এক

গরিব মানুষকে তুচ্ছ–তাচ্ছিল্য করার একটা সীমা থাকা দরকার! খুব মজা পেয়ে গিয়েছো না! তোমাদের স্বভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছে এটা। কী মনে করো মানুষকে!

কান পাতো বাংলার গ্রামে! সেখানে দূয়ারে সরকার, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের গল্প ছাপিয়ে কী আলোচনা হচ্ছে! —

মমতা তোমার শিলান্যাস করা প্রকল্পগুলো মুখ থুবড়ে পড়ে আছে কেন? পঞ্চায়েতের সব স্কিমে এতো লুট কেন? ধেড়ে থেকে এক আনি দু আনি নেতাদের শিক্ষকতার, পৌরসভা-কর্মচারী, বন সহায়ক ইত্যাদি চাকরির জন্য আড়কাঠির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা কামাই করা কেন?

শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে লাটে ওঠানোর পাকা বন্দোবস্ত করা হলো কেন? রেশন ব্যবস্থা থেকে লাখ লাখ মানুষকে বের করে দেওয়া হলো কেন? রেশন সামগ্রীর বদলে টাকা দেবার পারমিশন দিলে কেন? পানীয় জলের সমস্যা এতো তীব্র কেন? এতো ঢক্কা নিনাদের পরে মাত্র ৩২% মানুষের নাগালে জল পোঁছোলো কেন? তোমার রাজত্বে ৩০০ জন কৃষক আত্মহত্যা করলেন কেন? গ্রাম কে গ্রাম ফাঁকা করে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ বাইরের রাজ্যে খাটতে গেলেন কেন? স্বনির্ভর গোষ্টীর মেয়েদের জন্য স্কিমটাকেই ফোঁফড়া করে দিয়ে তাঁদেরকেই আবার দলীয় সভায় যেতে বাধ্য করা হচ্ছে কেন?  গোষ্ঠীর টাকা মেরে খাচ্ছো কেন! সংখ্যালঘু, কিশোরী ও নারীদের ধর্ষণ ও হত্যা নিত্যদিনের ঘটনায় পর্যবসিত হলো কেন?  সাম্প্রতিক কয়েক মাসে ৬৬টি দাঙ্গা হলো কেন, কার স্বার্থে, কিসের জন্য? হিংস্র পশুর মতো মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে কেন?

ছোট নিবন্ধে তোমাদের কীর্তি-কলাপ নিয়ে কত আর বলা যায়!

দুই

 সর্বত্র এতো চুরি কেন করছে ওরা? কী কারণে? উত্তর দিচ্ছেন মানুষই, কারণ, এরা তো কেউ নির্বাচিত হয়ে আসে নি। ওদের তো কোন কোন দায় নেই মানুষের প্রতি! তাই রক্তদন্তি তৃমূ  দলের পঞ্চায়েত মেম্বার ও তাদের চালকদের এক কথা, এক কাজ – লুটে পুটে খাওরে, লুটে পুটে খাও। লুটের টাকা পঞ্চায়েতের সসদ্য ও মায়মাতব্বরদের মধ্যে পার্সেন্টেজ অনুযায়ী বন্টিত হয়। কিছু যায় জেলা নেতাদের বাড়িতে। বেশিটা কালীঘাটে।

গ্রামে পার্সেন্টেজের যে টাকাটা লুটেরারা ভাগে ভাগে পেলো, সেই টাকা দিয়ে কী করে? মেম্বাররা ও তৃণমূলের এক আনি দুআনি নেতারা নিজেদের ঘর বাড়ি সম্পত্তি বাড়ায়, মোটর সাইকেল, স্করপিও হাঁকায়। নিজেরা গুণ্ডামী করে আর গ্রামের গুণ্ডাদের পোষে। মদ মাংস খায়, পিকনিক করে, মানুষকে ভয় দেখায়, এবং পুলিশ ও প্রশাসন নিয়ে ভোট ডাকাতি করে। লুটের ভাগ পুলিশ- প্রশাসনের লোকরাও পায়। উঁচু থেকে নিচু স্তর পর্যন্ত। ঐ ওঁচা তৃমূ চোর-গুণ্ডাগুলোর মুখ থেকে মদের গন্ধের সঙ্গে অশ্লীল নোংরা শব্দ অপভাষা অপশব্দ বেলাগাম উৎগীর্ন হয়। বাংলার সংস্কৃতি ধ্বংসের দিকে চলতে থাকে। 

