেন্দ্রে সরকারে থাকতেও যখন তদন্তে অনীহা, তাহলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থাকতে পারে। কিছু মানুষ নিশ্চিন্তে সেটিং বলে চিহ্নিত করছেন। ঘাস-পদ্ম নির্বিঘ্নে খেলছে।

যে সকল সেলিব্রিটির জনগনের উপর প্রভাব আছে, তাঁদের অতিমানব হিসাবে ব্যবহার করে। তৃণমূল ও বিজেপি টলিগঞ্জে অভিনেতা-নেত্রী শিকারে দক্ষ, ময়দানে খেলোয়াড় ধরার ফাঁদ পাতে। সমভোগে অবিশ্বাসী লেখক, কবি, শিল্পী, গায়কদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদানে চুক্তিবদ্ধ করে ক্রয় করে। রাজনৈতিক দলগুলো হলিউডি চরিত্রদের সাথে নেচে-কুঁদে পর্দার সোনালী আলো মাখতে মরিয়া। ফিল্ম ফেস্টিভাল হোক বা বইমেলা, জনগন ভাবতে থাকে স্বপ্নের নামী সেলিব্রিটারা যখন দলের নেতাদের ডাকে সাড়া দেন, তাহলে নেতারাও প্রভূত প্রভাবশালী। বস্তুতঃ তাঁরা নিজ ক্ষেত্রে সেলিব্রিটি কিন্তু তাঁদের বিজ্ঞান, অর্থনীতি বা রাজনীতির জ্ঞান আমাদের নিষ্প্রয়োজন। সেলিব্রিটিরাও বিভিন্ন দলের সাথে দর কষাকষি করে বা দলবদল করে প্রাপ্তি বাড়ান। বহু যুগ আগে যিনি হয়ত বাম মন্ত্রীর স্নেহধন্য গুণমুগ্ধ ছিলেন, একদা বিজেপির সর্বভারতীয় নেতাকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানালেন। আবার হঠাৎ একদিন দেখলেন তৃণমূল নেত্রীর বিদেশে সফর সঙ্গী। প্রয়োজনটা সেলিব্রিটির ও দলের, জনগনের সেলিব্রিটিকে নয়।

আরেকটি অভ্যাস ভয়ঙ্কর। জনপ্রিয়তার ফ্যালাসি। আমরা ঠিক, তাই আমাদের এত লোক ভোট দেয় আর আপনারা শূন্য। তাহলে ২০০৬ সালে তৃণমূল ভুল ছিল। সেই ভুল তৃণমূল কেন সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানা ভুল করে তাড়িয়ে দিল? শহরবাসী যখন গ্যালিলিওর বিরোধিতা করেছিল, তখন গ্যালিলিও ভুল ছিলেন? পৃথিবীর সংখ্যাধিক্য মানুষ বিশ্বাস করেন, মানব সহ জীব জগৎ তথা বিশ্ব ঈশ্বরের সৃষ্টি। ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিজ্ঞানে প্রমাণিত না হলেও সংখ্যাগুরুর বিশ্বাসে স্বীকৃত হতেই হবে। আসন প্রাপ্তি ও জনসমর্থন এক নিক্তিতে পরিমাপ যোগ্য নয়। অথবা প্রশ্ন করবে, আপনাদের রাজত্বকালে শিল্প হয়নি কেন? শিল্প যে হয়নি, সিদ্ধান্তে পৌঁছে আপনাকে প্রশ্ন করছে, কেন হয়নি? শিল্প যদি না হয়, তাহলে অগ্নিকন্যা সিঙ্গুরে কোন কারখানা নির্মাণ বন্ধ করতে অনশন করেছিলেন? বামপন্হীরা বহু বিনিয়োগের খতিয়ান তুলে ধরতে পারে, কিন্তু প্রশ্নটাই বিভ্রান্তিকর। আপনাদের সময়ে উন্নয়ন হয়নি কেন? উন্নয়ন হয়নি, প্রাথমিক সিদ্ধান্তটা ভুল। ভূমি সংস্কার, পঞ্চায়েতরাজ সহ বিভিন্ন ইতিহাস ধূলিস্যাৎ করে প্রশ্ন।

