সাবধান ,বাংলার সাধারণ মানুষ ।আহত সিংহ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে ।কদিন ধরেই দাঁত ,নখ বের করে আহত সিংহ লোকালয়ে ঘুরছে ।টি ভি ‘র শব্দ আর খবরের কাগজ ওয়ালাদের দেখলেই সিংহটি তেড়ে যাচ্ছে ।সচেতন নাগরিকদের উচিত ঐ আহত ভয়ংকর সিংহটিকে যেমন করে হোক পাকড়াও করে সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে তার বাসভূমিতে ছেড়ে আসা ।না হলে বিপদ হয়ে যাবে ।ই ডি,ও বনদপ্তর যৌথভাবে ঐ আহত সিংহকে ধরে জঙ্গলে পাঠানোর ব্যবস্থা করুক। যদি তা না হয় তাহলে আত্মরক্ষার স্বার্থে জনসাধারণকেই এই কাজ করতে হবে ।যত দিন যাবে, আর পার্থ যত মুখ খুলবে ততই আহত সিংহের গর্জন বাড়বে ।নিজেই নিজেকে যে আহত সিংহের তুলনা দেয় তাহলে সেই সিংহ অর্থাৎ পশু অবাধ বিচরণ করবে কেন ? তাকে ধরে জঙ্গলে রেখে আসাই ভালো ।তাহলে রাজ্যবাসী নিরাপদে থাকতে পারবে ।


অতিথি -অভ্যাগতদের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী ধান ভানতে শীবের গীত শুরু করে (সভার প্রসঙ্গ ছাড়িয়ে )হঠাৎই তর্জন গর্জন করে মঞ্চ দাপিয়ে বললেন, “অযথা আমার গায়ে কালি ছেটানোর চেষ্টা করলে, মনে রাখবেন, আলকাতরা কিন্তু আমার হাতেও আছে ।আমি জানি কি ভাবে লড়াই করতে হয় ।”এখানেই তিনি বলেন, “আহত সিংহ কিন্তু ভয়ঙ্কর ।”আসলে এটা একটা ধামাচাপা দেওয়ার কৌশল ।কিন্তু ধামাচাপা দিতে পারবেন তো আপনি? ?২০১১ সালের পর আপনি অনেককেই আহত করেছেন ।আপনার অনুপ্রেরণায সব কিছুই হয় ।যিনি দাবি করেন, “আমিই সব ,আমাকে দেখে আপনারা ভোট দিন ।”যিনি ছোটখাটো সব খবর রাখেন, এবং বলেন আমার কাছে সব খবর আছে আর তাঁর একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী তিন চার জন সঙ্গিনী নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এবং টাকা কামাচ্ছেন আর আপনি বলছেন, “আমি কিছু জানি না, এই সব হচ্ছে চক্রান্ত “।সব উনি জানেন ।আসলে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে নিজেকে রক্ষা করার (escape) চেষ্টা ।লজ্জা করে না মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে ভুরি ভুরি অসত্য কথা বলতে ।মন্ত্রীসভা তো যৌথ নেতৃত্বে চলে ।তাহলে এই বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির দায় তো সকলের ।বিশেষ করে মন্ত্রীসভার যিনি মধ্যমণি মুখ্যমন্ত্রী, গ্রামের ভাষায় পালের গদা।ওনাকেই তো দায় নিতে হবে ।রাজধর্ম কি বলে? ভালো মন্দ সবেরই দায়ভার নিতে হয় ।নীতিমালা অনুযায়ী আপনারই পদত্যাগ করে দুর্নীতি দমনের তদন্তে সাহায্য করা উচিত ছিল ।ক্ষমতার দম্ভে আপনি তা করবেন না এটা সকলেই জানে ।আপনি প্রশ্রয় দেবেন আবার কোন কোন সভায় বলেছেন, “কম করে খাও “।তলা থেকে উপর পর্যন্ত শুধু, “দাও দাও,খাও খাও “দলটা পরিবৃত হয়ে আছে ,তোলাবাজ ,সিন্ডিকেট,গুণ্ডা, প্রোমোটার, বালি চোর, ।