সবাই জেনে গিয়েছেন, পঞ্চায়েত স্তরে যেমন লুট হয়, তেমন বেলাগাম লুট ওপরেও হয়। কারণ, তৃণমূল দলটা আগাপাশতলা দুর্নীতিগ্রস্ত। আম গাছে আম হয়, আর টক আমড়া গাছে হয় টক আমড়াই।

তিন

  পঞ্চায়েতের বিভিন্ন খাত থেকে লুট করা টাকার ভাগের মূল অংশটা আছে তৃমূ’র মূল ঘর কালীঘাটে আর রাজ্যের সব থেকে বড় মাফিয়া ভাইপোর ঘরে। হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা।

 সেখানে ঐ কোটি কোটি টাকা ছাড়াও আছে, মেধাবী যোগ্যদের শিক্ষকতার চাকরি না দিয়ে অযোগ্যদের চাকরি দেবার ঘুষের হাজার হাজার কোটি টাকার মূল অংশ। আছে, কয়লা, বালি, গোরু, সোনা পাচার ইত্যাদি কত রকম পদ্ধতিতে ঢোকা কোটি কোটি চুরি ও লুটের টাকারও মূল অংশ।    

চুরি চুরি চুরি আর চুরি। তার জন্য তৃমু নেতাতে জেলখানা গুলো যে গিজ গিজ করছে,   তার হিসাব কী রাখেন না মানুষ মনে করছো? রাখেন।     

কয়েক বছর ধরে নিজেকে আর ভাইপো-তার পত্নি-শ্যালিকাকে বাঁচানোর জন্য বারে বারে মমতার, মোদীর সঙ্গে একান্ত আলোচনা চলছে আর চলছেই। তাই বিরক্ত হাইকোর্ট আরও তৎপর হয়ে কাজ করতে শুধু নির্দেশই দেয় নি, সি বি আই – ইডিকে, তাদের ওপর সন্দেহ প্রকাশ করে, তদন্তকারী অফিসারদের সম্পত্তির হলফনামা পর্যন্ত জমা দিতে বলেছে।

মানুষ তো হিসাব করে নিয়েছেই, আর তোমরাও বুঝে গিয়েছো, সন্ত্রাস ও ভাঁওতা দিয়ে মানুষকে এ ক’বছর যেরকম ভড়কে ছিলে, সেই কারবার আর চলবে না। তৃণমূলের বেপরোয়া চুরি ও অপশাসন দেখে দেখে মানুষ বিরক্ত ও বিক্ষুব্ধ।

চার

বিজেপিও গরু চুরিতে ধরা পড়েছে বীরভূমে। যে অল্প কয়েকটি পঞ্চায়েতে বিজেপি আছে, সেখানেও চলছে একই রকম দুর্নীতি। একটা সাইক্লিলিক পদ্ধতিতে তৃমূ থেকে কেউ বিজেপি হল, আবার বিজেপি থেকে কেউ তৃমূ হলো। সবাই চোর। আপসে ঘর বদলা বদলি করে থাকে। যেমন, শুভেন্দু অধিকারী যখন তৃমূতে ছিলেন, তখন তিনি পরিবহন মন্ত্রী, মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর দেখার দায়িত্বে। লুটের পঞ্চায়েত তৈরি করা আর  বিভিন্ন খাত থেকে টাকা মারার অন্যতম পাণ্ডা। সেরকম রাজীব ব্যনার্জী। তৃমূ সরকারের বনমন্ত্রী, গেলেন বিজেপিতে, আবার এলেন তৃমূতে। সে কী বন সহায়কের চাকরি বিক্রি করে কম টাকা লুট করেছে! দৃষ্টান্ত স্বরূপ দুটো নাম লিখলাম। এরকম আয়ারাম –গয়ারামরা সবাই। এই দুটো দল যে পাপের রাজত্ব কায়েম করেছে, তা বুঝতে  কোন  সমস্যা হচ্ছে না মানুষের। 