তৃণমূলী তর্কের জনপ্রিয় অভ্যাস অবাস্তব গল্পে মূল প্রশ্নটি এড়িয়ে যাওয়া। যেমন মনে করুন, আপনি দুর্নীতির প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতে জবাব পেলেন, প্রকৃত পক্ষে আপনি বাংলার গগনচুম্বী উন্নয়নের বিরোধী। আপনাকে একটি অপ্রাসঙ্গিক অযৌক্তিক কারাগারে আবদ্ধ করল। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের করোনা কালে ফেরৎ না আনার সিদ্ধান্তে যুক্তি ছিল, করোনা এক্সপ্রেসে বিরোধীরা বাংলায় ভাইরাস আমদানী করে গণহত্যা করতে চায়। তৎকালীন ভীত স্বার্থান্বেষী মানুষ সেটাই বিশ্বাস করল। কিছু ফ্যালাসি চক্রাকার। সততার প্রতীক দলনেত্রীর তৃণমূল যদি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হবে, তবে তদন্তে কিছু প্রমাণিত হচ্ছে না কেন? আপনি যদি বলেন, দুর্নীতিতে নেতা-মন্ত্রীরা অভিযুক্ত নয়, সেটাও তো প্রমাণিত হয়নি। তখন উত্তর, সততার প্রতীক দলনেত্রীর অনুপ্রেরণায় দুর্নীতি হতেই পারে না। যদি হয় তাহলে তদন্তে প্রমাণিত হচ্ছে না কেন? এবার আপনাকেও পূর্বের একই উত্তর দিতে হবে এবং তৃণমূলী বক্তা একই জবাব চক্রাকারে দেবেন। ইতিমধ্যে সততার প্রতীক বিশেষণটি চটির নিচ থেকে ফসকে গেছে বহু দিন।

অমূক কচিনেতা গায়ক বা অবোধ কবি বলেছেন তৃণনেত্রীই নাকি বেশী লেনিন, বা কবিয়ালের ধারণা তিনশ বছর পর তৃণনেত্রী মন্দিরে পুজিত হবেন। বামপন্হী কোন কবি-গায়ক কোন নেতাকে লেনিন বা পুজ্য ঘোষণা করেননি। কোন নেতাও দাবী করেননি। কচিনেতা গায়ক বা অবোধ কবির ব্যক্তিস্বার্থ বা অজ্ঞতার জবাবদিহির দায় আপনার উপর বর্তে গেল। অমূক বরেণ্য কোকিলকন্ঠী গায়িকা টেলিফোনে নেত্রীর গান শুনতে চেয়েছিলেন। সত্য মিথ্যা না জেনেও অজ্ঞাত শিল্পকে প্রতিভার স্বীকৃতি। অপনি যদি বিতর্কে ভুল করে বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে গণহত্যা বা সারদায় লক্ষ মানুষকে সর্বশান্ত করার পাপ বহন করতে হবে; তাহলে জবাব পাবেন, আপনারা তো ধর্মেই বিশ্বাস করেন না। তাহলে পাপ-পূণ্যের প্রসঙ্গ তোলেন কোন সাহসে? ধর্ম ও নৈতিকতা যে এক জিনিস নয়, সেটা বোঝাতেই তৃণমূলের ফ্যালাসিবাজ প্রসঙ্গান্তরে গিয়ে মূল বিষয়টাকে এড়িয়ে যাবে। ১৯৬২ সালে চিন কেন ভারতকে আক্রমণ করেছিল? সোভিয়েত রাশিয়া কেন ভেঙে গেল ইত্যাদি। হিটলার কেন আত্মহত্যা করল সে প্রশ্নের জবাব দেবে না।