পঞ্চায়েত থেকে পৌরসভা সবই তো দুর্নীতির আখরা।দীর্ঘদিন কোথাও কোন নিয়োগ হয়নি তা আপনি জানেন না ।গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, এস এস সি, টেট , দমকল,লাইব্রেরি এইরকম কয়েকটা দপ্তরে কয়েক লক্ষ শূন্য পদে কর্মী নেওয়ার পিছনে টাকার খেলা চলছে এবং নিয়োগ বন্ধ আছে তা আপনি জানেন না ।তাহলে আপনি কি করেন? অথচ আপনি বলেন ,আমি চব্বিশ ঘণ্টা কাজ করি। আপনি সব জেনেও না জানার ভান করে নাটুকেপনা তে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ।৫০২ দিন পরে মনে হল তাদের সাথে সাক্ষাত করতে হবে ।তাও আবার অভিষেক ।উনি রাজ্য সরকারের কে ? আপনি নিজে থাকলেন না কেন? আপনার সে সতসাহস নাই।গণতন্ত্রে বিরোধীদের কথা শোনার মত ধৈর্য থাকতে হয় ।বিরোধীরা এবং চাকরিপ্রার্থীরা কবে থেকে এই অনাচারের অভিযোগ জানিয়ে আসছেন ।এই ঘোরতর অন্যায়ের কোন প্রতিকার না করে আপনি হুমকি দিয়ে গেছেন ।অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস বই এ বিকৃত ভাবে সিঙ্গুরের কথা লেখা হয়েছে ।তার মধ্যে অনেক অসত্য কথা আছে ।বিরোধী দলনেতা পার্থ বাবুর যে গুনগান লেখা হয়েছে সেটার কি হবে? ছাত্র ছাত্রীরা তাঁদের শিক্ষককে প্রশ্ন করছে, যে পার্থ ধরা পড়েছে তাঁর সঙ্গিনী কে নিয়ে সেই পার্থ কিনা?


আপনি নাকি খুব ইতিহাস চর্চা করেন ।অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসের পাতায় সিঙ্গুর সম্পর্কে আপনার ও আপনার দলীয় কর্মীদের এবং আপনার সাথে থাকা বুদ্ধিজীবীদের ছবি সহ নাম যা লেখা আছে তাঁরা কোথায়? ?আপনি সর্ষে বুনেছিলেন না! সর্ষে হচ্ছে তো ? কারখানা এলাকার জমি তে নাকি সোনার ফসল ফলছে ।এই ইতিহাস এখন যারা পড়ছে তারা একদিন সত্য মিথ্যা মেলাবে এবং আপনার কাছে জবাব চাইতে যাবে ।গতকাল ২৯৷০৭৷২২তাংএ টেট পরীক্ষার্থীরা যাতে ক্যামাক স্ট্রীট যেতে না পারে তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ আটকে দিল। কে পুলিশকে নির্দেশ দিল?? টেট পরীক্ষার্থীদের ঠিকানা সংগ্রহ করে লোকাল থানায় তাদের ডেকে পাঠানো হয়েছে ।আপনি পুলিশ মন্ত্রী হয়ে এ খবর রাখেন! একি গণতন্ত্র! আসলে আপনি ভয় পেয়েছেন ।এগারো বছর ধরে যে কোন প্রতিবাদকে কণ্ঠরোধ করেছেন ।মুখে দশ বছর লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে থাকার জন্য আপনি হুইপ জারি করেছিলেন ।ভিন্ন মতাবলম্বীদের আপনি শাস্তি দিয়েছেন ।এগারো বছর ধরে রাজ্যে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা সবই যুক্তি সঙ্গত কারণ ছাড়াই ।

ট্রুম্যানের বিখ্যাত উক্তি, “একটা স্বাধীন দেশে মানুষের শাস্তি পাওয়া উচিত তাঁর অপরাধের জন্য, কিন্তু কখনোই তাঁর বিশ্বাসের জন্য নয় ।” মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ যে বাড়ছে সেটা আঁচ করেই উনি নিজেকে “আহত সিংহ কিন্তু ভয়ঙ্কর “বলে শাসানি দিচ্ছে ।পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কারও চোখ রাঙানো ও শাসানো কে ভয় করে না ।আহত সিংহকে কিভাবে খাঁচা বন্দি করতে হয় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ভাল করেই জানেন।
৩০৷০৭৷২২