তৃমূ ও বিজেপি কোন দলকে দিয়েই চলবে না, এরকম ভাবতে শুরু করেছেন মানুষ।  ওদের বানোয়াটি নকল যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা আর নোংরামী দেখে দেখে মানুষ ক্লান্ত ও বিরক্ত।

 আসলে তৃমূ – বিজেপি’র মধ্যে তো কোন বিষয়েই কোন তফাৎ নেই। ওদের দুটি দলেরই ভয় বামপন্থীদের নিয়ে। সে কথা তৃমূ আর আর এস এস বিজেপি প্রকাশ্যে বলে। মোহন ভাগবত, ওদের পত্রিকা অর্গানাইজার, অমিতশাহ বলেই দিয়েছেন – তৃণমূল থাকলে থাকুক, লেকিন, সি পি এম কভি নেহি।    

 না হলে রাজ্যে সাম্প্রতিক কয়েক মাসে ৬৬টি দাঙ্গা হয়! বিজেপি’র ড্রিলের সংখ্যা এত বাড়তে পারে! সি এ এ – এন আর সি’র জুজু দেখানো আবার একই সঙ্গে শুরু করে অমিত – মমতা! আর এস এস-‘এর ‘নীতি’ মেনে মমতাকে চলতেই হবে এই কুৎসিত পথে। কারন, তিনি তো ওদেরই সৃষ্ট ও ওদেরই দ্বারা পুষ্ট। 

 তোমরা মনে করেছিলে রামনবমীর গোলমাল, সম্প্রীতি ধ্বংস করার চক্রান্তের কারণ কেউ জানে না!  মাখামাখি হয়ে থাকা ঐ  দুটি দল পরস্পর আলোচনাক্রমে  রামনবমীর দাঙ্গা ঘটালো। প্রথমে শিবপুর পরে রিষড়ায়, ডালখোলায়। আর এস এস – বিজেপি’র থেকে শিক্ষা নিয়ে, মমতা পুলিশকে নিস্ক্রিয় রেখে সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটার সুযোগ করে দিলেন।   পুলিশের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় দাঙ্গা হয়ে গেলো। কোর্টও এই ব্যাপারে তৃণ সরকারের সমালোচনা করেছে। তাই আলোচনাটা উঠে গিয়েছে, যে অপদার্থ পুলিশ সাম্প্রদায়িকতা ঠেকাতে পারে না, তারা  কী করে ভোট লুট আটকাবে? 

আসলে মানুষের রুটি–রুজির বিষয় গুলো সযত্নে এড়িয়ে গিয়ে  একটা  অসহিষ্ণু ও অসভ্য পরিবেশ বজায় রেখে ভোট পর্যন্ত, হয় তৃণমূল নয় বিজেপি, এই খেলা খেলতে চাইছে ওরা বশংবদ মিডিয়াকে সঙ্গে করে।  মানুষ বুঝে গিয়েছেন, এই নোংরামীর আসল রহস্য। 

পাঁচ

সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জ্যোতি বসুর কড়া ভূমিকার কথা যে হাটে বাজারে দোকানে পাড়ার আড্ডায় আলোচনা হচ্ছে, তা কি জানো তোমারা! তিনি মমতা সম্পর্কে বলেছিলেন – তার সব থেকে বড় অপরাধ বাংলায় বিজেপিকে নিয়ে আসা। জ্যোতি বসু বলতেন – সরকার না চাইলে কখনও দাঙ্গা হয় না। ১৯৬৯ সালে তিনি তখন পঃবাংলার উপমুখ্যমন্ত্রী। হুগলীর তেলিনীপাড়ায় দাঙ্গার পরিস্থিতি। তিনি সেখানে গিয়ে নির্দেশ দিলেন পুলিশকে, যখনই দেখবেন দাঙ্গার মতলব করছে কেউ, তখনই গুলি করতে দ্বিধা করবেন না। ১৯৮৪ সালে যখন সারা দেশে শিখ নিধন চলছে, তখন বাংলায় শিখরা ছিলেন সুরক্ষিত।  ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার সময় তাঁর দৃঢ় ভূমিকার কথা কেউ ভুলতে পারেন নি। জ্যোতি বসুর এই উজ্জ্বল ভূমিকাগুলো আলোচনায় এলেই মানুষ অতীতকে খুঁজে পাচ্ছেন এবং এখনকার বাংলার চেহারা দেখে হাহুতাশ করছেন।