তৃণমূল বা বিজেপির শক্ত হাতিয়ার বাংলা বা ভারত ছাড়া করে দেওয়া। যেহেতু দলগুলি সরকারে আছে তাই দেশপ্রেম লিজ নিয়ে রেখেছে। আপনি যদি যুক্তি জালে কোণঠাসা করে দেন, তাহলে সংশয় আছে। ললিত-নীরব মোদী, মেহুল চোক্সি থেকে বিনয় মিশ্ররা ভারত ছাড়েন কেন, সরল প্রশ্নে আপনাকেও ভারতছাড়ো আন্দোলনে শরিক করে দেবে। ধরুন, নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপনি যখন সরব হলেন এবং একসাথে ব্যাপমেরও তদন্ত চাইলেন। কংগ্রেসের সমর্থক আপনার প্রশ্নে সহমত। কোন বিজেপির সমর্থক দ্বিতীয় অংশটি উহ্য রেখে সাময়িক বিজয়ের তাগিদে আপনাকে সমর্থন করলে তৃণমূলের বক্তা যেহেতু বিজেপির সাথে বক্তব্যের অনেকাংশ মিলে যাচ্ছ, তাই নেত্রীর জগাই-মাধাই-বুধাই তত্ত্ব হাজির করবে। সূর্য পূব দিকে ওঠে, এই সত্যের পক্ষে সবাই এক মত হলেও, বিভিন্ন বহু ক্ষেত্রে মতে অমিল থাকতে পারে। এই ভাবে বিজেপি বক্তাকে সনাতন ধর্মের বিরোধী বা তৃণমূল ইসলাম বিরোধীর তকমা লাগিয়ে দেবে। এদের ফ্যালাসি কোন ধর্মের মৌলবাদী হওয়া আর অসাম্প্রদায়িকতাকে এক করে দেবে।

তৃণমূলের ফ্যালাসিগুলো শ্রেণীবদ্ধ করা প্রায় অসম্ভব। মন্ত্রীর প্রেমিকার খাটের তলা থেকে কোটি কোটি টাকার প্রসঙ্গে শুনবেন, ওই টাকার সাথে মন্ত্রীর যোগযোগ প্রমাণিত নয় বা টাকাগুলি যে অসদুপায়ে অর্জিত, আইনতঃ কোন ফয়সালা হয়নি। আপনি প্রমাণ করুন, টাকার সাথে দুর্নীতি যুক্ত এবং যুবতী মন্ত্রীর রক্ষিতা। মন্ত্রীর ছবি তো অনেক লোকের সাথে থাকতেই পারে, তাতে সম্পর্ক বা প্রেম প্রতিষ্ঠিত হয় না। এমনকি নেত্রী সাফ বলে দিয়েছেন, উপরে একটা নোট, নিচে একটা নোট, মাঝে আটানব্বইটা সাদা কাগজ ছিল। এবার কবিয়ালের ফ্যালাসিতে চলে যান, তিনশ বছর পর যাঁর মন্দির বানিয়ে পুজো হবে, তিনি তো মিথ্যা বলতে পারেন না। তারপর চক্রাকার ফ্যালাসি। বাংলার পঁয়তাল্লিশ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্যে আছে। ভারতের যে কোন প্রান্তে শ্রমিকের মৃত্যুতে অবশ্যই তালিকায় বাঙালি থাকে। স্কোয়ারফিট সেনরা বলেন, বাংলায় বেকারের হার কমছে। তার বিনিময়ে যে ভারতের মোট বেকারত্ব ও অন্য রাজ্যে বাড়ছে সেটা প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব হয়ে যাবে। ক্রমাগতঃ কুযুক্তিতে বাঙালির মনন মরছে।

সবচেয়ে সমস্যাদায়ক, বাংলায় দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল ও কেন্দ্রে দাঙ্গাবাজ সাম্প্রদায়িক বিজেপির মধ্যে একটিকে তো সমর্থন করতে হবে আপনাকে। বাকিদের ভোট দিলে এবং সেই প্রার্থী না জিতলে ভোটটা বরবাদ হল। এই চিন্তাটা সরিয়ে রেখে সঠিক যায়গায় ভোট দিলে দুর্নীতিগ্রস্ত ও দাঙ্গাবাজকে পরাজিত করা যায়। বাতাসে ৭৮% নাইট্রোজেন ও ২১% অক্সিজেন থাকলেও ০.০৪% কার্বন-ডাই-অক্সাইড না থাকলে চাষআবাদ বন্ধ হয়ে যেত। মিডিয়া সর্বদা বাইনারি সৃষ্টিতে মত্ত, একে বলে সমাধান সীমাবদ্ধ করে দেওয়া। আপনি যদি অত্যাধুনিক ব্যক্তি হন, তাহলে আপনি প্রকৃত বামপন্হী নন। তার জন্য চটি পরে হেলিকপ্টারে চড়তে হবে। আপনাকে যেমন যূথহীন করে দেবে, তেমন নিজেরা অসুবিধায় পড়লে দলের কর্মীকে বরখাস্ত করবে। তৃণমূলের টিকিটে জিতে চুরি করলেও অমূক প্রধান তৃণমূলের কেউ নয়। কেউ যে নয়, কোন দলগত দলিল দেখতে চাইলে, পাল্টা যুক্তি, ওই প্রধান যে তৃণমূলে ছিলেন, তার বৈধ কাগজ কোথায়? তর্কের মূল বিষয় থেকে সরে ভিনরাজ্যের তুলনামূলক ঘটনা তুলে আনবে।

বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, সালিশীর সব শর্ত মেনে নেব, কিন্তু তালগাছ আমার। ফলতঃ আলোচনা বা বিচার বিশ্লেষণ সব আনুষ্ঠানিক। তিনিই শেষ কথা। আমাদের নেত্রী বলে দিয়েছেন বা সেনাপতির নির্দেশে … আপনার নেত্রী বা সেনাপতির কদর ও বিশ্বাসযোগ্যতা আপনার কাছে, উল্টো দিকে বসা মানুষটির কাছে তা কপর্দকশূন্য হতেই পারে। দলনেত্রীই আন্দোলনের পথ দেখিয়েছেন। তিনি প্রকৃত পক্ষে তাঁর ক্ষমতা দখলের রাজনৈতিক পন্হা উদ্ভাবন করেছেন। তাঁর জন্মের বহু পূর্ব থেকেই বহু সফল ও বিফল আন্দোলনের রক্তে ভিজেছে মাটি। যাঁরা ধর্ম বিশ্বাসী তাঁদের ধারণা স্রষ্টা ভিন্ন কিছুই সৃষ্টি হতে পারে না। তাহলে আপনি পাল্টা প্রশ্ন করবেন, স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি যদি না হয়, তাহলে স্রষ্টার সৃষ্টি করল কে? এসব বেয়াদপি প্রশ্নের একটিই জবাব থাকে ভক্তদের- সেটা উত্তম মধ্যম। বালুমন্ত্রী বলেন, অমূক দলের লোকেদের সাপের মত পিটিয়ে মারবেন। আপনি পালাবেন কোথায়? কেষ্টবাবু বলেছেন, উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে। যুক্তি, তর্ক, আজুহাতের প্রসঙ্গে হাতের ব্যবহারের কথা ভুলে গেলে চলবে না।

সবচেয়ে দুর্বল কুযুক্তি, ছোটবেলায় দেখেছি আমাদের পাড়ার অমূক পার্টির লালুদা … প্রথমতঃ কার্বন ডেটিং ছাড়া ওর ছোটবেলার বয়স নির্ণয় অসম্ভব, দ্বিতীয়তঃ লালুদা কি বাঁটুল দি গ্রেটের মত কাল্পনিক? অনেক উত্তর না থাকলে, বহু কাল ধরে চলে আসার নিত্যতার কথাও শুনবেন। ছোটকাল থেকে দেখছি ভোটে কারচুপি হয়। বিহারের বৃদ্ধও ছোটবেলায় দেখেছিলেন। এখন দেখছেন না। কদাপি আইনকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে নৈতিকতাকে দফন দেয়। যেহেতু রাজ্য সরকার রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ুক্ত করে, তাই অমেরুদন্ডী, অসৎ রাজীব সিনহার নিয়োগ আইনসিদ্ধ হলেও অনৈতিক মানবে না। এছাড়াও চেরি পিকিং ফ্যালাসি কেউ ব্যবহার করেন। বহু প্রতিকুল তথ্যের ভিতর থেকে শুধু অনুকুল তথ্য নির্বাচন করা। সাধারণ তৃণমূল সমর্থক তথ্যের জঞ্জালে জড়ায় না। বরঞ্চ তথ্য ওরা নির্মাণ করে। আপনাকে মনে রাখতে হবে, তৃণমূলী কোন মস্তিষ্ক সমৃদ্ধ ব্যক্তি নয়, অনুদানের ব্যান্ডেজ বাঁধা মমির সাথে বিতর্ক করছেন। ব্যান্ডেজ বা কুযুক্তিগুলো খুলে গেলেই মৃতের পচা গলা মাংসের দুর্গন্ধ পাবেন।