গ্রামীণ মানুষের কাছে আছে সমন্বয়ী ধর্ম সাধনার অনেক দৃষ্টান্ত, সেগুলি যেখানে মানুষকে ধরিয়ে দেওয়া যাচ্ছে, সেখানেই তাঁদের অন্তরের পরিতৃপির আবেশ চোখে মুখে ফুটে উঠছে।

ছয়

চলছে ভড়ং! উল্লিখিত ঐ লুট করা টাকার কিছু অংশ আর কয়েকশ’ কোটি সরকারী টাকা ব্যয় করে সর্ব ব্যবস্থা সমন্বিত লিমুজিন গাড়ি আর লাখ লাখ টাকার সুদৃশ্য ‘তাঁবুর ঘর’ বানিয়ে, কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া বাবুর্চির রান্না করা সুস্বাদু খাদ্য ভক্ষণ করে, পুরোনো দিনের রাজপুত্তুরদের মতো ইয়ার বন্ধু মিলে ‘ধন গরিমার ইতরতা’ দেখাতে দেখাতে, ভাইপো যাত্রা-ফাত্রা করছে। লুট করা কোটি কোটি টাকায় ও মানুষের ট্যাক্সের কোষাগার থেকে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে হাজার হাজার পুলিশের পাহাড়ায়, যতই বিলাস–ব্যসনে দিনগুলো কাটাতে চাও ওহে মাফিয়া সর্দার, তোমার পাত্র-মিত্র সাঙ্গপাঙ্গ সমভিব্যাহারে, তোমার যাত্রাপথ কিন্তু কুষামাস্তীর্ণ হবে না বাছাধন, তা তো এ ক’দিনেই বুঝে গিয়েছো! 

 যেরকম বেসুমার চুরি করেছে, তার জন্য রাজপুত্রকে যাতে ফাটকে না যেতে হয়, আর যাতে পঞ্চায়েত ভোটটা পেছানো যায় – এই তো ফিকির! মানুষ ধরে ফেলেছেন এসব ফন্দি–অপকৌশোল। তুমি ও তোমাদের যে চুরি–লুট-ছলনা-সাম্প্রদায়িকতার বৃত্তি ছাড়া, আর কোন বৃত্তি নেই, এ’কদিনের তোমাদের আভ্যন্তরিণ প্রার্থী বাছাইয়ের অপকাণ্ডে, পঞ্চায়েত ও অন্য ভোটের সময় যেমন ভোট লুট করো, তারই মহড়া দেখে, মানুষের কাছে তা জলবৎ পরিস্কার। এই যাত্রা-ফাত্রার ভয়ংকর চেহারা দেখে, রাজ্যের মানুষের যে বিবমিষার উদ্রেগ হচ্ছে, তোমাদেরকে যে ছিছিক্কার করছে, দুয়ো দিচ্ছে, তা কী তোমাদের কর্ণকূহরে প্রবেশ করছে না! করছে তো বটেই। কিন্তু ঐ যে বলে ‘ইল্লদ যায় না ধুলে আর স্বভাব যায় না মলে’!  

সাত

পঞ্চায়েত ইলেকশনের তারিখ কিন্তু ঘোষণা করতেই হবে। রাজ্য কাঁপিয়ে  স্লোগান দেওয়া  শুরু হয়েছে – ‘চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি চ্যালেঞ্জ নাও/ পঞ্চায়েতের তারিখ দাও।‘ মানুষ জানেন,  তোমরা গণতন্ত্র হত্যাকারী। কিন্তু এ শ্লোগানের ব্যাপারে এবার বধির হয়ে থাকতে পারবে না। এবার মানুষ বড় নাছোর। দরকারে অনেক কিছুই করবেন তাঁরা। 

মানুষ বুঝতে শুরু করেছেন দ্রুত, ২০১৮’এর পরে নদী-শাখা নদী-খাড়ি দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গিয়েছে। তৃমূ – বিজেপি যে  চোর–লুটেরা-তস্করদের দল, সাম্প্রদায়িকতা যে তাদের এজেণ্ডা – এই কথা মানুষজনও বলছেন। অনেক গ্রামে একসঙ্গে শত শত  মানুষ তৃণমূল–বিজেপি ছেড়ে বাম ও বামসঙ্গীদের পতাকা ধরছেন। মিটিং করছেন। গ্রামকে গ্রাম। যত দিন যাচ্ছে, তৃণমূল – বিজেপির অবস্থা কাহিলতর হচ্ছে। জেহাদ করে বিভিন্ন জায়গার নিজেদের অফিসের সাইনবোর্ড খুলে দিচ্ছে তৃণমূলীরা। নেত্রীর ছবি ধুলায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। পতাকা–ফেস্টুন ড্রেনে। সাইনবোর্ড খুলনেওয়ালারা বলছে, নেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো, কার্যক্ষেত্রে তার কিছুই হয় নি। কোন মুখে যাবো মানুষের কাছে?

সমবায় নির্বাচন, পৌরসভা, বিধান সভা নির্বাচনে ইদানিং শুধু বামেরা ও তাদের জোটসঙ্গীরাই বিজয়ী হচ্ছেন।

এবার সরকারী কর্মচারী-শিক্ষক মশাইরাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, উপযুক্ত সুরক্ষা ছাড়া ভোটের ডিউটি করবেন না তাঁরা। তাঁদের তেজ ও জেদ থেকেই বোঝা যাচ্ছে, এটা শুধু কথার কথা নয়।

অন্যদিকে বাম-কংগ্রসের পক্ষ থেকে দলদাস পুলিশ ও সাধারন প্রশাসনকে, থানা, এস ডি ও অফিস ঘেরাও করে বলা শুরু হয়েছে –  খবরদার এবার আর দালালি করতে এসো না না। বার বার ঘুঘু তুমি ধান খেয়ে যেতে পারবে না।     

 মানুষ বুঝেছেন, ২০১৩, ২০১৮ সাল আর ১৯২৩ সালে অনেক তফাৎ। এবার অনেক ইতিবাচক। তবু বামপন্থীরা বলছে – আত্মসন্তুষ্টি রাখা চলবে না।

 আট

তৃণমূলের কোন কথাকে বিশ্বাস করা চলে না। মরে যাওয়ার প্রাকমুহুর্তে রোগির যেমন হিক্কা ওঠে, তেমন মরণ হিক্কা উঠবে ওদের। তাই একটা মরিয়া অপচেষ্টা করবে তৃণমূল। বোমা-বন্দুক মজুত করছে ওরা। তা ফাটছে এবং নিজ বাড়ির লোক মরছে। 

আশা ও আনন্দের কথা, মানুষ চুরি–লুট-সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের পক্ষে বেশি বেশি করে আসছেন।

 কেউ বলছে আগের মতো এবার সাহস পাবে না। সাহস নাও পেতে পারে। কারণ, দুঃসাহস করলে যে পালটা ঠোক্কর খেতে হবে, তা তো ওরা বুঝতে পারছে।  তবু, আমাদের দিক থেকে মানুষকে নিয়ে মোকাবিলার সাংগঠনিক জবরদস্ত প্রস্তুতি রাখতেই হবে।

তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধী সমস্ত মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান এসেছে আমাদের কাছে। প্রত্যয়ের সঙ্গে সেই পথে চলে অপশক্তিগুলির বিরুদ্ধে মানুষের সর্বজনীন জোট গড়ে তুলতে হবে। আওয়াজ তোল – ‘ধন গরিমার ইতরতা’কে ধ্বংস করো। ‘পঞ্চায়েত থেকে লুটেরাদের হটাও- পঞ্চজনার  পঞ্চায়েত গঠন করো।‘

গণমানুষের জয় জয় অবধারিত।